ফাগুন,
কেমন আছো প্রিয় ? প্রথম দেখার বিদায় বেলায় কথা দিয়েছিলাম, প্রতি বসন্তে একটি করে চিঠি লিখবো তুমি-আমি। তুমি তোমার কথা রেখেছো। আমি কথা রাখার ছলে ভুলে ছিলাম তোমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি। মনে পড়েনি তা নয়, উদাসীনতায় লেখা হয়নি। পাছে তোমার আমার দূরত্ব আরো বেড়ে না যায় তাই আজ লিখছি, জানি পৌছে যাবে তোমার অজানা ঠিকানায়।
প্রিয়, তুমি জানো ? এখন কেউ কাউকে হাতে- কলমে পত্র লেখে না। আগে যেমন রাস্তার মোড় গুলোতে বা প্রায় প্রতিটি বাড়ির প্রবেশ দ্বারে একটি করে চিঠির বাক্স থাকতো , তার কিছু কিছু এখনো আছে। বাক্স গুলোতে এখন চিঠির পরিবর্তে ধুলো- বালি, ইঁদুর- তেলাপোকা আর মাকড়শা গুলো আবাস গড়েছে। ডাক পিয়ন গেছে অবসরে। খুব ক্লান্তিময় দিন কাটে তার আজ- কাল। লাল-নীল, হলুদ- গোলাপী রঙহীন খামে চিঠি বিলি করতে তার নাকি আর ভালো লাগে না। সুগন্ধ মাখা পরের চিঠি গুলো বিলি করে বেচারা পিয়ন যে সুখটুকু পেতো আজ সে ঐ সুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছে, ডিজিটাল চিঠি ব্যবস্থার কারণে।
এবারের পহেলা ফাগুনে শাহাবাগ গিয়েছিলাম, উদ্দেশ্য ছিলো বই মেলায় যাবার। তুমিতো জানো, এই একটি মেলা যেখানে যাবার জন্যে আমি সারাটা বছর প্রতিক্ষায় থাকি। পথে গাড়ির জ্যামে আটকে বসে ছিলাম একটি রিক্সায়। দেখছিলাম ব্যস্ত নগরীর শতশত অধিবাসীরা কত আগ্রহ নিয়ে ফাগুনের সাজ নিয়েছে। রঙ্গীন পোশাকে ফুলের অলংকারে সু-সজ্জিত তরুন-তরুণী থেকে বাচ্চা-বুড়ো- প্রৌঢ় সবাই বসন্তকে বরণ করার উৎসবে মেতেছিলো। হাসি- গল্প- মিষ্টি ঝগড়া আর কাঁচের চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে মুখোরিত এক সোনালী বিকেল। জ্যামে আটকে বসে থাকার চেয়ে পায়ে হেটে চলার পক্ষে ছিলো ফাগুনের বিকেলটি।
পথ চলতে চলতেই সব দেখছিলাম, আর এগোচ্ছিলাম গন্তব্যে। হঠাৎ একটি দৃশ্য আমায় কিছুক্ষণের জন্যে থমকে দিয়েছিলো। এক প্রেমিক যুগলের প্রতি দৃষ্টি আটকে ছিলো। হলুদ পাঞ্জাবি আর নীল জিন্স পরা ছেলেটি বাইসাইকেল চালাচ্ছিলো, পেছনে পরম আস্থায় কাধে হাত রেখে মেয়েটি বসে ছিলো বাসন্তী শাড়িতে ফুলের মুকুট মাথায় দিয়ে। হাসছিলো কেউ কারো দিকে না তাকিয়েই। তুমি হয়তো বলবে, এটা এমন কি দৃশ্য ? তবে তুমি যদি আমার দৃষ্টিতে দেখো তাহলে তোমাকেও মুগ্ধতা ছুঁয়ে যাবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, আজকের তরুন-তরুনীরা যেখানে নামী-দামী বাইক-মোটর সাইকেলে চড়ে অভ্যস্থ সেখানে এই বিশেষ দিনে বাইসাইকেলে ঘুরে বেড়ানোটা কোনো সাধারণ দৃশ্য নয় প্রিয়।
