সেদিন কি তারিখ ছিল ঠিক মনে নাই।অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষাটা ছিল রসায়ন। সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।খুব চিন্তা হচ্ছিলো আমার। কারণ আমাদের যেই লবন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের অজানা। সিক্ত পরীক্ষা আর শুষ্ক পরীক্ষা করে বের করতে হবে লবনের নামটা। আমিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্টুডেন্ট না তাই কিভাবে করতে হবে তা আমি সঠিক জানতাম না। তবে ইন্টারমিডিয়েটে যেভাবে করেছি ঠিক সেই রকমই।প্রথমে ভয় লাগলে ও পরে দেখলাম তেমন কিছুনা। আস্তে আস্তে লবন মিলালাম। তারপর স্যার খাতায় সাইন করে দিল। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সবার লিখা শেষ হলো।কেমিস্ট্রি ল্যাব থেকে আবার অন্য ল্যাবে চলে গেলাম।ঐখানে গিয়ে ট্রাইটেশন করতে হবে।প্রায় ৩০ মিনিট বিরতি। তারপর আবার পরীক্ষা শুরু ট্রাইটেশন শেষ করে খাতা জমা দিয়ে সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম আর সাথে করে ব্যবহারিক খাতাটা নিয়া আসলাম। তখন প্রায় ২টা বাজে। কয়েক জন ফ্রেন্ডকে বলে চলে আসলাম। কলেজ থেকে রিকশা করে আসলাম সাভার বাস স্ট্যান্ড।বাসে উঠলাম এমন সময় আমার মোবাইলে একটা কল আসলো কলেজ থেকে এক ফ্রেন্ড বললো কেমিস্ট্রি ব্যবহারিক খাতাটা জমা দেই নাই কেন?আমি খুব টেনশনে পরে গেলাম ঠিক ওই মহুর্তে একটা হাত বাহির থেকে আমার মোবইলটা টানছে আমিও খুব শক্ত করে ধরে রাখলাম। চোরটা বুঝতে পারলো আমি যেভাবে ধরেছি তাতে সে নিতে পারবেনা তাই বেশিক্ষণ জুরাজুরি না করে চলে গেল। আমি মুখ দেখিনাই শুধু অনুভব করেছি।ওই মহুর্তে আমি একটু অন্য রকম ছিলাম। একদিকে খাতা না দিয়ে আসার টেনশন অন্য দিকে এমন অবস্থা। খাতাটার মধ্যে ৫নাম্বার পাবার আসা ছেড়ে দিলাম।পরে জানতে পারলাম ওই খাতাটার নাম্বার কাটা যাবেনা না দিলেও প্রবলেম নাই। খাতা গুলো শুধু বিক্রি করার জন্য মামারা জমা নেয়।আমার সাথে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল। এর আগে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না জানলা দিয়ে কেউ মোবাইল ছিনতাই করতে পারে।
তাই সবাই সাবধান থাকবেন।
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা , সাবধানকে বলে দেব সাবধানে থাকতে ।
পুষ্পবতী
হাহাহা…ঠিক আছে ভাইয়া।
স্বপ্ন নীলা
সাবধানের মাইর নাই ——–হুমম ——সাবধান থাকাই উত্তম
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ আপু
মিসু
আমারো এমন হয়েছে । ভোরে আমি একটু হাটি । এক ছিনতাইকারি আমার হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে , নিতে পারেনি কারন এমন জোড়ে এক ঘুষি দিয়েছি যে সে অপ্রস্তুত হয়ে দৌড়ে পালায় ।
সাবধানের মার নেই আসলেই ।
পুষ্পবতী
আপনিতো ঘুষি দিয়েছেন আমি তা ও পারি নাই ,এমন কি ফেইস পর্যন্ত দেখিনাই।
লীলাবতী
খাতা গুলো শুধু বিক্রি করার জন্য মামারা জমা নেয় ! ! :p :D) , সাবধানে থাকতে হবে আমাদের সবাইকে ।
পুষ্পবতী
ব্যবহারিক খাতা আগে সাইন করা থাকে পড়ে টিচার চেক করে দেখে তখন লিস্টে লিখে রাখে। আর প্রয়োজন হয়না। কিন্ত তাও জমা রাখে।এই খাতা গুলো মামারা বিক্রি করে।
জিসান শা ইকরাম
যাক শেষ পর্যন্ত মোবাইল নিতে পারেনি ।
টুকরো টুকরো অনুভুতি গুলো ভালই লাগলো ।
পুষ্পবতী
আপনার ভালো লেগেছে তাই ধন্যবাদ।
মশাই
নিলে খুশিই হতাম। সাবধান থাকতে বললেও কথা যখন কানে যায় না তখন আর কি করা? একদম ভাল হইছে?
পুষ্পবতী
খুসি হতেন মানে কি?শুনেন মশাই বিপদে না পড়লে আগে থেকে কেউ সাবধান হয়না। আমি এখন থেকে সাবধান হয়েছি।
ফরহাদ ফিদা হুসেইন
মহাখালীতে আমার চোখের সামনে একদিন এক ভদ্রমহিলার কান ছিঁড়ে দুল নিয়ে গেল!
সে কি বিভৎস অবস্থা!
পুরা রক্তারক্তি কান্ড।
আপুরা বেশি সাবধান 🙂
পুষ্পবতী
সত্যি এমন ঘটনা খুবই কষ্ট দায়ক।
সঞ্জয় কুমার
ঘটনা তো দেখছি ভয়ংকর সত্যি । সবাইকে ই সাবধান হওয়া উচিত ।
মা মাটি দেশ
-{@ (y) আদেশ শির ধার্য্য।
পুষ্পবতী
আদেশ নয় ভাইয়া।
মশাই
যাক তাইলে সাবধান হয়েছ শুনেও ভাল লাগলো। তবে বেশি সাবধান হতে যেও না আবার তাতে অতি চালাকের মত গলায় দড়ি পড়বে রে পার্বতী। 🙁
পুষ্পবতী
মশাই কি বলছেন আপনি?সবই যদি আপনি বলেন আমি কোথায় যাবো?
ব্লগার সজীব
সবাধানে থাকবো আপু ।
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ ভাইয়া