পোড়ামুখী-মুখপুড়ি রাত পালিয়েছে আবার। জানি না কোথায় কোন্ চুলোয় বসে কালি-ঝুলি মেখে সং সাজছে মনে সুখে।
একবার এক জ্যোৎস্নায় পালিয়ে গিয়ে গাছের মগডালে উঠে বসে ছিল। হয়রান হয়ে খুঁজে পেয়ে পড়িমরি করে দৌড়ে গিয়ে
কত করে বোঝালাম নীচে নেমে আসার জন্য। না না, সেই গভীর রাতের ভর জ্যোৎস্নায় গাছের ডালে তিড়িং-বিড়িং নাচানাচি
এ ডাল থেকে ও ডালে। কে শোনে কার কথা। যা হওয়ার তাই ই হলো। পড়বি তো পড়, না মালীর ঘাড়ে না, পপাদ ধরণীতল।
ফলাফল, ল্যাংচে চলা দিন কতক। শোনে না সে কিছুতেই কথা শোনে না।
এবারে কোথায় খুঁজব, কখন খুঁজে পাব কে জানে। এ এক জড় যন্ত্রণা মায়াবিনী ডাইনি মনোহরা।
নেই বিলাসী শান্তি, নেই উৎসবের শৃঙ্খলা, নেই হিম হিম মগ্নতা।
ওহে, আহ্লাদী রাত ফিরে এসো। এলে, চুলে লাল ফিতে বেঁধে দেব।
৩৬টি মন্তব্য
অরণ্য
দু’বার পড়লাম। প্রথম বারে কিছু রিদম মিস করেছিলাম। তাই পরের বার। ভাল লাগলো আপনার একান্ত অনুভূতি। খুব বেশি ভালো লেগেছ একেবারে শেষের লাইনটি “ওহে,আহ্লাদিনী রাত ফিরে এসো।এলে,চুলে লাল ফিতে বেঁধে দেব”। সে ফেরারই কথা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ে মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা।
ফিরতে তাকে হবেই ,অপেক্ষা করছি যে।
শিশির কনা
কোথাও বসে কালি-ঝুলি মেখে সং সাজছে মনের সুখে। মাখুক এত আদরের রাত যখন আপনার। ফেলতে তো আর পারবেননা। একটু আহ্লাদি তো হবেই :p
ছাইরাছ হেলাল
আহ্লাদি হলে সমস্যা নেই, ভুগতে হচ্ছে যে ।
শুন্য শুন্যালয়
ধরে রাখতে না পারলে আর কি করার আছে? মায়াবীনি মায়ার বাঁধন আলগা করলেই ছুটবে স্বাভাবিক তো।
এখন জড় যন্ত্রনা পোহান। সব শান্তি উত্সব বিসর্জন দিয়ে এতো কান্নাকাটি করছেন, ফিরে আসবেই সে। তবে ভূত পেত্নীর আছর এড়িয়ে চলুন।
শুন্য শুন্যালয়
রাত্তির হারিয়ে যায় জেগে ওঠা বুনো গন্ধে,
এ পথ ও পথে জ্যোৎস্নার নেশায়;
এসো ফিরে বন্ধু রাত,
লাল ফিতে হাতে কেউ, তোমাকে খোঁজার পথ হারায়…
আমরাও বলে দিলাম, এবার ফিরে তাকে আসতেই হবে।
ছাইরাছ হেলাল
রাত্তির হলেই মাথায় বাঁশ ফাটিয়ে পায়ে বেড়ি পড়াতে হবে!
রাতের উলুক-ঝুলুক সে আমি মেনে নিচ্ছি, মেনে নেব,অবাধ ওড়া-উড়ি,চলবে তাও।
সে তো চালুই লুকিয়ে-চুরিয়ে। তবুও রাত্রির রাত,সে না এলে কী হয়!
ছাইরাছ হেলাল
সূতো বিহীন ঘুড়ি আমার পছন্দ। হারালে হারাবে,খুঁজব,হা-পিত্যেশ করব,
অপেক্ষা করব, আসলে আসবে, না আসলেও সমস্যা নেই,তাড়া নেই,অপেক্ষা নিরন্তর জল ভেজা চোখে।
ভুতের আছর নিয়ে এলেও সুবিধা নেই।এলেই হয়।
শুন্য শুন্যালয়
সুতো বিহীন ঘুড়ির একটা কমন বাড়ি আছে, গাছের ডাল। না আসলেও সমস্যা নেই, আপনি যেচেই হারিয়ে ফেলছেন এটা আমি নিশ্চিত। কারন অপেক্ষা আপনার জন্যই।
অপেক্ষা নিয়ে ভালো থাকুন। কিন্তু পোড়ামুখি আপনার সব লেখা নিয়ে পালালে আমরা কিন্তু হেভভি ক্ষেপে যাব, বলেই দিলাম।
সাইদ মিলটন
নেই বিলাসী শান্তি,নেই উৎসবের শৃঙ্খলা,নেই হিম হিম মগ্নতা।
ওহে,আহ্লাদিনী রাত ফিরে এসো।এলে,চুলে লাল ফিতে বেঁধে দেব।
আহা স্মৃতিময় লাল ফিতে পরে আছে
এইখানে ঐখানে, বাতাসে পাক খায় বেভুলা স্বপ্ন
এইখানে কিছুকথা, কিছু নীরবতা পাশাপাশি বসে আছে।
নিবিড় রাত্তিরে নির্ঘুম চোখে তার ছায়া ফেলিয়াছে।
ছাইরাছ হেলাল
এ তো আমার লেখা থেকেও বিলাসী মন্তব্য পেলাম।
সম্বল সেই সব আনন্দ-বেদনার বরফ জমা স্মৃতি,ঘুমের নির্ঘূমতায়।।
মামুন
নেই বিলাসী শান্তি,নেই উৎসবের শৃঙ্খলা,নেই হিম হিম মগ্নতা। – অসাধারণ লাগল!
