যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা , মাত্র সতের বছর বয়সে এ রাজ্যে প্রবেশ করে এখন বিশ্ব চলচ্চিত্রে একটি বিখ্যাত নাম Samira Makhmalbaf ,তাঁর সর্বশেষ ছবি Two-Legged Horse (2008) । যদি দেখিনি এখনও।
সত্য কাহিনী তুলে ধরেছেন ঘটনার সংশ্লিষ্টদের নিয়েই। ধর্মীয় মৌলবাদের বাইরে নিয়ে এসেছেন সচেতন ভাবেই । প্রতিবেশীদের সহমর্মিতা তুলে ধরেছেন সার্থক ভাবে । দক্ষ সমাজকর্মীর ভূমিকা দেখিয়েছেন রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ তুলে ধরে । পেশাদার অভিনেতা ছাড়াও যে সুন্দর ছবি তৈরি হয় এ ছবি তার আরও একটি উদাহরণ (অবশ্য ইরানী ছবিতে এমন অনেক উদাহরণ আছে )। প্রায় বারো বছর পর আটকেপড়া শিশুদের মুক্তির আনন্দ শিশুদের আরও অনেক গুন উজ্জ্বল করে তুলেছে । আবার শিশুরা যখন রাস্তায় প্রথম বের হয়েছিল সরু রাস্তাটি জনমানব শূন্য ছিল কেন তা জানিনা । শুধু আইসক্রিম ওয়ালা ছোট ছেলেটি ছিল । মাত্র এগার দিনে এমন সুন্দর ছবিটি তৈরি হয়েছে জেনে বিস্মিত হতেই হয়। একটি ব্যাপার লক্ষণীয় বৃদ্ধ পিতা কিছুতেই নিজের অন্যায় মেনে না নিয়ে তার নিজের সম্মানহানি হচ্ছে তাই কিন্তু বারংবারে বলছিল । ধর্মীয় কূপমণ্ডূকতা তুলে ধরেছেন পরিচালক সুনিপুণ ভাবে । কঠিন পর্দা প্রথার জন্য আপেলটি অধরাই থেকে গেল শিশুদের মায়ের কাছে ।
ছবিটি দেখতে দেখতে আমার মনে হচ্ছিল এটি কোন নারীস্থানে শুটিং হয়েছে !
===========================================================================
এটি আসলে কোন রিভিউ না প্রচলিতার্থে।আমি শুধু ছবি নিয়ে আমার অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম । আরও ভাল লেখা হয়ত সম্ভব কেন যেন মনে হচ্ছে । যাক , শুরু তো হল ।
===================================================================
কৃতজ্ঞতা তাঁকে, যিনি আমাকে অনুগ্রহ করে ছবিটি দেখতে বলেছেন ।
৩০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ইরানী ছবি এখনো দেখিনি আমি ।
তবে দেখবো এই ছবিটি ।
মাত্র ১১ দিনে বানানো ছবি – দেখতেই হয় ।
রিভিউ লেখক প্রচুর মুভি দেখেন –
আশাকরি নিয়মিত তাঁর দেখা মুভির রিভিও পাবো আমরা ।
ছাইরাছ হেলাল
এ ছবিটি সত্যি দেখার মত ।
হ্যাঁ ,ছবি নিয়মিত দেখি , চেষ্টা করব আরও ভাল করে নিয়মিত লেখার ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
মশাই
কি বলবো সেটাই বুঝতে পারছিনা। এ যে বড়ই কঠিন বিষয় মুভি দেখা। আচ্ছা এমন করা যায় না প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুভিটির বর্ণনা দিয়ে দেওয়া? যদিও টাইপিং করতে অনেক সময় লাগবে জানি তারপরও পড়ে না হয় চিত্রকল্প বুঝে নিতাম। ডাউনলোড কোথায় থেকে করবো? যেভাবে তেতুলের লোভ দেখালেন দেখতে ইচ্ছে করছে। এই মুভি রিভিউতে আমার মত অপদার্থকে চুপ করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় কি রয়েছে? এখন নিশ্চই বলবেন চুপ করে থাকতে?
