Trick Art Museum থেকে বের হয়ে ম্যাপ এ দেখতে লাগলাম কাছের পরবর্তী স্পট কোনটি। দেখলাম কাছে আছে 5D Cinema। টিকিট দেখাতেই দুটি মেয়ে আমাদের পাশের রুমে নিয়ে এলো। ফাঁকা রুম। আমরা ৩ জনই তখনকার মত দর্শক। সীট বেল্ট বেঁধে, চোখে চশমা পড়িয়ে আমাদের বসিয়ে দেয়া হলো। ভিডিও শুরু হলো। বুক ধুকপুক করছে কি ভয়ংকর ভিডিও না জানি দেখায়। শুরু হলে দেখলাম আমরা রোলার কোস্টারে। এর পথ আবার উঁচু, নীচু, পাহাড়, জঙ্গল এর ভেতর দিয়ে। জংলীরা সামনে এসে যাচ্ছে, তীর ছুড়ছে, তীর এসে বুকের ঠিক ১ হাত দূরে এসে থেমে যাচ্ছে। আবার কখনো বিশাল সাপ হা করে ছোবল বসিয়ে দিচ্ছে। কখনো আবার কোস্টার পানিতে পড়ে যাচ্ছে। তখন আবার আমাদের গায়ে সত্যি সত্যি পানি ছিটানো হচ্ছে। কখনো আবার বাদুর পায়ে লেগে যাচ্ছে। সীটের সাথে হয়তো সত্যিকারের অনুভুতি বুঝানোর জন্য এমন ব্যবস্থা করা আছে। খুব বেশি সময় না কিন্ত যখন ভিডিওটি শেষ হলো, যেন জান হাতে পেলাম। থ্রিলিং এর চুড়ান্ত। বের হয়ে দেখি পরের স্পট House of Horror. ভুত টুত দিয়ে ভয় দেখাবে বুঝতেই পারছি।
এম্নিতেই এক ভয় থেকে মাত্র বেড়িয়েছি। সাহস সঞ্চয় করে চলে গেলাম। টিকিট দেখে আমাদের এক অন্ধকার গলিতে ঢুকিয়ে দেয়া হলো। ভেতরে লাইট অফ। শুধু হালকা নীল আলোতে কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে। কোথায় কি বুঝা যাচ্ছে না। সাথে সাউন্ড সিস্টেমে ভুতের আওয়াজ বাজছে। ঘরের দেয়াল ঘেসে এটা সেটা দিয়ে ভুতুড়ে অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা প্রথম রুমেই দেখার চেষ্টা করছি কি কি আছে। কর্তা আর তার বন্ধু একটু এগিয়ে আমি পেছনে। দরজার পাশেই এক ভুত দেখলাম উপুর হয়ে বসে আছে। ভয় লাগছে হালকা। এর মাঝে আমি অন্যদিকে ঘুরতেই সেই বসা ভুত এমনভাবে আমার সামনে এসে আওয়াজ করলো যে আমি এক চিৎকার দযাতেিয়ে প্রায় নাই। লাফ দিয়ে সরে এলাম। কিন্ত ব্যাপার হচ্ছে আমার আর কর্তার মাঝে ভুতটা। কর্তা আমাকে ইশারা করছে চলে আসতে। বলছে কিচ্ছু হবে না, চলে এসো। ভুতটা এর মধ্যে কিছুটা পিছিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি সাহস সঞ্চয় করে যে পা বাড়িয়েছি ওমনি সে আবার বিকট আওয়াজ করে আমাকে ধরতে আসলো। আমি এক চিৎকার দিয়ে দরজার কাছে গিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় কর্তাকে বললাম, আমি যাবো না। অসম্ভব, তোমরা যাও। আমার অবস্থা দেখে ভুতের বোধহয় মায়া হলো। সে তখুনি মুখোশ আর মাথার হুড খুলে একটা হাসি দিয়ে আমাকে যাবার পথ করে দিলো। ভুতকে পাশ কাটিয়ে কর্তার হাত খামচে ধরলাম। দেখি এই ঠান্ডা এসির মধ্যেও তার হাত ভিজে চপচপে। এর অর্থ উনিও বেশ ভয় পেয়েছেন। কিন্ত পাশের রুমে পা দিয়েই দেখি আরো বেশি গাঢ় অন্ধকার। কড়া নীলচে আলোয় কোথায় কি আছে বুঝা যাচ্ছে না। কোথা থেকে কি গায়ের উপর এসে পড়ে ঠিক নেই। সতর্ক হয়ে হাটতে হবে। এই ভেবে কর্তাকে বললাম মোবাইল টর্চ জ্বালাও। নাহলে আমি যাবো না। এই অন্ধকারে গেলে এখানেই মরে পড়ে থাকবো। সে টর্চ জ্বালালে আমরা পা বাড়ালাম। একেক রুমে যাচ্ছি আর এদিক ওদিক থেকে কংকাল, লাশ ঝুলানো, বক্সের ভেতর থেকে ভুতের হাত বের হয়ে আসছে আর আওয়াজের সাথে ভয়ংকর ভাবে নড়াচড়া করছে। প্রতি রুমে মনে হয় সেন্সর লাগানো যেগুলো মানুষ যাবার সাথে সাথে অটো একশন ও আওয়াজ শুরু হয়। