পরদিন সকালের দিকে দুরে কোথাও গেলাম না। এ কয়দিনের টানা ঘুরাঘুরিতে কিছুটা ক্লান্ত। তাই প্ল্যান হলো সকালটা নিজেদের মত করে কাছেপিঠেই ঘুরে বেড়াবো। ১১টার দিকে বের হয়ে হেটে হেটে শহর দেখতে লাগলাম। হাটতে হাটতে এক রাস্তায় এসে দেখি শুধুই খাবারের দোকান। রাস্তার দুধারে চেয়ার টেবিল পাতা আর লাইন ধরে শুধুই খাবারের দোকান। এত কাছে এত খাবার দোকান দেখে খুব আফসোস হচ্ছিলো কেন সকালের নাস্তা হোটেলে খেলাম। কর্তাকে অনুরোধ করলাম এদের কখাবার একটু টেস্ট করে দেখতে। উনি এমন এক লুক দিলেন যে আর কিছু বলার সাহস পেলাম না। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় দুপুর ১টা বেজে গেলো। দুপুরে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়েই বের হতে হবে তাই কর্তা ম্যাকডোনাল্ডসে ঢুকলো।
সুবিধামত জায়গায় বসে খাবারের অর্ডার দিলাম। বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর কোক। কত দেশের, কত ধরণের লোকজন আসছে, খাচ্ছে, চলে যাচ্ছে। খাবার খেতে খেতে দেখছিলাম এসব। বার্গার আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে পেট ঢোল। এরা কোক দিয়েছে ইয়া বড় গ্লাসে। সে আর খেয়ে শেষ করতে পারছি না। যাহোক সময় নিয়ে আস্তে আস্তে খাওয়া শেষ করে ফিরলাম হোটেলে। ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম নিয়ে উঠে আবার তৈরি হয়ে নিলাম। গাড়ি আসবে বিকেল ৫ টায়। আজ যাবো শহর থেকে একটু দূরে i-City তে। বিশাল এক পার্ক। এরই ৭টি স্পটের টিকিট আমরা আগেরদিন কিনে রেখেছিলাম। তৈরি হয়ে লবিতে এসে বসলাম। কিন্ত গাড়ি আজ একটু দেরিই করলো। বিকেল ৫.৩০ এর দিকে আমরা রওনা হলাম i-Cityর উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে দেখছিলাম মালয়েশিয়ার শহরতলী। কি যে সুন্দর, পরিষ্কার, ছিমছাম একটি দেশ! রাস্তার যেতে যেতে ভাবছিলাম, আমাদের দেশ কি কখনো এমন হবে? কিছুদুর গিয়ে দেখি রাস্তার দুপাশেই কয়েক’শ করে একই ডিজাইনের ডুপ্লেক্স বাড়ি। একটু পুরোনো কিন্ত সুন্দর পরিকল্পিত। এগুলো কাদের হাউজিং জিজ্ঞেস করতে ড্রাইভার বললো এগুলো তাদের গ্রাম। আমিতো শুনে হা করে আছি। গ্রাম!! বেশিরভাগ বাড়িতেই এসি লাগানো দেখা যাচ্ছে। তখন বুঝলাম ওদের দেশে কেন আমাদের মত নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য রিক্সা, টেম্পো, নন এসি ভাংগা বাস এসব নেই। কেন সব ট্যাক্সি আর এসি টাউনসার্ভিস বাস। কারণ তাদের সর্বনিম্ন আয়ের লোকও এসব যানবাহনে চড়ার ক্ষমতা রাখে। প্রায় ঘন্টাখানেক, কি তারও বেশি সময় পরে গিয়ে পৌছলাম i-City তে। তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে প্রায়। চারিদিক রঙিন আলোয় ঝলমল করছে। খুব সুন্দর করে সাজানো।
