সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
যার সকাল খোয়া গেছে মহাকালের আগে।
তাই প্রেমের ভাগশেষ কবিতায় জাগে!
গোধূলির আলোমাখা বিকেল বিবর্ণমুখ!
সূর্য নামে পাটে অমীমাংসিত অনুরাগে!
সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
ছিলো হয়তো চঞ্চলা কৈশোর সারল্যে ভরা!
আজকে সে অভিজ্ঞতায় জীর্ণ আটপৌড়া!
চোখদুটো আর অকারণ ব্যথায় ছলছল করেনা!
আবার হর্ষ – বিষাদে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলেনা!
সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
গাছে ছড়া, মাছ ধরা,গোল্লাছুট খেলা মনে আর পড়েনা!
সেই কোমলপ্রাণে জায়গা পেয়েছে ডালনা – বাটনা।
হরিণির মতো দুরন্তপনায় মন আর নাচে না!
কোকিলের কুহুতানে আকুল হিয়া ব্যাকুল হয়না!
সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
আজ অবসর কাটে জানালার গ্রীলে আকাশ দেখে,
পুকুর পাড়ের খোলা মাঠে,, ক্ষেতের আলের ডাকে,
মরচেপড়া স্মৃতি স্মরণিকা কাঁদে অপারগতার দুঃখে!
সন্ধ্যাতারা অদৃশ্য প্রায়, নিয়ন আলোর বাঁকে।
২৯টি মন্তব্য
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
করুণ প্রকাশ — ” সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
যার সকাল খোয়া গেছে মহাকালের আগে।
তাই প্রেমের ভাগশেষ কবিতায় জাগে!”,। দারুণ লেখা। শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর মন্তব্য অনুপ্রেরণার অনন্য উৎস।
আপনার জন্য ও আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো ।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল।শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মূল্যবান মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্যে ।
ফয়জুল মহী
সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন ।
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অসাধারণ শব্দচয়নে কাব্যকথন!
সত্যিই খুবি ভালো লিখেছেন।
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর মন্তব্য পেয়ে উৎসাহিত হলাম।
অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অবিরাম।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি কিন্তু হতভাগীতা দেখাচ্ছে না।
হারিয়ে যাওয়া শৈশযে আর ফায়ার যাওয়া হয় না , শুধু ফিরে তাকানো যায়।
বন্যা লিপি
আমার আপত্তি আছে…. ছবিটা বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়েছে, আলতা রাঙা, কাচের চুড়ি পরা, সবুজ শাড়িতে এলো চুলে যে মেয়েটা একদা দাপিয়ে বেড়াতো খালের নৌকো বা পুকুর পারে কলসিভরার ছুঁতোয়,
এ সেই মেয়েটার প্রতিকী। যখন সে নিরাসার চোখে জানালার গরাদে চোখ রেখে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া আকাশ দেখে আটপৌরে গৃহকোনের ভেতর, সে ছবিটা এখানে দেয়া হয়নি। সেটা দিলে কি উচিত বিচার হতো? আমার মনে হয় না।
দেয়া ছবিটাতে বরং বুঝে নিতে পারি, হতভাগী মেয়েটার পরবর্তী রুপ!
