#টুকিটাকি
.
#মাস্টার্স পাশ করা ২৬ বছর বয়সী একজন মানুষকে ১০
থেকে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে যোগদান করতে হয়। আর পড়ালেখা না জানা ১০ বা ১২বছর বয়সী একজন বাস হেল্পার এর দৈনিক হাজিরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
.
কেউ কোন ফ্যাক্টরিতে ২০ বছর কাজ করলে তার
বেতন হয় লক্ষ টাকা আর ২০ বছর পড়ালেখা করে
যখন চাকুরীর জন্য যায় তখন তার বেতন হয় ১০ হাজার টাকা তাহলে আমরা কোথায় যাবো স্কুলে না ফ্যাক্টরীতে?
.
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করে আজ শিক্ষিত মানুষগুলো পরিবারের,সমাজের এবং সবার কাছে অবহেলিত। রাষ্ট্র পড়ালেখা করার জন্য টাকা নিতে পারে। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করার পর টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেনা?
অনেকেই বলবে ভাল করে পড়ালেখা করলে,
ভাল রেজাল্ট করলে ভাল চাকুরী পাওয়া যায়।
আসলেই কি পাওয়া যায়? নাকি মোটা অংকের donation দিতে হয়?
ভাল রেজাল্ট না করলে পাশ দেওয়া হয় কেন?
রাষ্ট্র যদি শিক্ষিত মানুষের চাকুরী দিতে না পারে
তাহলে উচিত স্কুল,কলেজ,বিশ্ব
বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া। তাহলে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বাবা মায়ের এতো কষ্ট করতে হত না। টাকা গুলো সঞ্চয় হতো।
চাকরির অভাবে ১৪ বছরে পরিপক্ক হওয়া ছেলেটা ২৮ বছরেও বিয়ে করতে পারে না।অন্যদিকে বয়স বাড়তে থাকা অবিবাহিত মেয়েটাও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। না পারছে তারা উপযুক্ত ছেলেকে বিয়ে করতে,, না পারছে পাড়া পড়শির খোটা সহ্য করতে।শুধু এক বুক নিঃশ্বাস ফেলে আফসোস করছে এ দেশে জন্ম নেয়ার জন্য।
আমাদের অবস্থা আজ এমন দাঁড়িয়েছে, যেন গাধার দিকে তাকালে দেখতে পায় নিজেরই প্রতিচ্ছবি ।
😭😭
১৪টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমাদের চারপাশে সত্যিই এমন ঘটছে।
এটাই বাস্তবতা।
আর সোনেলা ব্লগে আপনার প্রথম লেখা,স্বাগতম।
রাজু চক্রবর্তী
ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা অফুরন্ত
তৌহিদ
শুধু আমাদের দেশে নয় আমাদের দক্ষিন এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশের একই কালচার ভাই। আর এর জন্য দায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। তবে আমি হতাশ নই। সেদিন খুব বেশিদূরে নয় যখন এসব সমস্যার সমাধান হবে। শুরু হয়েও গিয়েছে। আর বেশি কিছু বললামনা। শুধু বলবো একটি চাকুরী পেতে গেলে যোগ্যতার প্রয়োজন। আমি এমন অনেক রিক্রুট করেছি যেখানে একজন মাধ্যমিক পাশ ছেলে একজন মাস্টার্স পাশ করা ব্যক্তির থেকে অনেক অভিজ্ঞ। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। পাশাপাশি মামা খালুর দৌড়াত্বতো আছেই।
শুভকামনা রইলো।
রাজু চক্রবর্তী
আশাবাদী আমরা সবাই।এমন পরিবেশ যে থাকবেনা তাও ঠিক,কিন্তু ঐযে বললেন মামার দৌড়ত্ব? সেটাই যোগত্যা বুঝার প্রধান অন্তরায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
রাফি আরাফাত
বাস্তবতা একটা খুব কঠিন শহর। যেখানে কেউ কাউকে চিনে না। আবার চিনেও না চিনার ভান করে থাকে। যা ভিশন কষ্টের।
ভালো লিখেছেন ভাই।
সোনেলায় স্বাগতম
রাজু চক্রবর্তী
ঠিক বলেছেন।এই শহরটা বরারই এমন।ধন্যবাদ আপনাকে।
রাফি আরাফাত
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম আপনাকে।
নিজে লিখুন, অন্যের লেখাও পড়ুন।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামাজিক মানসিকতা এজন্য দায়ী। বিদেশে রেস্টুরেন্টে ওয়েটার এর কাজ করা আমরা দেশে এসে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারকে অসন্মান করে ধমক দিয়ে কথা বলি। শিক্ষা শেষে চাকুরী এই মনোভাব দেখে বের হতে পারিনা আমরা। আমি নিজে ছাত্র থাকাকালীন ভেবেছি – শিক্ষা শেষে ব্যবসা। আমি তাই করছি। একমুহুর্তের জন্যও চাকরীর কথা ভাবিনি।
এমন লেখা চাই আরো।
শুভ কামনা।
নাজমুল আহসান
ভাই, ব্যাপারটাকে আমি অন্যভাবে দেখি। রাষ্ট্রের উপর দোষ চাপানো আর কতো?
