#১

বুকের ভেতর একটা জারুলের বন ঢুকে পরে –

একটা ঘুঘু ডাকা বিরান দুপুর।

বুকের ভেতর একটা মরা জোছনার রাত নেমে আসে –

আনমনা বেজে যায়, বেসুরো ছন্দে একগাছি মায়াবী নূপুর।

 

#২

সেই কবে শেষ জেগেছিল পত্ররাজি

বুনো ফুলের গন্ধমাখা হাওয়ারে ছোঁয়ার উল্লাসে,

সেই কবে জেগেছিল তৃষ্ণা

যেদিন মেঘেরা

শেষবার ছুঁয়ে ছিলো জল ; ভালোবেসে।

– তুমিতো দেখনি তৃষিত আত্মা, দেখনি দহন

 

#৩

যতখানি তৃষ্ণা ছিলো জমাট

শোধ করে যাই ততখানি লোনাজলে,

যতটুকু আধাঁর পোষা বুকের ভেতর

ততখানি হাসিমুখ কান্না ঢাকার ছলে।

 

#৪

কেন যে হাওয়ারা আসে ধূলো সরে যায়

কেনইবা পুরনো ক্ষতের গায়ে পরশ বুলায়,

বিবাগী বাতাস আজ জেনে গেছে নাকি

ভালোবাসা মিছেমিছি শুভংকরের ফাকি।

 

#৫

বিন্দুর ছিলো বৃত্ত হবার সাধ

শব্দের ছিলো কবিতা হবার,

সরলরেখার তোমায় ছুঁয়ে চিত্রকল্প।

অক্ষর আছে, বিন্দুও;

সরলরেখা একাই চলেছে

অন্ধবৃত্তে ঘুরে মরে মিছে,

আধাঁরে মিলানো রাঙা আলোর পিছে।

৭৩৬জন ৭৩৪জন
0 Shares

৩৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