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বেশ ,এরপর বলবেন মুখে তুলে দিলে হবে না , চিবিয়ে ও দিতে হবে ।
আপনি না এর মধ্যে ডাউনলোড করলেন ? তা কোথা থেকে কী ভাবে করলেন ?
কবিতা লিখবেন মুভি দেখবেন না তা তো হতে পারে না ।
উহাও কবিতার কবিতা ।
আপনার সমস্যাটি কী আগে তাই বলুন ।
মশাই
কি করবো আমি তো এভাবে না বলে ভাইয়া? wind will carry us ডাউনলোড করে রেখেছি কিন্তু দেখতে পারছিনা, সমস্যার শেষ নেই কিন্তু এই মুভি দেখার জন্য যে একাগ্রতা দরকার তার বড়ই অভাব আছে যদিও দেখার আকাংখা আকাশচুম্বী। তাই আর কি বললাম যে পুরো বর্ণনা লিখে দিলে অবশ্যই এক টানা পড়ে ফেলতে পারতাম। এমন করেন কেন? লিখে দিলেই তো পারেন। কি কি বিষয় যে সামনে নিয়ে আসেন চোখ বন্ধ করেও রাখতে পারি না আর দেখে সহ্যও করতে পারি না। এখন নিশ্চই বলবেন আপনি নিরুপায়?
ছাইরাছ হেলাল
একটি কবিতা কবি লেখেন , একক এক জনের কাজ ।
একটি ছবি বহু মানুষের একাগ্র সাধনা , বহু কিছুর সমন্বয়ে একটি ছবি তৈরি হয় ।
এটি অন্যের মুখে খেলে কোনই স্বাদ পাওয়া যাবে না ,যায় না।
একবারে সব ছবি দেখে ফেলতে হবে এমন না । আপনি বিশ বা ত্রিশ মিনিট করে করে
দেখতে শুরু করুন , আর সব ছবিই যে মহা কিছু এমন নয় । মজার মজার ছবি দেখুন ।
সব কঠিন ছবি বা সব কঠিন কঠিন বই পড়ে দেখতে হবে এমন নয় ।
আউল ফাউল বাদ দিয়ে ছবি দেখা শুরু করে দিন ।
এখনই আবার বলে বসবেন না যেন আগে হ্যান করেছেন ত্যান করেছেন , আগে আপনি ছবির
কিছুই দেখেন নি । আগে দেখা একটি ছবির নাম করুন , যা কোন দেশের বা যে কোন ভাষার
হোক না কেন । এত একাগ্রতা দিয়ে কী করবেন ? আপনি তো ছবি দেখবেন পরিচালক হওয়ার জন্য না । তাই দ্রুত শুরু করে দিন । আপনি পৃথিবী বিখ্যাত ভালোবাসার ছবি দিয়েই না হয় শুরু করুন ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এই ছবি দিয়ে শুরু করুন , সহজ ছবি ।
ভালো ও লাগবে ।
মশাই
এভাবে রাগলে কিন্তু দেখবেন বলে দিলাম খবর আছে!!! প্রতিদিন দু’তিনটা রিভিউ লেখা শুরু করবো, আবার ভেবে বসবেন না যে না দেখেই লাফাবো। দেখবো দেখবো দাড়ান আমিও একদিন দিবো সবচেয়ে পছন্দের মুভির রিভিউটি। আগের কথা আর কি বলবো আগে আমি ছবি দেখেছি নাকি? তবে দেখেছি কিছু বলিউড-এর ছবি। হলিউডের Horror ছবি নিয়ে আবার বলেন দেখবেন কয়েকটা লিখে দিতে পারবো। আসল কথা হচ্ছে যে ছবি দেখেছি কিন্তু মন থেকে না শুধুই দেখার জন্য দেখা তবে এমন গম্ভীরভাব সম্পূর্ণ ছবি দেখা হয়নি এখনো। হ্যা হয়ে গেলো, ঠিক আছে দেখে ফেলবো। দেখবেন আমিও রিভিউ লেখবো, বেশি রাগলে ইরানী ভাষাই শিখে ফেলবো। শেষে রিভিউও কিন্তু সাবটাইটেল ছাড়া ইরানী ভাষাতেই লিখবো।
মশাই
কোন ছবি? the apple ?
