আসুন মানুষ কিভাবে তৈরী হল আজ সে গল্প জানি। তখনকার পৃথিবী ছিলো একদম প্রাণীশূন্য। প্রমিথিউস ও তার ভাই প্রচণ্ড একাকীত্ব ভোগ করছিলো। তখন জিউস তাদের অনুমতি দিল প্রাণী বানাবার। তারপর থেকে প্রমিথিউস ও তার ভাই শুরু করল বিভিন্ন স্থানের মাটি দিয়ে বিভিন্ন পশুপাখি ও মাছ বানানো। প্রমিথিউস তার ভাইয়ের চাইতে সবসময় তুলনামূলক জ্ঞানী ও সৃজনশীল ছিলো। তাই সে সাধারণ পশুপাখি বানাবার বদলে আরো মহৎ কোনো প্রাণী বানানোর কথা ভাবল। যে ভাবা সেই কাজ। প্রমিথিউস পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মাটি স্বচ্ছ পানিতে গলিয়ে প্রাণী বানাতে শুরু করলো। এই প্রানীগুলোকে তাদের দেবতাদের ইমেজে বানালো হল; অর্থাৎ দেবতাদের আকৃতি প্রদান করলো এবং তাদের নাম দেয়া হল মানুষ। মানুষ বানানো হয়ে গেলে জ্ঞানের দেবী এথেনা দেখে মুগ্ধ হয়। এবং সে ফুঁ দিয়ে মাটির তৈরী মানুষগুলোর মাঝে প্রাণসঞ্চার করে।
মানুষ বানাবার পর জিউসের সাথে চুক্তি হল যে মানুষ বাদে অন্যান্য সব প্রাণীদের বিভিন্ন দেবতার নামে উৎসর্গ করা যাবে এবং উৎসর্গের পর অবশিষ্টাংশ মানুষের জন্য থাকবে। এখন কতটুকু উৎসর্গ করবে এবং কতটুকু মানুষের ভাগে পরবে তা নির্ধারণ তার জন্য মিসোন নামক স্থানে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রমিথিউস। এই অনুষ্ঠানটি গ্রীক মিথলজির এক অনন্য ঘটনা। এটা ট্রিক এট মিসোন (Trick at Mecone) নামে পরিচিত। এখানে জীর্ণ একটি গাভীর পাকস্থলীর ভেতর ষাঁড়ের উৎকৃষ্ট মাংস রেখে গাভীটিকে বিচ্ছিরিভাবে ময়লা করে, অনুৎকৃষ্ট প্রাণীদেহের অংশ দিয়ে আবৃত করে। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাণীর হাড়গোড় ও চর্বি একত্রিত করে তাদের খুব চকচকে করে এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করে প্রমিথিউস। জিউস সেখানে আসলে প্রমিথিউস তাকে বলে যেকোন একটি বেছে নিতে। প্রমিথিউসের ধোঁকায় পড়ে জিউস চকচকে দেখতে হাড়গোড়কেই বেছে নেয়। ফলে এরপর থেকে এটা নিয়ম হয় যে মানুষ প্রাণী উৎসর্গের পর মাংস রেখে দিয়ে চর্বি ও হাড়গোড় আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করে দেবতাদের অনুগ্রহ পেতে পারবে।
১৯টি মন্তব্য
অলিভার
পৌরাণিক ব্যাপার।
জানলাম নতুন কিছু।
আর্বনীল
এই পৌরনিক ব্যাপারগুলো মাঝে মাঝে অবিশ্বাস্য মনে হয়। কিন্তু জানতে ভালোই লাগে…
স্বপ্ন
জানা ছিল না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আর্বনীল
আপনাকেও ধন্যবাদ।।
শুন্য শুন্যালয়
পৌরাণিক গল্পগুলো পড়তে বেশ লাগে!! ডারউইন সাহেব থাকলে সোনেলায় কি মন্তব্য দিতো ভাবতে বসেছি ;?
আর্বনীল
উনি নিশ্চয় 😮 এই ই।। ব্যাবহার করতেন…
জিসান শা ইকরাম
মানুষকে মাটি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে এটি তো দেখছি গ্রীক পুড়ানেও আছে 🙂
আর্বনীল
হুম। 🙂
স্বপ্ন
ভাইয়া গ্রীক পুড়ান নিয়মিত দিন।খুব ভাল লাগে এসব পড়তে।
আর্বনীল
একই টেষ্টের খাদ্য রোজ রোজ ভালো লাগবে না…ধীরে ধীরে পোষ্ট হবে……
🙂
ব্লগার সজীব
ভালো লাগলো।গুড শেয়ার ভাইয়া -{@
আর্বনীল
🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই ভালো লাগে পড়তে এসব মিথলজি। আরোও লিখুন। 🙂
আর্বনীল
লিখব……
খেয়ালী মেয়ে
ভালো লাগলো (y)
আর্বনীল
ধন্যবাদ
লীলাবতী
এমন পোষ্ট আরো চলুক 🙂
আর্বনীল
চলবে…
রিমি রুম্মান
অজানা কিছু জানলাম। ভাল লাগলো লেখাটি। ভিন্নরকম লেখা।