কল্যাণের জন্য এসো, নামাজের জন্য এসো,
ঘুম থেকে নামাজ ভালো,
সু-পরিচিত মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ নিয়মিত নিয়ম করে ডাকে;
আমি ছুটে যাই, শান্ত-প্রশান্ত-প্রশস্ত চিত্তে,
যাই উদভ্রান্তের মত ছুটতে ছুটতে;
আমি যেতে চাই না, যাই না, ঘুমিয়ে থাকি, নির্ঘুম থেকে;
প্রার্থনায় নত হই গভীর থেকে গভীরতম ভাবে,
শ্রেষ্ঠতম নিবেদনে।
আমি আমাতে থাকি-না, প্রার্থনায়-ও না,
ঘুম-নির্ঘুমে-ও না, মঙ্গলে-অমঙ্গলে-ও না,
শুধুই দীনতা-হীনতা অভাব্য-অসভ্যতায়, জানি তা।
দূর সুদূরের আতীব্র ঘ্রাণে হারিয়ে যাই;
বিকাশহীন অস্তিত্বে, সে-ও;
এ কোন্ ষড়যন্ত্রপরায়ণতা!!
২৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি ছুটে যাই ইচ্ছায় / অনিচ্ছায়
” সে ” আছে কি নেই,
মঙ্গলের কামনায় / অমঙ্গলের ভীরুতায়
ছুটে চলি তারই পানে- ক্রমাগত আহ্বানে,
এ চলার সমাপ্তি নেই, নেই বিরক্তি
মন্ত্রমুগ্ধতায় সাড়া-অসাড়ায় ডাকি / ডেকে চলি
” সে ” আছে ,কি নেই
জানতে- বুঝতে- চিনতে- নিরাকার অস্তিত্বে
খুজি ফিরি আপন অস্তিত্বকে।
পঞ্চ ইন্দ্রিয় ছাড়িয়ে ষষ্ট ইন্দ্রিয়ের মগ্নতায় থাকা ভোরের কবিতা এটি মহারাজ। ষড়যন্ত্রের উপস্থিতি পেলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এ মন্তব্যের উত্তর হয় না, দেয়া যায় না,
এই লেখার অনুভূতিটিকে আপনি আসলে ধারণ করে ফেলেছেন।
অদেখার মাঝে নিজেকে দেখা বা এক কথায় নিজেকে নিজে খুঁজে ফেরা।
আর ষড়যন্ত্র মানে চাওয়াকে না-চাওয়ায় ছড়িয়ে পড়াকে বোঝানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্যের উত্তর দেয়া তো কঠিন হয়ে যাচ্ছে!!
বিশেষ বিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথমে দিয়েছিলেন ফুলেল শুভেচ্ছা, আজ বিশেষ2 ধন্যবাদ। এবার আমি শিউর, আপনার কিছু একটা অবশ্যই ঘটেছে। ডলফিনের কাজ হতে পারে। ওটা মনে হয় আপনাকে নব- দ্বীপে নিয়ে কোনো ডাব গাছের উপরে আছড়ে ছুড়ে ফেলেছিলো, তাই আপনি আমাকে একদম চিনতে পারছেন না মহারাজ। কাকে ভেবে কি-সব দিয়েই যাচ্ছেন আপনিই ভালো জানেন।
নতুন লেখা দেখানোর জন্যে আর কতো অপেক্ষা করাবেন কে—জানে 😞
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই কিছু একটা হয়েছে, তা না হলে ধরে ফেলি কি করে!!
আসল কথা হলো বেশি ভালোকে তো বেশি ভালোই বলতে হবে। চেপে না রেখে বলে ফেলি বলে কত কিছুই না শুনতে হয়!
ধরা পড়ে দেলে কি না কী বলে ফেলে সে নিজেও জানে না।
চলুক চলুক, চিঠির প্রতিযোগিতা এলো বলে , ভাল করে শান দিতে থাকুন।
আর কোন অপেক্ষা নেই, পাবেন পাবেন।
তৌহিদ
বিবেক জাগানিয়া একখানা কবিতা দিয়ে মনকে নাড়া দিলেন ভাইসাব। ফজরের সময় যেন ইবলিস এসে ভর করে। অথচ ঘুম হতে নামাজ উত্তম।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, ইবলিসের তো কাজ করেই বাঁচতে হয়!! সেও তো তার দায়িত্ব পালন করছে মাত্র।
অবশ্যই মানুষ-ই জয়লাভ করবে।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ভোরের আজানে মনে একটি অত্যন্ত সুন্দর অনুভুতির জন্ম দেয়,
ভোর প্রকাশে এই উপমাহাদেশে আজানকেই বেঁছে নেয়া হয়, এমনকি মুসলিম সংখ্যালঘু ভারতেও।
অনেকেই আমরা দোদুল্যমানতায় ভুগি আজানের পরে নামাজে যাবো কি যাবো না, অনেক সময় জেগে থেকেও যাওয়া হয় না। তবে যাওয়া উচিৎ,
আপনি তো নিয়মিতই যান,
তবে!