ছাইরাছ হেলাল
এমন রেগে গিয়ে ছবি দেখতে শুরু করে দিলে তো ল্যাঠা চুকেই যায় ।
ইরানী ছবি এটি দিয়েই শুরু করুন ।
আপনি লিখতে শুরু করলে আমাদেরই ভাল।
ভাল কথা মুভি না দেখে নেটের রিভিউ পড়েও লিখে ফেলা যায় , তবে
ধরা মাস্ট , রিভিউতে যা নেই সেখান থেকে প্রশ্ন করলেই ধরা ।
এক সেকেন্ডে বলে দিব ছবি দেখেছেন কী না ।
ছবি নিয়ে লেখা লেখি পরে ,আগে ছবি দেখতে শুরু করুন ।
ছুট্টির সময় এসে গেল , যান ঘুমিয়ে পড়ুন ।
মশাই
না না নেটের রিভিউ দেখে লিখতে যাবো কেন শুধু শুধু ?দেখবেন ইরানী ভাষাতেই লিখবো তবে বুঝা না বুঝা আপনাদের দায়িত্ব। যদি কোনো দিন একটা রিভিউ লেখে ফেলি মনে করবেন আমি বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছি। এবার চিন্তা করতেই পারেন আমার কাছে এটা এমন সহজ ব্যাপার না যা আপনার হাতের তুড়ি মাত্র। ঘুম কি আর আসে ? আছি আরো কিছুক্ষণ জানি আপনি আবার বসবেন এখন মুভি দেখতে।
শুন্য শুন্যালয়
এতো কিছু কিন্তু কিছুই জানতাম না ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ। মুভিটি দেখেছি অনেক বছর আগে, সবকিছু মিলেই অসাধারন। একজন মানুষ চোখে দেখতে পায়না অন্ধ, আরেকজন চোখে দেখতে পেয়েও অন্ধ, তবু যে মুক্তি মিলেছে সেটাই পরমানন্দের। বাচ্চা দুটি খুব ভালো অভিনয় করেছিল। আপনার কাছ থেকে সত্যিই অনেক কিছু জানার আছে, এইবার নিশ্চয়ই বলবেন আমি আর কি জানি ?
এভাবে লিখিতেই থাকুন, সময় করে নিশ্চয়ই আপনার পছন্দের ছবিগুলো দেখার চেস্টা করবো।। শুভকামনা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখে কিছু কথা বলেছি ,আর ইনফরমেশন গুলো এখানেই আছে ।
রিভিউ পড়েছি , আবার নিজের মতামতও দিয়েছি ।
আর কৃতজ্ঞতাও তো জানিয়েছি ভালো করেই আপনাকে । ছবি নিয়ে লিখতে গেলে অনেক অনেক লিখতে হয়
সেটাও কষ্টকর । তবে কিছু কিছু লেখার চেষ্টা করব ।
এ লেখাটি আমার নিজেরই পছন্দ হয়নি ।
ছাইরাছ হেলাল
রিভিউ লিখতে হলে অন্যের আলোচনা অবশ্যই পড়তেই হয় ।
একটি মজার কথা বলি , একবার এক তালেবর বিশ্ব বিখ্যাত এক পরিচালকের ছবি নিয়ে রিভিউ লিখলেন ,
কড়া কড়া সমালোচনা , (সমালোচনা করা যাবে না তা কিন্তু বলিনি )।আমার একটু কেমন কেমন মনে হল ,
এই আলোচনার উৎস নিয়ে আমার সন্দেহ হল । এমন কিছু ছিল যা এই লেখকের মানায় না । দ্রুত নেটে বড় বড় বিখ্যাত
রিভিউ লেখকদের দু’তিনটে লেখা পড়ে ফেললাম , দেখি হুবহু অনুবাদ ।
এখানে কথা হল ছবি বিষয়ে একান্ত নিজস্ব মতামত থাকতেই হবে , হতে পারে ভুল বা শুদ্ধ ।
ছবি চালানোই থাকে ল্যাপিতে , এক ছবি আমি বহুবার দেখি , টানা দেখি না । যখন যেটি দেখতে ইচ্ছে করে সেখান থেকে অল্প দেখি । আমার কাছে শ’য়ে শ’য়ে ছবি আছে , আলোচনা আছে ,সাক্ষাৎকার আছে , আমার মনের অবস্থা বুঝে দেখতে থাকি । ইরানী ভাষা জানা থাকলে লিখে ফেলুন , পড়ে নেব সমস্যা নেই ।
আপনি পড়তে পারবেন তো নিজে ?