সামনেই দুটো ঘোড়ার মুর্তি এত সুন্দর যে কতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দেখলাম সেগুলো। আর ভাবছি এত দেরীতে এসে পৌছলাম কিভাবে দেখবো এত স্পট? ড্রাইভার গাড়ি পার্ক করে আমাদের সাথে নিয়ে গিয়ে i-Cityর একটি ম্যাপ ধরিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলো আমরা কোথায় সাথে নিয়ে গেলো প্রথম স্পট Snow Walk এ। সেখানে এসে টিকিট দেখানোর পর ওরা ম্যাপের ৭টি স্পট কলম দিয়ে দাগ দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিলো কিভাবে যেতে হবে। টিকিট ফেরত নিয়ে ঢুকলাম Snow Walk এর দরজা দিয়ে।
বিশাল এক হলরুম। পোলার বেয়ার, স্নো ডল ছাড়াও বরফের দেশের মডেল বানানো আছে সেখানে। ভাবছি এগুলো দেখতে আসলাম? সত্যিকারের বরফ কোথায়? জিজ্ঞেস করতেই আমাদের পথ দেখিয়ে দেয়া হলো। সেপথে গিয়ে দেখি আরেকটি ঘর। এখানকার ঠান্ডা কিছুটা বেশি। এখানে দেখি সবাইকে জ্যাকেট দেয়া হচ্ছে গায়ে দেবার জন্য।
আমার একটু ঘেন্না ঘেন্না করতে লাগলো কে না কে গায়ে দিয়েছে। ইয়াক….। কর্তারও একই অবস্থা। আমরা দুজনেই জ্যাকেট হাতে নিলাম কিন্ত পরলাম না। আমাদের সাথে ছিলো কর্তার এক বন্ধু। সে আবার গিয়েছে শর্টস পরে। সে বলে, জ্যাকেট তো দিলো কিন্ত আমার পায়ের কি উপায়? তো তিনজনই রওনা হলাম সামনের দিকে। দরজা খুলে দেখি এ পুরো ডীপ ফ্রিজ। ডানে, বামে, সামনে বরফ দিয়ে কত কিছু যে বানিয়ে রেখেছে সাথে আলো আঁধারিতে রঙিন আলো। আমরা দেখছি, ছবি তুলছি। কয়েক মিনিট পর থেকে মুখ আর হাতের খোলা জায়গা অবশ হওয়ার মত অবস্থা। আর এদিকে হাফপ্যান্টওয়ালার তো অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি হেটে Exit আর খুজে পাচ্ছি না। এর মধ্যেই দেখি আর পারা যাচ্ছে না। এখন বের না হলে ফেইন্ট হবার সম্ভাবনা। কিছু স্কুলের ছেলেমেয়েও দেখি বের হবার জন্য দৌড়াচ্ছে। আমিও ওদের পেছনে দৌড় শুরু করলাম। দৌড়াই আর ভাবি কেন এখানে আসলাম? ঠান্ডায় যদি আবার জ্বর ফিরে আসে?
যাহোক দৌড়ে দৌড়ে দরজা দিয়ে বের হয়েই পড়লাম আগুন গরমে। এসির স্বাভাবিক তাপমাত্রাও অনেক গরম লাগতে লাগলো সাথে এক নিমিষেই মাথা, জ্যাকেট জামা স্যান্ডেল ভিজে টপ টপ করে পানি পড়ছে। তাড়াতাড়ি জ্যাকেট খুলে জমা দিয়ে একটা বেঞ্চে কিছুক্ষণ বসলাম। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বেড়িয়ে এলাম সেখান থেকে। পরের স্পট Trick Art Museum. ম্যাপ দেখে চলে গেলাম সেখানে।
প্রথমে বুঝতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিলো। পরে বুঝেছি 3D আর্ট। খেয়াল করলাম প্রতি ছবির পাশে দর্শক কোন ভঙ্গীমায় ছবিটা উঠালে বাস্তব মনে হবে তার ছবি ছোট করে লাগানো আছে। ছবিগুলো
দেখে বেশ মজাই পেলাম। এদিকে সময় অনেকটাই চলে গেছে আগের স্পটে দেখে একটু তাড়াহুড়ো করেই ঘুরলাম এখানে। এখানে বেশ কিছু ছবি তোলা যেতো কিন্ত সময়ের অভাবে অল্প তুলেই বের হয়ে এলাম।
চলবে….
