
ওঁ
শ্রীগুরু সহায়:
পরম পূজনীয় মা, পত্রের প্রথমে আপনি আমার ভক্তিপূর্ণ প্রণাম গ্রহণ করবেন। বাবাকে আমার প্রণাম জানাবেন। বড় দাদাকেও আমার প্রণাম জানাবেন। সাথে জানাবেন বাসার সকলকে শ্রেণিবিশেষ আমার প্রণাম ও স্নেহাশিস। আশা করি দয়াময়ের অশেষ কৃপায় বাসার সকলকে নিয়ে একপ্রকার ভালো আছেন। ভালো থাকার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় প্রার্থনা করি। আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আমিও একপ্রকার ভালো আছি।
পর সমাচার: মা, আপনার বারণ থাকা সত্ত্বেও চট্রগ্রাম এসে মনে হয় বিপদেই পড়েছি! এখানে আমরা তিনজন যে-কাজের জন্য এসেছিলাম, সেই কাজে আমাদের না নিয়ে অন্য এক কঠিন কাজ আমাদের দেওয়া হয়েছে, মা। প্রথম দিন সকালবেলা যখন কোমড়ে গামছা বেঁধে কাজে যাই, তখন কী কাজ আমাদের করতে হবে, সাব-কন্ট্রাক্টর আমাদের বুঝিয়ে দেয়। কাজটা হলো, পাহাড়ের নিচে থেকে উপরে বালু উঠাতে হবে। ঐ কাজে শুধু আমরা তিনজনই নয়, আরও অনেক লেবারই আছে। সেখানকার লেবাররা সে কাজ দিব্যি করেও যাচ্ছিল। তা দেখে আমরা তিনজনই মনে করেছিলাম এ-কাজ করা কোনও ব্যাপারই না! কিন্তু মা, সে-কাজ আমরা করতে পারিনি। করতে পারিনি এইজন্য যে, উঁচু পাহাড়ের নিচ থেকে বালুর টুকরি মাথায় নিয়ে পাহাড়ের উপরে উঠার মতো সাধ্য আমাদের তিনজনের মধ্যে কারোরই ছিল না, মা।
যখন বালুর ভর্তি টুকরি মাথায় নিয়ে পাহারের আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম, তখন আর পারছিলাম না। তবুও অনেক কষ্ট করে দু’এক ঘণ্টা বালুর টুকরি মাথায় নিয়ে পাহাড়ের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম। এরপর হঠাৎ করে মাঝপথেই থেমে গেলাম, মা। বালু ভর্তি টুকরি মাথায় নিয়ে আর ঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনি। আমিও পারিনি, আমার সাথে আরো দু’জনও পারেনি। এমন কঠিন কাজ না পারার কারণে পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা পথের মাঝে বসেই কাঁদতে লাগলাম, মা। আমার কান্না দেখে আমার সাথে আসা দু’জনও কাঁদতে লাগলো। আমাদের কান্না দেখে সাব-কন্ট্রাক্টর তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে বসতে দিলো। আমরা বসলাম। সাব-কন্ট্রাক্টর জিজ্ঞেস করলো, ‘এখানে এ-কাজ আমরা করতে পারবো কি না’। আমরা সাব-কন্ট্রাক্টরের প্রশ্নের উত্তরে বললাম, ‘না’। এরপর সাব-কন্ট্রাক্টর আমাদের পাহাড়ের উপরে অন্য এক কাজ করতে বললেন। সে কাজটা ছিল হাল্কা-পাতলা। এভাবে সেই পাহাড়ের সপ্তাহখানেক কাজ করেছিলাম।
