ধূসর পান্ডুলিপি আর খুচরা পদাবলিতে সে বিরহের কথা আজ আর লেখা হয় না।
তুমি গঙ্গার বয়ে চলা স্রোতকে আজও অনুভব করতে পারো নি তাহলে কেমন করে প্রেমিক হবে?
তুমি একবারও নিশিযাপন করে অনুভব করো নি অপরাজিতার গন্ধ।
শূন্যের মাঝে তোমার ছায়াচিত্র দিয়ে যে আল্পনা আঁকা সেটা আজ অশোকের ফুলে ডাকা।
ভিজে যাওয়া বর্ষার পত্রবৃন্তের নির্যাসকে অনুভব করো।
একবার ভাবনায় রূপ দাও।
আমি তোমার কল্পনায় পূর্ণতা এনে দেব।
একবার আমায় অক্ষিপটে রাখো।
তোমার অশ্রু আগমনী পথ আমি রুদ্ধ করে দেবো।
এ ভরা বর্ষায় পিপাসিত পাহাড়ের ধারিত ঝর্ণা হও। আমি সবুজাভ পাহাড়ের দ্বীপ হবো।
তোমাকে চাইতে গিয়ে যদি নীলাকাশের বুকে
মেঘমালা ভিড় করে তবুও জন্মজন্মান্তর ভরে আগলে রাখব তোমায়।
কখনো যদি হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে,
তবে শেষবেলায় তোমার স্মৃতিটুকু রেখে যেও।
যেমন করে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি একিভাবে গোছানো থাকে মরসুমি ভরা খামে।
আমি তোমার স্মৃতিটুকু রাখতে চাই হৃদমন্দিরে।
মুঠোভর্তি প্রেম হাজার বছর দিতে গিয়েও পারিনি দিতে। তোমাতে হয়েছি আমি নষ্ট নভোচারী।
নাও নি তুমি আপন করে আপনার বাহুডোরে।
তবুও সহিয়েছি সকল দুঃখ একাগ্রচিত্তে।
এতো বাতাস বহিছে,
এতো প্রেম হাওয়ায় উড়িছে।
এতো ধূলা লাগিয়াছে গায়ে,
এতো মরসুম আসে কার্নিশ বেয়ে।
জারুলের গাঁ বেয়ে সেই কবে বর্ষা এলো দুয়ারে দুয়ারে,
আমি যে আজও তোমার প্রতিক্ষায় চেয়ে থাকি চীনেরপ্রাচীরে প্রাচীরে।
আমি যে তোমাতে আজও সমর্পিত
তুমি তো তা জানো না প্রিয়।
..

ছবি: সংগৃহীত।

৯৬৯জন ৮৬৫জন
0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