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৭/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৭
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৬/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৬
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৫/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৫
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৪/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৪
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৩/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৩
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ২/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ২
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ১/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ১
২৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে i-city তে যাওয়ার, দারুণ জায়গাটা, খুব সুন্দর ভাবে এগুচ্ছেন দাদী, চালিয়ে যান।
নীহারিকা
তাই নাকি? তবে এত বড় পার্কে ৫৩টি আলাদা আলাদা স্পট এর মধ্যে মাত্র ৬টি দেখতে পেরেছি। ইচ্ছে পরে কখনো গেলে আবার ওখানে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ইঞ্জা
আমি সকালে যাওয়াতে প্রায় সব ঘুরেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি সত্যি সত্যি অনেক ঘুরান্তি দিয়েছেন,
ভাবি, অসুইখ্যা শরীরে কেমনে পারলেন!!
এই জায়গাগুলো কিন্তু দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমাদের।
চলতে থাকুক।
নীহারিকা
স্নো ওয়াকে ঢুকেই শুধু জ্বরের কথা মনে পড়েছে, এছাড়া ঘুরান্টির চোটে অসুস্থতার কথা মনেই পড়েনি।
আমারতো এখন জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে যে, মালয়েশিয়া গিয়ে তাইলে করছেন কি?
তবে আর বেশি নেই। ১০ম পর্বতে এই ভ্রমণ কাহিনী শেষ হয়ে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আপনার মত এত গতিশীল হতে পারি না যে,
ধরুন বার্ড পার্কে গেলাম সকালে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা!
ভাল করে সব-কিছু দেখতে হবে তো। আল্লাহ কত কিছু দেখার জন্য ছড়িয়ে -ছিটিয়ে রেখেছেন!!
আল্লাহর কোন নেয়ামত কে আমরা অস্বীকার করতে পারি!! (আল্লাহ মাফ করুন)
নীহারিকা
আপনার মত সময় নিয়ে দেখতে পারলে কি ভালো হতো বলুন! I-City এত্ত বড় যে সেখানেই থেকে ৭ দিন ধরে দেখলে হয়তো ভালোভাবে দেখা যাবে। এর ৫৩ টি স্পটের মধ্যে খুব দ্রুত ৬ টি স্পট দেখতেই সময় লাগলো ৪ ঘন্টা। কিন্ত আমার যে তাড়াহুড়া ছাড়া উপায় ছিলো না।
জিসান শা ইকরাম
ভাবছি, কত কিছুই না দেখে ফেললেন এক বার ভ্রমণ করেই,
নিজের উপরই তো আক্ষেপ বৃদ্ধি পাচ্ছে,
প্রতিবারই গিয়েছি কুয়ালালামপুর থেকে দুরের স্থানে। অথচ কুয়ালালামপুরই দেখা হলো না।
এরপরে আবার গেলে আপনার দেখা স্পট একটাও বাদ যাবে না।
পরিকল্পনা অনুযায়ী একটা দেশ কিভাবে উন্নত হতে পারে, মালয়েশিয়া এর উদাহরন।
এরা ফুটপথ পর্যন্ত এসি করে ফেলছে। প্রায় ২ কিলোমিটার একটা এসি ফুটপাথ আছে।
লেখার শুরু বা শেষে ‘ মালয়েশিয়া ভ্রমন কাহিনী ১,২,৩’ এভাবে দিয়ে দেয়া যায়?
