এক মাস পরঃ
ঢাকার আকাশে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট যখন ল্যান্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন নদী পাশের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো, ঢাকায় এখন রাত একটা, আলো ঝিলমিল করছে ঢাকার আকাশ।
নদীর মনটা আজ খুশিতে ভরে রয়েছে, বাবা, মা, ভাইকে দেখবে সে প্রায় দুই বছর পর, সে আশায় ছেড়ে দিয়েছিলো সবাইকে দেখার, রনির অত্যাচারের মাত্রা দেখেই সে বুঝে গিয়েছিলো যে তার আর দেশে ফেরা হবেনা।
নাবিলা পাশের সিট থেকে উঠে এসে নদীর পাশ দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো নিচে কি আছে, নদী নাবিলাকে কোলে তুলে বাইরে দেখার সুবিধার জন্য।
আন্টি, ইজ দিস ঢাকা?
হাঁ মামনি, আমরা এখন নামছি ঢাকায়।
ম্যাম, প্লিজ বাচ্চাকে সিটে বসিয়ে সিটবেল্ট বেধে দিয়ে নিজেও বেধে নিন, আমি কি হেল্প করবো, এয়ার হোস্টেস এসে বললো।
না দরকার নেই, ধন্যবাদ আমি নিজে করছি।
এয়ার হোস্টেসস চলে গেলে নদী নাবিলার সিটবেল্ট বেধে দিয়ে নিজেও বেধে নিয়ে জীবনের দিকে তাকালো, জীবন অপর পাশের সিটে বসে নদীদের দেখছিলো, ইশারায় জিজ্ঞেস করলো, সব ঠিক আছে?
নদী মাথা নাড়িয়ে হাঁ সূচক জবাব দিলো।
এরোপ্লেন মাঠিতে স্পর্শ করতেই, নদীর ভিতর থেকে বড় একটা নিশ্বাস বেড়িয়ে এলো।
ওদের ফ্লাইট যখন বোর্ডিং গেইটে এবং সবাই এক এক করে নামছে, জীবনও নদী আর মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো।
তিনজনেরই ব্রিটিশ পাসপোর্ট থাকাতে, এম্বারকেশন করতে বেশিক্ষণ লাগলোনা, এরপর অপেক্ষার পালা, ওদের লাগেজের জন্য, ওরা,তিনটা ছোট বড় লাগেজ এনেছে আর তা,আসতে আসতে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মতো লাগলো।
জীবনরা লাগেজ নিয়ে বাইরে এসে দেখে, মিনা নিজেই এসেছে ভাইকে নিতে, জীবনকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।
কেমন আছো ভাইয়া?
ভালো, তুই কেমন আছিস, এতো রাত্রে তুই কেনো এসেছিস?
ভাইয়া আমি একা না, ছোট ভাইয়াও এসেছে, পার্কিংয়ে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে, ফোন দিয়েছি, এখনই এসে পড়বে, আরেহ এইটা কে, এইটা কে, আমার ছোট মা নাকি, বলতে বলতে নাবিলার দিকে এগুলো আর তা দেখে নাবিলা নদীর কাপড় চেপে ধরে পিছিয়ে গেল, কারণ নাবিলা জম্মের পর এই দেশে প্রথম এসেছে, মিনাকে চিনেনা সে।
সুইট হার্ট, ও তোমার ছোট আন্টি, আমার ছোট বোন।
মিনা এগিয়ে গিয়ে নাবিলাকে কোলে তুলে নিলেও নাবিলা কিন্তু নদীর দিকে তাকিয়ে রইল, সাহায্যের আশায় আর তা দেখে মিনা প্রশ্নসূচক চোখে নদীর দিকে তাকিয়ে জীবনকে বললো, ভাইয়া উনাকে তো চিনতে পারলাম না।
আয় পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি, ও হলো নদী, আর নদী আমার ছোট বোন মিনা।
হাই মিনা, নদী হেসে হাত এগিয়ে দিলো।
হাই, আসলে আপনাকে আগে দেখিনি তো, মিনাও হাত এগিয়ে দিতে দিতে বললো।
ছোট ভাই অনিককে এগিয়ে আসতে দেখে জীবনও এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।
কেমন আছিস তুই?
হাঁ ভালো, তুমি ভালো তো?
