গাছ দাঁড়িয়ে আছে, নির্ভার নির্ঘুমতায়,
তুমুল শব্দ তোলে মৌয়ের মাছিরা,
চুম্বন বৃষ্টিতে,
ঘুঘু-মা ব্যস্ত, ডিম তদারকিতে,
এক-ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা, বহু-কাল-ঘণ্টা,
আঁকড়ে ধরে সময়ের লম্বা-মোটা সুতা,
এই ঝুম-বৃষ্টিতে বাকল-উজ্জ্বলতা,
সময়ের বিষণ্ন-বন্ধ্যত্বের কল্পনা-কিরণে;
কাম আনলের কাম-অন্ধত্বে, শিকড়ের তলে তলে,
তল-আশনাইয়ের নির্বাধ আনন্দ-বিমূর্ততা, ঢেউ তোলে,
দেখতে-ও মন্দ লাগে-না, শুধু ‘ফোঁসফোঁসানিটুকু’ ছাড়া!!
চোখ-মাখা নির্লজ্জতাটুকুও দারুণ; দারুণ গন্ধ-স্পর্শের
স্বচ্ছ-রেখার মসৃণ শরীরী-বিলাস;
ঘরোয়া প্রেতাত্মা মুখে ব্যথিত-ক্লান্ত ছাপ
ভাঁজপড়া-কপাল চাপড়ে, তিরিক্ষি-মেজাজে, ফিরে যায়
একটু-বেশিই-পাকনা ভাব নিয়ে,
ভাব জমেছিল মনে, মিলাবে-মিলিবে আকণ্ঠ!!
সুড়সুড়ি জাগে-নি/জাগে-না,
বিজ্ঞাপনে বিজ্ঞাপন-ই থাকে, হৃষ্ট-পুষ্ট আদিমতা থাকে-না;
========================================
বিদ্রঃ ইহা কুন লটকন গাছ নহে!!
২২টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
শুধু পড়লাম। আজ মনটা ভালো নেই। মন্তব্য দিলে তাতে বিমর্ত ভাবনাগুলোই শুধু ফুটে উঠবে।
ঘুঘু বসা বাঁকলে রোদের ঝিলিকে যে শব্দমালা বসে আছে তার সাথে আর কথা বলা হবে না। তাই এ বেলা শুধু পড়ে গেলাম।
এ ক্ষণের এ বেলার রাগ দুঃখের ফোসফোসানি বন্ধ হোক।
তারপর ফিরে আসব। আজ আসলেই বড় ক্লান্ত।
ছাইরাছ হেলাল
ক্লান্তির কষ্ট-দহন ছুঁড়ে ফেলুন
নুপূর-পায়ে ফিরে আসুন।
ইঞ্জা
অসাধারণ লিখলেন ভাইজান, আপনার কবিতা অন্য লেভেলের, এ কবিতা নিয়ে আলোচনা করা আমার দৃষ্টতা হয়ে যায় বিধায় বেশি কিছু বলার সাহস রাখিনা, আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ।
শুন্য শুন্যালয়
অসাধারন লেখা যখন বললেন, এই কবিতা আপনিই এখন বুঝায় দেবেন। আমার মাথা পুরা ব্লেন্ডার স্পিডে ঘুরতেছে 🙁
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হা হা হা ইঞ্জা ভাই এবার পালাবেন কোথায়?
ছাইরাছ হেলাল
হ, ভাই আমরা ও বুঝতে চাই!!
একটু আগাইয়া আসেন, প্লিজ।
ইঞ্জা
;( আফা কি কমেন্টাইছি ভালা কইরা বুইঝেন, আগেই মাফ চাইছি। ;(
ছাইরাছ হেলাল
আমাকেও ক্ষমা-ক্ষুমা কইরা দিয়েন, আমিও বেশি কিছু লিখতে পারিনি!
ইঞ্জা
;(
জিসান শা ইকরাম
একবার পঠনে ইহা বোধগম্য হইব না, দেখি বিশেষজ্ঞ পাঠকগন কি বলেন পঠন শেষে,
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আমিও দেখি তেনারা কে কী বলেন!
ইঞ্জা
;(
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম প্যারাতো ঠিক ছিলো, আপনার মতো বুড়ো আর নিঃসঙ্গ এক গাছ দাঁড়িয়ে আছে, বুঝলাম। এইটা সেইটাও বুঝলাম, কিন্তু শিকড়ে শিকড়ে কার এতো প্রনয়? নিজে নিজেই চোখের মজা নিচ্ছেন, কানেরও।
বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে লটকন কিনতে গেছিলেন? আহারে! মন তো খারাপ হবেই। দেখতে কতোকিছুই যে আকর্ষনীয়, বিশেষ করে বিজ্ঞাপনে। 🙂
আপনি কিন্তু অনেক পেইন দ্যান বুঝলেন?
ছাইরাছ হেলাল
কী যে বলেন ম্যাম! আপনাকে পেইন দ্যায় সেই পেইন হাটেই ওঠে নাই!!
ইস আমি বুড়া না, আমি একুশ!!!!!!!!!
আরে শিকড় তো মাটির সাথে কষে ভালুবাসা চালাচ্ছে!!
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কেউ কেউ গাছকে বিপথে নিতে চায়!!
তৌহিদ ইসলাম
সত্যি বলছি এত জটিল শব্দ আমার মাথায় আসেনা। শুধু দুইবার পড়েই গেলাম। আমি কত্ত মুর্খ। এখনো অনেক শেখার বাকি।
ছাইরাছ হেলাল
এ নিতান্তই আউল-ফাউল গালগল্প!
আপনি মুর্খ নন অবশ্যই।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
মাথা নিলজ্জ বুঝিবার অধিকার আলালহ দেই নাই। দোয়া করেন না করেন মাপ দেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে এ যাত্রায় মাফ দেয়া যাচ্ছে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়। ব্যাপার না!
কবিতা পড়লাম, এইটাই সবচেয়ে সাহসের ব্যাপার। নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে বলি,
অঝোরে বৃষ্টি নামুক একুশে’র বারান্দায়
গত শতকের চাতাল ভিঁজুক,
খড়খড়ে বয়সীতে বৃক্ষ সবুজ , পেলব হবে। —আর পারুমনা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
বালাই ষাট! আর পারতে হবে না,
যা পেরেছেন উহাই শতেক!
একুশ আসুক বীরের বেশে বুক ফুলিয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাঁচলাম! \|/
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত সহজ না।