আপনাকে চাকুরী দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়, এটা আপনার দায়িত্ব। অন্য একজনের যদি চাকুরী হয়, তাহলে আপনার হয় না কেন? অন্যে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিয়ে নিচ্ছে, আপনি সেটা হতে দিচ্ছেন কেন? ঘুষ ছাড়াও যে অনেকের চাকুরী হয়, এটা কেন মাথায় রাখছেন না?
সমস্যাটা হয়েছে গোড়াতে। আমরা একটা শতভাগ অকর্মা প্রজন্মের জন্ম দিয়েছি। এরা ফেইসবুক নিয়ে ব্যস্ত। ফেইসবুকে যুদ্ধ করে। কিছু হলেই দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলে। ফেইসবুকেই বুকের রক্ত ঢেলে দেয়। ওদিকে একজন মানুষ রক্তের অভাবে মরে যাচ্ছে, এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে সাহায্য করে না।
দুই লাইন পড়াশুনা করেছে বলে ফুটানিতে মাটিতে পা পড়ে না। এরা না হয় হাউলা, না হয় জাউলা। ছোট কাজ করলে ইজ্জত যায়। এদের দরকার বড় চাকুরী, সাহেবি চাকুরী। বিসিএস, সরকারি গাড়ি। আশায় আশায় থেকে যখন বেলা শেষ, তখন অন্যের দোষ- সরকার ভালো না, রাজনীতিবিদরা খারাপ, পুলিশ ঘুষ খায়!
নিজের অভিজ্ঞতা এবং দুঃখবোধ থেকে বললাম। আশা করি কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না।
* হাউলাঃ চাষি, যে জমিতে হাল চাষ করে
* জাউলাঃ জেলে
সাবিনা ইয়াসমিন
জীবনের বাস্তবতার দিকগুলো নিদারুণ করেই ফুটিয়ে তুলেছেন। মনে প্রচন্ড আক্ষেপ আর ক্ষোভ থাকলেই এমন লেখা আসে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেদিন থেকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছি, তখন থেকেই শিক্ষার মান আর অর্থের মানে বৈষম্য চলে এসেছে। তবে এটাও সত্যি শিক্ষা কেবল অর্থ উপয়ার্জনের মাপ কাঠি কখনোই নয়। পুঁথিগতবিদ্যা শিক্ষাকে পুঁজিবাদের তকমা দিয়ে দিয়েছে।
সোনেলা ব্লগ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম। থাকুন আমাদের সাথে। নিজের সুখ-দুঃখ-অনুভব-উপলব্ধি নিয়ে লিখুন। শুভ কামনা 🌹🌹
শিরিন হক
আমরা লেখাপড়া করে চাকুরী এর বাহিরে ভাবতে পারিনা কেনো?
আমাকে কি চাকুরী ই করতে হবে?
১০০জন ছাত্র সবাই কি একই ক্লাসে প্রথম হয়?
১০০জন চাকুরী প্রার্থী সবাই কী একই অফিস কাজ দিতে পারবে বা সবাই কি যোগ্য একই কাজে না।
যোগ্যতা থাকে ১০০ জনে পাচ জনের। মামা খালুর হাতও থাকে।
সরকারের উপর দায় চাপানো কিছু ক্ষেত্রে ঠিক নয়।আমাদের নিজেদের ও কিছুটা ভুল আছে। চাকুরীর কথা চিন্তা না করে আমরা অন্য কিছু ভাবিনা।
আমি অনেক ছেলে মা মেয়েকে দেখেছি তারা পড়াশুনার পাশাপাশি জব করে ফলে অভিজ্ঞার ঝুলি বাড়িয়ে পাশ করার সাথে মাথে ভালো জব পেয়ে যায়।অনেকে আবার বড় চাকুরীর আশায় বয়স বাড়িয়ে চাকুরী ই পায়না।
নিজের জীবন গড়তে ছোটো কাজ থেকে শুরু করে সামনে এগোনো খুব সহজ। একবারে সোনার হরীন পাওয়া একটু দুঃস্যাধ্য।
আমাদের পরিবার সমাজ সরকার শিক্ষাব্যাবস্তা সব কিছু এর জন্য দায়ী।
ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ।
শিরিন হক
বানান ভুল আছে আমার লেখায় এজন্য দুঃখিত।
মনির হোসেন মমি
গদ বাধানো পড়া লেখার চেয়ে ওয়ার্কসপে কাজ করলে অনেক ভাল।ভাল লিখেছেন।মনের কথা।
শাহরিন
বাস্তবতা অনেক কঠিন। তবে লেখাপড়া না করে একটা মানুষ নির্দিষ্ট গন্ডি থেকে বের হতে পারে না। ২ বছর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখাপড়া জানা থাকলে পদনর্যাদা বৃদ্ধি পায়। না জানলে সেখানেই বছরের পর বছর কলুর বলদ হয়ে খাটতে হয়।
আমি একজন মেয়ে হয়ে ডিগ্রি পাশের আগেই কোন সুপারিশ ছাড়া চাকরি করেছি। ১৪ বছরের চাকরি জীবনে ৪ টি চাকরি করেছি। শেষের দুটি বাংলাদেশের টপ কোম্পানি ছিল। কোন সুপারিশ ছাড়া। আসলে জীবনের অভিজ্ঞতা একেক জনের কাছে একেক রকম।