নমিশার মায়াবী আব্বু
——————————–
নমিশা এক অতভুত স্বভাবের মেয়ে, সে সহজে কোন জটিলতা বুঝেনা আর বুঝতেও চায় না, একটু পাগলামি করা তার স্বভাব। সে কখনো কোন কিছুর মাঝে ভেদাভেদ করতে পছন্দ করে না, মিথ্যা তার দুচোখের বিষ, আর বিশ্বাসঘাতক দের সে মনে প্রাণে ঘৃণা করে। সে ভালবাসার কাঙ্গাল, অর্থ বিত্তকে তেমন পছন্দ করেনা। সে সবসময় এটা বিশ্বাস করে “বেঁচে থাকার জন্য অর্থ প্রয়োজন কিন্তু অর্থ কখনো সুখ আনতে পারে না, অর্থ দিয়ে শুধু সুখের সামগ্রী কেনা যায় সুখকে নয়।”
তার জীবনে এক অতভুত ঘটনা ঘটেছে, সে কখনো জানতোনা তার জীবনে কখনো এমন অধ্যায় আসবে। সে ভীত শঙ্কিত, তবে তার মনে দৃঢ় বিশ্বাস আছে তার দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, প্রতারিত হবে না কখনো।
জীবনের চলার পথে কত মানুষের সাথেই না পরিচয় হয় আর কতকিছুই ঘটে জীবনে। তার এক অসাধারণ মায়া ভাবাপন্ন মানুষের সাথে পরিচয় ঘটেছে, অনেক কথা আর সামান্য জানাশোনার মাধ্যমেই আপন হয়েছে মানুষটি। তাদের সম্পর্কটা তৈরি হয়েছে নিজ বাবা মেয়ের সম্পর্কের মতো। ‘বাবা’ বলে ডাকাও শুরু করেছে সে, আর সেই মায়াবী মানুষটি তাকে ‘মা’।
নমিশা তার জন্মদাতা পিতাকে আব্বু বলে ডাকে। মায়াবী মানুষটিকেও সে আব্বু বলেই ডাকতে চায়, কিন্তু তিনি নমিশাকে বলেছেন তিনি জন্মদাতার ভাগ নিতে চান না তাই তাকে বাবা বলে ডাকতে।
নমিশা কঠিন অনুসুচনায় পরে গেছে, সে ভেদাভেদ পছন্দ করে না। সে তার জন্মদাতা পিতা আর মায়াবী মানুষটির মধ্যে কোন ভেদাভেদ খুঁজে পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত তার কাছে মনে হচ্ছে কোন এক যুগে যেন এই মানুষটিই তার জন্মদাতা পিতা ছিল। নমিশা মায়াবী মানুষটিকে বলতে চায় “বাবা আমি তো তোমার মেয়ে, তোমার ছেলেমেয়েরা যদি তোমাকে আব্বু বলে ডাকে তো আমি কেন আব্বু বলবনা?? তাহলে কি তুমি আমাকে নিজের মেয়ে, নিজ শরীরের অংশ মনে করছ না??? আমি তোমাকে বাবা নয় আব্বু বলেই ডাকতে চাই আর মা কে আম্মু। আমি আব্বু আম্মু ডাকের মধ্যে অতভুত আকর্ষণ অনুভব করি, অসাধারণ পরিতৃপ্তি। আমি এখন থেকে ভাবতে চাই আমার আব্বু দুইজন আর আম্মু দুইজন, আর চিৎকার করে বলতে চাই পৃথিবীকে, আমি সবথেকে সুখী- দুই জোড়া আব্বু আম্মু পেয়ে, ধন্যবাদ দিতে চাই সৃষ্টিকর্তাকে যে- তিনি তাদেরকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন।”
নমিশার মায়াবী আব্বুটি সত্যি মায়াবী, তার আব্বুর জন্ম খ্রিষ্টান ধর্মের বড় ধর্মীও উৎসব “Christmas Day” তে। সে আজ সৃষ্টি কর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা করে তার দুই আব্বু ও দুই আম্মু যেন সবসময় সুখী থাকে ও তার কাছ থেকে যেন কখনই কষ্ট না পায়। আর তার মায়াবী আব্বুর বিশ্বাস সে যেন সর্বদা রক্ষা করতে পারে। সে তার আব্বুর সাথে যেন সর্বদা নিজ রক্তর মতো থাকতে পারে ও প্রতিটা জন্মদিনে যেন আব্বুকে wish করে বলতে পারে–“Happy Birthday Abbu.”
