যারা চিঠি পাঠিয়েছ, পাঠাও, পাঠাবে-ও;
অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মিলিয়েও হারানো ঠিকানা
খুঁজে পাই-নি।
উত্তর দিতে পারি-নি, শিথিল ভিড়ের বেলা শেষে
পথ হারিয়েছে শেষের ঠিকানা,
কালোত্তীর্ণ আয়ুষ্কাল নিয়ে-ও আসি-নি,
শূন্যতার ভীষণ অবকাশ ভেদ করে আবারও
বেড়ে উঠব পুনরুত্থানে;
নির্বাক মূঢ়তা নিয়ে উত্তর লিখতে বসে যাব,
ভাবী-কথনের পটুত্বে।
১৭টি মন্তব্য
নীহারিকা
ও আচ্ছা তাই বুঝি চিঠির উত্তর দেন না? চিঠি আর ল্যাক্তামই না।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল করে ঠিকানা-ই কেউ দেয় না, তাই হারিয়ে-ও যায়,
আবার নূতন করে লিখতে শুরু করুন!
মৌনতা রিতু
কিছু কথন এদিকেও ধার দিয়েন। ভাবছি কিছু চিঠিপত্র বেশ জমিয়ে আমিও লেখা শুরু করব। চিঠি যদি না পৌছায় যায়গা মতো, তাতে দুঃখ হলেও আফসোস নেই। তবুও লিখে যাব।
শেষের ঠিকানা পথ হারিয়েই থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
শুরু করে দিন, কথনের অভাব হবে না,
না পৌছালে-ই ভাল, তবুও লিখে যাবেন।
ইঞ্জা
ব্যাটা ডাকপিয়ন বড়ই ধড়িবাজ, সব চিঠি আপনাকে কেন দিলো, কিছু তো অন্য কারো জন্য দিয়েছিলাম, ইশশিরে……
ছাইরাছ হেলাল
পিয়ন বেটাকে এবারে আপনার বাড়ীর দরজা চিনিয়ে দেব,
শুধু চিঠি নয়, চিঠির মালকিন সহ পৌঁছে যাবে!!
ইঞ্জা
\|/
জিসান শা ইকরাম
কিছু উত্তর লিখে আমাদের দেখাইলে পারতেন,
চলুক চিঠি চালা চালি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকানা হারালে কী আর চিঠির উত্তর লেখা যায়!!
আসুক চিঠি, অসুবিধা নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই,
কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। তা ধান-চালের কি খবর? যে হারে ঝড়-বৃষ্টি হইলো, টিনের চাল কার কার ঘরেরটা উড়াল দিলো? এইখানে এখন এই গরম, এই ঠান্ডা। প্রকৃতি না কি একটা জানি নাম, ওটার মনে হয় মাথা খারাপ হইছে। এই জ্যৈষ্ঠ মাসে দেশে আম-কাঁঠাল পাকে, আর এইখানে আম-কাঁঠালের গাছই দেখিনা। তয় দোকানে গেলে সবই পাওয়া যায়। যাউক অনেক কিছু লিখলাম। উত্তর দিয়েন। আমিও উত্তর দিমুনে, বাতের ব্যারাম বুঝছেন তো? বইতে পারিনা। ওই যে হাড্ডিটা ভাঙ্গছিলো ওইটারে পাত্তা কম দিতাম। তাই আবার পাত্তা পাবার জন্য জ্বালাইয়া মারতাছে।
আইচ্ছা আইজ তাইলে রাখি। আপনে ভালা থাইকেন। সাবধানে চলেফেরা কইরেন, এই বয়সে হাড্ডি-গুড্ডি যেনো না ভাঙ্গে। চুল গেলে চুল পাওয়া যায়, হাড্ডি গেলে আর ঠিক হয়না।
ইতি নীলা। \|/
ছাইরাছ হেলাল
এমুন বুড়া চিডি চাই না, এখন ডিজিটাল যুগে উড়াধুরা চিডি চাই।
এখন পাস্তা বা বার্গারের বিষয়-আষয় নিয়ে বাতচিৎ করবেন!!
আম্নে নাই, কেমনে ভালু থাকি!! হাড্ডি-মাড্ডি-ই-বা কী-কামে লাগবে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
উড়াধুরা চিডি লিখবার পারিনা। শিখাইয়া দিয়েন তো!
আইচ্ছা খারাপ থাকেন। খারাপ থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। ওইটার মধ্যে মাল্টি-ভিটামিন থাকে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমি-তো আপনার কাছ থেকেই হাতে খড়ি দিছি।
তবে আপনার লেখায় মিনারেলস থাকে মুনে লয়!!
মোঃ মজিবর রহমান
আরে ডাকপিয়ন দরজা অব্দি আসেনি। উত্তর পোঁছাল ঘরে রইলাম নিরবাক। ভবিতব্য জীবন ।
ছাইরাছ হেলাল
পিয়নগুলো দেখছি কোন কাজের-ই না আজকাল!!
শুন্য শুন্যালয়
বাহ বাহ এক চিঠিতে একদম পাওনা কড়ায়গন্ডায় বুঝিয়ে দিলেন দেখছি। তা কবে থেকে চিঠি জমাচ্ছেন? জানিতো যতো লেখা লেখেন সব অইসব চিঠি থেকে প্রাপ্ত। ঠিকানা নেই, কেই বা দেখতে আসিবে। নন্দিনী, শকুন্তলা, অনুসয়া, রাত্রি সব উত্তর একসাথে।
এতো আশা ছাড়লে চলে? পুনরুত্থানের নিকুচি করি, এখনই শুরু করে দিন, সবে মাত্র ঝড়ো পঁচিশ।
এই ফুলকালে ঠিকানা লাগেনা রে ভাউ, কেউ আপনাকে বলে দেয়নি বুঝি?।
আচ্ছা লেখার এতো সুন্দর সব ভাবনা কোথায় পান আপনি? সত্যি করে বলুন। আমিতো লেখা ভুলে গেছি, ভুলে গেছি সব ইতিহাস। শুধু পড়েই আক্ষেপ।
ছাইরাছ হেলাল
ইস্ আপনিও চিডি দেছেন!! আগে কইবেন্না!! তা নাহলে তো আপনার জানার কথা না,
ঐসব চিডি দিয়েই নকল করে চালাচ্ছি,
ঠিকাছে এরপর আর আপনার ঠিকানা হারিয়ে ফেলব না, ছালা ভড়া উত্তর পাঠাতে থাকব!!
উড়া চিডি মারলে কাম অইব যখন তখন তাতেই সই!! আপনি দেখছি এ লাইনে বিরাট কাবিল!!
আমিও ভাবি ক্যাম্নে ল্যাহে এ-সব, হতে পারে এগুলো সবই আপনার লেখা!! অন্য কেউ উপলক্ষ মাত্র!!