4.
বুধবার আরিফ সাহেব গেলেন মার্কেটে কেনাকাটার জন্য । কিছুক্ষন পর দেখেন মার্কেটে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়েছে । খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন হিজড়ারা চাদা তুলছে । এক হিজড়ার তাঁর দিকে চোখ পরল , সে চাদা চাইল । আরিফ সাহেব খুবি কৃপণ মানুষ । তিনি চাদা দিলেন না । হিজড়ার মুখে হাসি দেখা গেলো । তিনি আরিফ সাহেবের জিপার ধরে টান দিলেন । আশেপাশের মানুষজন হাসতে হাসতে বিষম খেল । আরিফ সাহেব ভয়ে দিলেন দৌড় বাসায় । বাসায় ঢুকতেই দেখেন তাঁর মেয়ে নাফিজাকে । গম্ভীর গলায় তিনি মেয়েকে উপদেশ দিলেন , মা যখনই হিজড়াকে দেখবে তখনি দাঁড়িয়ে তাদের সম্মান জানাবে । বাবার এই উপদেশ মনে রাখবে ।
তাঁর মেয়ে নাফিজা জোর গলায় বলল “ ইয়েস! স্যার ”
৫।
আরিফ সাহেবের গ্রাম্য এক আত্মীয় ঢাকায় এসে কি কারনে পুলিশের খপ্পরে পরেছেন ।
সেই আত্মীয়কে তিনি দেখতে যাবেন । ( ঠ্যাকা ছাড়া কেউ পুলিশের পথ মাড়ায়না ) গাড়িতে উঠে সোজা থানার সামনে গেলেন ।
এদিকে তাঁর গাড়িতে হ্যান্ডকাফ ঝুলানো ছিল । তিনি ওসিকে ফোন দিয়ে বললেন , তিনি থানার সামনে । ওসি বললেন ,আমিতো এখনো থানায় আসিনি ,আপনি অপেক্ষা করুন ।
এই অপেক্ষায় হল আরিফ সাহেবের জন্য কাল । তিনি হ্যান্ডকাফ হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন । হাতের ভেতরে হ্যান্ডকাফ ঢুকালেন । তালা মারলেন । কিছুক্ষন এভাবে বসে রইলেন । এই অবস্থায় থানার ওসিকে ফোন দিয়ে বললেন , ভাই আপনি এসেছেন ?
ওসি বলল , হে এসেছি , আপনি আসুন
যখনই আরিফ সাহেব বের হতে গেলেন , তখনি দেখলেন হ্যান্ডকাফ খুলতে পারছেন না ।
তিনি তাঁর বউ কুসুমকে ফোন দিয়ে বললেন ,
হ্যান্ডকাফ এর চাবি খুঁজে পাচ্ছিনা । কই সেটা ?
তাঁরবউ বলল , ঐ জিনিস আমার চোখের বিষ , ফেলে দিসি মনে হয়
আরিফ সাহেব বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিলেন । পরলেন মহাফ্যাসাদে ।
খুলতে পারছেন না হাত বন্ধ । ওসির সামনে যাবেন কীভাবে ?
এদিকে ওসি উনাকে ফোন দিলেন , ভাই আপনি কই ?
আরিফ সাহেব বললেন , পারকিং এখানে স্যার , আপনি একটু আসবেন ?
ওসি বলল ,আমি ঝামেলায় আছি । আচ্ছা – একজন কনস্টেবলকে পাঠাচ্ছি
সেই কনস্টেবল ছিল ফাজিলের গ্র্যান্ডমাস্টারদের একজন ।
হ্যান্ডকাফ পরা দ্যাখে আরিফ সাহেবকে তিনি তাঁর কোন কথা না শুনে আসামি পালাচ্ছিল অপবাদ দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিলেন । ঢুকাবি তো ঢুকা – ছাগু বলে ট্যাগ দিয়ে দিলেন ।
( আগামীকাল শেষ পর্ব দিয়ে দেবো ।যারা পরছেন তাঁদের অনেক ধন্যবাদ , আর যারা পরছেন না তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ )
৭টি মন্তব্য
নীলকন্ঠ জয়
মন্তব্য করবো শেষ পর্বে। আপাতত পড়লাম শুধু। -{@
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা
বিরাম্বনাময় দিন একটি 🙂
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
হিজড়ারা জিপার ধরে টান দিল। \|/ \|/
লীলাবতী
হাসতেই আছি শুধু :D)
খসড়া
:D)
শুন্য শুন্যালয়
আহারে বেচারা আরিফ সাহেব.. এভাবেই একজন শেষ পর্যন্ত ছাগু হয়ে যায়.. 😀
মা মাটি দেশ
পড়বেনা আবার !সবাই পড়ে শুধু মন্তবে অলস।লাইক থাকলে মন্তব্য মনে হয় লিখত না কেউ।অনেক ভাল লাগছে শেষ পর্বে কিছু বলতেচাই। 🙁