“এই যে সময়ে-অসময়ে সকালে কিম্বা রাতে
শীতে-গ্রীষ্মে-বৃষ্টিতে হাঁটাপথে হাঁটো, হেঁটে যাও হেঁটে হেঁটে,
কৈ যাও? কেন-ই বা? নিরামিষ! একঘেয়ে লাগে না?”
অপ্রস্তুত মনে আচমকা প্রশ্ন করে বসে, পথ;
এই-যে পথপাশে এত এত টলোমলো শিশিরফুল, পাখি,
লতাপাতা, বনানী আর বনজ্যোৎস্না, এ-আর কৈ-পাই!!
“ঐ-যে সেদিন পা-পিছলে হাঁটু-ছেলা হলে?”
দেখনি বুঝি!! শিশির ঝর্ণা হয়ে জল ঢেলেছিল,
বাতাস ভালোবাসার ফুঁয়ে জ্বালা জুড়িয়েছিল!
শেষ পর্যন্ত।
এমন করেই হেঁটে হেঁটে পৌঁছে যাব হাঁটা পথের শেষ প্রান্তে,
তারপর ছোট্ট এক লাফে, ঐ-পাড়ে, ও-পাড়ে, না-ফেরার দেশে;
১৬টি মন্তব্য
নীহারিকা
চলতে চলতে একসময় ছোট্ট লাফ দিয়ে চলে যেতে হয় ওপাড়ে।
হাটতে হাটতে হোচট খাওয়া, হাটু ছিলে যাওয়া আরও কত কি!
ভালো লেগেছে অনুভুতি।
ছাইরাছ হেলাল
যাক অবশেষে কিছু একটা অনুভব হচ্ছে যেনে আনন্দিত হচ্ছি,
হাঁটু ছিললে আরও বেশি কিছু ভাল করে বুঝতেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাঁটতে গিয়ে নিজের সাথে কথা বলেন বুঝি?
স্বগতোক্তি কাব্য, বাহ বেশ তো!
হুম জীবনের পথে হাঁটছেন, তা শেষ পথের কথা আগেই ভেবে রাখা।
না-ফেরার দেশ নিয়ে যে হারে লিখে চলছেন, তাতে নিশ্চিন্ত থাকুন আপনার নাত্নীর বিয়ে হবার পর তার সন্তান মানে আপনার পুতির সাথে খেলা করার পর ওপারে যাবেন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আশেপাশে মানু না পাইলে একা-একাই সম্বল!
না-ফেরা নিয়ে অন্যরা টালা-টুলাও দেয় কিন্তু।
দেখুন শাঁকচুন্নিদের এপার-ওপার এক পার, তাই আর পারের ভাবনা নেই,
কিন্তু হেই পারেও শাঁক-শুঁক আছে ভাবলে ভালই লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
“পারে ল’য়ে যাও আমায়।
আমি অপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময়।”——বড়ো মামার কোলে বসে যখন গানটা শুনছিলাম মামার কন্ঠে। শেষ হবার পরে বলেছিলাম মামা এটা কি গান? বললো মামা লালন গীতি। কিছুই বুঝিনি। ক্লাশ ফাইভে পড়া একটা মেয়ে তখন আমি।
তো সময় দেখতে দেখতে ৪৩ এ এলো, পারে যাওয়া আজও হলোনা, কারণ আমার যাবার ইচ্ছে নেই। আর যারা পারে যেতে যায়, তারা সহজে যেতে পারেনা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
৪৩ কোন ব্যাপার না, যাওয়া-যাওয়ি করাই যায়,
অবশ্য ৪৩ একটু বেশি হলে দাঁতের কারণে এদিকেও একদম খারাপ না।
তবে ও-দিকে যাওনের মাফ নেই,
মৌনতা রিতু
আমার এক চেনা পথ আছে। রেলপথটি মাঠের বুক চিরে চলে যায় অনেক দূরে দিগন্ত ছুঁয়ে দিতে। ঐ পথে আমি রোজই হাঁটতে গিয়ে যখন আমি নিজের সাথে কথা বলি তাতে কেউ যেন ব্যাঘাত ঘটাতে না পরে তাই সেখানেই যাওয়া প্রতিনিয়ত।
আমি জীবনের হিসেব করতে করতে পৌছে যাব শেষ প্রান্তে।
ভাল লাগলো কবি। যাক শব্দরা এখন সহজ সরল হচ্ছে এই অভাগা এখন একবার পড়েই বুঝছি।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত এত্ত কঠিন ল্যাহাও বুঝে ফেলছেন!! আমার তো সব উপ্রে দিয়া যাচ্ছে!!
না-ছোঁয়া ঐ দূর-দিন্তের হাতছানি উপেক্ষার নয়।
শুন্য শুন্যালয়
পথের কথা বলা হয়েছে।
এ পথের ধারে কতো কিছু থাকে, কতো কিছু থাকেও না। কতোজন পিছলে হাঁটু ছেলে, কতোজন পড়তে পড়তে গিয়েও উঠে দাঁড়ায়। হুম, পথঘাসের শিশির ছেলাছেলির উপকার দেয়।
সব পথেরই কিছু ডেডএন্ড থাকে, অই ও -পাড়ে না গেলেই বা।
সুন্দর ছোট লেখা। আমি সব লেখার শিরোনামে হিমশিম খাই, আর আপনি! শিরোনাম দেখলে অনেকসময় মনেহয় কিছু না লিখলেও চলতো।
ছাইরাছ হেলাল
হিমশিম একা-একা খাওয়া ঠিক না, সোনাদের সাথে ভাগাভাগি করে খাবেন!!
হাক্কা লাড়াইয়েন না, শিরোনামের চুবাডুবি শুরু হই যাইতারে!!
ও-পাড়ে নাকি সব সুখ!!
অবশ্য এ-পাড়-ও-পাড় বলেও কিচ্ছু নেই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো লাগা রেখে গেলাম। (y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
প্রহেলিকা
বাহ্! সার্থক পাঠ নিঃসন্দেহে। শিরোনামে বনজ্যোৎস্না শব্দটা দেখেই বুঝেছিলাম। এ পাঠ কেবল পাঠ হবে, হবে পূর্ণতার আরশি।
ছেলা হাঁটু নিয়েও স্বদর্পে হেঁটে যাওয়া কি সবাই পারে! অদম্য এই বাসনাই একদিন পৌঁছে দিবে গন্তব্যে।
ও পার, টো পার নিয়ে কি সব বলছেন আবার আপনি ! বদনাম কি তাহলে আপনার বিরুদ্ধেই উঠেছে নাকি? সাধু সাবধান।
ছাইরাছ হেলাল
অন্যেরা ও-পারের গপ্পো কইলে দোষের হয় না,
আমি কইলেই হা-রে-রে!!
গন্তব্যের খবর জানা নেই, পথিক হেঁটে যায় পথকে ভালোবেসে, পথের টানে।
প্রহেলিকা
কে, কবে, কখন কইলো একবার খালি বলেন। ওপারের গল্প এপারে হবে না। ওপারে অঢেল সময় পাবো, এখানের মতোই একসাথে থাকবো।
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো এপারেই ওপার নিয়ে চলি,
ব্যাপার না, ল্যাহা-লেহি চালু থাকবে,