জীবনের খরতাপ (শেষ পর্ব)

আজিম ১৬ আগস্ট ২০১৪, শনিবার, ০১:১৭:৫০অপরাহ্ন গল্প, সাহিত্য ১৮ মন্তব্য

ঢাকা মেডিক্যালে ডুপ্লেক্স কিছু কোয়ার্টার আছে সাদা রংযের। বাসাগুলি কবে নির্মিত হয়েছে, কেনই বা ডুপ্লেক্স করা হয়েছে, জানা যায়না। তবে বেশ যে পুরোন বাসাগুলো, তা বোঝা যায়। উপরের ঘরগুলোর একটা বেশ বড়, ওটাতে একসাথে থাকেন সঞ্চিতার খালা এবং শাশুড়ি ছয় বাই সাত ফুটের বড় একটা খাটে। আরেকটা রুমে থাকেন সঞ্চিতা।

সঞ্চিতার শাশুড়ি আর খালা এবাসার স্থায়ী বাসিন্দা নন। গ্রামে সারাজীবন কাটানো মানুষজন, বিশেষতঃ একটু বয়ষ্করা গ্রাম ছেড়ে অন্যস্থানে বেশিদিন থাকতে পারেননা। তবে সঞ্চিতার পীড়াপীড়িতে খুব একটা বেশিদিন ওঁরা গ্রামে গিয়ে থাকতেও পারেননা। তবে একজনকে সবসময় থাকতেই হয় সঞ্চিতার সাথে। একা মেয়েটা থাকে কী করে! থাকতেই বা দেন কী করে ওনারা তাকে। অনেক আদরের যে মেয়েটা ওঁদের। নিজেরাই চলে আসেন সময়মতো।

আনিসের আজ মুক্তির দিন। সঞ্চিতা জেলখানায় গেছে আনিসকে আনতে। অনেকদিন পর দেখা হবে ওদের আনিসের সাথে আজ। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ওরা। মমতাজ বেগম ছেলের জন্য ওর পছন্দের রান্না করছেন। যদিও জানেন খুব বেশি কিছু পছন্দের নেই আনিসের। কষ্ট-ই তো করে গেছে ছেলেটা সারাজীবন, পছন্দের খাবার বলতে কিছু নেই-ও ওর। পরম করূনাময় আনিসকে দান করে জীবনটা ওনার একেবারে ভরিয়ে দিয়েছেন। মনে হয়েছে সবই দিয়েছেন খোদা ওনাকে, কিছু নেয়ার নেই ওনার আর খোদার কাছ থেকে। ঝাপসা হয়ে উঠে সময় সময় চোখ দুটো তার।

অপেক্ষার পালা শেষ করে একসময় আনিস এসে পড়েন বাসায়। মমতাজ বেগম অভিভূত হয়ে পড়েন, মুহূর্তেই কত চিন্তা এসে পড়ে তাঁর মাথায়, এই ছেলের মুখেই ‘মা’ ডাক শোনেন তিনি জীবনের প্রথম, জীবনের অনেকগুলো বছর অর্থাৎ আনিসের সৎ বাবার অন্তর্ধানের পর মাত্র সাতবছর বয়সী এই ছেলেই তো কঠিন-কঠোর শ্রম করে মুখে আহার তুলে দিয়েছে তিনটি মানুষের। আবার এই ছেলেই তো বড় হয়ে কোনকিছুর সাথে কোন আপোষ না করে চাকুরী করে তাঁদের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজস্কন্ধে এবং এমনকি দেশের দায়িত্ব–ও তুলে নিতে চায় ও। মনে মনে ভাবেন তিনি, কে ও! মনে হয় অনেক দুরের কেউ, একান্ত আপন হয়েও যাকে তাঁর মনে হয় অনেক দুরের একজন। কোন দায়িত্বের কথাই কেন ভোলেনা ও! শুধু ভোলেনা তা-ই না, দায়িত্বকে একান্ত-ই নিজেরও করে নেয় ও।

ভাবতে ভাবতে কেমন যেন আনমোনা হয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। একদিকে কাত হয়ে পড়ে যেতে থাকেন হয়ত, তখনই আনিসের কাঁধে-বুকে নিজের মাথা এলিয়ে যেতে দেখেন তিনি। সকলের বিভিন্ন প্রশ্নে আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। অনেক যত্ন করে বসিয়ে দেয় সবাই ওকে। আস্তে আস্তে ড্রয়িংরুমের পরিবেশ হাল্কা হয়ে উঠে। মা এবং খালাশাশুড়ির মাঝে বসে আছেন আনিস।

প্রশ্নটা এসেই পড়ে, করেন সঞ্চিতার খালা, জেলখানায় বসে দেশ-সমাজ নিয়ে না লিখলে এতোদিন তোমাকে জেলে থাকতে হোতনা বাবা।

