সবাই এখন কর দিন,উন্নয়নে অংশ নিন, করদাতাদের সুরক্ষা ও কার্ড দিন।অবসরে পেনশন নিন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

মানবিক উৎকর্ষ সাধনে উদ্ভাবনী শক্তির আধার, জনগন মন নন্দিত প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। করদাতা কর্মজীবিমানুষের বোবা কান্না একটু কান পেতে শুনুন। বিবেকের দরজা একটু খুলুন। আপনিই আমাদের আশা ভরসার আশ্রয় স্থল।আপনার অবারিত দ্বার একটু প্রষারিত করুন। সরকার বিনা টাকায় আমাদের পেনশনের ব্যবস্থা করতে পারে এবং লোকেরকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। সেটা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে ব্যাখ্যা করবো।

সেদিন বন্ধু আমার ক্ষোভের সাথে জানালেন সরকারকে কেন কর দেব ? সরকার চিকিৎসার গ্যারান্টি দিতে পারে না। অবষরেখাওয়ার নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাই দেশে থাকার চেয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে বাঁচি যেমন করে ২য় বাড়ি থাকে বিদেশে।
চিন্তা করে দেখলাম তাইতো বটে সব বড়লোকেরা কর ফাঁকি দিয়ে ২য় বাড়ির নেশায় ছোটে। আর সৎ উপার্জন কারী মধ্যবিত্তরা মরে ধুঁকে ধুঁকে নাভিশ্বাস উঠে।

বোঝানোর চেষ্টা করলাম মানুষ কর দেয় বলেই কম বেতনে বৃত্তি নিয়ে লেখাপড়া করলাম। কম পয়সায় হাসপাতালে চিকিৎসা।মন্দির মসজিদ গীর্জায় অনুদান।
সে বলে সব ঠিক আছে প্রাইভেট কোম্পানীর চাকরী শেষে অবষরে খাব কি। এই অমোঘ সত্যটা সরকার না বুঝলে মানুষ করফাঁকি দিবে আর দুর্নীতির আশ্রয় নিবে।

প্রখ্যাত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) ২০১৫ সালের শুরুতে জরিপ করে দেখিয়েছে বাংলাদেশে বছরে ৬হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। তাদের মতে, সংখ্যাটিবছরে ১০ শতাংশের বেশি হারে বাড়ছে।তাহলে ২০২০ সালে করদেয়ার সামর্থ্য বান লোকের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি।

এখন আসি ২০২০ সালে কতজন লোক কর দিল দেখি।
ই টিন নিল ৪৬ লাখ লোক
রিটার্ন সাবমিট করলো ২২ লাখ লোক (মানে ১১%)
কর আদায় ৭২৩ বিলিয়ন , ৭২৩০০ কোটি টাকা
ভ্যাট আদায় ৮৫৬ বিলিয়ন, ৮৫৬০০ কোটি টাকা
কাষ্টমস থেকে ৬৪৪ বিলিয়ন, ৬৪৪০০ কোটি টাকা।
সম্পূর্ণ কর বাবদ আদায় ২,২২,০০০ কোটি টাকা
বাংলাদেশের বাজেট ৫৬৮,০০০ কোটি টাকা।
বুঝুন এবার দেশটা চলে কিভাবে ?

মাননীয় নেত্রী,

মাত্র ১১% লোক কর দেয় ৮৯% লোক করের আওতার বাইরে। তার মধ্যে ২ নম্বর সেলারি শীট বানিয়ে সেখানে ও কর ফাঁকি দেয়। তার মানে সাদা টাকা কালো হচ্ছে, পাচার হচ্ছে, দুর্নিতী হচ্ছে আর অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।

তাই আমার প্রস্তাব ২% ইনসেনটিভ দিয়ে যেমন রেমিটেন্স বাড়াচ্ছেন তেমনি করদাতাদের সুরক্ষা সহ কার্ড দিন আর বিনা টাকায় পেনশন দিন। ৯০% মানুষ স্বেচ্ছায় কর দিবে উন্নয়নে অংশ নিবে আর দুর্নীতি কমবে।

আসুন দেখা যাক সরকার কিভাবে বিনা টাকায় পেনশন দেয়া যায় বা করদাতাদের টাকা ফেরত দেয়া যায়। করদাতার প্রদত্ত টাকার ৮৫% উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে ১৫% করে স্থায়ী আমানত রাখুন। ৩০ বছরে সুদে আসলে ১০০% আমানত হবে। তা থেকে ৬০ বছর পূর্ণ হলে অবসরে প্রদত্ত করের ৫% করে ২০ বছর পেনশন দিন। আর ৫% দিয়ে বাড়তি লোকবলের খরচ মিটানো যায়।

করদাতারা যদি সুরক্ষা কার্ড আর অবসরে পেনশন পায়। মানুষ স্বেচ্ছায় কর দিয়ে উন্নয়নে অংশ নিবে। দুর্নিতী, টাকা পাচার আর মানুষের অপরাধ প্রবনতা কমে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। যা আপনি আমি সবাই চাই। তাই আজকের শ্লোগান হোক।
“সবাই এখন কর দিন, উন্নয়নে অংশ নিন, করদাতাদের সুরক্ষা ও কার্ড দিন !অবসরে পেনশন নিন “

হে মানবিক নেত্রী,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সংসদ অধিবেশনে ব্যবস্থা নিয়ে মুজিব বর্ষে ইতিহাস রচনা করে করদাতাদের বোবা কান্না বন্ধ করুন।
আপনি সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু।

সুপায়ন বড়ুয়া , ৩১শে আগষ্ট ২০২০
(তথ্য সূত্র: বাজেট ও নেট )

১৩৯৭জন ৯১০জন
0 Shares

৩৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