
বেশকিছু দিন ধরে কলমে নতুন লেখার সৃষ্টি হচ্ছে না। হয়তো কলমের ধার কমে গেছে। তাই ডায়রি খুঁজে অনেক পুরানো লেখা পোস্ট করলাম। কিছু এডিট করা।
জন্মের পর থেকেই
হয়ে যাই মোরা অসহায়,
চোখ মেলেই দেখতে পাই
জমেছে মেঘ
বাবা মার মুখ খানায়।
সাথে আছে প্রতিবেশীর
না না ভাবনা,
সোনাদানা টাকা পয়সা
জমিয়ে রাখো বাক্স কয়খানা।
এভাবেই যায় কেটে দিন
হতে থাকি বড়
যদিও আদর যত্নের
কমতি ছিল কিনা
হিসাব করিনি কখনো।
মাঝে মাঝে শুনি
পাড়া পড়শীর কথা,
মেয়েতো বড় হয়ে গেছে
এবার দিয়ে দাও বিয়ে থা।
মনে মনে হাসি
যার মাথা তার নাই ব্যথা
পড়শীর নির্ঘুম ভাবনা।
কেউ কেউ বলে
মেয়েমানুষ করবে
আর কত লেখা পড়া?
বয়স হয়ে গেলে
ভালো পাত্রের পাবেনা দেখা।
হায় হায় এতো ভালো প্রতিবেশী
কত তাদের ভাবনা,
অন্যের চিন্তায় মশগুল সারাবেলা।
তারিখ –৩০/১২/৯২
২৫টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
যার বিয়া তার খবর নাই
পাড়াপড়শির ঘুম নাই…… সারমর্ম এটাই
হালিমা আক্তার
একদম। এধরনের পড়শির আমাদের সমাজে অভাব নাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মেয়ে জন্মে বাবা মাও খুশি হয়না। অথচ সন্তান হিসেবে বড় করে তুললে কোন চিন্তাই থাকার কথা না।
আর ঐ প্রতিবেশী হলো ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’। সেধে হলেও আপনাকে সুপরামর্শ দেবার জন্য ওঁত পেতে থাকে।
ভালো সময়ের প্রত্যাশায় ,, শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
আপা একদম সত্যি বলেছেন। অনেক বাবা-মা ও মেয়ে সন্তান জন্মে খুশি হয়না। আর কিছু প্রতিবেশী থাকেন যারা বিনা পয়সায় উপদেশে দিতে কার্পণ্য করেনা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
এ যেন চিরন্তর জ্বালা
আধুনিক সভ্যতায় যদিও প্রভাব কিছুটা কমেছে
তবুও অভ্যন্তরে যেন বয়ে চলে বাক্য বাণের কর্কশ ধারা।
আন্তরিক শুভ কামনা রাখলাম পাতায় নিরন্তর।
হালিমা আক্তার
এখন সরাসরি প্রভাব কমেছে কিন্তু এদের গোপন অভিসার রয়ে গেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
সৌবর্ণ বাঁধন
পড়শিদের নিয়ে ভাবনা গুলো খুব সত্য। একটা সময় এই উপলব্ধি হয় হয়তো সবার। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
হালিমা আক্তার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
হেঁকে যাওয়া ধারওয়ালাকে ডেকে একটু ধারিয়ে নিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়!!
আমাদের পড়শিরা আসলেই পড়শি, অন্যের চিন্তায় মশগুল। এটি ই আমাদের সমাজ, এভাবেই সামাজিকতা আমাদের।
হালিমা আক্তার
এরা আমাদের পড়শি বলেই আমাদের নিয়ে একটু বেশি ভাবনায় থাকে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
পাশের বাসার আন্টিরে আমি খুব ভালোবাসি। উনি যে ভাবেই হোক পথ বাতলে দেয়।
হা হা
শুভ কামনা
হালিমা আক্তার
সব পড়শির মাথা ব্যথা হয়না। অনেকেই আছেন যারা সবসময় পাশে থাকেন। শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পাড়া পড়শী , আত্মীয়-স্বজন দের এমন আচরণের জন্য বাবা-মা ও মেয়ের আগমনে থাকে চিন্তিত তাই তারা কন্যাশিশুর জন্মে আনন্দিত না হয়ে ম্লান হয়ে যায়। বাস্তবতা এটাই। শুভ কামনা রইলো
হালিমা আক্তার
আমাদের এই পড়শিরা যে কবে সজ্জন হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
তৌহিদুল ইসলাম
আমার যখন লেখা আসেনা তখন আমি লেখা থেকে বিরতি নেই। আপনিও এরকমটা করে দেখতে পারেন, এতে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয়। আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক লোকই থাকে যাদের কোন কাজ নেই শুধু অন্যের কাজ নিয়ে সমালোচনা করা ছাড়া। তাদের ইগনোর করুন আপু। শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। আমি সরাসরি প্রতিবাদ করে ফেলি। প্রতিবাদ না করলে এরা পেয়ে বসে।
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর লেখেছেন কবিতা কবি আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
হালিমা আক্তার
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সমাজের অসঙ্গতি ফুটে উঠেছে — “মনে মনে হাসি
যার মাথা তার নাই ব্যথা
পড়শীর নির্ঘুম ভাবনা”।
শুভ কামনা রইলো।
হালিমা আক্তার
এসকল পড়শির কোন কাজ থাকে না। তাই পরের ভাবনায় জীবন কাটায়। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার প্রতিও শুভ কামনা রইল।
মনির হোসেন মমি
এ সমাজে যখনি মেয়ে মানুষ জন্ম নেয়াই যেন পাপা।বড় হওয়ার সাথে সাথে মা বাবার চিন্তা বাড়ে পাড়াপ্রতিবেশীর ঘুম হারাম হয় ।
চমৎকার কবিতা।
হালিমা আক্তার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কিছু পড়শী এমন থাকে, যারা মনে করে মেয়েদের জনম-জীবন যেনো বিয়েতেই সমাপ্ত। যদিও এইসকল সমালোচক পড়শিদের মাঝে নারী পড়শির সংখ্যা বেশি। আবার কিছু পুরুষ পড়শীও থাকে, যাদেরকে কারো বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যায় না, কিন্তু পরের ঘরের মেয়েদের নিয়ে তাদের উৎকন্ঠিত হতে দেখা যায়। আমাদের বিচিত্র সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এইসব বৈচিত্র্যময় পড়শী।
শুভ কামনা 🌹🌹
হালিমা আক্তার
একদম সত্যি বলেছেন। এদের মধ্যে নারী পড়শির সংখ্যাই বেশি। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।