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বেশ কয়েকটা রুম ঘুরে সহি সালামতে বের হতে পারলাম। House of Horror এর কোনো ছবি আমি ভয়ে তুলতে পারিনি। তাই গুগল থেকে নেয়া ছবি দিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে দেখি রাত ৮:৫০ এর মত বেজে গিয়েছে। এখনো ৩ টি স্পট দেখা বাকি। ম্যাপ দেখে পা চালালাম পরের স্পট “Space Mission” এ। নিচতলায় টিকিট দেখালে সিঁড়ি দেখিয়ে দিলো ৩ তলায় যাবার জন্য। উঠে দেখি দরজা খোলা কিন্ত কেউ নেই। বিশাল এক ঘরে আলো আঁধারিতে সৌরজগত টাইপ কিছু বানানো আর রেললাইন দেয়া। কিন্ত কোথায় যাবো কি করবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। দুদিকে পেলাম “অন দিস ওয়ে” লেখা কিন্ত কোথাও কেউ নেই। আমরা এতটাই ক্লান্ত তখন যে নিচে নেমে আবার জিজ্ঞেস করবো সে শক্তি নেই। একপর্যায়ে সাহস করে পাশের টানেল দিয়ে যাওয়া শুরু করলাম। ২ রূম যাবার পর দেখি একা একটি মেয়ে সেখানে বসে আছে। আমাদের দেখে এগিয়ে আসলো। টিকিট চেক করে বাচ্চাদের খেলনা ট্রেনের মত একটা যানে উঠতে বললো। সেই ট্রেন কয়েকটা রুম ঘুরে আবার শুরুর জায়গায় এসে থামলো। শেষে বুঝলাম এটা বাচ্চাদের জন্য বানানো, স্পেসশীপের ভেতরের আদলে। এখানে কোনো মজাই পেলাম না উল্টো সময় নষ্ট হলো বলে মেজাজ খারাপ। বের হয়ে আবার ম্যাপ দেখা। পরের স্পট “Red Carpet”. নাম দেখে কিছুই ধারণা করতে পারলাম না। হেটে খুঁজে চলে এলাম। কাউন্টারে টিকিট দেখিয়ে ফিরে দেখি উপরে যাবার এক সিঁড়ি কিন্ত সেটার শুরুতেই জটলা। প্রায় ২০/২৫ জন লোক সিঁড়িতে কিছু করছে গোল হয়ে। আবার কেউ কেউ তাদের ছবিও তুলছে। আমরা ভাবলাম কোনো ভি আই পি এসেছে নিশ্চই। আমাদের যেতে হবে দোতলায় কিন্ত যেতে পারছি না। এদিকে সময় বয়ে চলেছে। অস্থিরতার সাথে মেজাজও খারাপ হচ্ছে। একসময় ভীড়ের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে দেখি ভি আই পি কোথায়? সবাই সিঁড়িতে রাখা পুতুলের সাথে ছবি তুলছে। ওরাও আমাদের মতই পর্যটক। তখন যা হলো, আমি এক্সকিউজ মি বলতে বলতে ভীড় ঠেলে উঠে গেলাম দোতলায়। কিন্ত একি! কর্তাযে এখনো নীচতলাতেই। এর মাঝে দেখি সেই দলটি উপরে চলে এলো। সিঁড়ি ফাঁকা। শুধ এক ভদ্রলোক কোমড়ে হাত দিয়ে আমার দিকে পেছন ফিরে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে। আমি ওনাকে পাশ কাটিয়ে কয়েক স্টেপ নেমেই দেখি কর্তা আসছেন। ওকে দেখে ওপরে ওঠার জন্য ফিরতেই দেখি ওমা! একি! এ তো জলজ্যান্ত মি. বীন দাঁড়িয়ে আছেন সামনে। আমি এক চিৎকার দিয়ে মোবাইলটা কর্তার হাতে দিয়েই মি. বীনের হাত ধরে ঝুলে পড়লাম। উনি খুব বিরক্ত চেহারা নিয়ে একটা ছবি তুলে দিয়েই হাটা দিলেন। দোতলায় ওঠার মুখেই দেয়ালে খুব সুন্দর একটা জিনিস দেখলাম। দেয়ালে অনেক ক্যামেরাম্যানদের ছবি লাগানো আর ক্যামেরাগুলো থেকে অটোমেটিক ফ্ল্যাশ হচ্ছে আর ক্রাউডের আওয়াজ যেন আপনার মনে হবে ওরা আপনার ছবি তুলছে। যাক সেখানেও ঝটপট ছবি তুলে নিয়ে ঢুকে গেলাম ভেতরে। ওরে ঢুকেই ম্যাডোনা আপা বিরাট হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন। উনার সাথে হাই হ্যালো করে ঢুকলাম পাশের রুমে। দেখি রাণী এলিজাবেথ দাদী আম্মা হাসিমুখে দড়িয়ে। বললেন কতদিন পর এলি, আয় একটা সেল্ফী তোল দেখি। উনার