এক –
যতোবারই লিখতে বসি,
তখনই রাতের শুরু হয়।
একসময় ইচ্ছে করে এবার দিনের আলোয় লিখবো,
চোখ মেলে দেখি দিন কই?
শুধুই রাত।
ধবল জ্যোৎস্নায় প্রকৃতি স্নান করে,
আর আমি লজ্জ্বা নিয়ে প্রতীক্ষা করি
আরেকটি প্রেমের কবিতার।
দুই –
কথা ছিলো, আবার দেখা হবে।
তোমার নিজস্ব অরণ্যে।
এ পথ থেকে ও পথে এদিক-সেদিক সবদিক ঘুরে এসে
শালবনের গহীনে আগুণ জ্বালাতে চাইলাম।
যে-কোনো শিকারীর শিকার থেকে বাঁচার জন্যে।
তোমার সাথে দেখা হবে,
বলেছিলে তুমি।
তোমারই অরণ্যে।
আসলে কেউ তো জানেনা তুমি শিকারীর ঘায়েলে
কবেই শিকার হয়ে গেছি।
তিন –
কবিতা বড়ো অভিমানী।
ওকে আদর করে কাছে না নিলে
ফিরে চলে যায়।
সে জানেনা ফেরার পথ।
ভালোবাসা আর পাগলামীর চরমে নিয়ে যেতে হয় তাকে।
একটু যদি কম পড়ে যায় প্রেম
আর আবেগের ঘাটতি দেখা যায়,
সে আর থাকেনা, চলে যায়।
কবিতা বড়ো অভিমানী,
নিঃশব্দে আড়ালে চলে যায়।
একদিন আমিও কবিতা হবো,
তখন তুমি কি করবে?
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৫ মে, ২০১৫ ইং।
**বহুদিন পর কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আজকাল আর লেখাই হয়না। ধারাবাহিক লেখায় সময় দিতে গিয়ে কবিতা লেখার সময় করে উঠতে পারিনা। আর কবিতা যে বড়ো অভিমানী, সে কথা সকলেই জানে যারা কবিতা লেখে এবং পড়ে।
ছবির সাথে কবিতার কোন মিল নেই।ছবিতে নীল ফুল আছে,আর আমার নাম নীলা এবং ফুলের ছবি আমার ভালো লাগে,এটুকুই মিল।
২৬টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
শোন আপু, কে বলেছে যে তুমি কবিতা লিখতে পার না !!! প্রতিটি কবিতাই প্রানের কথা কইছে — অসাধারণ —– ঝর্ণার মত কানে বেজে চলেছে — অসাধারণ
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ নীলা 🙂
মেহেরী তাজ
মজার ব্যাপার তো এক নীলা আর এক নীলাকে বলছে ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
দুই নীলা একই মনে বাস করে পিচ্চি আপু। 🤓
জিসান শা ইকরাম
তিনটি কবিতাই ভালো হয়েছে
লেখায় ফিরতে পেরেছ ভালো লাগছে দেখে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথায় ফিরতে পারলাম?মাঝে মাঝে লিখে ফেই এই আর কি:)
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কবিতা, কাব্য এসব প্রতিভা সকলের থাকে না। কাজেই চর্চা বন্ধ রাখবেন না।
কবিতা বড়ো অভিমানী।
ওকে আদর করে কাছে না নিলে
ফিরে চলে যায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা বড়ো অভিমানী।
ওকে আদর করে কাছে না নিলে
ফিরে চলে যায়।- ধন্যবাদ রুবা…
ব্লগার সজীব
প্রেম এভাবে ঘোষনা দিয়ে আসুক 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও তো চাই ঘোষনা দিয়ে আসুক।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যাই বলুন লেখাটি কিন্তু চমৎকার ভাবে মনের ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন।ভাল লাগল বেশ।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখা কিন্তু তিনটি এখানে ……… ধন্যবাদ মনির।
খেয়ালী মেয়ে
তিনটা কবিতাই অসাধারণ–ছবিগুলোও দারুন হয়েছে….
সত্যি কবিতা বড়ো অভিমানী,নিঃশব্দে আড়ালে চলে যায়..
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ খেয়ালী মেয়ে/ পরী 🙂
শুন্য শুন্যালয়
তিনটি কবিতাই খুব সুন্দর আপু। আমি লজ্জা নিয়ে প্রতিক্ষা করি আরেকটি প্রেমে কবিতার, এই লাইনটা বেশি ভাল লেগেছে। কবিতাকে কোথাও যেতে দেয়া যাবেনা। আমরাও কিন্তু অভিমানী হবো। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ শুন্য শুন্যালয়।আপনার নামটাই একটি সুন্দর কবিতা 🙂
লীলাবতী
অনেক দিন পরে কবিতা লিখলেন।তাও প্রেমের।” আসলে কেউ তো জানেনা তুমি শিকারীর ঘায়েলে
কবেই শিকার হয়ে গেছি।” শিকার হতেও মজা আছে তাহলে? 🙂 আরো লিখুন এমন কবিতা।
নীলাঞ্জনা নীলা
শিকার হতে খুবই মজা 🙂 তবে শিকারীর যদি দেখা মেলে কোনোদিন।
তানজির খান
কবিতা খুব খুব অভিমানী,একটু বেয়াড়াও। ভাল লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই কবিতাকে পোষ মানানো যে কি কঠিন…তাই না?
অরণ্য
“কবিতা বড়ো অভিমানী।
ওকে আদর করে কাছে না নিলে
ফিরে চলে যায়।”
বেশ উপলব্ধি আপনার।
তিনটিতেই আলাদা আলাদা মজা আছে। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ধন্যবাদ:)
মেহেরী তাজ
আপু ছবি গুলো আপনার তোলা। আবার এমন তিন তিনটা কবিতা। সবায় দেখি সব কিছু লিখে ফেলেছে। আমি আবার কি লিখবো??? হবে না আপু হবে না। হেভি ওয়েট ব্লগার রাই যদি সব প্রশংসা নিয়ে নেয় তো আমরা পাতলা পাপড় ব্লগার রা কি করবো।।।??!)
নীলাঞ্জনা নীলা
কে বলেছে পাতলা পাপড় ব্লগার? অনেক অনেক সুন্দর লেখনী সেটাকে কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেয়া উচিত না কিন্তু…
অনিকেত নন্দিনী
“একদিন আমিও কবিতা হবো” – সত্যি সত্যি কারো কবিতা হতে পারলে মন্দ হতোনা।
তিনটি কবিতাই দারুণ ভালো লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সকলেই আমরা কারো না কারোর কবিতা কিন্তু…