ফাগুন, বলোতো একটি স্বপ্ন থেকে আরেকটি স্বপ্নের দুরত্ব কত ? আমি অনেক ভেবেছি, কিন্তু হিসেব মেলাতে পারি না। তোমার কি মনে আছে ? কোনো এক ঘুমহীন স্বপ্নময় রাতে তুমি আমি এক স্বপ্ন গাছ বপন করেছিলাম। আমি পারছিলাম না, তুমি আমার হাতে-হাত রেখে গাছটি বপন করে দিয়েছিলে। বীজ বোনার পর প্রথম সার দিয়েছিলে তুমি। আমি দিয়েছি জল। গাছটি বেড়ে উঠেছিলো চোখের পলকেই স্বপ্ন জল-সারে। ফুল ফুটেছিলো এক মুহূর্তে।
প্রথম ফুল তুমি আমার হাতে দিয়েছিলে। সেখানে ছিলো এক জনমের জনম-গাঁথা। সেই জনমে, তুমি ছিলে কৃষান আমি কৃষাণী। ভোর থেকে সন্ধ্যা তুমি তোমার স্বপ্ন মাঠে সোনালী ফসল ফলাতে, আমি তোমার স্বপ্ন কুটিরটাকে আরো স্বপ্নীল সাজে সাজাতাম দিনভর। সন্ধ্যায় তুমি ফিরে এলে, আমার শাড়ির আচলে মুছে নিতাম তোমার ঘর্মাক্ত মুখ-কপাল। আর তুমি _ আমার সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া কপাল ঢেকে থাকা চুল গুলো সরিয়ে ঠিক করে ললাটে এঁকে দিতে ভালোবাসা-মমতার চুম্বন টিকা। আমরা সারারাত পার করতাম ঝলমলে চাঁদের পাহারায় থাকা ঝিকিমিকি তাঁরার উঠোনে।
প্রিয়, তোমায় কি বলেছি পরের ফুলটি এখনো ফোটেনি। অপেক্ষায় ছিলাম এবারের ফুল আমি তোমাকে দিবো। হটাৎ বৃষ্টি এসে সব শেষ করে দিলো। অদিনের বৃষ্টিতে ভিজে রাগে-দুঃখে- অপমান আর অভিমানে বসন্তের কোকিল কাক হয়ে গেছে। কৃষ্ণচুড়ার হাসি উষ্ণ বৃষ্টির জলে আরো রক্তাক্ত হয়ে পরলো। বসন্ত এনে দিলো একরাশ শ্রাবণের মেঘ। অথচ, আমাদের স্বপ্ন গাছটির সহ্য সীমা অসীম হওয়ার কথা ছিলো। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি বা প্রচন্ড ক্ষরায় হেসে উঠার কথা ছিলো । কথা ছিলো ডাল-পালায় বিস্তারিত হয়ে অজস্র স্বপ্ন ফুলে সুবাসিত হবে, সৌরভে বিমোহিত করবে আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পৃথিবী …
কথা ছিলো, আমরা আমাদের স্বপ্ন বনে
হাতে-হাত রেখে পথ চলবো, এগিয়ে যাবো,
কথা ছিলো, আমরা এক হবো- অচেনা
পথের দিগন্ত সীমানায়।
এক সাথে পৌঁছবো আমাদের নিজ অক্ষে,
নক্ষত্র-তাঁরা গুলোকে আড়ালে রেখে
চাঁদ হয়ে জোছনার বাসর সাজাবে তুমি
ডাকবে আমায়,
সাড়া দিবো নদী হয়ে –
সাজবো তোমারই আলোয়,
আকুল হবো তোমার প্রেমের আহ্বানে-আলিঙ্গনে,
আমায় অলংকৃত করে দিও
তোমার রঙধনু মনের সপ্ত রঙে।
প্রিয়, তুমি জোছনা হয়ে ছুঁয়ে যেও আমায়,
আমি উত্তাল হবো জোয়ারে-প্রতি পূর্ণিমায়..
ভালোবাসা নিও,
তোমারই নদী ।
৩৩টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
অস্বাধারনভাবে ফাগুনের দিনে নদীর কল্পনাগুলো ফুঁটে উঠেছে আবার ফাগুন শেষ না হতেই বর্ষার দেখা গেছে, ঠিক যেন এবারের মতই ফাল্গুনীআষাঢ়।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ মেহেদী ভাই। বর্তমান সময়টাই তুলে ধরেছি, তাই অবেলার বৃষ্টির কথাও চিঠিতে এসেছে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এমন হৃদয় আকুপাকু করা কড়া চিঠি পরে হুতাশনের হু হু বাতাস ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসতে চায়!!
