পাঁড়-পাকনার প্রাতঃপ্রত্যহের ঘুম
বাতাসের মত্ত-প্রবলতায় নিমজ্জিত উদ্বেগ
চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়, নিরায়ন হরণের টিকটিক শব্দে;
অজস্র প্রহরী সমভিব্যাহারে সামনে এসে দাঁড়ায়
রোদ-ঋতুর হু হু বাতাস গর্জনের সিদ্ধ-স্বভাবে সোঁদা-মাটি গন্ধে।
মরুর মত খাঁখাঁ রোদ্দুরে, বেদুইনের শুভ্র উদাসীনতায়
নমনীয় বক্রতায় পাশ কাটাতে চায়, পারঙ্গম-ক্ষিপ্রতায়;
মৌ-গন্ধি বাতাস নীরব চাহনি হেনে ঝাপটে ধরে
সবাক-অবাক দ্বিধাগ্রস্ততায়,
স্বপ্নের চিমটিতে জেগে ওঠে প্রণয়-হৃদয়,
নিঃশ্বাসের লোনা-জল জ্যোৎস্নার সোনা-জলে গড়ায়।
তারপর-ও কিছুটা থেকে যাবে
প্রণয়-প্রগাঢ়-পাঁড়-পাকনা-পাণিপীড়ন, প্রাতঃপ্রত্যহে দুজনের ঘুমে,
পাতকিনী ভালোবাসার সিথান সিঁথিতে সিঁথিপাটি! তাও জ্বলে থাকে।
রম্যানুবাদ (বাংলায়)
অনুপ্রেরণায় বিশিষ্ট কবি—– প্রহেলিকা।
গ্রীষ্মের দাহ-তাপের ঘোর দুপুরে বা কালি সন্ধ্যায়
হতে পারে কোন এক প্রবল উষ্ণ ঊষায় বা মাঝের রাত্রিতে,
রাত্রি শেষের অগ্রবর্তী সময়ে,
প্রেম রানীর প্রেম হঠাৎ খর হয়ে চিড়িক দিয়ে ওঠে,
প্রেম-জ্বালা-জ্বরে হুঙ্কারে ছুটে আসে প্রহরীরা, কাপে থর থর;
সেই যে সেই দুরন্ত, আমার প্রেম-নাগর; চাই তাকে এক্ষুনি।
শাস্ত্রী-সিপাই ছুটে চলে তীর বেগে, বিপ্রতীপ বাতাসে,
দিক্বিদিক, প্রকাশ্য-গোপনে, হা রে রে রে ধ্বনিতে
মাঠ প্রান্তর তৃণ ভূমি কাপিয়ে/দাপিয়ে।
নাগর তার বাউলি কেটে এঁকে-বেঁকে চলে এদিকে সেদিকে
ভাঁজা মাছ, মিষ্টি-ঝাল মাংসের ঘ্রাণ টেনে। ইথারে বিথারে।
সরাই খানার মৌজমাস্তিতে, আহা জীবন, এইতো জীবন!!
আরশি-আঁকা-চোখের লজ্জা-মুকুট ফেলে
অতৃপ্ত-গোধূলি-চোখ জ্বালিয়ে, গালা লাগা চোখে
সুখ-নাগরের প্রেম-চোখ ভেসে ওঠে;
বিভ্রাট-বিজলীতে তড়পানো-হৃদ-হুঙ্কারে কেঁপে যায়
প্রাসাদ-অট্টালিকা, কে আছিস………………
বিজলী চমকে ঘিরে ফেলা নাগরকে ক্যাঁক করে চেপে ধরে
চ্যাংদোলায় পৌঁছে যায়, রানীর বিহারে;
উড়ে এসে ঝুঁকে পড়ে বুকে চেপে বসে
নাকে চাপ রেখে গাল টেনে বলে – —-প্রেম দিবি কী না বল!!
উষ্ণতার শয্যা-উমে অথৈ নদীতে বাণ ডাকে;
কেটে যায়, কেটে যায় দিন-রাত্রি, থাকে শুধুই ঘন রাত্রি,
সহসা ছুটে আসে প্রাতঃপ্রত্যহ রক্ত-জমাট-বুকে বিস্তৃত নখরে নখরে।
২২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম!!
সাবিনা ইয়াসমিন
রম্য পুরোই রোমান্টিক হয় গেছে। প্রেমের ঘটি–বাটি উপচে পরার দশা !!
* প্রেম দিবি কী না বল? *
প্রেম কি ছিনতাইকারীর কবজা করার জিনিস !! না ডাকাতের কাঁটা হাত? এভাবে চাইলে প্রেম তো দূরের কথা ঘোড়ার ডিমও জুটবে না ।
ছাইরাছ হেলাল
জোয়ার এলে বাঁধের কী সাধ্য! আটকায়!