শুন্য শুন্যালয়
নেট থেকে কপি বা অনুবাদ করে লিখলে লাভ টা কি হলো, সেতো মুভি না দেখেও লেখা যায় ।।
একদম একমত রিভিউ তে নিজের মতামত টাই লেখা উচিত।
মা মাটি দেশ
-{@ (y) সবার কথা শুনে আমার কথা হারিয়ে গেছে আর ঐটা কোন মুভি হলো মারামারি নেই ভাল ভিজুয়াল এফেক্ট নেই ।
ছাইরাছ হেলাল
পৃথিবী বিখ্যাত অনেক অনেক ছবি আছে যাতে একটুও মারামারি নেই ।
আপনি চাইলে এটি দেখে ফেলতে পারেন । মন্দ নয় একদম ।
ধন্যবাদ ।
মশাই
“Working alone is better . It’s harder but there are advantages”
Amar mote uporer bakkoti songkhipto prokash holeo byapti bohumukhi, apnar ki mone hoy?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আগে বলুন আপনি কী বলতে চান ?
মশাই
একজন মানুষের মুখ থেকে এই সাহসী উচ্চারণ শুনলাম আজ তবে কথাটা খুব ভাল লাগলো তাই বললাম আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকই বলেছেন , তবে এটি শেষ কথা নয় ।
ছাইরাছ হেলাল
একটি গল্প বলা যেতে পারে , ধরুন একজন মানুষ ছবি দেখতে শুরু করল
নিজে নিজে , অজানা সমুদ্র , তবুও ভেসে যায়নি ভুল ঠিকানায় । টরেন্ট এডিটিং শিখেছে , সাব টাইটেল এড করে ফ্রেম রেট ঠিক করতেও শিখেছে , সে সময়ে খুব
কঠিন ছিল নিজে নিজে এসব করা । যেহেতু যদি কিছু সে শিখেই থাকে ঘেটে-ঘুটেই শিখেছে বলে শিক্ষাটি তার পর্যায়ে ভাল মানেরই হয়েছিল । মনে
করুণ হঠাৎ একজনের পরামর্শ পেল আরও কয়েকজন পরিচালকের ছবি দেখার ।
যেটি অনেক ফলদায়ক হয়েছিল ।
আমি কী কিছু বলতে পারলাম ।
মশাই
হা হা হা কিছু না অনেক কিছুই বলতে পেরেছেন। আমার এখন মনে হচ্ছে সব সৃষ্টির মাঝেই কিছু না কিছু থাকে যা মুগ্ধ করে। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে সেই সৃষ্টির মাঝে লুকায়িত কণাগুলো ধরা পরে না। তবে আস্তে আস্তে ধরা পরছে এখন আমার ক্ষেত্রে। কারো কারো আন্তরিকতা দেখে অনেক অবাক হই। যেমন আজ দেখেছিলাম একটি বাচ্চা ছেলে যার আগামীকাল পরীক্ষা সে তার অতিথিকে বরণ করার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছিলো সেই বেলা দুটো থেকে না আসা পর্যন্ত। কি মজা।
ছাইরাছ হেলাল
শিশুর আন্তরিকতা অন্তর থেকেই আসে ।
মশাই
পরিবেশের প্রভাবকে কিন্তু অস্বিকার করা যাবেনা আমার মতে। সেই শিশুটি তার আশেপাশের পরিবেশ থেকেই কিন্তু শিখেছে। তবে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
কেন! আমি আবার কী করলাম ?
মশাই
সব কেন এর উত্তর হয় না আপনি তা ভালো করেই জানেন। কৃতজ্ঞতা জানালাম এটুকুই কেন সেটার উত্তর না হয় অন্য আরেকদিন দেওয়া যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
‘অপেক্ষা’ পছন্দের বিষয় ।
শুন্য শুন্যালয়
অপেক্ষা পছন্দের বিষয় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি দিচ্ছেন আমাদের , তাও কী পছন্দ করতে বলেন ?