(বিঃদ্রুঃ- নমিশা ও তার মায়াবী আব্বুর জন্য দোয়া করবেন সবাই)
Christmas Day এর শুভেচ্ছা সবাইকে……….. ………….( সীমা সারমিন )
১৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নমিশা ও তার মায়াবী আব্বুর জন্য অবশ্যই দোয়া করি ।
তাঁরা যেনো সব সময় ভালো থাকে ।
এমন মেয়ে পেয়ে নমিশার আব্বুও নিশ্চয়ই ধন্য।
নমিশা যখন এমন ভাবে আব্বু ডাকতে চাচ্ছে , তাতে বাঁধা দেয়া উচিৎ না ।
ডাকুক নমিশা আব্বু বলে —
আবেগ দিয়ে লেখাটি ভালো লেগেছে খুব।
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
ধন্যবাদ আপনাকে………।।
নমিশা এমন আব্বু পেয়ে অনেক খুশি 🙂
লীলাবতী
নমিশা ও তাঁর মায়াবি আব্বুর জন্য অনেক দোয়া । এমন মেয়েকে আব্বু না ডাকতে দেয়া অন্যায়। শুভ জন্মদিন নমিশার আব্বু -{@
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
ধন্যবাদ আপু আপনাকে অনেক 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তাদেরকে দোয়া ও শুভেচ্ছা ।
ঘুমে- জাগরণে ভাল থাকুক তারা ।
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
ঘুমে- জাগরণে ভাল থাকুক তারা…………
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
মা মাটি দেশ
নমিশার আবদার আব্বু ডাকটা সত্যি এর মর্মার্থ আর্কষনীয় আদুরী। (y) ভাল হয়েছে
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
আব্বু বাবা দুইটি ডাকই অনেক আদুরে কিন্তু নমিশা চায় না নিজরক্ত বলে আব্বু আর নিজ রক্ত নয় বলে বাবা ডাকতে…………।।
দুজনকেই সে নিজের অস্তিত্ব ভাবতে চায় তাই দুজনকেই একই ডাকে ডাকতে চায়………
ঠিক সেভাবে দেখতে চায় যেভাবে একজন মা তার দুই ছেলের মাঝে ভেদাভেদ না করে একই সমান ভালবাসে।
ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
খসড়া
ভাল লাগল। আব্বুরাও মায়াবী হয়। খুব মমতা দিয়ে লেখা।
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
আব্বুরা তো সবসময়ই মায়াবী হয়………… যখন ভালবেসে মা বলে ডাকে তখন মনে হয় নিজ পেটের সদ্য ডাকতে শেখা ছেলে মা বলে ডাকছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
জন্মদিনে নমিশার আব্বুর জন্য নিশ্চয়ই এটা সেরা উপহার..
এমন একটা মিস্টি মেয়ে পেয়ে ধন্য হলো নমিশার আব্বু.
অনেক ভালো লাগা লেখাতে.. -{@
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক…………।
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
নমিশার জন্য দোয়া করবেন সবাই, সে যেন সবসময় এমন মন মানসিকতা নিয়েই সারা জীবন থাকতে পারে ও সবসময় তার দায়িত্ব সুন্দর ভাবে কারো মনে কষ্ট না দিয়ে পালন করতে পারে।