এই যে হাঁটা পথের পথ ধরে চলছি, চলছি হেঁটে হেঁটে,
ফেরা হবে না আর, ঐ ফেলে আসা ফেলে যাওয়া পথে,
থেকে যাবে স্পর্শের বাইরে সুখসুখ সুখগুলো,
দুঃখ জাগানিয়া স্মৃতির মেলা;
চরৈবেতি-চরৈবেতি।
ঠোঁটফোলা মেঘাকাশের নূপুর বৃষ্টি, জ্যোৎস্না ছোঁয়া ঝিকিমিকি কাচজল,
পাথুরে প্রেমের হু-হু দমকা হাওয়া, ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে উড়ে যাওয়া সোনালী স্বপ্ন,
সাঁজ গড়ানো রাতের লৌকিক-অলৌকিক-ভৌতিক নিঃশ্বাসে নুইয়ে পড়া বিধ্বস্ত শরীর,
মুক্ত হয়ে নেয়া হবে না বুকে টেনে বারান্দার মিষ্টি মিষ্টি সুবাতাস;
দুধজ্যোৎস্নায় হেসে ফেলা লাজনম্র ঝলমলে কুমারী চাঁদ
ধুপঘ্রাণের জেদ নিয়ে অপেক্ষায় দাঁড়াবে,
২৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কেন যে এমন কবিতা লেখেন! হু হু তো ভেতর অব্দি করে উঠলো। এতকিছু ভাবিনা, ফিরে আসি নাই-বা আসি, যতক্ষন হাঁটছি সবটুকু চেটেপুটে নেবো। ধুপঘ্রাণের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হতে হতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক, কুমারী চাঁদের বিবাহ, বাচ্চাকাচ্চা পুরো সংসার জীবন দেখেই তবে যাবো।
চরৈবেতি শব্দের অর্থ বলে দিন। এখন থেকে যতো বেশি ভালো লিখবেন ততো বেশি মাইনাস দেব।
ছাইরাছ হেলাল
আগে বলবেন না! আর নয় হু হু, এবার থেকে হি হি।
আচ্ছা, হু হু টি বুঝিয়ে দিলেও পারতেন!
আপনি অমিত শক্তিধর (মূলে কিছু না) আপনার দ্বারা অনেক কিছুই সম্ভব!
এর মধ্যে কুমারী চাঁদের সাথে লাইন পাক্কা!
চরৈবেতি—- অনবরত চলা,
যতখুশি মাইনাস দেন অসুবিধা নেই, ভাল লিখি বললেই হবে (বানিয়ে-ছানিয়ে)।
রাসেল হাসান
বাহ, অসাধারন! খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
যে পথে হেঁটে যাই ফেরা হয়না সেপথে আর সেভাবে। অনেক ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই ফেলে আসা পথে চাইলেও ফিরতে পারি না।
এটাই যেন প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম।
রিমি রুম্মান
এই যে হাঁটা পথের পথ ধরে চলছি, চলছি হেঁটে হেঁটে,
ফেরা হবে না আর, ঐ ফেলে আসা ফেলে যাওয়া পথে,__ শুরুটা বেশ ছুঁয়ে গেলো ,…
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগল,
ধন্যবাদ,
মিষ্টি জিন
হাঁটা পথের পথ ধরে চলছি , চলছি তো চলছিই
ক্লান্তি বা অবসাদ যাই আসুক না কেন চলার আর শেষ নেই।
মন ছুয়ে গেল।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে চলার নাম ই জীবন, এ চলায় কোন কিছুর তোয়াক্কা চলে না,
আনন্দ-বেদনা ঝড়-ঝঞ্ঝা সব কিছু ঠেলেই আমরা চলি, এভাবেই পৌঁছাই না ফেরায়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চেনা পথে হেটেই চলছি ফেরা আর হবে না -{@ তবে ফের
দুধজ্যোৎস্নায় হেসে ফেলা লাজনম্র ঝলমলে কুমারী চাঁদ
ধুপঘ্রাণের জেদ নিয়ে অপেক্ষায় দাঁড়াবে,।
ছাইরাছ হেলাল
ফেরা যে হবে না এমন চাঁদের কাছে!
