পাকনা-প্রেম রয়ে যায় আড়াল মেলে

ছাইরাছ হেলাল ২ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:৪৬:৫১অপরাহ্ন রম্য ২২ মন্তব্য

 

পাঁড়-পাকনার প্রাতঃপ্রত্যহের ঘুম

বাতাসের মত্ত-প্রবলতায় নিমজ্জিত উদ্বেগ
চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়, নিরায়ন হরণের টিকটিক শব্দে;
অজস্র প্রহরী সমভিব্যাহারে সামনে এসে দাঁড়ায়
রোদ-ঋতুর হু হু বাতাস গর্জনের সিদ্ধ-স্বভাবে সোঁদা-মাটি গন্ধে।

মরুর মত খাঁখাঁ রোদ্দুরে, বেদুইনের শুভ্র উদাসীনতায়
নমনীয় বক্রতায় পাশ কাটাতে চায়, পারঙ্গম-ক্ষিপ্রতায়;

মৌ-গন্ধি বাতাস নীরব চাহনি হেনে ঝাপটে ধরে
সবাক-অবাক দ্বিধাগ্রস্ততায়,
স্বপ্নের চিমটিতে জেগে ওঠে প্রণয়-হৃদয়,
নিঃশ্বাসের লোনা-জল জ্যোৎস্নার সোনা-জলে গড়ায়।

তারপর-ও কিছুটা থেকে যাবে
প্রণয়-প্রগাঢ়-পাঁড়-পাকনা-পাণিপীড়ন, প্রাতঃপ্রত্যহে দুজনের ঘুমে,
পাতকিনী ভালোবাসার সিথান সিঁথিতে সিঁথিপাটি! তাও জ্বলে থাকে।

রম্যানুবাদ (বাংলায়)
অনুপ্রেরণায় বিশিষ্ট কবি—– প্রহেলিকা।

গ্রীষ্মের দাহ-তাপের ঘোর দুপুরে বা কালি সন্ধ্যায়
হতে পারে কোন এক প্রবল উষ্ণ ঊষায় বা মাঝের রাত্রিতে,
রাত্রি শেষের অগ্রবর্তী সময়ে,
প্রেম রানীর প্রেম হঠাৎ খর হয়ে চিড়িক দিয়ে ওঠে,
প্রেম-জ্বালা-জ্বরে হুঙ্কারে ছুটে আসে প্রহরীরা, কাপে থর থর;
সেই যে সেই দুরন্ত, আমার প্রেম-নাগর; চাই তাকে এক্ষুনি।

শাস্ত্রী-সিপাই ছুটে চলে তীর বেগে, বিপ্রতীপ বাতাসে,
দিক্বিদিক, প্রকাশ্য-গোপনে, হা রে রে রে ধ্বনিতে
মাঠ প্রান্তর তৃণ ভূমি কাপিয়ে/দাপিয়ে।

নাগর তার বাউলি কেটে এঁকে-বেঁকে চলে এদিকে সেদিকে
ভাঁজা মাছ, মিষ্টি-ঝাল মাংসের ঘ্রাণ টেনে। ইথারে বিথারে।
সরাই খানার মৌজমাস্তিতে, আহা জীবন, এইতো জীবন!!

আরশি-আঁকা-চোখের লজ্জা-মুকুট ফেলে
অতৃপ্ত-গোধূলি-চোখ জ্বালিয়ে, গালা লাগা চোখে
সুখ-নাগরের প্রেম-চোখ ভেসে ওঠে;
বিভ্রাট-বিজলীতে তড়পানো-হৃদ-হুঙ্কারে কেঁপে যায়
প্রাসাদ-অট্টালিকা, কে আছিস………………

বিজলী চমকে ঘিরে ফেলা নাগরকে ক্যাঁক করে চেপে ধরে
চ্যাংদোলায় পৌঁছে যায়, রানীর বিহারে;

উড়ে এসে ঝুঁকে পড়ে বুকে চেপে বসে
নাকে চাপ রেখে গাল টেনে বলে – —-প্রেম দিবি কী না বল!!

উষ্ণতার শয্যা-উমে অথৈ নদীতে বাণ ডাকে;

কেটে যায়, কেটে যায় দিন-রাত্রি, থাকে শুধুই ঘন রাত্রি,
সহসা ছুটে আসে প্রাতঃপ্রত্যহ রক্ত-জমাট-বুকে বিস্তৃত নখরে নখরে।

৮৪৩জন ৬৫৮জন
0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