সে পাথর বলেই সে পাথর। পাথরের বুকেও জমে জল,পাথরের বুক ও ভারী হয় জমা জলে।
কুল- কুল শব্দে ঝর্নার বয়ে যাওয়া দেখেছি, শুনেছি নূপুর নিক্বণ হাসির শব্দে।
পাথরের নিঃশব্দ কান্না মিশে আছে ঐ ঝর্নার নীল জলে।
হে পাথর তুমি গড়িয়ে যাও গড়িয়ে যাও,ঝর্নায় ডুব দিয়ে সুক্তি তুলে নাও।
————————————————
আমি শিমুলের কথা ভাবছি।
৪৮টি মন্তব্য
লীলাবতী
পাথরের নিঃশব্দ কান্না মিশে আছে ঐ ঝর্নার নীল জলে। শিমুল ভাইয়ার জন্য এটিই পারফেক্ট ।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, তার কথা ভেবেই লিখেছি।
অলিভার
;? ভাইয়া পাথরের কষ্ট নিয়ে লিখতে শুরু করলেন মনে হয়
ছাইরাছ হেলাল
এ পাথর সে পাথর ন্য।মানুষ পাথরের কথা ভেবে লিখেছি।
আপনাকে বহুদিন পরে দেখলাম। তাও দেখলাম এখানে। ভাল ও লাগল।
অলিভার
😀 সত্যিই অনেকদিন পরে এসেছি। মনে রেখেছেন জেনেই আনন্দ লাগছে।
শুধু পাথুরে কষ্ট নয়, আনন্দও জানতে চাই কিন্তু :v
ছাইরাছ হেলাল
তাও জানিয়ে দেব,সময় করে কিন্তু আপনাকে পাওয়া যাবে কি না কে জানে।
মোঃ মজিবর রহমান
হেলাল ভাই এত থাকতে পাথরের কান্না মনে পড়ল। মানুষের জন্যও চখ বুলান।
কুল- কুল শব্দে ঝর্নার বয়ে যাওয়া দেখেছি, শুনেছি নূপুর নিক্বণ হাসির শব্দে।
ভাল লাগ্ল।
ছাইরাছ হেলাল
পাথরের বুঝি হাসি কান্না থাকতে নেই!
নিয়মিত লিখছেন পড়ছেন ,বেশ ভাল লাগে দেখতে।
মোঃ মজিবর রহমান
হেলাল ভাই নিজের কান্নার টেউ সামলাতে পারিনা, আবার পাথর!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অবস্থা দেখছি সত্যি কঠিন।
মোঃ মজিবর রহমান
তাহলে আর বলছি কি ভাই।
মিথুন
বাহ !!! সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।
শুন্য শুন্যালয়
কুল কুল শব্দে ঝর্নার জলে একটা পাথর গড়িয়ে যাচ্ছে, আমি এমন দেখতে পাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
এটুকু দেখলে তো হবে না পরের টুকুও দেখতে হবে।
আপনি তা পারবেন।
শুন্য শুন্যালয়
আমিও সুক্তি তুলে আনার পরের আনন্দটূকূ দেখতে চাই। তোলবার কস্টটূকূ নয়। বিলাসিতা আমার জন্য নয়, ও আমি রোজ দেখি।
লেখার মূল অংশ ওটাই ছিলো। শুভকামনা তার জন্য, মন জলদি ভালো হয়ে যাক।
আগুন রঙের শিমুল
গড়ানে পাথরে শ্যাওলা জমেনা শুন্য 🙂
স্বপ্ন নীলা
চার লাইনের কবিতায় বাজিমাত করে দিয়েছেন —— শব্দমালা, এর গঠণ, বাক্যবিন্যাস সব মিলিয়ে চমৎকার —–
পাথর সরে যাক — মনে নেমে আসুক ঝর্ণাধারা ——সকলের মন ভাল হয়ে যাক ——শান্তি নেমে আসুক মনের আকাশে
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, আপনি যতই বলুন মাত করার মত কিছু নেই এবং সহজ নয় মোটেই।
সবাই শান্তিতে থাকুক তাই ই চাই।
বনলতা সেন
মুক্তো তোলা হলে আমাদের একটু দেখাতে বলে দিয়েন।
ছাইরাছ হেলাল
এক জন কষ্ট কে তুলবে , তা আবার দেখাতেও হবে?