হুম ভালো।
চলো ভাইয়া ঐ সামনের মাইক্রোবাসটা নিয়ে এসেছি, তোমরা এগোও, আমি লাগেজ গুলো নিচ্ছি।
জীবন সবাইকে নিয়ে এগিয়ে গেলো মাইক্রোবাসের দিকে।
গাড়ী ছুটে চলেছে, জীবন সামনেই বসেছে, ড্রাইভারকে বললো, প্রথমে বসুন্ধরাই যাও।
জি স্যার, ড্রাইভার জবাবে বললো।
ভাইয়া বসুন্ধরায় কেন, অনিক জিজ্ঞেস করলো।
নদীর সাথে তোর তো পরিচয় করিয়ে দিইনি, নদী, ও আমার ছোট ভাই অনিক, অনিক সালাম দিলো নদীকে।
উনার বাসা বসুন্ধরায়।
ও আচ্ছা, ছোটো করে জবাব দিলো অনিক।
নদীদের বাসার সামনে যখন গাড়ী এসে থামলো, তখন অনিকের বয়সী একটা ছেলেকে তাড়াহুড়া করে আসতে দেখা গেল, জীবন গাড়ী থেকে নেমে পিছনের দরজা খুলে ধরলে নদী নেমে এসে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো, নদীর পিছে পিছে নাবিলাও নেমে এসেছে, নদীর কান্না দেখে নাবিলা ভয় পেয়ে নদীর ওড়না ধরে টানতে লাগলো, ওড়নায় টান পড়াতে কান্নারত নদী পিছন ফিরে দেখলো, নাবিলাকে দেখে তাড়াতাড়ি চোখ মুছে জিজ্ঞেস করলো, মামনি কি হয়েছে?
তুমি কাঁদছো?
অনেকদিন পরে এসেছি তো, তাই কাঁদছি মা, এ তোমার মামা, ভাইয়ের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালো নদী।
নদীর ভাই এগিয়ে এসে নাবিলার দিকে হাত বাড়ালে, নাবিলাও হাত দুইটা বাড়িয়ে দিলো, নদীর ভাই নাবিলাকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে লাগলো।
জীবন, এ হলো আমার ভাই সাগর।
জীবন এগিয়ে গিয়ে হ্যান্ডসেইক করলো।
ভাইয়া ভিতরে আসুন প্লিজ।
না না, আজ অনেক রাত হয়ে গেছে, অন্য সময় আসবো, নদী আমরা আসি?
প্লিজ ভিতরে আসুন, বাবা মার সাথে দেখা করে যান, নদী বলতে বলতে নদীর বাবা মা দুজনেই বাইরে এসে পড়লে, নদী দুজনকে কদমবুচি করে জীবনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
বাবা ভিতরে আসো, নদীর বাবা বললেন।
চাচা আজ আর নয়, অন্য একদিন আসবো।
নদীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জীবন মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, বেবি চলো।
না, তুমি যাও, আমি আন্টির সাথে থাকবো।
বেবি, আন্টির কাছে আমরা পরে আসবো, আজ আমরা দাদুর কাছে যাবো, জীবন বুঝিয়ে সুঝিয়ে নাবিলাকে নিয়ে গাড়ীতে চেপে বসলে গাড়ী ছেড়ে দিলো।
গাড়ী দূরে মিলিয়ে গেলে সাগর বললো, আপু, ভাইয়া খুব হ্যান্ডসাম না?
নদী মিষ্টি হেসে বললো, চল ভিতরে চল, মা তুমি কেমন আছো?
আছি মোটামুটি, বাসার গেইটের উদ্দেশ্যে যেতে যেতে বললো নদীর মা, এই ছেলেটার বাসাতেই তুই থাকিস?
হাঁ।
ঐ দিকে মিনা জীবনকে জিজ্ঞেস করলো নদী সম্পর্কে।
আমার পরিচিত বলে জীবন এড়িয়ে যেতে চাইলো নদীর বিষয়টা।
ভাইয়া, উনি কিন্তু খুবই সুন্দর।
তাই?
হাঁ ভাইয়া, তা উনি কি বিবাহিতা?
না ডিভোর্সড।
তাই, নাবিলা দেখছি উনার নেওটা।
হুম।
মিনা নাবিলাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল, ওকে আদর করছে, গল্প করছে আর নাবিলাও আসতে আসতে সহজ হতে লাগলো মিনার সাথে।
জীবনদের বাসা ধানমন্ডিতে, যখন ওরা পোঁছাল তখন রাত প্রায় তিনটা।
জীবনের মা জেগেই ছিলেন, উনি নিজেই ছেলেকে গাড়ী বারান্দা থেকে রিসিভ করলেন।
আয় বাবা আয়, জড়িয়ে ধরে কপালে এক চুমু খেলেন, অনিক ঘুমন্ত নাবিলাকে কোলে করে নামিয়ে নিলো দেখে জীবনের মা বললেন, এইটাই কি আমার বুড়ি, বলেই মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়ে গালে চুমু খেলেন।
আয় ভাবা আয়, ভিতরে আয়।
জীবন সহ সবাই এসে ড্রয়িং রুমে এসে বসলে কাজের লোক এসে পানি দিয়ে গেল।
মা তুমি কেমন আছো?