মা, তারপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার সংলগ্ন মহেশখালী। প্রথমে এখানেই আমাদের আনার কথা ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণে দু’এক দিনের জন্য আমাদের রাখা হয় চট্রগ্রাম বায়োজিদ বোস্তামি মাজার সংলগ্ন এক পাহাড়ে। সেখানে এক বিত্তশালীর বাংলো নির্মাণ হচ্ছিল। সেই বাংলো তৈরির কন্ট্রাক্ট পেয়েছিল, আমাদের যিনি চট্রগ্রাম নিয়ে এসেছেন, তিনি। কিন্তু আমাদের সাথে কথা হয়েছিল, মহেশখালী রাস্তা নির্মাণের কাজের কথা। কন্ট্রাক্টরের সাথে আমাদের কথা ছিল দৈনিক মজুরি ১২ টাকা। তা তো আপনিও জানতেন, মা। এখানে আসার আগে যা আপনাকে জানিয়ে ছিলাম। শেষতক আমাদের মহেশখালীতেই আনা হলো। চট্রগ্রাম আসার আগে ভেবেছিলাম এই ১২টাকা থেকে ৫টাকা নিজের খরচ হবে, আর বাদবাকি ৭ টাকা আপনার কাছে পাঠাবো। যা আপনাকে আসার আগে বলে এসেছিলাম। এখন আমরা কক্সবাজার সংলগ্ন মহেশখালীতে আছি। এখানে আমাদের কাজ হলো রাস্তা নির্মাণ করার কাজ।
মা, কক্সবাজার সংলগ্ন মহেশখালী। খুবই সুন্দর জায়গা। ছোট একটা দ্বীপ। দ্বীপটার লম্বায় ১৩ মাইল, পাশে ৬মাইল। একদিকে বঙ্গোপসাগর, আর বাকি তিনদিকে সাগরের শাখা প্রশাখা। এর মাঝেই মহেশখালী। চারদিকে পাহাড়। এখনকার মানুষের ভাষা আমাদের নারায়ণগঞ্জের মতো নয়। ওরা কীভাবে যে কথা বলে, ওদের কথা কিছুই বোঝা যায় না। তবে মা, ওরা বাংলায় কথা বলে। কথা বলার সময়, একটু নাকে জোর দিয়ে ‘ন’ শব্দ বেশি বলে। ওদের আচার-আচরণ ভালো। ঢাকাইয়া মানুষের গন্ধ পেলে, ওরা খুবই আদর সমাদর করে। এই মহেশখালীতে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক লোক আছে। এখানে আদিনাথ মন্দির নামে একটি বিখ্যাত মন্দিরও আছে, মা। আছে মগ জাতীয় বার্মিজ জনগোষ্ঠীও। সেখানকার মানুষ বার্মিজদের বলে মগ জাতি। সব মিলিয়ে মহেশখালী দ্বীপ খুবই সুন্দর জায়গা। কিন্তু এতো সুন্দর জায়গা, তবু্ও ভালো লাগে না, মা। এর কারণ শুধু একটাই, সেটা হলো টাকা। টাকা নেই তো কিছুই নেই। এই টাকার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে এখানে ছুটে এসেছি।
মা, মহেশখালী বাজার থেকে নতুন বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৩মাইল। এই ১৩ মাইল রাস্তা সিসি ঢালাই হবে। এই রাস্তা ঢালাই করার কাজেই আমরা এখানে এসেছি। আমাদের সাথে সেখানকার আরও বেশ কয়েকজন লেবার আছে। এখানে আমরা তিনজন থাকছি এক সরকারি পরিত্যক্ত গোডাউনে। নিজেরাই কোনরকম রান্না-বান্না করে খাচ্ছি এবং নিয়মিত কাজও করছি, মা।
