imagesএই বেশ আছি!!
কথাটা মন্দ নয় যাই বলি সবিইতো জীবনের গল্প তবে কেনো গল্পের এতো ছন্দ পতন!যা সরাসরি তা কেনো  চক্রাকারে আইনের মার প্যাচের মধ্যেই ঘুরা ফেরা করে।কিছু ঘটনা আছে যা দেখলে বা শুনলে মনে ঘৃনার আগুন জ্বলে উঠে তেমনি কিছু ঘটনা যা মানবতাহীন এক অনিশ্চিৎভবিষৎতের দিকে জীবনকে ধাপিত করে,প্রতিনিয়ত প্রশ্ন পত্র ফাস হয়ে আসছে প্রায় সব সরকারের আমলে।
আমার মতে প্রশ্নপত্র ফাসের ঘটনায় আমাদের অন্তরের আমিটাকে কতটা নাড়া দিয়েছিলো অবিভাবক হিসাবে!,মাঝে মাঝে আমরা কতটা অসহায় হয়ে পড়ি,বার বার প্রশ্নপত্রের ফাস এও কি মানা যায়!
-না কখনোই না,
আশি বছরের এক  বুড়ো সমরের কথায়  প্যাচ  কাটেন।
চা স্টলগুলো ইদানিং বেশ জম জমাট,এক দিকে রাজনিতীর পাচফোড়নের গল্প অন্য দিকে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা।দুঃখ হয় যখন একজন যুদ্ধাপরাধীকে কেউ কেউ ভাল মানুষ বলে মনে করে তর্কে করেন অন্যের সাথে।প্রতিদিনের মত সে দিনও চা স্টলে ছিলেন সোনেলার সহ বেশ কিছু ব্লগার।
-শুনেছি সোনেলা ব্লগ নাকি নারী রাজত্ব মায়া মমতায় আবদ্ধ।
-কে বললো আপনাকে।সূর্য্যের  প্রশ্ন,
আমি ঢুকেছিলাম সোনেলায়,দেখলাম  পুরুষদের চেয়ে নারীদের বিচরণ তুলনা মুলক ভাবে  বেশী তবে কমেন্টসর এতো গভীর আত্বীয়্তা যা  আমি আর কোথও খোজে পাইনি।
-ও তাই,তা আপনি কোন ব্লগে  লিখেন?
-মুক্ত বিহঙ্গে,
-মানে
যখন যেখানে তখন সেখানেই দুএকটি কলমের খোচা দেই।
-হুম!
-তবে সোনেলার বেশীর ভাগ লেখার মাঝেই মা মাটি দেশের ঘ্রান পাই জানতে পারি মুক্তি যুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য।
পাশেই দাড়ানো এক আশি বছরের বুড়ো লাঠিভরে কথার সূত্র ধরেন….
বয়সতো কম হলো না কম কিছুতো আর দেখলাম না তবে অবাক লাগে বিদেশে বোমায় এত লোক মরে ওদের কোন টনক নড়ে না বলেও না তাদের দেশেও আইএস কি একটা তারা কয় তা আছে,কেবল আমাদের বেলায় যত সব ন্যাকামি।যা কিনা আমেরিকারই সৃষ্টিফ্রান্সের হামলটি  বুঝিয়ে দিল তোদের বিক্রিত গোলা বারুদ তোদের দেশেই ব্যাবহার করলাম।
-কাকু এখখান কথা কইছে,হাসতে মন্তব্য করলেন অভি।
আরে মিয়া কমুনা কেন?অস্ত্রতো আমরা ধরেছিলাম ঘাম রক্ত আমাদের গেছে আমেরিকা তখন পাকিদের দালালি করে সপ্তম নৌবহর যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়।পাকিদের অত্যাচারের কথা স্মরণ হলে বিশেষ করে নারীদের ওরা যে পাশবিক অত্যাচার করত তা বিশ্বে যুদ্ধাস্ত যে কোন দেশকে হার মানাবে।আর এখন জেল হাজতে রাজা কাররা রাজার সাঝেই চলে…..।বিশ্বে পাচটি গণহত্যার মধ্যে এটি একটি
download (1)যাই কন চিত্তে এখন আর পানি নাই…অহংকারী রাজাকার সাকা-মোজাহিদের ফাসি,দেশকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানোর উচিত ন্যায় বিচার সমাপ্ত করে ঋণের বোঝা কিছুটা কমিয়েছি,এবার এগিয়ে যাবার পালা।
সূর্য্যের হঠাৎ খেয়াল হলো প্যান্টের পকেটে রিং টোন বাজছে…..
