মেয়েটা দেখতে ট্রাডিশনাল ওয়েতে খুবই বিদঘুটে।
ভীষণ মোটা এবং সেটা অস্বস্তিকর পর্যায়ের মোটা।
কালো এবং সেটা যাচ্ছে তাই কালো।
কিন্তু সে যা করলো, তোমরা যারা কিবোর্ডো & কিপ্যাডে ঝর তোলে ফেঁনা তুলে ফেলো মুখে, ভাবসাব দেখাও এই করবা সেই করবা, তারা অাদৌ পারতা কিনা অামার যথেষ্ট সন্দেহ অাছে।
কারণ ঐদিন লিটন নন্দীর ইভেন্টে যে কজন মেয়ে গোয়িং দিয়েছিলো, তার সিকিভাগও যদি ইভেন্টের দিন উপস্থিত থাকতো তবে, পুলিশকে ঐদিন পিষে ভর্তা বানানে যেতো।
যাই হোক, মূল ঘটনায় অাসি।
লান্চ করে অাম ভর্তা খাওয়া নিয়ে সবাইকে ফোন করে বিরক্ত করতেছি।
যারা বনানীর ৪ নাম্বার রোড। সি ব্লকে মাঝেমাঝে যান তারা নিশ্চই ‘রয়েল তেহারীর ‘ দোকানটা চিনেন।
এই রোডে রিকশা গুলা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো থাকে।
অামি যাস্ট খেয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে পকেটে মানিব্যাগ ডুকাচ্ছি।
উল্লেখিত মেয়েটি অাসলো, সামনের রিকশাওয়ালাকে বললো, মামা গুলশান-১ যাবেন?
সে না করলো। মেয়েটা দুটা রিকশা ক্রস করে তিন নাম্বার ড্রাইভারকে বললো “মামা ১ নাম্বার যাবেন “? সে বললো “ওঠেন “।
মেয়েটা একটা পা রিকশায় উঠালো।
এমন সময়ে প্রথম ড্রাইভারটা হেসে হেসে পাশের ড্রাইভারটাকে বলতেছে
“হালার অামিতো পাছা দেইখাই ঠান্ডা। এই মাল নিয়া কেমনে যামু “।
অামি মুখ খুলার অাগেই মেয়েটা এসে ” এই কুত্ত্বার বাচ্ছা কি কইছস “! বলে তার কলার চেপে ধরে।
অামিও ড্রাইভারকে ধরে ফেলি।
দু ভাই বোন মিলে বেদম মার মারতেছি।
অাওয়াজ ওঠলো “মার মার “।
অাসেপাশের রিকশা ড্রাইভার, পথচারী, স্টুডেন্ট সবাই মিলে ড্রাইভারকে মারতে থাকলো।
বাকিটা ইতিহাস।
মেয়েটার সেন্ডেল, অামার শার্ট ছিড়লো, ড্রাইভারের হাত-পা ভাঙ্গা হলো।
১০ মিনিট পরে ঝামেলা ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম অাপু তুমি কই যাবা। বলে ” গুলশান -১ উদয় টাওয়ার “।
বললাম-” চলো তোমাকে দিয়ে অাসি “।
জবাব দিলো -” অাপনি অনেক করেছেন, বাকিটা অামি যেতে পারবো। অাপনাকে ধন্যবাদ “।
দেটস দ্যা স্পিরিট।
ড্রাইভারকে মারতে গিয়ে সে ইনজুরড হইছে, মার খাইছে, মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে জামা নোংরা হয়েছে, কিন্তু নিজের সম্ভ্রম নিয়ে গেছে।
অামি লিখে দিয়ে গেলাম, ৪ নাম্বার রোড, সি ব্লকে সাউথইস্টের ক্যাম্পাসের গলিতে অাজকে যেসব রিকশা ড্রাইভার এবং পথচারী ছিলো, তারা জীবনে কোনো মেয়েকে টিজ করবেনা।
দেটস দ্যা ট্রীটমেন্ট।
হে ভগিনী, জায়া, স্ত্রী, জননী…..
ছুরি, চাকুর সাথে সাহসও রেখো বুকে।
শুধু দুদলা মাংস পিন্ড নিয়ে ঘুরে অার ইভেন্টে জয়েন করে লুুচ্চামী বন্ধ করতে পারবেনা।
মনে রেখো,
অক্ষর, শব্দ তোমার শত্রুকে অাঘাত করতে পারবেনা। ফলে সে দুষ্টামী করেই যাবে।
অাঘাত করতে হলে সাহস অার ময়দানে হাতটাও চালাতে হবে।
শুভেচ্ছা অাপনাদেরকে।
১২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
দারুন। মেয়েটিকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব। আপনি এমন আরো বেশি করে শেয়ার করুন, তাতে সাহস বাড়বে বলেই বিশ্বাস। আপনার লেখাগুলো একটু ব্যতিক্রমী। আগুনের ফুলকি আছে, শুধু হাওয়া চাই। কিপ ইট আপ।
ইমন
শুন্য শুন্যালয় আপু
আপনার মন্তব্যের মধ্যে ভালোবাসা আছে। আপনাকে ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ড়ায়রেক্ট এ্যাকসান মেয়েটিকে অভিনন্দন।
ইমন
🙂
জিসান শা ইকরাম
লিখুন আরো এমন লেখা
ইমন
জিশান ভাইয়া
ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য। 🙂
ব্লগার সজীব
কেবলমাত্র একা সে লড়াই করবে?আমরা যদি না থাকি তার সাথে এ লড়াই সে জিততে পারবেনা।আমরা সবাই মিলে এ লড়াইয়ে নামবো।
ইমন
সজীব ভাইয়া
হুম। এ লড়াই আমাদের সকলের। ধন্যবাদ আপনার উদার মানসিকতার জন্য।
মিথুন
এমন মেয়েই হতে চাই, এবং সবার হওয়া উচিত। সবাই যদি আপনার মতো হতো ভাইয়া, তাহলে মেয়েদের এমন হওয়াই লাগতোনা 🙁
ইমন
ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এমন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সময় এসেছে। আপনি এগিয়ে এসেছেন দেখে
সাধুবাদ দিচ্ছি। লিখুন আরও।
ইমন
ভাই, ধন্যবাদ। আপনি , আমি সবাই মিলে এগিয়ে আসলে এই সমস্যা বেশিদিন থাকবেনা। 🙂