দেখুন, প্রেম-রানীর মর্জি বলে কথা,
আর শুনতে পাই, ভালোবাসার না-কী একটু কস্তা-কস্তি থাকে/লাগে।
বিধাতা দয়ালু বলেই জেনেছি/জানি।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, আপনি-ই
মায়াবতী
পাকনা প্রেম টা কিন্ত সেরাম লাগিচ্চে কুবি রাজা রাজ গণ *** 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এ তো জট্টিল বিষয়, ম্যাম-পা!!
আপনি ডাক্তারের স্মরণ নিন, আপনার পাশে-পাশেই আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কী যে বলি! চুপ থেকে নীরবে অর্থাৎ টাইপ ছাড়া মন্তব্যের কোনো সিস্টেম যদি চালু করা থাকতো, তাহলে আমার জন্য খুবই ভালো হতো। প্রেম নিয়ে লেখালেখি তো আমার ছিলো, এখন আমিই অ-প্রেমী হয়ে গেছি। অথচ চারদিকে এখন প্রেমের ছড়াছড়ি। 😇
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অ-প্রেমি হতেই পারেন না, আপনার অনুপস্থিতে বর্গা জমিতে সামান্য চাষ-বাস হচ্ছে,
ঘাব্ড়াবেন না, আপনি এলেই সব আপনার সোনা-হাতে তুলে দেব।
কালী কা কসম!
নীলাঞ্জনা নীলা
কই দ্যান দ্যান! এইতো আইলাম।
ইঞ্জা
ওরে বাবা এতো রোমান্টিকতা কই রাখে ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
ভাগ্যিস বলে বসেন-নি এত্ত কঠিন লাগে ক্যা!!
এ জিনিস সবার-ই আছে/থাকে, কেউ বলে কেউ গিলে ফেলে!!
আপনি কী করেন?
ইঞ্জা
আমি পকেটে রাখি ভাইজান। 😆
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আপনিও রাখেন, সে বুক পকেটে, সাইড পকেটে বা হিপ পকেটে।
যত্ন নিয়ে রাখলেই হলো।
প্রহেলিকা
নাগরেরাতো শুনেছি স্মরণ করিবার পূর্বেই এসে হাজির হয়। এ কোন নাগর/নাগরিক সৈন্য-সিপাহী দিয়ে ক্যাক করে চেপে ধরে আনতে হয়। বুঝিতে বাকী রইলো না এই নাগর আর লেখক দুজনই কঠিন পদার্থ। তাপদাহে হলে, আরও শক্ত হয়।
আহা কি সুন্দর গাল টানা, ওলে ওলে ওলে বাবুটা।
ইহা তরজমা হইলো! তাও নাকি বাংলা ভাষায়। বাংলা ভাষা আরও একটা রয়েছে যাহাকে বলে খাটিবাংলা। এবার এই লেখাকে খাটিবাংলায় তরজমা করেন।
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের কথা বিশ্বাসিতে নেই,
বলে গেছেন শুদ্ধ জন।
এবারে আপনার পালা।
শুন্য শুন্যালয়
পইড়া নেই ঠিকমতো। আজ রাতে স্বপ্ন দেখেছি আমার সমস্ত দাঁত পড়ে গেছে। ঘুম ভেঙে থরথর করে কাঁপছিলাম। কেন এমন দেখলাম মনে করতে পারছিলাম না, এই এক্ষনে আপনার পোস্টে ঢুইকা কারণ বুঝলাম।
যাউক গা, তরজমা ভালো কইরা পইড়া নেই, তাপ্পর মন্তব্য, দৌড় দিতাছি টানা।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝি!! সব কিন্তু বুঝি!!
তৌহিদ
প্রেম দিবি কিনা বল!!
প্রেমিক পুরুষ কি প্রেম সন্ত্রাসে নামলো নাকি??
ছাইরাছ হেলাল
পড়ে কিন্তু মন্তব্য দিতে হয়।
সম্ভব হলে আবার পড়ুন।
তৌহিদ
পড়েছি ভাই, আমি পড়েই মন্তব্য দেই কিন্তু।
মাথার উপ্রে দিয়ে যায় কবিতা! আমার কি দোষ কন?
ছাইরাছ হেলাল
‘প্রেমিক পুরুষ কি প্রেম সন্ত্রাসে নামলো নাকি??’
দেখুন আমার লেখায় এই সন্ত্রাসীটি প্রেমিক পুরুষ নয়, প্রেমিকা নারী।
কবিতা কিন্তু বোঝার জিনিস নয়, অনুভবের।
যদিও আবার বলছি আমি কবিতা লিখিনা/লিখিনি।
জিসান শা ইকরাম
চাঁদ আড়ালে থাকে,
প্রেমও আড়ালে থাকে,
থাকনা আড়ালে তা আবার প্রকাশ্যে কেন বলা? 🙂