নুসরাত মৌরিন
সুন্দর…সুন্দর…।:)
কবিতার ছন্দে যেন ঝর্নার কলকল ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি…।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দ আপনার কাছেও পৌছে গেলে মন্দ নয়। ঠিক ঠাক শুনলেই ভাল।
খসড়া
একদিন এক পাথরের কাছে গিয়ে বললাম
কতটুকু সহ্য শক্তি থাকলে রাস্তার পাশে এমন নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কথা শুনে অবশ্যই সে গড়াতে শুরু করেছে আমি নিশ্চিত।
বুকে জল নিয়ে বেশি শক্তি সে দেখাতে পারবে না ।
আগুন রঙের শিমুল
জলের কোন ক্ষমতাই নেই দাগ ফেলবার, যতক্ষণ আছে বেশ ভেজাভেজা আদুরে শুকিয়ে গেলেই নেই একেবারে 🙂
লীলাবতী
কিছুদিন যাবত শিমুল ভাইয়া শুধু বিষাদের লেখা লিখছেন। লেখার মান অনেক উচুতে। তবে বিষাদইতো।
ছাইরাছ হেলাল
মন্দ কী ? বিষাদের মুখোমুখি না হলে নিজেকে পরখ করে নেবে কীভাবে।
আগুন রঙের শিমুল
সকল উত্সবে আমি দরজার বাইরেই থাকি,
আকুন্ঠ রঙে ডুবিয়ে তুমি আঁকো দৃশ্যপট।
অথচ জানলেও না ; বিভিন্ন রঙের আড়ালে
আমিও তোমার স্বপ্নভঙ্গের বিনিদ্র ইতিহাসের মগ্ন পাঠক।
প্রতিটি উত্সবে তুমি যতখানি দুঃখ ঢাকতে প্রাণপণে রঙ্গীন,
ঠিক ততখানি ব্রাত্য আমিও, ততখানিই মন্ত্রহীন।
বনলতা সেন
মাথার উপ্রে দিয়ে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
যাউক। সব নীচ দিয়ে যাওয়া ঠিক না।
আগুন রঙের শিমুল
এন্টেনা ওয়ালা টুপির ব্যাবস্থা কর্তে হবে দেখছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মন্ত্রহীন ব্রাত্য জনের বিনিদ্র পাঠক হওয়ার দরকারটা কী ?
আগুন রঙের শিমুল
নিবিড়ে না গেলে দেখবে কি করে গোপণে বেড়ে ওঠা জল? আর মন্ত্রহীন ব্রাত্যজীবন যাপনের সুবিধা হলো কেউ তেমন নিরিখে দেখেনা 🙂 বুদবুদের বর্নচ্ছটাই সত্যি ভাবে বুদবুদ মিলিয়ে যাওয়া সত্যি আর দেখাই হয়না কারুর
নীলাঞ্জনা নীলা
পাথরের জল আপনি দেখতে পেয়েছেন ? মুগ্ধ হলাম ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে। কিছু না কিছু তো দেখি ই।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখার মতো চোখ আপনাদের মতো জ্ঞানী মানুষদের আছে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই জ্ঞানী না, অন্ধ ও বলতে পারেন।
তবে এই অন্ধত্ব মেনে নিয়েও অনেক কিছু শুনি দেখি প্রাণের চোখ পুঁজি করে।
প্রজন্ম ৭১
পাথরের ফুটুক ফুল, এমনটা আন্তরিক ভাবে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
ফুল ফল মন্দ নয় কোন ভাবেই। শুধু যন্ত্রণার একশেষ।
অরুনি মায়া
প্রকৃতির বুকে কঠিন পাহাড় দাড়িয়ে থাকে ঠায়
তার বুকেও যে কান্না থাকে কজনে জানতে চায়,,,,,
একদিন লিখেছিলাম পাহাড়ের কান্না নিয়ে।
আজ দেখলাম আপনিও লিখেছেন।
পাহাড়ের জমাট বাঁধা কষ্ট গুলোই হয়ত পাহাড়ের বুক চিরে ঝরনা হয়ে বয়ে যায়,,,,
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, সুন্দর করে বলছেন দেখছি।
তা পাহাড়ের কান্না তী ভাল করে আমাদের শুনিয়ে দিন।
ঝর্নার কথা শুনেছেন বুঝি?
অরুনি মায়া
চেয়েছিলাম কবিতাটা লিখতে। কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ার পর দিতে লজ্জা লাগছে,,,,
আমার টা কিছুই হয়নি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু দাও এখুনি। কবিভাই হলেন জ্ঞানী মানুষ উনার লেখার ধরণ আলাদা।
ভেবোনা, লজ্জ্বা ভেঙ্গে দিয়ে দাও লেখাটি।
ছাইরাছ হেলাল
আহারেও এখানেও!!!
কোথায় যে যাই!!
ছাইরাছ হেলাল
আরে, নিজেদের মাঝে লজ্জা কী?
আমরা তো আমরাই।
দিয়ে ফেলুন, পড়ি আনন্দ নিয়ে।
অরুনি মায়া
আমি এখন কই পালাই ;(
ছাইরাছ হেলাল
লেখা দিয়ে আমাদের মাঝেই পালালেই হবে।