কলিকাতার কবিভাবাপন্ন, কাব্যানুরাগী কানাই কর্মকারের কাজলাঞ্জন কনিষ্ঠা কন্যা কামিনী কর্মকার,
কপাল কুঞ্চিত করিয়া, কঙ্কন কচলাইয়া, কাকা কেদার কর্মকারকে কানে কানে কোমল কন্ঠে কহিলো,
কাকা কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোকিল কাকুতি করিতে করিতে কুহু কুহু করিলেও কলিকাতার কতিপয় কালো কাক,
কোকাইতে-কোকাইতে কোন কারণে কুলক্ষনে কা-কা করে?
কোন কালের কাকেরা কা-কা করিয়া কাকে কাকা কহিতেছে?
কুহেলী কাকেদের কাকা কে?
কটুভাষী, কৃপণ কেদার কাকা কটাক্ষে কটমট করিয়া কহিলেন- কন্যা, কপাল কুঞ্চিত করিতেছো কেনো?
কোকিল কুহু কুহু করিলে, কাকও কা-কা করিবে,
কেনোনা কা-কা করাই কাকের কাজ, কাজেই কাক কা-কা করে।
ক্লিষ্ট কাকের কপালে কা-কা করাই কঠিন কর্তব্য।
কাকেদের কাকা কোনো কালেই কেহ না।
এই চমকপ্রদ কবিতাটি কার লেখা জানিনা । একটি সময়ে অন্য একটি ব্লগে ব্লগিং করেছি বেশ কিছুদিন । আমার একটি পোষ্টে এই কাব্যটি মন্তব্যের আকারে দিয়েছিলেন , ঐ ব্লগের প্রাক্তন ব্লগার দু পেয়ে গাধ । হঠাত এই কাব্যের কথা মনে পরে গেলো । সোনেলায় শেয়ার দেয়ার ইচ্ছে । কিছুতেই খুঁজে পেলাম না এটি । প্রিয় ব্লগার দু পেয়ে গাধ ভাইকে ফেইসবুকে জিজ্ঞেস করতেই , মুহুর্তের মধ্যেই দিয়ে দিলেন এটি আবার । এত দ্রুততার সাথে উনি লেখা খুঁজে পান কিভাবে ?
কাব্যের লেখক : নাম অজানা
কাব্যের প্রেরক : জুপিটার জয় প্রকাশ
৪৭টি মন্তব্য
মশাই
বাপরে!!! দাড়ান, দাড়ান, পড়ে নেই আগে কি লেখছে, এখনতো আসলাম প্রথম মন্তব্যকারীর স্থান দখল করতে।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা পড়ুন আগে 🙂
মশাই
পড়া শেষ মাথা খারাপতো এ জণ্যই হইছে।
মশাই
না কিছু বলার ভাষা নেই পুরাই টাস্কি খাইলাম ভাইয়া। লিঙ্ক দেন লেখকের একটু জালাতন করি।
জিসান শা ইকরাম
লেককের নামই তো জানিনা । বছর তিনেক আগে দু-পেয়ে গাধ এটি পড়ার জন্য দিয়েছিলেন আমাকে। তিনিও লেখকের নাম জানেন না ।
মশাই
এমন লেখা নাই বললেই চলে, অনেক দক্ষতা প্রয়োজন বাপরে!!!
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই দক্ষতা প্রয়োজন।
কৃন্তনিকা
😮 😮 😮
কোনকালের কোন কবির কাব্য? কৌতূহলী কর্ণের কামনা… ;?
(y) (y) (y)
জিসান শা ইকরাম
কৃন্তনিকা কহিয়াছেন কোনকালের কোন কবির কাব্য? কৌতূহলী কর্ণের কামনা… 🙂
মশাই
আর দেরি না করে এবার আপনিও এমন একটা লেখা লিখে ফেলুন আমাদের জন্য। জানি বসে গেছেন নিশ্চই লিখতে, অপেক্ষায় থাকলাম ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
জিসান আর কাব্য ? চুম্বকের বিপরীত মেরু 🙂
মশাই
সূত্র পাল্টানো দরকার দরকার হলে আন্দোলন করা হবে।
জিসান শা ইকরাম
আরে না, সব ঠিক আছে।
সাতকাহন
কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না জিসান ভাই, বলতে হবে গদ্য কবিতায় আপনার হাত আছে, আরো কবিতা চাই।
মশাই
এটা কি উনি লেখছে আপনি সত্যি জানেন? একবার শুধু হ্যা বলে দিন………………….
সাতকাহন
শব্দচয়ন বলছে জিসান ভাই লিখছে, অন্য কারো লেখা হলে জিসান ভাইর মতো মানুষ কার্টেসিতে অবশ্যই উল্লেখ করতো, তাই আমরা ধরে নিতে এটা জিসান ভাইর লেখা।
জিসান শা ইকরাম
আরে ভাই না, এমন লেখা লিখতে আমার কয়েকজনম সময় লাগবে। আমার হলে লেখার অতুরিক্ত সুত্র কেনো দেবো?