ফাগুন হাওয়ায় উথলে ওঠা উত্তাল নদী দেখতে, নিদেন পক্ষে লিলুয়া বাতাসে ভর করে নদী-তীরে হেঁটে বেড়ানোর কথা ভাবা যেতেই পরে।
কিন্তু হায় ফাগুন হায় নদী সবই দূরে মিলায়!
দেখি আর কিছু লিখতে পারি কী-না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আর কিছু লিখতে আর কতো সময় নিবেন মহারাজ?
ছাইরাছ হেলাল
লেখালেখি অনেক কঠিন কাজ।
সাবিনা ইয়াসমিন
তাইতো, লেখা বড়োই কঠিন কাজ, কঠিন অবস্থা টের পাওয়াও সহজ কাজ নয়।
জিসান শা ইকরাম
এত আবেগ দিয়ে লেখেন কিভাবে? কল্পনায় এমন আবেগ সৃষ্টি করা কিভাবে সম্ভব?
আবেগ প্রকাশ শিখতে হবে আপনার কাছ হতে।
চিঠির প্রতি প্যারাতে আছে একজনের প্রতি ভালোবাসার হৃদয় নিংড়ানো বহিঃপ্রকাশ। কিভাবে ভালোবাসাকে প্রকাশ করতে হয়, তা আপনি জানেন। এমন আবেগকে ধরে রাখুন। আগামী ফাগুনে আবার এমন চিঠির দেখা পাবো এই আশা করতেই পারি।
সোনেলায় একটি চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা হয়েছিল।
আপনার এই চিঠি যে প্রতিযোগিতার সেরা চিঠির দাবীদার হতো তা আমি বলতেই পারি।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আবেগ প্রকাশ করার সহজ উপায় হলো বিবেককে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুপচাপ রাখা। শেখা-শেখির কিছু নেই, যারযার মনোভাবের উপর তারতার আবেগ-বিবেক প্রকাশিত হয়।
এটি কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্যে লিখিনি। শুরুতেই উল্যেখ করা হয়েছে একান্ত অনুভুতি। তবে হ্যা, বলতেই পারেন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
আমি কিন্তু বলিনি যে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য লিখেছেন। বলার উদ্দেশ্য ছিলো – আপনি পারবেন।
আরো লেখুন, শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা এই কথা! ফাগুন কথা রেখেছে, তার মানে কতো কতো চিঠি জমেছে আপনার থলেতে তাই-ই ভাবছি।
আপনি তো কিলার টাইপ চিঠি লিখছেন দেখতেছি। কথা ছিলো কেন হবে, এমন চিঠি পেলে ফাগুন অজানা ঠিকানার গুহা থেকে বাইরে আসতে বাধ্য। মনে করে আমাদেরও জানিয়ে রেখেন ঠিকানা, পরে যদি ভুলে যান। আর পটাপট সব চিঠিগুলো বের করুন তো যা পেয়েছেন।
আপনার কাছ থেকে চিঠি লেখা শিখতে হবে 🙂
খুব সুন্দর।
মনির হোসেন মমি
ফাগুন নদী
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মমি ভাই, ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফাগুনতো অনুভবের। তার চিঠি গুলোও তাই অনুভবেই পড়েছি। চোখে দেখাইতো সব দেখা নয়। নদীর চিঠি হয়তো দেখবেন, কারন নদী দৃশ্যমান।
ধন্যবাদ, শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
হুম রাইট।লেখায় চমৎকার মিল রেখেছেন।আসলে অনলাইনে বহুজনের লেখাই পড়ি কিন্তু অনেক লেখায় অনেক সময় খেই হারিয়ে যায় যা আপনার লেখায় মনযোগটা থাকে চুম্বকের মত।শুভ কামনা আপনার জন্যও বোন।
তৌহিদ
এমন আবেগময় লেখা বার বার পড়তে মন চায়। কল্পনা নাকি বাস্তব?