কিন্তু মা, এখানে প্রতিদিন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে প্রতিদিন কাজ হয় না। কাজ নেই তো মজুরি নেই। আমাদের কন্ট্রাক্টর থাকে চট্রগ্রাম শহরে। তিনি সপ্তাহে একবার আসে। সপ্তাহে যার যে-ক’দিন কাজ হয়, সেই হিসাব করে যার যার পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আবার চলে যায় কন্ট্রাক্টরের গন্তব্যে। কাজের মজুরি ছাড়া বাড়তি কোনও টাকা দেয় না। সারা সপ্তাহে কাজ হয় তিন থেকে চারদিন। এ-দিয়ে নিজের খাওয়া চলে না, মা।
দুই তিনদিনের কাজের মজুরি দিয়ে সারা সপ্তাহ চলতে খুবই কষ্ট হয়। তাই সেখানকার এক লোক মারফত লবণের মিলে যোগাযোগ করে, আমরা তিনজনই দৈনিক ২৫টাকা মজুরিতে একটা কাজ নিয়েছি। এই কাজটাও রাস্তার ঢালাই কাজের চেয়ে আরও কষ্টকর! লবণের কাজ। সারা শরীরে ঘা হয়ে যায়। এখানেও সারা সপ্তাহ কাজ করতে পারছি না। বর্তমানে আমার সমস্ত শরীরে ঘা হয়ে গেছে, মা। কাজে যাবার আগে সারা শরীরে পান খাওয়ার খয়র মেখে কাজে যোগদান করি। শুধু আমিই না মা, আমার মতো সবাই পান খাওয়ার খয়র মেখে কাজ করে। তবুও শরীরে ঘা হয়ে যায়। শরীরের ঘা’র যন্ত্রণায় কাজ করতে পারছি না।
চট্রগ্রাম আসার সময় যে-সব পড়ার বইগুলো আমি সাথে এনেছিলাম, শত কষ্টের মাঝেও পড়ি। আশা আছে আর ক’দিন কষ্ট করে ভাড়ার টাকা যোগাড় করে নারায়ণগঞ্জ ফিরে আসবো। কারণ, আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবার আর মাসেক তিনমাস বাকি। আমি কিন্তু পরীক্ষা শুরু হবার হিসাব মনে রেখেছি। আপনার আশীর্বাদ থাকলে এই সময়ের আগেই আমি আপনার বুকে ফিরে আসবো, মা। আমি পরীক্ষা দিবো। পাস করবা। আমার এই চিঠি হাতে পেয়ে আপনি চোখের জল ফেলবেন না, মা। যদি চোখের জল ফেলেন, তাহলে আমার জন্য হবে অমঙ্গল। আপনি শুধু আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। যাতে আমি সুন্দরভাবে সুস্থ শরীর নিয়ে বাসায় ফিরে আপনার শ্রীচরণে প্রণাম করতে পারি।
আর কী লিখবো মা, লেখার আরও অনেক ছিল। তবু্ও লিখলাম না, আপনার কষ্ট হবে বলে। আরও কষ্ট হবে বাবার, বড় দাদা-সহ বাসার সকলের। তাই আর বেশিকিছু লিখলাম না, মা। পরিশেষে বাসার সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
ইতি,
আপনার আদরের ছোট ছেলে অভাগা।
কক্সবাজার সংলগ্ন মহেশখালী থেকে।
২৭টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
মায়ের কাছে ছেলের চাকরির কঠিন ডিউটির কাহিনী জানিয়ে পত্র। এই টুকুই এখন পড়লাম পরে আবার আসব। মা মা মা ভাল থাকুক।
নিতাই বাবু
একবার এসেছেন, দেখেছেন, পড়েছেন তাতেই আমি খুশি! আবার কষ্ট করে আসার দরকারই বা কী? না আসলেও হবে দাদা। শুভকামনা থাকলো।
মোঃ মজিবর রহমান
ভালি বোঝা যাই দাদা
নিতাই বাবু
ঠিক বোঝা গেল না, দাদা 😭
ছাইরাছ হেলাল
এমন চিঠি পড়ে নিজেকে সামলানো খুব কঠিন!
