মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার
উদ্বোধন হয়ে গেলো মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার। প্রবেশ এবং নির্গমন পথ সহ ৯ কিলমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার টি দেশের সবচেয়ে বড় ফ্লাইওভার।
গতকাল ১১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতিক্ষিত ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করলেন। যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্থান পর্যন্ত এটি বিস্তৃত।
চার লেনের ফ্লাইওভারে প্রবেশের জন্য ছয়টি এবং বের হওয়ার জন্য সাতটি পথ রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির ভিত্তিতে এটি পরিচালিত হবে , এর ব্যবহারকারীকে টোল দিতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ টাকার টোল টিকেট কেটে এর প্রথম ব্যবহারকারী হলেন। প্রতিদিনের আদায় করা টোলের ৫ শতাংশ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিলে জমা হবে। ২৪ বছর পর এর দায়িত্ব নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া থেকে গুলিস্তানের নিমতলী মোড় পর্যন্ত এ ফ্লাইওভারে যানবাহন প্রবেশের পর বের হওয়ার পথে টোল দিতে হবে। টোলের হার ধরা হয়েছে ট্রেইলার ২০০, ট্রাক ১৫০, বাস ১৫০, মিনিবাস ১০০, পিকআপ ৭৫, মাইক্রোবাস ৫০, জিপ ৪০, প্রাইভেট কার ৩৫, অটোরিকশা ১০ টাকা ও দুই চাকার বাহন পাঁচ টাকা।
হানিফ ফ্লাইওভারের আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১০০ বছর।
চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩০টি জেলার যানবাহন ঢাকার প্রবেশপথের যানজট এড়িয়ে এই ফ্লাইওভার দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে।
কুড়িল ফ্লাইওভার
রাজধানীর ঢাকার আরেকটি ‘গেটওয়ে’ কুড়িল ফ্লাইওভার। গত ৪ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেন ঢাকার পূর্বাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের কুড়িল ফ্লাইওভার । রাজধানীর যানজট নিরসনে কুড়িল ফ্লাইওভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নান্দনিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও কুড়িল ফ্লাইওভারটি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যে কোন মানুষের। দৃষ্টিনন্দন এই ফ্লাইওভার কুড়িল রেলক্রসিং এখন মুক্ত হয়ে গেছে। প্রতিদিন ৯৮টি ট্রেন যাতায়াত করে এই পথে। গড়ে ৫ মিনিট করে সিগন্যাল থাকলে ৪৭৫ মিনিট (প্রায় ৮ ঘণ্টা) যান চলাচল বন্ধ থাকে। এখন থেকে আর দীর্ঘ সময় সিগন্যালে বসে থাকতে হবে না।
সারে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটিতে বনানী, কুড়িল, খিলক্ষেত ও পূর্বাচল- এই চারটি প্রান্ত দিয়ে ওঠানামা করা যাবে। এজন্য কোন টোল দিতে হবে না। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়েও নির্মাণ করা হয়েছে তিন প্রান্তে তিনটি সংযোগ সড়ক। ফলে রাজধানীর যানজট অনেকটা দূর হবে।
১১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের দেশে এমন সুন্দর ফ্লাইওভার আছে ভাবতেই ভালোলাগে ।
ব্লগার সজীব
পাল্টে গিয়েছে ঢাকার দৃশ্যপট ।
লীলাবতী
ঢাকাকে এখন একটু রাজধানী রাজধানী মনে হয় ।
ব্লগার সজীব
আশাকরা যায় , থমকে পরা ঢাকা এতে বেগবান হবে।
মা মাটি দেশ
সুন্দর একটি তথ্যনির্ভর পোষ্ট।এখন নজর এর পরিচালনার উপর।নতুবা যার জন্য এই ব্যাবস্হা সেই জ্যাম থেকে যাবে।
খসড়া
খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরের মত হয়ে যাচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
তথ্য বহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ঢাকার নাগরিক সুবিধা পুরনে একটি মাইল ফলক।
আরো পাল্টে যাক আমাদের প্রিয় দেশটির রাজধানী ।
আদিব আদ্নান
অনেক বিতর্কের পর ও এটিকে অবশ্যই মাইল ফলক হিসেবেই দেখি ।
ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষনের উপর পরবর্তী সাফল্য নির্ভর করবে । যেহেতু আমরা নষ্ট করতে ওস্তাদ ।
প্রিন্স মাহমুদ
সব কিছু বদলে যাবে , আমাদের নিজেদের মন মানসিকতা না বদলালে এসব বদলে কাজ হবেনা কিছু
শুন্য শুন্যালয়
কি সুন্দর লাগছে…মনেই হচ্ছে না এটা ঢাকা।। ধন্যবাদ সজীব ভাইয়া…
নীলকন্ঠ জয়
এটা আমাদের রাজধানী এখন বলতে গর্ববোধ হয়। হাতিরঝিল বাদ গেলো, ডেমু ট্রেন ইত্যাদি। তবে সঠিক ব্যাবস্থাপনা না থাকলে আমাদের চীরদিনই জ্যামে আটকে থাকতে হবে।