মুগ্ধতা রেখে সাথেই রইলাম।
শুভসকাল। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।হোক না তা ভর দুপুরে।
রিমি রুম্মান
নেই বিলাসী শান্তি,নেই উৎসবের শৃঙ্খলা,নেই হিম হিম মগ্নতা___ লাইনটি অন্যরকম সুন্দর। শুভকামনা ।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
নেই বিলাসী শান্তি,নেই উৎসবের শৃঙ্খলা,নেই হিম হিম মগ্নতা।
ওহে,আহ্লাদিনী রাত ফিরে এসো।এলে,চুলে লাল ফিতে বেঁধে দেব।
দারুন অনুভুতি
ভালো লাগলো
শুভেচ্ছা রইল।।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,শুভেচ্ছা নিলাম।
আপনাকে কম কম দেখছি যেন।
মোঃ মজিবর রহমান
অফিসের জ্যামে আটকিয়েছি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে,বুঝলাম।
মরুভূমির জলদস্যু
কেমন যানি সব মাথার উপর দিয়া গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
কেন? মাথার উপর দিয়ে যাবে নেন? সহজে বলেছি ‘রাতের’ জন্য
অপেক্ষার কথা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম তাকে আসতেই হবে।
ছাইরাছ হেলাল
আমি অপেক্ষা করছি,আসতেই হবে।
হৃদয়ের স্পন্দন
আহা কত ভালোবাসা কমিয়ে রেখেছে ভাই আমাদের পোড়ামুখির জন্য -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ গোলাপ গুলা ভাবিরে খুইজা পাইলে দিয়েন
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচতে হলে ভালুবাসতে হপে। ভাবি-ভুবি কই পাইলেন!
খেয়ালী মেয়ে
মায়াবিনী ডাইনি মনোহরা-বাহ!!!উপমার কি বাহার :p
যাক আহ্লাদিনীর জন্য আমরাও জানলাম যে, আপনি চুলে ফিতা বাঁধতে জানেন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
উপমার আর কী দেখলেন?কত-শত উপমা যে আছে।
শুধু ফিতে বাঁধা না, অনেক অনেক কিছুই শিখতে হয়েছে, আরও কী কী শিখতে হবে কে জানে।
তবে দোলনা থেকে মন জীবিত থাকা পর্যন্তই শিক্ষা! যদিও কোন শিক্ষাই শেষে কাজে আসে না
তবে হা-হাপিত্যেশের শিক্ষা খুব কাজে লাগে।
নুসরাত মৌরিন
রাতের যে এত বায়েনা,একেবারে মগডালে উঠে বসে থাকে,বাপরে বাপ!!
ফিরে কি সে এসেছে?
এমন লাল ফিতের লোভ দেখালেন রাত ঠিক চলে আসবে।
জিসান শা ইকরাম
এত শ্নেহের সম্বোধন দেখে টাসকি খাচ্ছি
রাত না ফিরে যাবে কোথায় ?
তাঁর প্রিয় লাল ফিতের প্রতিশ্রুতি সে পেয়েছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি ও বলি আসতে তাকে হবেই। অপেক্ষা মাত্র।
মায়া মমতায় এই সম্বোধন নিতান্তই স্বাভাবিক।
ব্লগার সজীব
লাল ফিতে কি কেনা হয়েছে? হঠাৎ যদি চলে আসে সে? -{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
চলে আসলে কোন সমস্যা হবে না।এলেই হয়।
মেহেরী তাজ
গাছে এখনো উঠে বসে থাকলেও আমি পোড়ামুখী না। এটা আমি না।লাল ফিতা আমার চাই 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে গাছে উঠতে হবে না,আপনাকে যে লাল-নীল ফিতে দেবে সে
এমনিতেই দেবে। কষ্ট করতে হবে না।
অরুনি মায়া
ডাকাডাকি করতে হবেনা। আমাবস্যায় ঠিক ই ফিরে আসবে আপনার জানালার গ্রিল গলে,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
তা বুঝি!! আপনাকে জানিয়ে দিয়েছে,
আর আসে না,