-হে হেলো!!!
বহু দিন পর মায়ের কণ্ঠ সূর কর্ণ স্পর্শ কতেই ভিতরের আমিটা কেদে উঠে….!!!
মা মাআআআআআআআআ…।তুমি কেমন আছো?কোথায় আছো?
-ভালো,আমি এখন বাসায়।শুনবার সাথে সাথে সূর্য্য বাড়ীমুখী দৌড় দেন তাকে দেখে আড্ডায় থাকা বাকীরা দে দৌড়র প্রতিযোগীতায় নামল।

মাকে হঠাৎ রান্না ঘরে রান্না করতে দেখে সূর্য অবাক!চোখ ফিরাতে দ্বিতীয় বার তার পাশে একজন নন্দিনীকে দেখে আরো অবাক হন!সে দেখল তার খোলা রেশম কালো চুলগুলো দক্ষিনা জানালার দুষ্ট বাতাস দুষ্টমির মাত্রা বাড়িয়ে আগুনের তাপে ক্রমশত লম্বা চুলগুলো কোচকে ছোট হচ্ছে…..!!!
এই মেয়ে এই৴৴৴৴৴৴
মেয়েটি ঘুরে দাড়ালেন… এবার তার চুলগুলো পুরোটাই যেন আগুনে যাবে যাবে ঠিক সে সময় সূর্য্য তাকে হেচকা টান দিয়ে নিজের করে নেন…. মা তা দেখে হাসি মুখে কাছে আসেন…..।
-ও হচ্ছে নন্দিনী..আমার লক্ষ্মী।
মায়ের এমন কথা শুনে সে সাহস ফিরে পেলেন এই না হলে কি মুক্তিকামী মা তবুও সে আশ্চর্য হন মনে সন্দেহ জাগে…. মা হয়তো কিছু লুকাচ্ছেন।
মানে,কি বলছ মা,আমি ভাবতেই পারিনি তোমাকে এত সহজে ফিরে পাবো….সাথে
-আমি ওদের বাড়ীতে ছিলাম…..।
কি যে পাগলামী করো না মা৴৴৴৴
মাকে জড়িয়ে চোখের জল দিয়ে বাধলেন মায়া মমতার ক্ষণস্থায়ী বন্ধনে।মাও কাদছেন তবে তার কান্না যেন বেশ রহস্যময়।
-চলো,তুমি রেষ্ট নিবে…।
ড্রইং রুমে সবাই বসে আছেন।আজ সূর্য্যের আনন্দের দিন মাকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ফিরে পাওয়া।মাকে আসতে দেখে ওরা ওঠে দাড়াল।
-তোমরা বসো আমি আমার রান্নার কাজটি শেষ করেই আসছি।
টিভি স্কিনে ভেসে আসছে ২৫শে মা্চ হঊক আন্তজার্তিক গণহত্যা দিবসের দাবীর হেড লাইন…পাশাপাশি পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনের সরকারের সাফল্যের নিউজ।
-বুঝলি এবারে বিজয় দিবসের আগেই চমক পেলাম অনেকগুলো দেখছিস না টিভির হেড লাইনগুলো।
-তা বুঝলাম তবে আমরা আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি তবে পাকিদের মহল কাদে কেনো?