এই আছি বাবা কোনো রকমে, প্রেশার বাড়তি, সাথে ডায়াবেটিস, সব সময় ভালো থাকিনা।
জীবন এসেছে শুনে অন্য ভাই আর তাদের বউরা এসে জীবনকে সালাম করতে লাগলো, জীবনরা চার ভাই, তিন বোন, দুই বোন শশুর বাড়ী থাকে, ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়টার বিয়েতে ও ছিলো, বাকিটার বিয়েতে ও ছিলোনা, বোন বড়টার বিয়ে বাবা দিয়েছিলো, মেজটার বিয়েতেও ও ছিলোনা।
ভাইয়া, টেবিলে খাবার দিচ্ছি, আপনি ফ্রেস হয়ে নিন, মেঝো বউ বললো।
না না, এখন কষ্ট করোনা, সকালে খাবো।
না ভাইয়া সব রেডি আছে, আপনি ফ্রেস হয়ে আসুন।
যা বাবা তুই কাপড় চোপড় ছেড়ে মুখ হাত ধুয়েনে, অনিক তুই ভাইয়াকে উপরে নিয়ে যা, জীবনের মা বললেন।
অনিক জীবনকে নিয়ে উপরে চলে গেলো জীবনের রুমে, মিনা নাবিলাকে নিয়ে নিজ রুমে গেলো শুয়ে দিতে।
নদী খেতে আয়, নদীর মা হাক দিলেন।
নদী মুখ হাত ধুয়ে নিয়ে এসে খেতে বসলো, নদীর মা ভাত বেড়ে দিয়ে পাতে মুরগী আর সবজি দিলেন।
তা মা, ছেলেটা দেখতে শুনতে ভালোই লাগলো, নদীর বাবা বললেন।
ঐ ছেলেটা ভালো মন্দ দিয়ে তুমি কি করবে, ঝাড়ি দিলেন নদীর মা, নদীর যা সর্বনাশ হয়েছে ওর কারণেই হয়েছে।
মা তুমি এইসব কি বলছো, নদী বলে উঠলো।
খবরদার, আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলবিনা, আমি বাচ্চা না যে তুই আমাকে কথা শিখাবি, ওই তোকে প্ররোচিত করেছে রনির বিরুদ্ধে যেতে, আমি সব বুঝি।
নদী আধ খাওয়া থেকে উঠে বেসিনে হাত ধুয়ে রুমে চলে গেলো।
এই এই কই যাস, খাওয়া ছেড়ে উঠলি কেন, নদীর মা রেগে মেগে চিৎকার। করে উঠলেন।
আহা মেয়েটা ঘরে পা দিতে পারলোনা আর তুমি এইসব শুরু করে দিয়েছো, নদীর বাবা হাহাকার করে উঠলেন।
তুমি চুপ করো, তুমি কি বুঝো এইসবের?
মা তুমি আপুর সাথে এমন করতে পারোনা।
এই একদম চুপ, চড়াইয়ে সব দাঁত ফেলে দেবো।
একটু পর নদী রুম থেকে বেড়িয়ে এলো, সাথে মোটা একটা ফাইল, টেবিলে ছুড়ে দিয়ে বললো, তুমি তো ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছো, পড়ে দেখো, ফাইলে পুলিশের রিপোর্ট, কোর্টের রায়, হাসপাতালের রিপোর্ট সব আছে, এরপরেও যদি তোমার মনে সন্দেহ থাকে, আমি কালই চলে যাবো।
…………চলবে।
ছবিঃ Google.
২৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
১ম আজ মন্তব্য করলাম। অনেকদিন পর মিলত আনন্দ মহা খুশির কথা। কিন্তু নদীর মা কি রনির কাছ থেকে টাকার পাগল হলো,
দারুন ভাললাগা রইল।
পরের পর্বের আশায় থাকলাম।
ইঞ্জা
পুরোনো ধ্যান ধারণার মানুষরা শুধু নিজেরটা বুঝে, নদীর মাও তেমন ধরণের।
ব্লগার সজীব
আর একটি উপন্যাস সম গল্প পেতে যাচ্ছি আমরা। খুব ভাল লাগছে পড়ে। ভাইয়া এটি গল্প না লিখে উপন্যাস লিখলেই মনে ভাল হয়। গল্প কি এত বড় হয়? এতো আজকালকার উপন্যাসের চেয়েও বড় হয়ে যাচ্ছে 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, গল্পটা বেশি বড় হয়ে গেছে বুঝতে পারছি কিন্তু আমার আগের গল্পের (ভালোবাসি তোমায়) মতো বড় হবেনা এই গল্প, এই শেষ হলোই বলে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দেশী পর্ব-তো শুরুতেই জমে উঠল।
চলুক।
ইঞ্জা
হ আপনি প্যাচপুছ চাইলেন বলেই তো যুদ্ধ লাগালাম ভাইজান। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাল করে লাগাবেন, অল্পেতে না ছুটে যায়।
ইঞ্জা
আর কতো ভাইজান, নদীও মানুষ তো। ^:^
নীহারিকা
বাহ দেশে চলে এসেছে ওরা। আরে, নদীর বাসা বসুন্ধরায় নাকি? একদিন দেখা করে আসবো ভাবছি। 🙂
ইঞ্জা
আরে হাঁ, দাদী আমার ওহানেই থাহে তো, তাহলে তো দাদীজানরে নদীর লগে দেহা করায় দিতে হয়, দাদী লগে মিষ্টি লইয়া যাইতে হপে কিন্তু। 😀
নীহারিকা
মিষ্টি, ফল, সব নিয়াই যাবো 🙂
ইঞ্জা
লগে চক্কেত আইসক্রিম। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ নদীর মা, অসহ্য!
কিন্তু এইবারে কি হবে, সেটাই ভাবছি! ;?
ইঞ্জা
সব সময় যা হয়, তাই হবে আপু।
নদীরা সামাজিকতার চাপে পড়ে নিষ্পেষিত হয় কিন্তু……….
নীলাঞ্জনা নীলা
কিন্তু…
তার মানে… 😀
আন্দাজ করছি পজিটিভ। 🙂
ইঞ্জা
আপনি আন্দাজ করে ফেলেন বলেই তো বিপদে পড়ে গল্পের ধারা বদলিয়ে ফেলি, কিন্তু এইবার আর না। \|/
মিষ্টি জিন
দেখি কি হয় দেশে এসে নদীর।
নদীর মা একটু বেশী কেমন কেমন যেন। এতদিন পর মেয়েটা এল, ঐসব কথা পরেও বলা যেত। যাক,ভাল হচ্ছে সিরিজ গুলো।
ইঞ্জা
আমিও ভাবছি আপু, নদীর মা কেমন কেমন যেন করছে, আগামী পর্বে বুঝতে পারবো কেন কি করছে, ধন্যবাদ আপু।
শুন্য শুন্যালয়
এদ্দিন পরে আসলো আর এসব কী ^:^
অপেক্ষা করি পরের পর্বের। ইয়ে ভাইয়া নায়িকারা সবসময় এতো সুন্দর হয় ক্যান? আমাদের মতো পঁচাদের নিয়া কেউ লেখেনা ;(
ইঞ্জা
আপু মেয়েরা সব জায়গাতেই নিসপেষিত হয়।
আরে কি যে বলেননা, আপনি যে কতো সুন্দর তা কি কেউ বলেনা, আপু সত্যি বলছি, আপনি খুব খুব সুন্দর। 😀
জিসান শা ইকরাম
চলুক ধারাবাহিক ভাবে।
পড়ছি আর পড়ছি
ভাল হচ্ছে (y)
ইঞ্জা
অনুপ্রেরিত হলাম ভাইজান, ধন্যবাদ অনিঃশেষ।
ইকরাম মাহমুদ
বাংলা সিনেমার মায়া হাজারিকার চরিত্রটি চোখে ভেসে উঠলো নদীর মা এর কথাবার্তায়।
যদিও চরিত্র রূপায়ণটা আমারই। গল্পের চরিত্রগুলোকে কাল্পনিক এবং নতুন কোনো রূপ দেওয়ার আগে পরিচিত রূপই চোখে ভাসে আগে।
এগিয়ে যান ভাইয়া। পরবর্তীর অপেক্ষায়।
ইঞ্জা
খারাপ রুপায়ন করেননি ভাই, আমরা যখন গল্প লিখি বা পড়ি, তখন নিজ মনেই এর ছবি এঁকে যায়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নীরা সাদীয়া
মায়েরা সাধারনত এমন হয় না, তবু নদীর মা কেন যে বুঝতে চাইছে না। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। বেশ ভাল লাগছে। চলতে থাকুক।
ইঞ্জা
আপু, কিছু মা আছেন যারা মেয়েদেরকে নিয়ে বেশি উৎকণ্ঠায় থাকেন আর এতেই জীবনের চরম ভুল গুলো করে ফেলেন।