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই ভোর একটি বিশেষ নিয়ামত, যদি তা আমরা ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি।
আর চাইলেই যদি আমরা সব কিছু পেরে যেতাম তা হলে তো কথাই নেই। তবে প্রগাঢ় ইচ্ছে তৈরি হলে আমাদের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
যাই, অবশ্যই, তবে আরও ভাল ভাবে যেতে চাই।
অলিভার
দারুণ!!
আমি আমাতে থাকি-না, প্রার্থনায়-ও না,
ঘুম-নির্ঘুমেই-ও না, মঙ্গলে অমঙ্গলে-ও না,
শুধুই দীনতা-হীনতা অভাব্য-অসভ্যতায়, জানি তা
সত্যিই তাই।
যেভাবে মগ্ন হয়ে থাকি স্রষ্ঠার ডাক উপেক্ষা করে, আসলেই কি ততটাই মগ্ন থাকতে পারি জীবন নিয়ে! সেই তো দিন শেষে ফুসরত পেলে মনে হয় শূণ্যতা জমা হয়েছে রবের ডাকে সাড়া না দিয়ে, অপূর্ণতা রয়ে গেছে আত্নার খোরাকে।
অসাধারণ অনুভূতির প্রকাশ @হেলাল ভাই। ভালোলাগা জানিয়ে রাখলাম 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
এই অপূর্ণতার বোধ আমাদের নূতন পথের সন্ধান দেবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
প্রহেলিকা
হেলাল হাফিজ বলেছেন নাড়ালেই না’কি নড়ে না অনেককিছু, ঠিক তেমনি করেই আমরাও এই পবিত্র আহবান কে উপেক্ষা করি।
“আর তারা যদি জানত ফজর আর এশার ফযিলত কত বেশি তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও অবশ্যই আসতো। (বুখারী-মুসলিম)
আমার মত এমন অধম অনেকেই আছে।
লেখার মাঝে এমন আবহ তৈরী করেছেন যা আসলেই ভাবতে বাধ্য করে।
পঞ্চ তারকা।
ছাইরাছ হেলাল
আরে কেউ-ই অধম না, আপনি তো না-ই।
সত্যি কোন আবহ তৈরি করতে পেরেছি কী-না জানি না।
তবে এই অনুভূতিটি ব্যক্ত করার জন্য মাস তিনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এটিকে পাশ কাটিয়ে কত কী লিখে গেছি!! অবশেষে ধরা দিয়েছে লেখাটি।
তারকা কী কিছু কম হয়ে গেল না!!
প্রহেলিকা
ভালো একটি লেখার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, তবে এই অপেক্ষা স্বার্থক!
তারকা এই নিন তারকা।
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, তারকা!! বড়ই সৌন্দর্য!!
রিতু জাহান
সন্ধ্যার আযানে আমার বুকটা খা খা করে ওঠে প্রায়ই। কেনো হয় এটা আজও অজানা। কেমন যেনো চুপসে যাই আমি।
যখন অসুখ করে, তখন মনে হয় কখন ভোর হবে! এ কয়েকদিন শরীরটা বেশ খারাপ। প্রায়ই রাত জেগে থাকার মতো অবস্থা। ভোরের আযান দিলে মনে হয়, এই তো এখনই আলো ফুটবে।
ইদানিং দুই একদিন পর পরই রংপুর যাওয়া লাগতেছে। যেতে আসতে একটা কবর পড়ে পথের পাশে। চারিদিকে ফাঁকা। মাঠ যাকে বলে। আশেপাশে ঘরবাড়িও নেই।
কবরের উপরে লাল টুকটুকে ফুল ফুটে আছে। ছোটোবেলায় এ ফুলটাকে ‘মরগ ঠনঠনি’ ফুল নামে চিনতাম। ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আইয়ুহাল কবুরে’ বলে সালাম দেই। জানি না সেখানে কে শুয়ে আছে, কতোদিন ধরে শুয়ে আছে।
ইদানিং মৃত্যু নিয়ে ভাবি খুব। রাগও হয়েছে এসব নিয়ে কেনো জানি না।
অসাঢ়তা পেয়ে বসেছে কেমন যেনো আমাকে। হয়তো বই পড়ছি, পাতা উল্টাতেও ইচ্ছে করে না। চুপ করে অপলোক চেয়ে থাকি বই এর পাতায়।
কবরটা দেখে শুধু মনে হয়, জীবন যে তিনটি পায়ার উপর দাঁড়ানো তার একটি মস্তিষ্ক। সে যদি সক্রিয় হয়ে থাকে। না মরে। শুধু হৃদযন্ত্রের মৃত্যু হয়! হয়তো কেউই টের পাচ্ছে না আমার মস্তিষ্ক নামক কারিগর তখনোও জেগে আছে।
আমি আযানের ধ্বনিতে হয়তো তখন জেগে উঠতে চাইব, কিন্তু এ শরীর উঠবে না।
কবিতার প্রতিটা শব্দ খুব গভির গুরুজী। ভালো থাকুন সব সময়। দোআ করুন আমাদের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের এক মাত্র সত্য মৃত্যু। একে আমরা কে কীভাবে কতটুকু আপঅন করে নিতে পেরেছি
সেটিই আমাদের পরীক্ষা। মৃত্যু ভাবনা খুবই জরুরী, কিন্তু তা জেঁকে বসলে তো হবে না;
কবর আমাদের মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ব্যস্ত সময়ে বিস্মৃতি-ই জয় লাগ করে।
ভাল থাকুন সবাইকে নিয়ে।
রিতু জাহান
ব্যাস্ততা এখন আর নেই। এখন থিতু হয়ে বসে থাকার দিন। কিন্তু ডাক্তার এমন ঘুমের ওষুধ দিছে যে মনে হয় এ দুনিয়ার কিছুই আমি পের পাচ্ছি না।
ছাইরাছ হেলাল
এখন দেখছি ডাক্তারকেই চিকিৎসা দিতে হবে!