ফাগুন তব ধরা দেয়না,
দিন মাস বছর পেড়িয়ে যায়
কত কথা মনে জমে।
চিঠি লিখি, কবিতা লিখি
লিখি কাছে আসার আমন্ত্রন,
বিরহ যাতনা তব
ফিরে আসে বারেবারে
তবু তুমি বলোনাগো
ফাগুন যেন আমার নিশিথে যাপন।
ভালো থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
খুব সুন্দর লেখা দিয়ে মন্তব্য দিলেন তৌহিদ ভাই, অশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু।
ব্লগার সজীব
ইশ এমন একটি চিঠি যদি কেউ আমাকে লিখতো! জীবন ধন্য হয়ে যেত আমার।
সাবিনা ইয়াসমিন
হা,হা,হা, ভালো বলেছেন। এই কথা শুনে কেউ হয়তো লিখেও ফেলতে পারে। কারো জীবন ধন্য করার মতো মহৎ মানুষ পৃথিবী এখনো বিলুপ্ত হয়েছে বলে মনে হয় না।
ধন্যবাদ, শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
তোমার তো দেখি চিঠি লেখায় দারুন অভিজ্ঞতা!!! কত কত লিখেছো হুঁ!! দারুন লিখেলে কিন্তু!! এরপরে আর রোমান্টিক কিছু জমবে বলে মনে হচ্ছেনা।
তুমি একাই একশো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কাউকে নিয়ে লেখা এটিই আমার প্রথম আর একমাত্র চিঠি বন্যা। তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থেকো, শুভ কামনা। ❤
রিমি রুম্মান
অনেক সুন্দর আবেগী চিঠি। ডাক পিয়ন আর ডাকবাক্স আজকাল বড় অবহেলিত! আসছে বৈশাখে আরেকটি চিঠি হলে বেশ হবে! ভালোবাসা নিরন্তর।
সাবিনা ইয়াসমিন
ডাক পিয়ন আর ডাক বাক্সের অবহেলিত রুপ এখন মানুষের মনে হাহাকারেরই জন্ম দেয় রিমি আপু। সভ্যতার অগ্রদুত হাতে-কলমের চিঠিকে অতিক্রম করেছে বর্তমান টেকনোলজির সভ্যতা। এভাবেই হয়তো এক সভ্যতা এসে আরেক সভ্যতাকে গ্রাস করতে থাকে প্রতিনিয়ত।
ভালোবাসা রইলো , শুভ কামনা ❤❤
মোঃ মজিবর রহমান
আমি অভিভুত, আমি মুগ্ধ।
দারুন অনুভুতিতে সাড়া জাগানো একটি জিবন্ময়, ফাল্গুন, নদী, ভালোবাসা তাঁর সাথে দুইজনের আলাপন মনপ্রান ভরিয়ে দিলেন।
এখন নাই ডাকবাক্স, নায় পিয়ন,
নায় অন্তর, নাই ভালোবাসা, নায় আবেগ, আছে ক্ষণিকের পাশাপাশি থাকাথাকি, অনুভুতি যেন মেসেজ আসল ডিলেট করলাম তেমনি বালবভাসাও………………।।
একটা চিঠি একটা ভালোবাসা একত্রে বাস।
সাবিনা ইয়াসমিন
একটি চিঠির মাঝে দুটি মনের গল্প থাকে, তাদের বসবাসের স্থান হয়ে যায় সেই ভালো বাসায় / ভালোবাসায়। আপনার উপলব্ধির প্রকাশ দেখে আমিও মুগ্ধ হয়েছি ভাইজান।
যদিও এখন ম্যাসেঞ্জার / ভাইবার / হোয়াটসঅ্যাপের যুগ। তবে এখানেও ভালোবাসা হয় বৈ কি। চিঠি ছিড়ে ফেলা বা পুড়িয়ে ফেলার মতোই মেসেজ ডিলিট করা হয়। আগামীতে আরো প্রযুক্তি আসবে তখন এগুলোও পুরাতন হয়ে যাবে, কেউ কেউ মিস করবে এই Apps গুলোকে। যেটা কখনো বদলাবে না / বদলায় না, তাহলো প্রেম। সৃষ্টির শুরু হয়েছে প্রেম দিয়ে, সমাপ্তি পর্যন্ত এটা থাকবে।
খুব চমৎকার মন্তব্য দিয়ে আমার লেখাটা সার্থক করলেন মজিবর ভাই। অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন। শুভ কামনা 🌹
রিতু জাহান
তবে তো একটা ফুল তবু পেয়েছো।
এই তো এখানেই বা কম কি বলো!!
