পাখি-মুখে খবর পেলাম, বসন্ত আজ ফাগুন মেলায়!
হুররে!! এমন খবর কী আর সহসা পাওয়া যায়, হবে সেথায় ম্যালা হৈচৈ;
আহ্লাদে ষোল/ বত্রিশ খানা, পাইক/বরকন্দাজ/গোমস্তা থৈ থৈ!
ফলোয়ার পরিবৃত্ত; লাইভে থাকবে সারাক্ষণ।
নিরন্তর বিভ্রম-ম্যাজিকে মর্ত্যের ধুলোয় ছুটোছুটি
এ যেন খুঁজে ফেরা, হারিয়ে খোঁজা নিপুণ দীর্ঘশ্বাস,
ঝাঁক ঝাঁক একাকীর সোনালী দুপুর খান খান হয়ে লুটিয়ে পড়ছে
বন্য-জমায়েত ভেদ করে নিটোল বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে;
ফুচকা, কফি, বাদাম-বিলাস, চটুল টিপ্পনী, খুনসুটি-হাসাহাসিতেও
নিত্যের হুলুস্থুলু-পিছুটান দিগ্বিদিক ছুটছে!
বই-মাতাল উন্মাদ বাতাসের তীব্র তোলপাড় কোথায় হারিয়ে গেল!
দিনান্তের সারমর্ম,
ভাগ্যিস আজ ওমুখো হইনি, টুইট-ও কেউ করেনি,
তৈরি হয়নি নূতন কোন প্রতীকী নাটুকে কাহিনী;
১৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা কি ছিলো ? স্মৃতি মন্থোন না হতাশা নাকি আরো কিছু ? বুঝিনি। অনেকবার পড়তে হবে কপ্পোখানা।
বুঝে আবার মন্তব্য করবো।
ছাইরাছ হেলাল
এটি বর্তমান কালের সারাদিনের চলমান ঘটনা,
পড়ুন এবং পড়ুন,
হ্যা, বসন্তের হতাশা আছে অনেক।
আচ্ছা, বুঝে কিন্তু!!
সাবিনা ইয়াসমিন
বই মেলার বর্তমান ছবি এঁকেছেন এই লেখায়। বই কিনতে যাওয়া মানুষ গুলি এখন বইয়ের নেশায় কম আর ফুচকা/ কফি/ বাদাম / আড্ডা / সেল্ফিতে মনোনিবেশ বেশি করছে। যা আপনার মনকে কিছুটা বিরক্ত আর হতাশাগ্রস্থ করে তুলেছে।
এইটুকু মনে হলো, আরো পড়ে বুঝে বাকিটা লিখবো।
ছাইরাছ হেলাল
পাঠক এবার সহজ করে ভাবতে চায়!
‘পাখি-মুখে খবর পেলাম’ এটি আসলে মেলায় যাওয়ার দূরবর্তী আবেদন।
এটি পেয়ে কাল্পনিক আনন্দ, সেখানে কেমন কী হবে এই ভাবনা।
যেহেতু লাইভ, তাই সবই জানা যাচ্ছে, আগের বার কবিতা-সমস্যার কথা মনে রেখে এবার বসন্ত বইমুখো
হয়নি, নানান কিছু করে/টরে সময় কাটাচ্ছে, বসন্ত আশা করতেছে সে আসবে, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা, সে আসেনি।
‘হুলুস্থুলু-পিছুটান’ সব কিছু সত্বেও বসন্তের মন খারাপ।
আর কবিতার ভয়ে সে আসেই-নি।
এবারে আর এক বার পড়ুন, প্লিজ!!
সাবিনা ইয়াসমিন
পড়ছিতো ! পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে আমি যদি এভাবে মনোযোগ দিয়ে আমার পাঠ্যপুস্তক গুলো পড়তাম, তাহলে আমার পরীক্ষার খাতায় বেশি নাম্বার আসতো 😂
এবারের মতো আমাকে মাফ করেন, পরের লেখা না বুঝলেও বোঝার ভাব নিয়ে কমেন্ট দিবো।
( প্রমিজ করছি না কিন্তু, প্রমিজ ডে শেষ হয়ে গেছে )
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চাইলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়ার জন্য পুনরায় চেষ্টা নিতেই পারেন।
যাক কিছু একটু ভাব নিলেই চলবে, যা দিনকাল, তাতে ভাব-ই -বা পাই কোথায়!
অনেক অনেক ডে সামনে আছে। পাবেন সেগুলো।
জিসান শা ইকরাম
ওমুখো না হলে চলবে!
হতেই হবে
হচ্ছেনও .
ছাইরাছ হেলাল
মুখের কথাই সব শেষ কথা না।
অমুখো হতেই হয়, হই-ও।
বন্যা লিপি
অন্য রকম লেখা আমাকে সবসময় প্রভাবিত করে। প্রতিটি শব্দের গভীরের শব্দ আরো বেশি মাদুর্য মন্ডিত।তীব্র খোঁচা বৈরী চলমান হাওয়ার পিঠে। সাধু সাধু।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দদের খুব পছন্দ আমার, তাদের সাথেই বসবাস।
প্রতিক্রিয়া একটু এসেই যায়।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
একদিকে চলছে বই মেলা।
আরেকদিকে চলছে আগুনের খেলা।
কেউ কাঁদছে, কেউ হাসছে।
সবই নিয়তির খেলা।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়তি নিজ গুণে আমদের নিয়ে খেলছে,
তা কিন্তু বলাই যায়।
শুন্য শুন্যালয়
গুড, গুড, এইভাবে এক একটা ঋতু নিয়ে চালিয়ে যান। তা লিস্টির সবগুলো কি মহাশশ্মাণে নামিয়ে দিয়ে এসেছেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এমন করে বলতেই পারেন, চালিয়ে যান, ঐ যে লেখা কোন ব্যাপার না!!
অন্যেরা কেমনে কী! কীভাবে চালায় সে খোঁজ-ও রাখছেন না, দৃশ্যত, মর্জিমাফিক!
সব কী আর শশ্মান-মুখি করা যায়! তাও আবার যদি হয় মহাশশ্মান! তবে শ্মশানচারিণীরা খুব ভালু,
এধারছে-ওধারছে এর মধ্যে নেই। আপনি চাইলে ওখানে দিবা বা নৈশকালীন ভোজের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে!!
আহা!! এ যেন চাতক-জল!
শুন্য শুন্যালয়
লেখা যে আপনার জন্য কোন ব্যাপারই না, তা বাংলা একাডেমী পর্যন্তও জানে, সোনেলার কথা আর কি বলবো? কবিগুরু, গুরুজি, গুরুমশাই, কবিরাজ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি না চাইলেও যে আপনি ওখানে হরহামেশাই দিবা বা নৈশভোজ পানাহারে যান তা কিন্তু জানি, তবে অনূসয়া, প্রিয়ংবদা, এসবেও একটু আধটু নজর দিয়েন।
বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব কমলে আর কি!
মেলা তো আপনারই জন্যে আয়োজন করা হইছে, তা আপনার নৃত্য দেখেই প্রমাণিত।
ছাইরাছ হেলাল
নৃত্য আর দেখতে/দেখাতে পারলাম কৈ!!
এ বসন্ত রোগ কাউকে সহসা রেহাই দেয় না, যেমন দেয়নি গাছগাছিলেকে!!
অবশ্যই প্রিয়ংবদা অনূসুয়াদের সাথে দেখা হবে, অনেক আপন তারা।
আমি শ্মশানে যাই বলেই তো আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি।
আপনার মুখে ফুলেল চন্দন পড়ুক সারাক্ষণ!!