এটি লেখার শেষে লিংকের আগেও দেয়া যায়,
যেমন মালয়েশিয়া ভ্রমন কাহিনী ১ : মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ১
সার্চ ইঞ্জিন সমূহে ফিডব্যাক ভাল পাওয়া যেত।
শুভ কামনা।
নীহারিকা
এরপর মালয়েশিয়া গেলে না দেখা জায়গাগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা কইরেন। ওদের উন্নতি দেখে শেখার আছে অনেক কিছু (অবশ্য আমরা যদি শিখতে চাই)। এবার আমিও দেখলাম ফুটপাতে কাঁচ দিয়ে ঘিরে লম্বা লম্বা টানেলের মত তৈইরি করছে। যদিও বুঝিনি এগুলিই কি সেই এসি ফুটপাত বানাচ্ছে কি না।
ভাই আপনি লিংকের আগে যেখাবে লিখতে বলেছেন সেটা কি আগে “মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী” এটা লিখে পাশে লিংকটা সেভাবে দেয়া আছে সেভাবে থাকবে? নাকি “মালয়েশিয়ার ভ্রমণ কাহিনী: ১, ২, ৩, ৪….” এভাবে শুধু সংখ্যাগুলোতে লিংক হবে?
কিছু মনে না করে, যখন সময় পান তখন আরেকটু যদি বুঝিয়ে বলতেন তবে ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হতো। আমি এ ব্যাপারটা খুব কম বুঝিতো তাই আপনাকে আবার অনুরোধ করলাম।
মুল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
যেভাবে চেয়েছি আপনি নিজে নিজেই তা পেরেছেন।
আসুন গুগলের সার্চ নিয়ে কিছু বলি। মনে করুন আমি মালয়েশিয়া যাবো। কিছুই জানি না মালয়েশিয়ার ভ্রমন স্পট সম্পর্কে। আমি তখন গুগলে সার্চ দেবো ” মালয়েশিয়া ভ্রমন কাহিনী বা মালয়েশিয়া ভ্রমন ” লিখে। এতে করে অন্য অনেক লেখার সাথে আপনার লেখাটিও চলে আসবে। লেখা প্রকাশের আগে দেখবেন ‘ ট্যাগ ” এর একটি ঘর আছে। ওখানে ” মালয়েশিয়া ভ্রমন” লিখে ওকে করুণ। ট্যাগ এর গুরুত্ব অনেক। এতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকেই লেখা চলে আসে।
লেখা প্রকাশের সময়ে প্রথম যে লেখা হয়, সার্চ ইঞ্জিন সমুহ কেবল তাইই গ্রহন করে। এডিট লেখা গ্রহন করতে কিছুটা সময় নেয়। আপনি পরিপুর্ন ভ্রমন কাহিনী লিখছেন যা বেশ ভাল হচ্ছে। যদি সম্ভব হয় তবে মালয়েশিয়া ভ্রমনের খরচ নিয়েও একটি পোষ্ট দিয়েন। এটিও নতুন ভ্রমণ কারীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী লিখে সার্চ দেয়ার পরে সোনেলার একটি লেখা ২ নং এ এসেছে, দেখলেই বুঝবেন আপনি।
নীহারিকা
ট্যাগ এর ব্যাপারটা জানতাম না। এখন জানলাম। আর যদি গুছিয়ে লিখতে পারি তবে মালয়েশিয়া ভ্রমণের খরচ নিয়ে একটি পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করবো।
আপনার ২য় কমেন্টে গুগলে সার্চ দেয়ার পর ২ নং এ সোনেলার যে লেখাটি এসেছে সেটা আমার লেখা নয়। সোনেলাতেই ইকবাল কবির নামে একজনের পোস্ট যিনি ৩০ এপ্রিল ২০১৬ সালে লেখাটি পোস্ট করেছিলেন।
ধন্যবাদ।
মায়াবতী
আমি জীবনে বহু বার মালায়শিয়াতে গিয়েছি কিন্তু আপনি এক বার ই যা দেখছেন আমি এত বারে তার অর্ধেক ও দেখি নাই। খুব ভাল লাগতেছে আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়তে….
