কি এক বিষন্ন ছায়া এসে ভর করায়,
সাঁজের আলোয়, সোনালী এক দিপ্ত মাখব বলে, বেরিয়ে পড়লাম দিগন্ত ছুতে,
মেঠোপথ চিরে রেল লাইনের ঐ পথ ধরে
তপ্ত রোদের সে বিষন্ন ছায়া ছেড়ে।
সাঁজের বেলা গেলো মোর, সন্ধ্যা এলো।
জোনাকীর বেশে এলে আলোর মিছিল নিয়ে
ঝিঁঝিঁপোকা ডেকে সাড়া দিল, পাহারায় আছি।
মধুর সে সন্ধ্যাও এখন ফুরিয়ে এলো
ধ্যানার্থীর তপোবনে লুটাতে, ফুটে উঠতে শুরু করলো সব শিউলী।
রাতের গভীরে জোনাক হারালো
তার আলোর মিছিল নিয়ে।
একলা আমাকে ভৌতিক এক কুয়াশা ঘিরে ধরলো।
অন্ধকার এক অতল গহ্বরে টেনে নিতেই,
আকাশের বুকে এক ফালি চাঁদ হয়ে হেসে উঠলে।
দূরে তুমি বহুদূরে, তবু আলোর এক পথ দিয়ে অনুস্বরে বললে,”হেঁটে চলো।”
,,,,,,,,,,,,,,মৌনতা রিতু,,,,,,,,,,,,,,
বিঃদ্রঃ এই শব্দগুলো সাজাতে সাহায্য করেছে আনিছ ভাইটুর একটা মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ ভাইটু।
২০টি মন্তব্য
নীহারিকা
আহা! আশা জাগানিয়া লেখা। অন্ধকারের পরে আলো আসবেই। সে আলোই আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
সুন্দর হয়েছে লেখা।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ ম্যাডাম । ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইলো। 🙂 (3 -{@তয় মুখ ফুলাইছি ;( ভুট দেন নাই
নীহারিকা
মুখ ফুলায় না ময়না পাখি। আপনারা সবাই কত আপন জানেন তো। ২টা ভোট চাইয়াই তো সর্বনাশ করলো!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
লেখা সুন্দর হয়েছে।
ভালো লাগলো। -{@
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রাশি রাশি। ভাল থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
কী সুন্দর একটি লেখা, বিষনণ্নতার মাঝেও চমকে ওঠা বিজলীর আলো। হঠাৎ যদি আবহাওয়া র মতো করে প্রিয় মানুষটার স্বর শোনা যেতো! ইশ! ভারী মিষ্টি লিখেছো।
আচ্ছা সাঁঝ মানেই না সন্ধ্যা!
মৌনতা রিতু
হুম সাঁঝ মানেই সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে হয়ত। সন্ধ্যা মানে কোনো আর আলো নেই।
এটা সুন্দর লেখা হইছে! বুঝছি মাথা গ্যাছে তোমার ভোট চাইতে চাইতে :p
মুই হারলে তোমার মনু খবর আছে। :@
ইঞ্জা
বাহ খুব সুন্দত লিখলেন, মুগ্ধ হলাম আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাইজু। স্যরি ভাইজু 🙂 ভুটাভুটি ভুইল্লা জান। নেন ভাইজু বোনের ছোট একটু হার্ট লন (3 ভাল থাকেন। এই স্নেহ যেন কম না হয় কইয়া দিলাম।
ইঞ্জা
এতেই হপে। (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কবিতায়ও কম যান না আপনি।ইদানিং আপনার শব্দের দখল বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।ভাল লাগল খুব। -{@
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ মনির ভাই। পাশে আছেন আপনারা বিশাল এক ছাতা ধরে, তাই হয়ত এগিয়ে যাচ্ছি এ শিতল পরশে।
ভাল থাকবেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
সন্ধ্যার বিষণ্ণ সূূরে দিগন্ত ছুঁতে পারা কিন্তু সহজ কথা নয়!
মৌনতা রিতু
হুম সেই চেষ্টা চলিচ্চেই। পারিচ্চি কৈ। ধন্যবাদ ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এইতো চাই। জীবনের গল্প, আশা জাগানিয়া আলোর কথা শুনলে কোনো ভয়ঙ্কর অন্ধকার গ্রাস করতে পারেনা আমাকে। তাইতো ভালোবাসি এই গান,
“কান পেতেছি, চোখ মেলেছি, ধরার বুকে প্রাণ ঢেলেছি,
জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধান,
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান॥”
শান্তসুন্দরী তুমি কবিতা রাজ্যের গোধূলী লগ্ন। বুঝেছো? তোমার মাঝেই একটি দিন আছড়ে পড়ে, আবার তুমি থেকেই জন্ম নেয় একটি সুন্দরী রাত্রি। -{@
মৌনতা রিতু
গোধূলী আমার খুব প্রিয় আপু। ওর সাথে আমার অনেক কথা বলা। অনেক কিছু শুনে আসি ওর কাছ থেকে।
তুমি খুব ভালবাস আমায়। কিছু ভালবাসায় আমার বড় কান্না আসে। যদি কোনো আমার ভুল হয়! এই ভয়েও আড়স্ট থাকি।
ভাল থেকো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
গোধূলি আমারও প্রিয়। আর ভালো লাগে তরুণী সন্ধ্যা। আকাশে একটা/দুটো তারা মাত্র প্রকাশ। কতোকাল এমন সময়গুলোর সাথে কথা হয়না। 🙁
আবেগ ওয়ান ওয়ে হয়না, জানো তো? অনুভূতি বলে দেয় কে কাকে সত্যি ভালোবাসে!
অনেক ভালো থেকো শান্তসুন্দরী।
মিষ্টি জিন
কবিতা পড়ি , কিন্তু মন্তব্য লিখতে পারিনা। কি লিখবো সেটাই বুঝে উঠতে পারি না।
অন্ধকার ঘিরে ধরতে তাইলেই হোল? এক ফাঁসির চাঁদ ঠিক ই পথ চিনিয়ে নিয়ে যাবে। এই প্রত্যাশা নিয়েই তো বেচে আছি।
মৌনতা রিতু
হুম প্রত্যাশাতেই বেঁচে আছি। আপু, স্যরি, লাভ ইউ আপু। এই মডুগোই ঘাড় মটকামু আমি। কেন এমুন চিপায় ফেলছে।
তুমি আমার লক্ষী পক্ষী আপু। (3 -{@ (3 -{@ (3 -{@
মেহেরী তাজ
ভাবীজান “হেটে চলো” আমরা আছি পিছেন। হঠাৎ পা ব্যথা হলে জানিয়ে দিও কেমন?