সাথে সেল্ফী তুলে বললাম নাতি বিয়ে দিলেন, বউ দেখলাম না এখনো, যাই আগে দেখে আসি। উনি হাসি মুখে বিদায় দিলে গেলাম প্রিন্স উইলিয়াম ভাইয়া আর কেট ভাবীর কাছে। খুব আফসোস করলেন বিয়েতে যেতে পারিনি বলে। তাদের থেকে বিদায় নিয়ে পাশে দেখি বিল গেটস আংকেল বসে টিভির কি এক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। আমাকে ইশারায় ডেকে পাশে বসালেন। আমিতো প্রথম টিভি ক্যামেরা দেখে কিছু বলতেই পারলাম না। কোনোরকমে উঠে এসে দেখি আইনস্টাইন দাদু মন খারাপ করে বসে আছেন। বললাম, দাদু কি হয়েছে? বললেন, কি যুগ আসলো রে, কারো আর পড়াশুনায় মন দেখি না। সারাদিন ফেসবুক। বললাম, দাদু এই দেখেন বিজ্ঞান এখন কত এগিয়েছে, আপনি মন খারাপ করবেন না। দাদুকে স্বান্তনা দিয়ে গেলাম পাশের রুমে। ম্যান্ডেলা কাকু ডেকে বললেন, বেটি কি খবর রে তোর? জামাই ভালো তো? কিছু পারিবারিক আলোচনা শেষে বিদায় নিয়ে ঘুরে দেখি ওপাশে মাও সে তুং আংকেল হাত বাড়িয়ে ডাকছেন। আমি গিয়ে হ্যান্ডশেক করে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে বললাম, আংকেল আজ তো সময় খুব কম তাই অন্যদিন আসবো। এই বলতে বলতে শুনি পাশের রুমে কে যেন গাইছে। খুব চেনা চেনা লাগছে গলাটা। আরে এ যে মাইকেল জ্যাকসন ভাইয়া। চোখে চোখ পড়তেই স্টেজে উঠে আসতে বললেন। আমাকে আর কে পায়, এক দৌড়ে উঠে গেলাম স্টেজে। কর্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কিছুক্ষণ ভাইয়ার গানের সাথে দোলাদুলি করে নেমে এলাম। এখানে কতজনের সাথে যে দেখা হলো কি বলবো। নায়ক লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও থেকে শুরু করে ফুটবলার মেসি কেউ বাদ নেই। নায়ক -নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, বিশ্বনেতা-নেত্রীবৃন্দ, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়, সবাই আছেন। (শুধু বাংলাদেশের কেউ নেই 🙁 ) অনেককেতো চিনিই না। এমনকি কিছু জংলী আর ডাইনোসরের ডিমও দেখলাম। সময় যে কত হলো কেউ ঘড়ি দেখিনি। হাটতে হাটতে পা আর চলে না। এতক্ষণে ঘড়ির দিকে তাকিতে দেখি রাত ১০টা বাজে। কি সর্বনাশ! এখনো আরেকটা স্পট দেখা বাকি। বের হতে গিয়ে দেখি পেছনে কে ডাকছে। তাকিয়ে আমি হতভম্ব! ওবামা মামা আর পুতিন মামা স্টেজ থেকে ডাকছেন। আমিতো কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। ভয়ে ভয়ে কাছে যেতেই বললেন, কি ব্যাপার সবার সাথে দেখা করে আমাদের সাথে দেখা না করেই চলে যাচ্ছো? বাংলাদেশ থেকে এসে সবাইকে কিছু না বলেই চললে? আমি ভয়ে ভয়ে স্টেজে উঠলাম। দুপাশে দুজন। যাহোক, সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে আসার দাওয়াত দিয়ে নেমে এক দৌড়ে বাহিরে। কি করবো বুঝতে পারছি না। শরীরে আর এক বিন্দু শক্তি নেই। ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে তবুও গেলাম শেষ স্পটে। “City of Digital Lights”. এর গেটে গিয়ে বললাম ভেতরে যাবো না। কোনো লাইট দেখার শক্তি আর নেই। যাক কর্তাও মেনে নিলো। এবার আবার ম্যাপ দেখে হাটা দিলাম গাড়ির খোঁজে। গাড়ি খুঁজে যখন ওতে চড়ে বসলাম, তখন আমরা আর নাই। ড্রাইভার জিজ্ঞেস করলো কেমন লাগলো পার্কটা? গলা দিয়ে তখন আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। কষ্ট করে বললাম, “খুব ভালো”।
চলবে…..