চোখ আটকে যায় আজও কোনো প্রেমিক যুগল দেখলে।
মনে হয়, কতো কতো কথা ও দশ আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে। কতো কতো স্বপ্ন বোনা!!
তারপর,,,,,,,,
চমৎকার লিখেছো
সাবিনা ইয়াসমিন
হ্যা, একটা ফুল পেয়েছিলো বলেই ফাগুনকে নদী ভুলতে পারেনা / চায় না। প্রতি বসন্তে ফাগুন এসে মনে করিয়ে দিয়ে যায় সে আছে, থাকবে। নদী সেই ভালোবাসার টানে বয়ে চলে জন্ম জন্মান্তরের পথ।
প্রেমিক যুগোলের প্রতি দৃষ্টি দেয়া আমার বিশেষ দুর্বলতা, হা,হা,হা, মনে কর এমনিই তাকিয়ে থাকি, ভাল্লাগে দেখতে, খুশিতে 😁
প্রহেলিকা
কবিতার আগে শেষ প্যারাটা অসাধারণ!
“অদিনের বৃষ্টিতে ভিজে রাগে-দুঃখে- অপমান আর অভিমানে বসন্তের কোকিল কাক হয়ে গেছে। কৃষ্ণচুড়ার হাসি উষ্ণ বৃষ্টির জলে আরো রক্তাক্ত হয়ে পরলো। বসন্ত এনে দিলো একরাশ শ্রাবণের মেঘ।”
কোটেড অংশটুকু খুব জোড়ালো আবেদন সৃষ্টি করেছে লেখায়, অনুভুতিতে টোকা দিয়েছে। খুব খুউব ভালো লেগেছে। সময় স্বল্পতায় বেশি কিছু বলছি না।
পোষ্ট প্রিয়তে!!!
সাবিনা ইয়াসমিন
যা বলেছেন তাতেই হয়ে গেছে প্রহেলিকা। আপনি আমার চিঠির মুলে চলে গেছেন। চিঠিতে শত অনুরাগের ভিরে যে অভিমান আর অনুযোগ ছিলো তা আপনার দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। আপনার ভালোলাগা আমার ভালোলাগাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
চিঠি ঠিকানাহীন ছিলো, প্রিয়তে রেখে একটি আবাসের ব্যবস্থা করলেন। কৃজ্ঞতা জানবেন।
অনেক ভালো থাকুন, শুভ কামনা অবিরত। 🌹🌹
মায়াবতী
সোনা মনি ♥♥♥ কি লিখছো এই সব!!! এতো এতো আবেগ চান্দের আলোর মত চুইয়া চুইয়া পরতেছে দেখি! আমার ভাংগা ঘরে ভাংগা চালা ভাংগা বেড়ার ফাঁক দিয়ে এই মধুময় আবেগ কই রাখি বলো তো? এক কাজ করি চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ একটা ইনহেল করে নিশ্বাসে তোমার আবেগ গুলো টেনে টেনে অস্তিত্বের ভেতরে ডুবিয়ে দেই যা তে কোনো দিন ই আবেগ গুলো পালিয়ে না যায়, কি বলো জানে মান ♥♥♥
এতো অল্প সময়ে যা লিখছো তুমি সত্যি ই তোমাকে ভালোবাসার মেডেল দেয়া উচিৎ। অনেক ভালো লাগলো সাবিনা লেখা টা পড়ে। লিখে যাও আর আমাদের আবেগের আবেশে ভরিয়ে রাখো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আবেগের কিছু নেই মায়া আপু, চিঠিতে এসব লিখেছি যাতে ফাগুন ভালো মতো পটে যায়। নয়তো ভরা বসন্তে কই কই ঘুরে বেড়াবে কে জানে। কোকিল ভেবে যদি কাকের গান শোনা শুরু করে দেয় তাহলেতো বিপদে পরে যাবে বেচারা ফাগুন 😜😜
ভালোবাসা অবিরত ❤❤❤❤
শামীম চৌধুরী
চমৎকার
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ, শুভ কামনা 🌹🌹