-কান্নার দিন শেষ এবার হবে প্রতিরোধ সাধুবাদ ঢাবিকে ঢাবি পাকিদের  বয়কট  করেছে।এ ভাবেই একটু একটু করে ঋণ শোধের দিকে ধাপিত হবে।আমাদের মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা মুক্তি বাহিনী অবদান রক্ত কিছুই মলিন হবে না সব দেশপ্রেম আবারো জেগে উঠবে উঠছে।

এরই মধ্যে মা নন্দিনীকে দিকে দিয়ে চা নাস্তা পাঠিয়ে দিল তাদের আ্ড্ডা স্থলে।সূর্য্য একটু দূরেই সোফায় বসেছিলেন হঠাৎ দুষ্ট চোখ তার গিয়ে পড়ল নন্দিনীর টোল খাওয়া গালে,মিষ্টি হাসির সাথে গালের ঐ টোল পড়া যেন সৌন্দর্য্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়///নন্দিনীর চোখে সূর্য্যের চোখ ধরা পরতেই লজ্জাবতীর লজ্জা লুকায় মুখে উড়না পেচিয়ে।প্রেমলীলার হিষ্ট্রি হিট করতে চা শেষ করে বন্ধুরা একে একে প্রস্থান নিলেন।নন্দিনীর এবার একা এক প্রকার বিরক্তিপ্রেমে তাকে আবোল তাবোল জেরা করতে থাকেন সূর্য্য।
-এই যে…মেয়ে  কি নাম আপনার?
-ঐ যে…মা যে বললেন।
আচ্ছা!নন্দিনী!!তুমি থাকো কোথায় ৴মানে আপনার পরিচয় কি?|
-মা জানেন,
-আরে সব যদি মাই জানেন,তবে তুমি মানে আপনি জানেন কি!!!
-ঐ যে বলছেন একবার তুমি আরেক বার আপনি করে ৴ আমি ততটুকুই জাানি।
মনে রোমান্টিকের গুপ্ত হাসি জাগে নন্দিনীর হৃদয়ে সূর্য্যের বুক চিড়ে অতীত স্মৃতির সাগরে লোনা জলের ঢেউ খেলে যায়।
স্ব্প্না!
আমি আজও ভূলতে পারিনি তোমায়”
প্রথম প্রেম প্রথম অনুভূতি
দুই মনে কত স্মৃতি
ভুলি কেমনে আপনারে৴৴৴৴৴
বন্ধুরা আবারো বাহিরের বা হাতের কাজ সেরে  ঘরে প্রবেশ করেন আগমে সূর্য্যের মাথায় একটা চোট খেল পর ক্ষনে চোখ গিয়ে পড়ল আবারো টিভির পর্দায়।বন্ধুদের প্রবেশ করতে দেখে জন্মলজ্জাবতী ঘোমটটি টেনে আ্প্যায়িত ট্রে হাতে অন্দর মহলে প্রস্থান নিতেই সমরের কথ্য বাধায় থমকে যায় তার চলনের গতি।
-আরে ভাই এভাবে জোনাকি পোকার মত হঠাৎ অদৃশ্য না হয়ে একটু চন্দ্রমুখীর মুখটি খোল।নন্দিনী তুমি একটু বসবে না?
-কে নো নয়,
আবারো চোখের ভেতর চোখ হারানো,,,,,প্রশ্ন করার আগা মাথা খোজে না পেয়ে সূর্য্য বরাবরের মতো প্রশ্ন
-মা কোথায়?
-রান্না ঘরে……!
নন্দিনীর উত্তর দিতে না দিতে রা্ন্না ঘর হতে এক কিছু অঘটনের শব্দ এলো দৌড়ে সূর্য্য রান্না ঘরে প্রবেশ করে
মা
মা মা বলে চিৎকার
মূহুর্তেই এ্যাম্বুলেন্স চলে এলো।
হাসপাতালে মা এখন বেশ আরামেই আছেন।নন্দিনীর সেবা মিলল ময়েটিকে যাচাইও করা হয়ে গল।সূর্য্যের হাতটি মা সেই কখন ধরে রেখেছেন তা এখন অব্দি অটুট তেমনি।মায়ের মুখোবয়ে এক বিশেষ সুখের হাসির স্পষ্ট আভা নিজেকে আজ সুখীদের রাণী রাণী মনে হয়।
নন্দিনী কে কোথা হতে এলো সব একদিন জানতে পারবি
আজ শুধু বল  নন্দিনীকে বিয়ে করবি?
গত পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন -{@ 

৬৩৩জন ৬৩৩জন
0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