নাজমুস সাকিব রহমান
-{@
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
আবু খায়ের আনিছ
আমিও কি একদিন বুড়ো হয়ে যাবো? আমিও কি স্বৃতির তটে হাতড়ে বেড়াবো সোনালী শৈশবকে। এখনো অব্শ্য খুজিঁ মাঝে মাঝে।
ছাইরাছ হেলাল
সময় সবাইকে ভিন্ন ভাবে ভাবতে বাধ্য করে, আর পিছন ফিরে তাকাতে আমাদের হয় ই,
আবু খায়ের আনিছ
ভাবতেই যেন কেমন লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
কিচ্ছু না, সব ফকফকা!
নীলাঞ্জনা নীলা
কে বলেছে অমন চাঁদ দেখতে পাবেন না? আরে মাত্র ২০৩৪ সাল, দেখতে দেখতে চলে আসবে।
আপনি তো এতোদিনে বুঝে গেছেন, আপনার কুবিতা বোঝার মতো জ্ঞানকে অজ্ঞান করে রেখেছি। কারণ বিষাদ ছোঁয়া নিষাদকে আয়ত্ত্ব করতে চাইনা। 😀
কুবিরাজ ভাই আপনার ভাগ্য ভালো যে আপনার লেখা কুবিতা সকল নিষ্কর। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন শেষে আবার কোমায় চলে না যায়,
৩৪ কোন ব্যাপার না, এখন মাত্র বাও কী তেও!
আহারে কবিদের দেখলে এখনও হেসে ফেলি!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও কুবিদের দেখলে হেসে ফেলি। 😀 :D)
ছাইরাছ হেলাল
ফোকলা দাঁতে হাসি বজায় রাখুন,
নাসির সারওয়ার
ফেরা হবে না আর!! আরে নাহ, মোটেই সত্যি নয়। ফেরা হয়, হয়তো পাখি অথবা ভুত হয়ে। তবে তাহারা পিছনের রাস্তা মনে রাখে কিনা তা জানিনা।
আরো সহজ হোক আপনার লেখা যেন একসময় আমিও তা বুজতে পারি। এই যেমন চরৈবেতি মানে আমি জানি। হে হে …
ছাইরাছ হেলাল
ব্রহ্মদৈত্য হলে মন্দ হয় না! শুনেছি তাদের নাকি ম্যালা সুবিধা!
আপনি কুবি মানুষ সব না বুঝলে জাতি কৈ যাইবে!
চরৈবেতি এর মানে জানেন! ইস, আমি এখনও জানতে পারলাম না,
অরুনি মায়া অনু
যে একমুখী রাস্তায় হাটে জীবন জানি পিছনে ফেরা হয়না। ফিরে আসেনা হারানো দু:খ সুখের স্মৃতি মুহূর্তগুলো। চলার পথের সোনালি স্বপ্ন, হয়ত ধরা দেবে নতুন রূপে।
নূপুর বৃষ্টি নাইবা হল, রিনিঝিনি কাচ বৃষ্টি মন্দ কিসে। জোছনা ছোঁয়া ঝিকিমিকি কাচজল নাইবা পেলাম, বয়ে চলা রৌদ্র রাঙা ঝলমলে স্রোত মন্দ কিসে।
প্রেমের হাওয়ায় ঘুড়ি হয়ে নাইবা উড়লাম, পাখি হয়ে ভেসে বেড়াতে দু:খ কিসে।
সময় পেরিয়েও সেই বারান্দা, ক্লান্ত শরীর, মিষ্টি সুবাতাস নতুন সাজে এলে আফসোস কিসে। কুমারী চাঁদের একজনমের অপেক্ষা যদি নাইবা ফুরায়, কষ্ট কি তাতে।
আমরা সবাই একই পথের পথিক। যে পথে শুধু সমুখে এগিয়ে যাওয়াই যায় পিছনের দ্বার রুদ্ধ।
খুব সুন্দর বেদনাদায়ক অনুভূতি কবির।
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্ন ধরা দিক বা না দিক সময়ের ধারা পথিক কে সামনে নিয়েই যাবে।
সুখ বা দুঃখের হিসাব! তাও অকার্যকর, কারও অপেক্ষাও অতি অপ্রয়োজনীয়,
হ্যা, আপনি ঠিক বলেছেন, বেদনার উৎস থেকেই এ লেখা এসেছে,
ধন্যবাদ,
জিসান শা ইকরাম
কেমন একটা বক্তৃতার মত মনে হল লেখাটি,
বক্তৃতা আবৃত্তি বা আবৃত্তির বক্তৃতা জীবনকে নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু একটা হলেই হলো!
জীবনের কঠিন উপলব্ধি তা যে ভাবেই উপস্থাপিত হোক না কেন।