নীহারিকা
গরীবের এই অবস্থা…আর যেতে পারবো কি না জানি না তাই সাধ্যের মধ্যে যা কুলায় দেখে এসেছি। এর পরে গেলে দেখার চেষ্টা করবেন, ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিহারীকা আপু দারুণ লিখছেন। আপনি দেখছি ভ্রমণ কাহিনী লেখক হয়ে গেছেন। দুষ্টুমি করে বলছি না, আমি সিরিয়াস। মালয়েশিয়া এমনভাবে দেখাচ্ছেন, যেনো নিজেই আমি ওখানে।
নীহারিকা
হইছে আর শরম দিয়েন না তো দিদি 🙂 যা ঘটছে তাই লিখতেছি। আপনাদের ভালো লাগছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। দোয়া কইরেন যেন নতুন নতুন জায়গায় গিয়া আরো ল্যাক্তে পারি। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু যথেষ্ট ভালো লিখছেন বলেই বলছি।
শরম পাইলে আস্তা মুখ ঢাকেন, তাইলে আর আমার কথায় শরম পাইবেন না। 🙂
নীহারিকা
এখানে নেকাব করা মুখের ইমো নাই কেন? 🙁
শুন্য শুন্যালয়
সামবডি গিভ মি টিকেট প্লিজ!!! এতো সুন্দর সুন্দর জায়গায় এক্ষুনি যেতে ইচ্ছে করছে।
এখানে অনেক মিউজিয়াম আছে এরকম, তবে দামের ভয়ে এখনো ঢুকিনি। টিকিট বেশ কষ্টলি। আস্তে আস্তে দেখবো তবে মালয়শিয়া সে স্বপ্নের মতোই। আর আপনি যেভাবে লোভ দেখাচ্ছেন! আপনাকে মালয়শিয়ার টুরিস্ট এম্বাসেডর বানানো উচিৎ। 🙂
নীহারিকা
সামবডি গিম মি টিকেট উইদ শুন্য প্লিজ! আমি আবার যাইতাম চাই। মালয়েশিয়ারও প্রায় সকল ট্যুরিস্ট স্পটের টিকিটের দামও তো বেশি। সেজন্য ঘুরতেই সব টাকা শেষ করে আসছি। শপিং টপিং আর হয় নাই। আমি হবো ট্যুরিস্ট এম্বাসেডর? হাহাহাহা……..
মৌনতা রিতু
তোমার ঐ দৌড়ানিটা কল্পনা করছিলাম। কেমন যে দৌড়ানিটা দিছো :D) :D)
কর্তারা চোখ পাকাতেই ওস্তাদ। আমারটাও ওমন ছিল। এখন আমিই ওকে চোখ গরম দেখাই।
ছবিগুলো বেশ ভাল লাগছে। ভ্রমণ কাহিনী অনেক পড়েছি এতো সুন্দর করে বর্ণনা কোথাও পড়িনি। সাথে ছবিগুলোর জন্য বুঝতেও বেশ সুবিধা হয়।
চলুক।
নীহারিকা
সে দৌড় পুরা জান বাচানো টাইপ দৌড়। কর্তাদের মেজাজ ক্যান যে এমন বুঝি না। আপা, ছবি ছাড়া ভ্রমণ কাহিনী পড়লে মনে হয় ইশ একটা ছবি যদি দেখতে পারতাম! তাই নিজের ভালোলাগা থেকেই ছবি দিচ্ছি। সাথে আপনারও ভালো লাগছে জেনে খুব খুশি লাগছে। ভালো থাকবেন। আর মাত্র দুটো পর্ব আছে সামনে। ধন্যবাদ।
অপ্সরা
হা হা বরফের সেই রাজ্যের কথা পড়ে অনেক হাসলাম আপুনি! যদিও সেটা আমার স্বপ্নের জগৎ মনে হয়েছে। অনেক অনেক ভালো লাগা!
নীহারিকা
আপা জায়গাটা খুবই সুন্দর তবে এমন যে ডীপ ফ্রিজের মত হবে বুঝতে পারিনি। লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে দেখে আমারও খুব ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।
নীরা সাদীয়া
বেশ লাগল আপনার এ ভ্রমন কাহিনী। পড়ে ও ছবি দেখে আমার নিজেরই জীবন্ত মনে হচ্ছিল।
নীহারিকা
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ সাদীয়া।
শুভকামনা।