থতমত খেয়ে যান আনিস প্রশ্নের ধাক্কায়, জানেন ইনি-ই ‍সঞ্চিতার খালা, বাবা-মা না থাকায় ইনি-ই সঞ্চিতার সব, এঁর কাছেই যে মানুষ সঞ্চিতা।

ওদিকে প্রশ্ন শুনে রান্নাঘর থেকে ‍সঞ্চিতা এসে পড়েন। প্রশ্নটা করে অপরাধ করে ফেললেন নাকি, এই চিন্তায় পেয়ে বসে তাঁকে। বলে উঠেন, কিছু মনে কোরনা বাবা, তোমাদের, বিশেষত: তোমার কষ্টের কথা মনে করে কথাটা বলে ফেলেছি আমি।

পায়ে হাত দিয়ে ওঁকে সালাম করে ম্লান হাসেন আনিস। কিছু বলেননা। বলবেনই বা কী! জানেন আপনজনেরা এসব বলবেনই। দেশের কাজ করতে হলে এসব কথা উঠবে। পৃথিবীতে যুগে যুগে কত মানুষ দেশের জন্য কাজ করেছেন, অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে গেছেন, মৃত্যুকে করেছেন আলিঙ্গন কত হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ, ভেঙ্গে গেছে তাঁদের সাজানো-গোছানো বাগানের মতো কত সংসার, নেই তার কোন ইয়ত্তা।

না খালা, কিছু মনে করেনি ও, বলে ওঠেন সঞ্চিতা।

আনিসের মা ওর কাঁধ জড়িয়ে ধরে সোফায় গা এলিয়ে বসে আছেন অনেক অনেকক্ষন, কিছু বলেননা তিনি।

দোতলায় সঞ্চিতাদের রুমটা রাস্তার পাশেই, অর্থাৎ এরুমের জানালা দিয়ে বাইরের দিকের মেডিক্যালের পাশ বরাবর চলে যাওয়া রাস্তাটা দেখা যায়। সকালেই ডিউটিতে চলে যান সঞ্চিতা, আনিসের সময়টা কাটে তখন অখন্ড অবসরে। জানালার দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি। কয়দিন থেকে দেখতে পান, জনাকয়েক ছেলে বাসাটার দিকে তাকিয়ে আছে রাস্তার ওপার থেকে। দিনে দিনে ভীড়টা বাড়তে থাকে।

কী চাও তোমরা, একদিন জিজ্ঞেস করে বসেন আনিস।

আমরা ছাত্র, মানে ছাত্রত্ব এখনো শেষ হয়নি আমাদের, আমরা আপনার সম্পর্কে শুনেছি, আপনার সাথে পরিচিত হতে চাই যদি আপনার ইচ্ছা থাকে।

ছেলেগুলোকে ভেতরে আসতে বলেন আনিস এবং নীচের বসার ঘরে বসান ওদের।

ওদের কেউ ঢাকা ইউনিভার্সিটির, কেউ পাশের কলেজের ছাত্র, কেউ আবার ছাত্রত্ব শেষ করে চাকরী নামক সোনার হরিনের সন্ধানে রয়েছে। বলে, আমরা আপনার কথা এক মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি যদিও খুবই কম মিডিয়াতে আপনার সম্পর্কে বলা হয়। আপনি না-কি ইচ্ছে করে কারাবাস করছেন, আমরা শুনেছি, এটার কারন কী জানতে চাই।

দেখ, বলেন আনিস, ইচ্ছে করে কারাবাস যে কেউ করে, এটা আমি মনে করিনা। জেলখানা কোন স্বর্গ নয় যে ওখানে কেউ থাকতে চাইতে পারে। একাকী জীবন ওখানে বড়ই কষ্টের। আর শ্রম করতে হলে তো আরো অমানবিক ওই জীবন।

তবে যে আমরা শুনেছি…

ভুল শুনেছো তোমরা। আমি মূক্ত জীবনেই থাকতে চাই আর সবার মতো, কিন্তু আমাকে মূক্ত করে না দিলে কী করার আছে আমার বলো!

মমতাজ বেগম ছেলেগুলোর জন্য কিছু নাস্তা নিয়ে আসেন। তাঁকে দেখে ছেলেগুলোর মধ্যে একজন বলে, উনি বোধহয় আপনার আম্মা আনিস ভাই!