পুষ্পবতী
ক -দিয়ে এতো সুন্দর কবিতা ভালো লাগলো। -{@ (y)
জিসান শা ইকরাম
আমারো লেগেছে বলে শেয়ার দিয়েছি।
মা মাটি দেশ
ক….এর জয় হোক।
জিসান শা ইকরাম
ক – এর জয় হোক।
বনলতা সেন
কী করে এমন লেখা সম্ভব বুঝতেও পারিনা । তা উনি এখানে অনুগ্রহ করে লিখলে মন্দ হত না ।
আমিও দিলাম একখানা………………….প্রায় অর্থহীন মিনি লেখা ।
ক’জন কুক্ষণে
কুকাব্য কূজনে ,
কৌমুদী কৌপীনে
কোকাফ ক্ষেপণে ।
কামাখ্যা কোঁদনে
কৈবর্ত কেতনে,
কুহক কৃপণে
ক্যাবলা কেলনে ।
আগুন রঙের শিমুল
তালিয়া 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমার দেয়া কী ঠিক হবে ?
যদিও এটি কোন লেখাই না ।
বনলতা সেন
অবশ্যই লেখা না । মহা কিছু লেখার দিব্যি কেউ দেয়নি ।
মনে যা আসে তাই লিখি এবং লিখব । এরকম প্রায় কাছাকাছি একটি মন্তব্য কোথায় যেন করেছিলাম । মনে করতে পারছি না । সেটি আবার কাটাকুটি করে দিয়ে দিলাম ।
জিসান শা ইকরাম
:Happy:
জিসান শা ইকরাম
লিখবেন হয়ত কোনোদিন।
আপনার প্রতিভায় তো টাস্কিত হয়ে গেলাম। কয়েকটা শব্দের তো অর্থই জানিনা।
বনলতা সেন
তাঁর লেখার জন্য অপেক্ষা করব ।
এখনই টাস্কিত হলে তো হবে না । প্রতিভা এখনও তুমুল ভাবে অপ্রকাশিত । এ সব শব্দের দিকে চোখ পাতা ঠিক না ।
জিসান শা ইকরাম
প্রতিভা প্রকাশিত হোক 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দু পেয়ে গাধ এর কাছে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ঋণী সে সময়ে ।
দেখেছিলাম এটি তখনই ।
যে ই লিখে থাকুক এটি তখন সে ই দেখিয়েছিল । এত এত দিন পরে তা খুঁজে আবার পড়তে দেয়া
তার পক্ষেই সম্ভব । শুভেচ্ছা তাকে আবারও ।
জিসান শা ইকরাম
হুম , যেই লিখুক , আমাদের কাছে এটি তাঁর প্রেরিত লেখা ।
কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি ।
আগুন রঙের শিমুল
মাইনাস জিসান দা 🙁
মাথার মধ্যে কতগুলা ক দৌড়াদৌড়ি শুরু করছে পড়ার পর 🙁
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা ,
ভাষার উপর কত দখল থাকলে এমন একটা লেখা লেখা যায় , তাই ভাবছি শিমুল ভাই ।
আগুন রঙের শিমুল
🙂
জিসান শা ইকরাম
🙂
সঞ্জয় কুমার
কি যে লিখলেন ।
কমেন্ট তো ভালই পাইলেন
কত টা ভাল বলব
কম বললেও বেশী বলা হবে
জিসান শা ইকরাম
ক দিয়ে লাইনের প্রথম শব্দ লেখা ভালোই হয়েছে ।
ব্লগার সজীব
কিছু কইলামনা
কি কমু ?
কি কমেন্ট করুম ?
জিসান শা ইকরাম
ক দিয়ে তো কইয়াই ফেলছেন 🙂
স্বপ্ন নীলা
দারুন দারুন এবং দারুন — ক দিয়ে কাব্য লিখে ফেলেছেন ব্লগার দু পেয়ে গাধ ——– অসাধারণ
শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
দু পেয়ে গাধ এর লেখাও না , এটি যে কার লেখা তাও জানিনা আমি । দু পেয়ে গাধ ও জানেন না । তবে তিনি এই কাব্য একটা মন্তব্যে দিয়েছিলেন ।
আদিব আদ্নান
আমার মাথায় ধরে না এগুলো কী করে লেখে ।
জিসান শা ইকরাম
আসলেই , কিভাবে লিখেন মানুষ এসব ?
মরুভূমির জলদস্যু
ক কাব্যের এই নমুনা সেই আদি কাল থেকেই চলে আসছে, তবে আপনি যে রুপটি এখানে প্রকাশ করেছেন সেটি আমার লিখা। আমিই এটিকে আদি রুপ থেকে পরিবর্ধন করেছিলাম।
জিসান শা ইকরাম
তাই নাকি ?
জানতাম না এটা 🙂
ঘুড্ডির পাইলট
ক এর সমারোহ ,
ক এর সম্মেলন !
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, কাদের কামরুজ্জামান কাসেম
সবই ক কাব্যের আওতাভুক্ত 😀