ছিনতাই

পুষ্পবতী ২২ জুন ২০১৪, রবিবার, ০৩:৪৪:৪২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২১ মন্তব্য

সেদিন কি তারিখ ছিল ঠিক মনে নাই।অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষাটা ছিল রসায়ন। সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।খুব চিন্তা হচ্ছিলো আমার। কারণ আমাদের যেই লবন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের অজানা। সিক্ত পরীক্ষা আর শুষ্ক পরীক্ষা করে বের করতে হবে লবনের নামটা। আমিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্টুডেন্ট না তাই কিভাবে করতে হবে তা আমি সঠিক জানতাম না। তবে ইন্টারমিডিয়েটে যেভাবে করেছি ঠিক সেই রকমই।প্রথমে ভয় লাগলে ও পরে দেখলাম তেমন কিছুনা। আস্তে আস্তে লবন মিলালাম। তারপর স্যার খাতায় সাইন করে দিল। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সবার লিখা শেষ হলো।কেমিস্ট্রি ল্যাব থেকে আবার অন্য ল্যাবে চলে গেলাম।ঐখানে গিয়ে ট্রাইটেশন করতে হবে।প্রায় ৩০ মিনিট বিরতি। তারপর আবার পরীক্ষা শুরু ট্রাইটেশন শেষ করে খাতা জমা দিয়ে সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম আর সাথে করে ব্যবহারিক খাতাটা নিয়া আসলাম। তখন প্রায় ২টা বাজে। কয়েক জন ফ্রেন্ডকে বলে চলে আসলাম। কলেজ থেকে রিকশা করে আসলাম সাভার বাস স্ট্যান্ড।বাসে উঠলাম এমন সময় আমার মোবাইলে একটা কল আসলো কলেজ থেকে এক ফ্রেন্ড বললো কেমিস্ট্রি ব্যবহারিক খাতাটা জমা দেই নাই কেন?আমি খুব টেনশনে পরে গেলাম ঠিক ওই মহুর্তে একটা হাত বাহির থেকে আমার মোবইলটা টানছে আমিও খুব শক্ত করে ধরে রাখলাম। চোরটা বুঝতে পারলো আমি যেভাবে ধরেছি তাতে সে নিতে পারবেনা তাই বেশিক্ষণ জুরাজুরি না করে চলে গেল। আমি মুখ দেখিনাই শুধু অনুভব করেছি।ওই মহুর্তে আমি একটু অন্য রকম ছিলাম। একদিকে খাতা না দিয়ে আসার টেনশন অন্য দিকে এমন অবস্থা। খাতাটার মধ্যে ৫নাম্বার পাবার আসা ছেড়ে দিলাম।পরে জানতে পারলাম ওই খাতাটার নাম্বার কাটা যাবেনা না দিলেও প্রবলেম নাই। খাতা গুলো শুধু বিক্রি করার জন্য মামারা জমা নেয়।আমার সাথে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল। এর আগে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না জানলা দিয়ে কেউ মোবাইল ছিনতাই করতে পারে।

তাই সবাই সাবধান থাকবেন।

৫৯০জন ৫৮৯জন
0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