হাঁ বলতেই ছেলেটি উবু হয়ে উনার পা ছুঁয়ে সালাম করতে উদ্যত হয় এবং সবাইকে বলে, উনাকে সালাম কর, কারন উনাকে সালাম করার ভাগ্য সকলের হয়না। সকলে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে আর ও বলে যায়, উনি আমাদের ”বীরাঙ্গনা মা”; অনেক উপরে স্থান উনার। নিজের জীবন বিজসর্ন দিয়ে হলেও এই মা-র সম্মান রক্ষা করতে আমরা নীতিগতভাবে বাধ্য। ”বীরাঙ্গনা” হয়ে উনারা আমাদের এদেশকে স্বাধীন করেছেন, আমরা তাঁদের কাছে এইভাবে বাঁধা।

মমতাজ বেগমের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছেলেগুলো উনাকে একে একে সালাম করে গেল। চোখের পানি লুকোতে মমতাজ বেগম সরে যাওয়ার উদ্যোগ নিতেই একজন বলে ওঠে, আসেননা মা, আমরা একসাথে কাঁদি।

কান্না তোমাদের আসবেনা বাবা। তোমরাতো এযুগের ছেলে, কীসের দু:খ তোমাদের যে কাঁদবে তোমরা?

অনেক দু:খ আমাদের মা। আমরা বাসায় মুখ দেখাতে পারিনা বলে অতি প্রত্যুষে বেরিয়ে পড়ি বাসা থেকে। বাবা-মা আমাদের অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন অথচ আমরা না পাচ্ছি কোন চাকরী, না পাচ্ছি কোন কাজ। বাবা-মার কোন খেদমতই করতে পারছিনা আমরা। এর চেয়ে বড় দু:খ আর কী হতে পারে মা!

কাঁধে গভীরভাবে হাত দিয়ে ছেলেগুলোর দু:খে সমব্যথী হয়ে উঠেন মা।

আনিসের সাক্ষাৎকার গ্রহনের প্রস্তাব আসে সঞ্চিতার মোবাইলে একদিন। প্রস্তাবকারী একজন অথবা কোন একটি পত্রিকা অথবা প্রিন্ট মিডিয়ার একক কোন সাংবাদিক নন। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিক এবং তাদের বন্ধু-বান্ধব মিলে ১২/১৪ জনের একটি দল সাক্ষাৎকার ঠিক নয়, আলাপ-আলোচনা করতে চান। ঘরোয়া বলে সঞ্চিতার বাসায়ই স্থান নির্ধারন করা হয়।

নির্দ্দিষ্ট দিন ও সময়ে আসেন সকলে। ছুটির দিন বলে সঞ্চিতা উপস্থিত ছিলেন সেদিন। আনিসের মা সামনে আসেননি। ছেলেগুলো সম্মান করবে, তাঁর ভাল লাগেনা এসব।

ছেলেদের একজন বলেন, আমরা আনিস ভাই আপনি কীভাবে অন্তরীন হলেন এবং মূক্তির দিন জেলগেট থেকে আবার গ্রেফতার হলেন জানি। কিন্তু কেন আবার গ্রেফতার হলেন জানিনা; এবিষয়ে যদি কিছু বলেন!

আমিও সুনির্দ্দিষ্টভাবে জানিনা দুই বছর পর মূক্তির দিন কেন আবার আমি গ্রেফতার হলাম। তবে আমি জেলে থেকে লিখালিখি করতাম এবং সেগুলি গোপন থাকতনা, সেই চেষ্টাও ছিলনা আমার। কিছু কিছু লিখা আমি আর খুঁজে পেতামনা। হতে পারে এসবই আমার দ্বিতীয়বারের গ্রেফতারের কারন।

কী লিখতেন আনিস ভাই আপনি?

দেখ আমি ছত্রিশে পড়েছি, তাই তুমি করে বলছি তোমাদের, আশা করি মনে কিছু করবেনা তোমরা। প্রচন্ড সাহসী এক মূক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি, আর তোমরা জান আমার মা-ও একজন বীরাঙ্গনা। স্বাধীনতার এত বছর পর আজও আমাদের জীবনের পারিপার্শ্বিকতায় আসেনি কোন শুদ্ধতা। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের দিকে যদি তাকানো যায়, দেখা যাবে, অতি দ্রুত তারা এগিয়ে গেছে তরতর করে উন্নতির শিখরে। আর আমরা! আমরা পড়ে আছি যেইকার সেই তিমিরেই। তাহলে কেন আমি লিখবনা বল!

আরেকজন বলেন, লিখে আপনি কী করবেন আনিস ভাই?

লিখে কী করব, এটা আমি কী করে বলব বল। বিবেকের তাড়নায় আমি লিখি, লিখে যাই।

এমনকি এটা যদি আপনার জেলে যাওয়ার কারন হয় তবুও আপনি লিখেই যাবেন?

বিবেক তেড়ে নিয়ে বেড়ালে কী করব আমি!

আরে উনি নেতা হবেন..

থামিয়ে দেয় আরেকজন। বলে, আনিস ভাই, আপনি কি রাজনীতি করতে চান ভবিষ্যতে?