এর মধ্যেও মহেশখালী নিয়ে কিছু তথ্য জানলাম, যা আগে জানতাম না।
ভাল থাকবেন আপনি।
নিতাই বাবু
নারায়ণগঞ্জ থেকে দৈনিক ১২ টাকা হাজিরায় গিয়েছিলাম কক্সবাজার সংলগ্ন মহেশখালী। তখন সেখানে প্রায় দেড় বছর ছিলাম। এরপর কষ্টেসৃষ্টে আসার ভাড়া কক্সবাজার থেকে চিটাগাং ১০ টাকা। চিটাগাং থেকে ঢাকা কমলাপুর ২০টাকা সহ আরও অতিরিক্ত ১০ টাক। মোট ৪০টাকা আর জোগাড় করতে পারছিলাম না। তারপর চিটাগাং পোর্টে আরও দুইজন ঢাকাইয়ার সাথে কাজ করা শুরু করি। শেষতক নারায়ণগঞ্জ থেকে বড়দা গিয়ে আমাকে সাথে নিয়ে আসে। সেই দিনগুলোর মনে পড়ে। কত কষ্ট করেছি আমি!
মনির হোসেন মমি
মায়ের নিকট ছেলের চিঠি।মা চিঠিটা পেয়ে প্রথমে খুশি হলেও চিঠি পড়তে পড়তে তার কষ্টগুলো নয়নের জলে ভাসছে। আবেগে আল্পুত মা সেদিন ছেলের চিন্তায় পেটে ভাত দেন না। মা মাই জগতের সেরা অলঙ্কার। খুব ভাল লাগল।
নিতাই বাবু
এমন করেই মায়ের কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম দাদা। আমার জীননের বাস্তব ঘটনা। আর চিঠিও সত্যি সত্যি। তবে চিঠির ভাষা সেসময় আরও করুণ ছিল। আকার হ্রস্ব-ই কারেও ভুল ছিল। তবু্ও লিখেছিলাম মায়ের কাছে। তারপর বড়দা দৌড়ে চিটাগং গেলেন ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বেতনের টাকার অংকে মনে মনে হচ্ছে এটা ১৯৭০ সালের আগের ঘটনা। অনেক কঠিণ সংগ্রামী জীবনের ইতিকথা। ভাল লেগেছে।
নিতাই বাবু
অনেক আগের কথা,দাদা। তা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে। তখন আদর্শ কটন মিলে দৈনিক ৮টাকা মজুরিতে কাজ করতাম, দাদা। তাই আর ১২টাকার লোভ সামলাতে পারিনি। কথায় আছে, “অতি লোভে তাঁতি নষ্ট”। ঠিক আমার বেলায়ও তা-ই হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন, শ্রদ্ধেয় দাদা।
জিসান শা ইকরাম
এমন চিঠি পড়ে মা কাঁদবেন না, এমন মা কি আছেন এ জগতে?
বেঁচে থাকাটা যে কত কঠিন সংগ্রাম তা এই চিঠিতে প্রকাশ পেয়েছে।
জীবন যেখানে যেমন।
শুভ কামনা দাদা।
নিতাই বাবু
আমার জীবনটাই এরকম, শ্রদ্ধেয় দাদা। এখনো একরমভাবেই চলছে। চলুক জীবন! তবুও সুখে আছি, শান্তিতে আছি।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা।
শাহরিন
দাদা মা তো কষ্টে পাগল হউএ যাবে এই লেখা পড়ে। নাড়ী ছেড়া সন্তানের সামান্য হাচিতেও মায়ের বুক ফেটে যায়, সেখানে এই চিঠি মায়ের মনকে ক্ষত বিক্ষত করে দিবে।
আর আপনার জীবনী যতো পড়ি ততোই আপনার প্রতি সম্মান বেড়ে যায় নিতাই দা। অনেক ভালো থাকবেন।
নিতাই বাবু
তা-ই হয়েছে দিদি। মায়ের কান্না সইতে না পেরে বড়দা দেনা করে আমাকে আনতে গিয়েছিলেন। মনে পড়ে দিদি। দিদি, আমার জীবনটা খুবই কষ্টের জীবন। তবুও ভালো আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