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৮/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৮
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৭/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৭
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৬/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৬
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৫/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৫
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৪/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৪
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৩/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৩
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ২/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ২
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ১/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ১
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এবারের পর্বটি বেশ মজার,
যাক এরপর আর ভূতের ভয় থাকবে না,
মিস্টার বিন আপনার আত্মীয় লাগে আগে বুঝিনি!!
নীহারিকা
ভুতের ভয় আমার এমনিতেও ছিলো না কিন্ত সেদিন যা ভয় পেয়েছিলাম মনে থাকবে। আরে ভাই দেখেন না কতজনের সাথেই তো আত্নীয়তা আছে, কিন্ত কখনো কি বলেছি? বললেই তো বলবেন ভাব দেখাই। যাক পর্বটি মজা লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এবারের পর্বটা আপনাকে অনেক উচুতে নিয়ে যাবে।এতো এতো নামি দামী লোকদের সাথে সেলফি চাট্টি খানি কথা!।
নীহারিকা
হাহাহা ভাই যা বললেন! সেদিন সৌভাগ্য হয়েছিলো সবার সাথে ছবি তোলার।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
বাহবা এতো ঘুরাঘুরি করলেন আর এতো এতো বিখ্যাতদের সাথে আপনার আত্মীয়তা দেখে যারপরনাই টাস্কিত হইলাম, দাদী এই জায়গায় আমি যায়নি আগে, অবশ্য লন্ডনের মাদাম তুসোতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে
নীহারিকা
এটা I-City র ভেতরেই। বললাম না, এমন সুন্দর সুন্দর ৫৩ টি স্পট এখানে। প্রতিটা ভালোভাবে দেখতে গেলে কমপক্ষে ১৫ দিন থাকতে হবে সেখানে। আমরা যেমন দৌড়ে দেখেছি তারপরও ৭ নম্বর স্পটটি শুধুমাত্র ক্লান্ত হয়ে যাবার জন্য দেখতে পারিনি। তাহলে বুঝেন অবস্থা। আমি এই পার্কের ম্যাপ সাথে করে নিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতে মালয়েশিয়া গেলে বাকি স্পটগুলো দেখতে আবারো এখানে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ্, লগে আমারেও নিয়েন দাদী 😀
নীহারিকা
আমি আরো বলতে চাচ্ছি, আপনি গেলে আমারে নিয়েন। 😉
অপ্সরা
এই লেখাটা মজা করে পড়ছি আপুনি!
নীহারিকা
জি আপা পড়েন 🙂
মিষ্টি জিন
অরিজিনাল ভূতকে আমি ভয় পাইনা তবে এই ধরনের ভূতকে ভয় লাগে। কারন এরা ভয় দেখিয়ে ছাডবে।
আপনি তো বিরাট মানুষ মাষ্টার আফা।মি:বিন থেকে পুতিন সবার সাথেই আপনার খাতির আছে। এক খান অটোগ্রাফ দেনচাই। :p
নীহারিকা
ভুতের ওখানে কি যে ভয় পেয়েছিলাম! চিন্তাও করিনি এতটা ভয় পাবো।
আফা অটোগ্রাফ কি শাড়ির আঞ্চলে দিবাম? দেখি আঁচলডা কই…
জিসান শা ইকরাম
আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে মনে হচ্ছে আমি আসলে মালয়েশিয়াই যাইনি,
এরপরে মালয়েশিয়া গেলে আপনার ভ্রমন কাহিনী সাথে নিয়ে যাবো অবশ্যই,
দেখব সব আপনি যা যা দেখেছেন।
খুব মজা পেয়েছি লেখা পড়ে।
নীহারিকা
এতকিছু দেখার পরও কতকিছু যে দেখা বাকি রয়ে গেলো। হয়তো কখনো দেখা হবে হয়তো হবে না। আপনি এরপর গেলে I-City ঘুরে দেখার চেষ্টা করবেন। আশা করি ভালোই লাগবে। বিশাল এলাকা ৫৩ টি স্পট। আমরা মাত্র ৬টি দেখতে পেরেছি। ওখানে কয়েকদিন থেকে ঘুরলে সুবিধা কারণ এটা কুয়ালালামপুর থেকে একটু দূরে। ওখানেই থাকবার হোটেলও আছে।
যাহোক মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শেষ পর্ব দিয়েছি, পড়বেন প্লিজ।