এখন থেকে তিন কোটি বছর পূর্বের, এ সংখ্যাটি তিন লক্ষ্য কোটি বা আমাদের সুবিধানুযায়ী তিন সেকেন্ড হিসাবে ভাবলে অসুবিধা/সুবিধার কিছু নেই, যার যার মর্জি মাফিক সাব্যস্ত হতেই পারে, হোক তা।
কথা হলো গল্প লেখা না লেখা নিয়ে কী কী ভাবনা করা যায়, যা ভাবলে সামান্য আরাম বোধ হতে পারে। আচ্ছা ঝটাঝট নাকি পটাপট, বা জিইয়ে রেখে শ্যাওলা ধরিয়ে তৈরি করা ভাল! আগাপাশতলা ভাবতে হচ্ছে এই জন্য গল্প আমি লিখবো-ই।
আজকে একটি ছবি দেখব বলে খুব হাঁকডাক করছি মনে মনে, সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি। ছবির নাম Halimin put(2012), ভুলেও মহা মূল্যবান সময় নষ্ট করে ও-মুখো হবেন না। গল্পের সত্য মিথ্যে কে কীভাবে নির্ধারণ করে কে জানে।
আচ্ছা নেটা-নেটির যুগে ধরুন গিয়ে আমারা যারা গঞ্জে বাস করি, তাদের ভরসা কিন্তু এই অন্য লাইন শপ গুলো, এক জায়গা থেকে কিনলাম সাতকড়ার আচার, আর এক জায়গা থেকে ছুঁই- ঝাল, উফ ভাবলেও মন আনচান, তবে একটু সাবধানে খেতে হচ্ছে, সাতকড়া মজাদার কিন্তু বেজায় তিতকুটে, ছুঁই-ঝাল মানেই উফ আহ সমেত এক বালতি টিসু। তাছাড়া প্রাকৃতিক মধু, খোদ সুন্দর বনের, আবার পাহাড়ের মধুও আমার অনায়াসে পেয়ে যাচ্ছি।
আবার হালফ্যাশনের জামা, জুতা থেকে শুরু করে স্ট্রেচ জিন্স, পুস্তকাদি, একটি প্রিং মেসেজেই কেল্লা ফলে, দহরম মহরম হয়ে গেলে ট্যাকাটুকাও চায় না, ফেল কড়ি মাখ তেল, সে দিন শেষ। বলে দেয়, “ভাই দিয়েন একবারে হিসেব করে!” আহা এ যে ন্যায় রাজ্য।
ইস, একদম বেভুলো হলে লেখা লেখি চলে!! আপনারাই বলুন! আচ্ছা গাল-গপ্পো লিখতে গেলে পাত্র/পাত্রীদের কোথায় পায়, মানে বলতে চাচ্ছি কী করে সংগ্রহ হয় বা করে!! কুমোর বাড়িতে গিয়ে আনতে হয়! আগে থেকে বায়না করে রাখতে হয়! পাইকারি না খুচরো দর/দামে সেটি জানতে পারিনি। তারপর পাত্র-টাত্র না হয় জোগার হলো, গাছের ফাঁকে/ফুঁকে লুকালুকি, নদী বা সমুদ্রে চুবাচুবি কী নিয়মে কোন সূত্র মতে মেলাতে হয়! ঠোঁট ঝুলিয়ে/ফুলিয়ে দুলে দুলে কান্নাকাটির মূল নিয়ম জানতে পারিনি।
আপনারাই বলুন এতো ঝৈ ঝামেলা করে লেখা-লেখি করার কী এমন দায় পড়েছে!! গপসপ না হলে ভাত ঘুমের ব্যত্যয় হয় এমন কিছু তো আবিষ্কার হয়-নি। ধ্যাত সব বাদ। অবশ্য ভাববেন না যেন উঠোন এঁকে-বেঁকে গেছে।
গল্প! সে আমি লিখবো-ই।
আমাদের সাবিনা-জি ফাইন ফাইন গপ্পো লেখে, এই তো কাল বা গত পরশু সোনেলায় এলেন! বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন, আমি অবশ্য না-বুঝে-টুঝেই কবিতা-জি বলে ফেলেছি, এখন ফেরত নিতেও পারছি না। কী সব লেখে-টেখে কে জানে। তবে লেখে, ফট-ফট করে কবিতায় মন্তব্য করে! কেমনে পারে কে জানে, আমার কিন্তু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে তিনি লেখেন, তিনি-ই লেখেন।
সাবাস কবিতা-জি, বিস্ময়-পাঠক হিসাবে বলছি, বেঁচে-বর্তে থাকুন আমাদের পিণ্ডি চটকিয়ে, সোনেলাকে ভালোবেসে-ও।
১৮টি মন্তব্য
শাহরিন
ভালোই অনলাইনে শপিং হচ্ছে।
মনে হচ্ছে। লেখা পড়ে মনে হচ্ছে সামনে বসে কারো সাথে আড্ডা দিচ্ছি।মন্তব্য করার জন্য সঠিক শব্দ খুজে পাচ্ছি না। কাছাকাছি যেমন খুবই প্রানবন্ত/ জীবন্ত এই টাইপের লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
আগেই তো বলেছি, গঞ্জের মানুষদের এ ছাড়া আর উপায় কী!!