চিঠি পড়ে মায়ের বুক ভেসে গিয়েছিলো চোখের পানিতে। তবে বুকটা আনন্দেও ভরে উঠেছিলো এমন সৎ, পরিশ্রমী সন্তানকে জন্ম দিয়ে। আদরের সন্তান যখন নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে উপার্জন করা শুরু করে, তখন থেকেই মায়ের মা হওয়ার সার্থকতা লাভ হয়। তার মন থেকে সেই সন্তানের প্রতি প্রতিনিয়ত আশির্বাদ বর্ষিত হতে থাকে।
পাহাড়ে যেসব শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের কাজ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেলাম। আসলে সব কাজই প্রথম দিকে খুব কঠিন লাগলেও, জীবিকার তাড়নায় ধিরে ধিরে সবই আয়ত্বে চলে আসে/ নিতে হয়। পাহাড়ে বালু উত্তলোন থেকে লবন ফ্যাক্টরিতে কাজ নেয়া, কোনোটাই সহজসাধ্য ছিলো না। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে কঠিন থেকে কঠিনতম কাজগুলোও করে যেতে হয়। এরই নাম জীবন।
মহেশখালী অঞ্চলের বিস্তারিত বিবরণ পেলাম আপনার চিঠিতে। ঐখানের মানুষদের ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম, সমাজ ব্যাবস্থা, সব কিছুই যেন দেখতে পেলাম খুব কাছ থেকেই।
পরিপূর্ন, সাবলীল, আবেগ আর মমতায় লেখা চিঠিখানা আমার প্রিয় তালিকায় রাখলাম দাদা। খুব ভালো থাকুন, অজস্র শুভ কামনা আপনাকে। 🌹🌹
নিতাই বাবু
আমার জীবনটা এমনই দিদি। এখনো সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ডিউটি করি। তাহলে বলেন তো দিদি, আমি সময়টা পাই কোথায়? এজন্যই আমি সময় সময় বলি, আমি সময়ের সাথে যুদ্ধ করে চলছি। আসলেও কিন্তু সত্যি এবং বাস্তব।
রেজওয়ান
পড়ে চোখ ভিজে উঠলো😭ভাল থাকুন সব সময় ভাই
নিতাই বাবু
আপনিও ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা। শুভকামনা থাকলো।
রেজওয়ান
ভালবাসা নিবেন দাদাভাই❤
প্রদীপ চক্রবর্তী
সংগ্রামী চিঠি চোখেরজলে ভাসে।
এই চোখেরজল তখনি আনন্দের অশ্রুতে ভাসে যখন পরিশ্রমী সন্তানকে জন্ম দিয়ে।
কিছু অজানা তথ্য জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো দাদা।
পরিপূর্ণ সাবলীল ভাষায় লেখা চিঠিতে একরাশ মুগ্ধতা।
শুভকামনা অহর্নিশ দাদা।
আরজু মুক্তা
সংগ্রামী চিঠি।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ, শ্রদ্ধেয় দিদি। আমার জীবনটাও সত্যিকারের সংগ্রামী জীবন। তবে জীবনযুদ্ধে কিন্তু জয়ি হতে না পারলেও, খুবই ভালো আছি। সুখে আছি।
তৌহিদ
আপ্লুত হলাম চিঠি পড়ে। মায়ের কাছে এমনন করে লিখলে মা কি আর শান্ত থাকতে পারে? তবে অনেক তথ্য জানা হলো দাদা লেখা থেকে।
ভালো থাকবেন।
রেহানা বীথি
কত আবেগপূর্ণ লেখা! একজন মা কেমন করে সইবেন সন্তানের এ কষ্ট!
poetSolaiman
দারুন
নীরা সাদীয়া
দিলেনতো মনে করিয়ে আমার শৈশব! বায়োজিদ বোস্তামীর মাজারের কাছে, পাহাড়ের কোলে, পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে কেটেছে আমার শৈশব।
কোন কাজ দূর থেকে দেখতে যতটা সহজ মনে হয়, আসলে তা নয়। ছেলের আর্তনাদ মায়ের কাছে তেমনি পাহাড়সম বোঝা।
ভালো লাগলো চিঠি খানি।
নিতাই বাবু
মায়ের কাছে আমার কষ্ট নিয়ে লেখা চিঠিখানি পড়েছেন শুনে ধন্য হলাম। কৃতার্থ থাকলাম।