ধৃষ্ঠতা মার্জনীয়।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি। আমরা যারা শৈশব কৈশোর গ্রামে কাটিয়েছি, হয়তো বৈবাহিক কিংবা কর্মসূত্রে শহরে বাস করি। দুরন্ত কৈশোর কিভাবে হঠাৎ উদাস করে তোলে স্মৃতিকাতরতায়।
সেই অর্থেে মেয়েটিকে হতভাগী বলেছি।
খাদিজাতুল কুবরা
ভাইয়া আমি কবিতার নাম অনুযায়ী ছবি দিয়েছি।
তবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য পরবর্তী পোস্ট করার সময় আমি নিশ্চয়ই মাথায় রাখবো।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে ভুল বা ঠিক সেটির নির্ণায়ক থেকে অমন বলিনি।
শিরোনাম এর সাথে ছবি খুব ই সঠিক ,
তবে লেখার শেষে এসে গেঁয়ো মেয়েটির বর্তমানের যে ছবি মনে আসে সেটি এমন না,
এটি ই বলেছি। অন্য কিছু না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হেলাল ভাইয়ের সাথে আমিও একমত, কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে ছবিটা মিললো না। কবিতা অসাধারণ লিখেছেন। একদা চঞ্চলা, গেছো মেয়েটি আজ বন্দী হয়েছে জীবনের অভিজ্ঞতার জীর্ণ আটপৌরে বন্ধনে। স্মৃতি বিজড়িত হয়ে অনুভব করা যায় অতীতকে কিন্তু তাকে আর আলিঙ্গন করা যায় না। শুভ কামনা রইলো
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনাদের অভিমত শতভাগ ঠিক।
আমি আসলে নামের সাথে মিল রেখে ছবি দিয়েছি।
অগ্রজ হিসেবে সবসময় ভুল ত্রুটিগুলো তুলে ধরে লেখার মানোন্নয়নে সহযোগিতা করবেন আশা রাখছি।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো আপু।
বন্যা লিপি
এমনিই তো হয় গেঁয়ো চঞ্চলা,হরিনী উচ্ছল কিশোরী মেয়েরা! তারপর দুম করে আকাশটা নাই হয়ে যায় চেনা জগত থেকে। এক লাফে গিয়ে বন্দী হয়ে পরে আটপৌরে জানলার গরাদের ওপাশে। ভাগ্য কার আর কবে কতদিন কোনো গাঁয়ের মেয়েকে চঞ্চলা হরিনী থাকতে দেয় বা দিয়েছে?
শুধুই স্মৃতী খুঁজে ফেরা। আর ফেরা হয়না পুরোনো মাঠে, নদীর কুলে, পুকুর পাড়ে, বকুল তলায়!
ভালো লিখেছেন।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আমার কবিতাটি উপলব্ধি করে পড়ার জন্য এবং চমৎকার বিশ্লেষণ করার জন্যে আমার প্রাণভরা ভালোবাসা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কিশোরী-চঞ্চলা মেয়ের নারী হয়ে উঠার গল্প!
কাব্যিকতায় অনেক অনেক মুগ্ধতা ❤❤
শুভ কামনা রইলো 🌹🌹
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর মন্তব্য পেয়ে উৎসাহ পেলাম আপু।
ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা নেবেন।
তৌহিদ
নারী এ সমাজে সবসমই অবহেলিত। আমাদের জীবন ব্যবস্থা নারীদের তাদের নিজেদের সমস্ত শখ আহ্লাদ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছি নিজেদের স্বার্থে। নারীকে ভোগ্যপণ্য করেছি, নারীকে সংসারের চৌকিদার বানিয়ে অধিপতিরা পায়ের উপর পা তুলে নাচায় আর তামশা দেখে।
নারীদের শিশুবাৎসল মনকে বোঝার চেষ্টা কেউই করিনা।
চমৎকার লিখেছেন আপু। শুভকামনা জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন।
আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
শুভকামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
এখনো এর ব্যতিক্রম নয়।
আপু ব্যথা বানান এমন হবে।
শুভকামনা
খাদিজাতুল কুবরা
আপু বানান বলে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনার কলমের জন্য ও শুভেচছা।
হালিম নজরুল
সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
আজ অবসর কাটে জানালার গ্রীলে আকাশ দেখে,
পুকুর পাড়ের খোলা মাঠে,, ক্ষেতের আলের ডাকে,
মরচেপড়া স্মৃতি স্মরণিকা কাঁদে অপারগতার দুঃখে!
সন্ধ্যাতারা অদৃশ্য প্রায়, নিয়ন আলোর বাঁকে।
———–এই একটি স্তবকই পরিপূর্ণ কবিতা।
খাদিজাতুল কুবরা
আমার কবিতাটি অলংকৃত হয়েছে আপনার উপলব্ধি প্রকাশে।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সঞ্জয় মালাকার
সেই হতভাগী গেঁয়ো মেয়ে
যার সকাল খোয়া গেছে মহাকালের আগে।
চমৎকার লেখা, ভালো লাগলো খুব,।
ভালো থাকবেন শুভ কামনা 🌹🌹
খাদিজাতুল কুবরা
আপনার ভালো লাগার মধ্য দিয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস স্বার্থক হয়েছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন সুহৃদ।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব কষ্ট আর জির্ন্দশা একজন গায়ের মেয়ের করুণ জিবন কাহিনী লিপিবদ্ধ করেছেন।
দারুন প্রকাশ।