পাখোয়াজ বসন্তের গোপনীয়তায় হানা দেয়
হলদে হয়ে যাওয়া ঘাস;
ফড়িং-এর বুকে চিড় ধরে।
যেমন করে ফুরিয়ে যাবার আগে বল্কল খসে পড়ে বিটপীর;
বেঁচে থাকার জন্য গভীরভাবে আঁকড়ে ধরে,
হাত বাড়ায়,
আরো একটু রোদের সম্ভোগ, যদি আরো একটু, খুব অল্প —
পরিযায়ী পাখী এবং বৃক্ষ যেমন জানে মানুষের মাঞ্চিনিল মনের কথা।
ভালোবেসে খুন, সুকৌশলী অভিনয় দিয়ে খেলা এবং হিসেবের টানাপোড়েনে কতো সহজে আঘাত হানা যায়!
তবুও এই খুচরো টুকরো ঋতুর নির্যাসমিশ্রিত হেমলক পান করে পৃথিবী দিব্যি চলে, ঘুরে, ফিরে, দেখে আদিগন্ত—
বিবর্ণ হয়ে যাওয়া পলেস্তারায় অশরীরী আত্মাদের জমকালো জৌলুসময় ইতিহাসের পাশ দিয়ে
স্বার্থান্বেষী এবং স্বার্থান্ধ একইসাথে হাত ধরে চলতে থাকে মাঞ্চিনিল মানুষ পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা, এ স—ব কিছু দেখে সময়।
কখনো সখনো চেতনার রোদের গায়ে হাওয়া এসে লাগে,
দোল দেয়, আঁকিবুঁকি আঁকে, কাটাকুটি খেলে
অস্থির এক মানব জন্ম হঠাৎ ই বৃক্ষ হয়ে যায়।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১১ জানুয়ারি, ২০১৮ ইং।
♦বহুদিন পর লিখেই সাথে সাথে ব্লগে পোস্ট দিলাম।
১৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সবার চেতনায় রঙ লাগে না, রঙ ধরেও না,
সং সেজে নেঁচে কুদে সময় বইয়ে দেয়,
অস্থির/সুস্থিরতার তোয়াক্কা করে না নির্মম/নির্দয় সময়;
সময় শুধুই ব্ররুক্ষের ন্যায় দোল দেয় দোল খায়।
এই তো জীবন, আহারে জীবন।
আচ্ছা, এ যাবৎ সব পুরোনো চালিয়ে যাচ্ছিলেন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সং না সেজে কেউ কি আছে? সং সেজে শূন্য মানেই তো সংসার।
হ্যাঁ পুরোনো চলছিলো। তবে “ভালো থাকিস” ওটাও নতুন। শুধু ব্লগে দিতে পারিনি সঙ্গে সঙ্গে। 😃
বন্যা লিপি
“অস্থির এক মানব জন্ম হঠাৎই বৃক্ষ হয়ে যায়।”
আহারে জীবনের বৃক্ষগুলো!!! কেবলই রঙ বদলায় জীবনের রংপাতায়।
শুভেচ্ছা নিরন্তর -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মন্তব্যে রঙ ছড়িয়ে দিলো পুরো লেখাটিতে।
কৃতজ্ঞতা 🙏🙏
সাবিনা ইয়াসমিন
অতপর মানব জন্ম বৃক্ষ হয়েই পূর্নতা পায়,
অথবা বৃক্ষগুলোও হতে পারে মানব জীবনের ছবি।
মানব-বৃক্ষ ,বৃক্ষ-মানব ঠায় দাড়িয়ে থাকে ধরনীর বুকে,,
মিশে থাকে প্রকৃতিতে,,মিশে যায় প্রাকৃতিক ভাবেই,,
প্রকৃতি আর মানবজীবনের পরিনতি মিলে যায়
উভয়েই নিমজ্জিত হয় একই ভাবে
কখনো একই সাথে,,,
নীলা আপু আপনার লেখা পড়ে আমার আবেগ এতো বেড়ে গেলো কেন তাই ভাবছি
;?
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন মন্তব্য পেলে উৎসাহ দ্বিগুণ ত্রিগুণ পেরিয়ে যায়। ইচ্ছে করে আরোও লিখতে তখন।
আপনি যথেষ্ট আবেগী, তাই তো এভাবে মন্তব্য দিতে পারেন। 🌹💕💕🌻
প্রহেলিকা
কিছুটা অস্থির হয়েই লিখেছেন মনে হয়েছে। শেষের দিকে এসে প্রতিকী উচ্চারণ লেখার মাঝে ভালোলাগার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজের কিছু প্রিয় শব্দ এবং কিছু নতুন শব্দের ব্যবহার বাড়তি আকর্ষণ! যাইহোক মানুষের সরূপ তুলে ধরা কঠিন বটে, পারি না বের করতে।
একান্ত অনুভূতি না ভেবে কবিতাই ধরে নিলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখতে চেয়েছিলাম তিনভাগে। অস্থিরতার জন্য সব এলোমেলো। আমি ধন্য যে এমন পাঠক পেয়েছি আমার এই লেখায়। ভালো লেগেছে, ভালো হয়েছে, মুগ্ধ কিংবা দারুণ, অসাধারণ এসব শব্দ তো পাই। দেই ও। তার পাশাপাশি এই যে বুঝে নেয়া কি বলতে চেয়েছি, কিন্তু বোঝাতে পারিনি সেটাও বুঝে নেয়া, সেই ক্ষমতা সকলের থাকেনা। দামী পাঠকের থাকে। এমন পাঠককে সবসময়ই চাই। 🙏🙏🌻🌻
রিমি রুম্মান
শেষ লাইনটা বুকের ভেতরে এসে বিঁধল যেন! সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু বেঁচে থেকেও বৃক্ষর মতো চলৎশক্তিহীন হয়ে যাওয়া অনেক কষ্টের, অনেক যন্ত্রণার।
অনেক ভালো থেকো আপু। 🌹
জিসান শা ইকরাম
মাঞ্চিনিল শব্দটা নতুন আমার কাছে।
অসম্ভব ভালো লেগেছে কবিতা।
কিছুটা তারাহুরা করে লিখেছ নাকি?
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মাঞ্চিনিল একটা বিষাক্ত গাছের নাম। তার শেকড় থেকে পাতা, ফুল-ফল সবকিছুই বিষাক্ত। এই গাছের কাঠের আসবাবপত্র বিষাক্ত। কিন্তু মানুষের চেয়ে বিষাক্ত কিছু কি আছে নানা?
হুম অস্থিরতা কাজ করছিলো। তিনভাগে লিখতে গিয়ে একভাগে এনে জট পাকিয়ে ফেলেছি।
অনেক ভালো থেকো আমার বুইড়া নানা। 🌹
মোঃ মজিবর রহমান
জীবন যেখানে যেমন রঙ বদলায়, রঙ্গিন হয়, সং সাজে যে যেমন। হইতো কেউ পারে কেউ পারেনা।
অস্থিরতায় মানুষ অস্থির আমি নিশ্চুপ।
ভাল লাগা রইল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই মন্তব্যে পাকা হয়ে উঠেছেন আপনি।
অনেক ভালো থাকুন। 🌻🌻
মোঃ মজিবর রহমান
হ্রিদি মাঝে রেখে ধন্যবাদ আপু।
ভাল থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনিও ভালো থাকুন মজিবর ভাই।