সে কী-না ঘুম প্রিয়ে রাখতে চায়!!
সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।
শুন্য শুন্যালয়
অন্যরকম একটি লেখা।
অনেক আগে একবার এমন হলো রাতে ঘুম হতোনা। আমার বোন আমাকে পরামর্শ দিলো, শুয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবতে হবে আমি কিছু ভাবছি না, আমি কিছু ভাবছি না, আমি কিছু ভাবছি না। ঘুম এসে যাবে আস্তে আস্তে। সত্যি সত্যি কাজে দিয়েছিল। হঠাৎ ক’এক সেকেন্ড পরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে মনেহয়, কোথায় ছিলাম। অনেকটা এমনই ফিল হয়েছে এটি পড়ে।
প্রার্থনায় ডুবে ডুবে যেতে নিজের ভেতরে ডুবে যাওয়া, কোথায় যেন চলে যাওয়া। ঘ্রাণ টের পেলে আপনি অস্তিত্বহীন হয়ে যাননি একেবারে।
অনেক ভালো ছিলো এটা।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী জ্বী, ইট্টু অন্য রকম তো অবশ্যই, সবই আপনাদের আশির্বাদ!!
সে সময় আপনি ডাক্তার ছিলেন না নিশ্চয়ই, তাহলে টুপ করে আধ-হালি পিল মেরে দিতেন।
নাহ্, আনাল-হক হলে তো ভীড় পড়ে যেত!!
ভাল ছিল একবার বললে কী হয়!! বার কয়েক মনে মনে হলেও বলুন। এতটা বখিল হওয়া ঠিক না।
শুন্য শুন্যালয়
মনে মনে কী আর বলবো? গালাগালি করি শুধু। সব ভাবনা, কবিতা একা একাই ভাগজোগ ছাড়া নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এমন তো কথা ছিলোনা। জিজ্ঞেস করে বইসেন না, কথা কবে কইছে? এতোটা বেভুল হওয়াও ঠিক না।
ছাইরাছ হেলাল
উপাদেও গালাগাল অনুষ্ঠানিক ভাবেই দেন!!
না না, কিছুই জিজ্ঞেস করছি না, এগুলো কী হাটে বসে বলা যায়/ বলা ঠিক!
আর এগুলো তো আপনার-ই, শুধু আপনি কষ্ট করে কী-বোর্ড বাজান-নি!!
আমরা তো আমরা-ই, সেটি তো জানাই আছে।
ব্লগার সজীব
ভাইয়া কেমন আছেন? প্রার্থনার অনুভুতি নিয়ে কি এই প্রথম লিখলেন? আমার জন্য দোয়া করবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভেগে যাওয়াদের নিয়ে দুয়া করতে সমস্যা আছে!!
আমরা ভালই থাকি, আপনাকে নিয়েই ভাবনা,
কিছু করতে পারলেন! নাকি ঢঢ নং হট্ট মন্দির চালাচ্ছেন!!
নিতাই বাবু
আমি দাদা, আমাদের ধর্মীয় মন্দিরে বেশি প্রবেশ করি না। কারণ, মন্দিরে থাকা পুরোহিতের পুরোহিতগিরি আমার পছন্দ হয় না, তাই। তবে মহার ঈশ্বরকে মনে প্রাণে ভক্তি করি, স্মরণ করি।
আপনার লেখা পড়ে ভলো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
মন্দির মসজিদ ব্যাপার না,
স্রষ্টা থাকেন ভক্তের হৃদয়ে।
অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে পাচ্ছি না কিন্তু।