বাটি চালান দিয়ে শব্দদের খুঁজে এনে এখানে কাজে লাগিয়ে দিন।
প্রশংসা শ্নতে খুব মজা লাগে, বেশি করে জারি রাখুন!! তবে ইট্টু সাবধানে।
সাবিনা ইয়াসমিন
শুরু করলেন মুভি দেখা নিয়ে (সত্য গল্প অবলম্বনের)। অনলাইন শপিংয়ের আচার খেয়ে বিচারও দিলেন। (ডাইরেক্ট না অবশ্য)। কী কী কিনেন তার তালিকা চিক্কণ সূরে গেয়ে শোনালেন। গল্প লিখতে গিয়ে যেই অবস্থার বর্ণনা দিলেন, এই পেরেশানে নব্য গল্পকার গুলো না আবার পেনশনে চলে যায়! (আমি সহ পড়িতে হইবেক)।
সবই তাল মিলিয়ে গপ্পোর তালে তালে বলে দিলেন। সাবিনা কে আবার জি এর পেরেকে গেঁথে কবিতার খাম্বায় কোন মতলবে লটকিয়ে দিলেন!! ঘটনা কি?
সোনেলাকে ভালো না বাসার কোনো কারণ নেই। তবে একটা কথা একদম ঠিক বলেছেন। সোনেলার সোনালী পিণ্ডি গুলো চটকাতে পারলে মন্দ হতো না… কিন্তু আফসোস! সুযোগ মিলছে না। 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো গপ্পো লেখার ট্রাই দিলাম! আপনি এর মধ্যে এত্ত সব খুঁজে পেলে হবে!
বড় লিখিয়েদের হাতে পড়লে যা হয় আর কী!
যাকে তাকে সব কিছু দেয়া ঠিক না, তবে যোগ্য জনকে বঞ্চিত করাও ঠিক না। কবি কে তো কবি-ই বলতে হয়/হবেও।
সোনেলা ধন্য আপনাকে পেয়ে, তবে আপনার চটকানোর মত প্রমাণ সাইজের পিণ্ডি এখানে নেই বোধ করি।
সাবিনা ইয়াসমিন
আফসোস সব সময়ের জন্যে 🙆🙆
ছাইরাছ হেলাল
আহা, আহা!!
রাফি আরাফাত
মন্তব্য কি করবো তা নিয়ে আমি বেশ কনফিউজড। যাই হোক সব মিলে গঠনমূলক ভালো একটা লেখা৷
বেঁচে-বর্তে থাকুন আমাদের পিণ্ডি চটকিয়ে, সোনেলাকে ভালোবেসে-ও।
কথাটা বুজিয়ে দিবেন প্লিজ।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝিয়ে দেয়ার সক্ষমতা আর পেলাম কৈ!
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
রাফি আরাফাত
বুঝিয়ে তো একদিন নিবোই আমি। সেটা আজ হোক আর কাল হোক ভাই। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
গুড এই তো চাই, বুঝে নেবই।
জিসান শা ইকরাম
এমন করে লিখলে কার সাধ্যি বুঝার যে এটি সাবিনা ম্যাডামের এক বছর পুর্তির শুভেচ্ছা পোস্ট?
সাবিনা ইয়াসমিনকে বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা। এই এক বছরে তিনি সোনেলাকে আপন করে নিয়ে দিয়েছেন অনেক বেশি। সোনেলার উঠোনে তার বিচরন অব্যাহত থাকুক।
আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদের মট মূল্যবান বস্তু গ্রহন ক্রাই শ্রেয়।
আমি তো বুঝতে পারছি না এই গপ্পো লেখায় শুভেচ্ছা পোস্ট কোথায় কি করে খুঁজে পেলেন!!
আপনাদের উর্বর মস্তিস্কে কত কিছুই খেলে বেড়ায়!
তবে তিনি থাকুন নিজ মনের আনন্দ ভুবনে তা বেশি করেই চাই।
তৌহিদ
সাবিনা আপুর একবছর হয়ে গেলো সোনেলায়। মনে হয় এইতো সেদিন! সবাইকে আপন করে নিয়েছেন স্বমহিমায়। তবে আপনার লেখা পড়ে প্রথমের দিকে বুঝতেই পারিনি এটা তাকে নিয়ে লেখা শুভেচ্ছা পোস্ট।
সিনেমা আর অনলাইন আচার মিলিয়ে যেভাবে ঘোল খাওয়ালেন সত্যিই মুগ্ধ। তবে আমার একবছর পুর্তিতে কেউ লিখেনি, আফসোস রয়ে গেছে। হয়তো সেই ভালোবাসা এখনো অর্জন করতে পারিনি। ☺
আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হলাম হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
তার কখন কী ভাবে বছর পুরো হলো তা তো আপনি না বললে জানতাম-ই না।
আপনি গুজবে কান পাতবেন না, এটি কুন শুভেচ্ছা পোস্ট হতেই পারে না।
শুধুই গপ্পো করার ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র।
ঘোল ভাবছেন কেন! আসলে ট্রায়াল লেখায় এমুন একটু আধটু ভুল-চুক থাকেই, থাকে না!!
আমরাও আর অনুপ্রাণিত হতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ… নতুন লেখা দিন। তাড়াতাড়ি দিবেন।
ছাইরাছ হেলাল
যথাজ্ঞা!!
সারাক্ষণ-ই তো লিখছি, পড়ছি কৈ!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি লিখছেন! কোথায়!!
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো সারক্ষণ-ই মন্তব্য লিখি!