দেখ, চলমান রাজনীতি আমি বুঝিনা, করতেও চাইনা সে-রাজনীতি। তবে এদেশের তরুন সমাজসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সম্পর্কে আমার আরো অনেক বেশী জানা দরকার।

মানে! উপহাসের সুরে বলে উঠে আরেকজন।

সেটা পাত্তা না দিয়ে সংক্ষেপে বলেন আনিস, এই, যেমন তাঁরা কী চান, শুদ্ধ রাজনীতি তাঁরা চান কী-না, নাকি চান দেশ যেরকম চলছে সেরকমই চলুক, এসব আরকি।

মানে জেনেশুনে একেবারেই আপনি লাগবেন। অনেকে বলেন আপনি নেলসন ম্যান্ডেলা হবেন, এজন্যই আপনি কারাবাস বেছে নিয়েছেন।

ইচ্ছে করে কারাবাস করা যায় না-কি? আমার জানা নেই ভাই।

আসলে নেতা হওয়ার প্রচন্ড একটা লোভ আপনার মধ্যে রয়েছে…

আর সহ্য হয়না মায়ের, এসে পড়েন তিনি বসার ঘরে সবার সামনে। উত্তাল কন্ঠে বলে উঠেন তিনি, হাঁ, আমার আনিস রাজনীতি করবে, আমার আনিস ওর বাবার মতো এদেশের জন্য প্রয়োজনে জীবন বিলিয়ে দিবে, কারো কিছু বলার আছে? উত্তরের আশায় না থেকে আবার বলে উঠেন, তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও আমার আনিসের কোন অপরাধ তোমরা পাবেনা। ও বেসরকারী একটা চাকরী করেছে বছর দশেক, যেখানে ছিল লক্ষ-কোটি টাকার হাতছানি। কিন্তু কোন লোভে তাকে পেয়ে বসেনি। পদে পদে ছিল সেখানে নারী-বিষয়ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাতছানি, তা-ও হয়নি ও। পথে-ঘাটে বাসে চলতে চলতে যুবক আমার আনিসের পাশের সীটে যদি কোন মেয়ে বসত, যত কষ্টই হোক-না-কেন, উঠে ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেত, যাতে ছোঁয়া না লাগে। একদিন নাইটকোচে একারনে ও সারারাত দাঁড়িয়ে থেকেছে। খুবতো ঠাট্টা করছ তোমরা ওকে, তোমরা-ই বলো শুদ্ধতার রাজনীতি করতে এর চেয়ে আর কী যোগ্যতা লাগে?

তন্ময় হয়ে কথাগুলি শুনছিল সবাই। একটু থেমে মমতাজ বেগম আবার বলে ওঠেন, সচ্চরিত্রের অধিকারী কেউ হলে কেন তাকে তোমরা উপহাস করো বাবারা! জানি তোমরাও অসৎ নও, নতুবা এখানে আসতেনা। তবে.., তবে কেন তোমরা আলাদা হয়ে আছ? জান হয়ত, আমি একজন বীরাঙ্গনা। সেই অধিকারে আমি কী তোমাদের কাছে দাবী করতে পারিনা যে, তোমরা সম্মিলিতভাবে দেশটাকে শুদ্ধ করো!

সরি মা, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। মা থামলে একজন বলে উঠেন। আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই এরকম হয়ে গেছে। কারন আমরা অসুস্থ পরিবেশের মধ্যে বেড়ে উঠছি। অসুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠলে সুস্থতা কীভাবে থাকবে আমাদের মধ্যে মা?

আরেকজন বলেন, আমরা ভাল কাউকে দেখলেই কটাক্ষ করে বসি মা। আমরা এটার জন্য সবোর্তভাবে দায়ী, তা বলবনা, তবে দেশ-সমাজের বিরাজমান যে পরিস্থিতিতে আমরা বেড়ে উঠছি, সেই পরিবেশও অনেকাংশে দায়ী এটার জন্য। সে-পরিবেশটাই আমাদের পরিবতর্ন করতে হবে আসলে।

আপনাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা-ভক্তি করি মা, আমাদের আন্তরিক সশ্রদ্ধ সালাম আপনি গ্রহন করুন। মাথা নুইয়ে কথাগুলি সমর্থন করে যান কথাগুলো সকলে। আরো বলেন মাকে সবাই যে, আমরা আপনার সামনে বলে গেলাম মা যে, আমরা সবোর্তভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব একেকজন শুদ্ধ মানুষ হতে। আমাদের অতি শ্রদ্ধেয় মায়ের প্রতি এ-ই রইলো আমাদের অঙ্গীকার।  (সমাপ্ত)

৬০৮জন ৬০৮জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