আর কতদূর হাঁটলে তোমার পথ ফুরাবে?
আর কত ঘাম ঝরলে তুমি ক্লান্ত হবে?
কত রাত্রি পেরুলে বলতে শিখবে
আমি আর পারছিনা।
সামনে যদি কিছু আর নাই’ দেখ
একবার তো চাও পিছন ফিরে!
কতটা পথ পেরিয়ে এলে!
জয় করলে কতটুকু তোমার এ একলা চলা!
তুমিই বললে নেবে না কাউকে সাথে
আমাকেও না।
আমিও বলি – বেশ তো!
সাহারা জয় না হয় একাই করলে!
কিন্তু এখনও তোমার ছায়ায় কাকে দেখ তুমি?
কাকে আঁক সেই ছায়ার পাশে?
নেবে না সাথে বেশ করেছো
তবে হৃদয়ে কেন এত ঠাঁই তার?
শুকানো ঘামের গন্ধ, তার বসত-বাড়ি?
তবে কি এতই অভিমান তোমার?
তার পরেও
টের কি পাও তুমি একা নও এ পথে?
৩১টি মন্তব্য
হৃদয়ের স্পন্দন
বাহ দূর থেকে ভালবাসা কবিতায় নমুনা
অরণ্য
ভাল বলেছেন। ঠিক ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
অভিমানী ভালো থাকুক
যার এত বড় শুভাকাংখি আছে
যে কোন অনতিক্রম্য পথ পারি দিতে পারবে সে নিমেষে।
ভালো লিখেছেন কবি
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। আমিও চাই অভিমানীটা ভাল থাক। থাঙ্কস্।
নওশিন মিশু
অভিমানীরা একলাই চলে। একলা চলার পথটাই তাদের অহংকার …..
চমংকার লিখেছেন …. 🙂
অরণ্য
হুঁম। মন্দ বলেন নি। তবে ঐ অহংবোধও আবার মাঝে মাঝে ওদের কুরে কুরে খায়। ক্লান্তি এলে টের পায় ঠিকই, কিন্তু বলবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
নুসরাত মৌরিন
“সাহারা জয় না হয় একাই করলে!
কিন্তু এখনও তোমার ছায়ায় কাকে দেখ তুমি?”
দারুন। 🙂
অরণ্য
ধন্যবাদ নুসরাত মৌরিন। ভালো লাগলো আপনার ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
একা আর চলতে পারল কই! সাথে তো আরও এক জন।
সুন্দর লেখেন আপনি ।
অরণ্য
ধন্যবাদ ছাইরাছ ভাই। আমার লেখাকে আপনি সুন্দর বলছেন, সেই আমার অনেক। আসলে আমি লিখতে চাই সহজ করে। এটি আমার সীমাবদ্ধতা আবার ভাল দিকও কখনও কখনও। আপনাদের মন্তব্যগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করছে কিছু লিখতে এবং তা সোনেলাতে শেয়ার করতে। ভাল থাকবেন।
ব্লগার সজীব
অভিমানিনী জানেন একজন শুভাকাংখি আছেন তাঁর। এজন্যই হয়ত তিনি সাহসী হয়েছেন। ভালো লেগেছে ভাইয়া।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব ভাল বলেছেন। মন্তব্যটি আমার বেশ ভাল লাগলো।
সাইদ মিলটন
নাহ তারা টের পায়না তো, ভাবে একলাই চলেছে এ কিনারাহীন আগুনময় পথে 🙂
কবিতা খুব ভালো হয়েছে , শুভ কামনা 🙂
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে বেশির ভাগ মানুষই আমরা কখনও কখনও টের পাইনা আমাদের এসোসিয়েশগুলো যা আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি সারাক্ষণ। আমিও জানিনা আমার কম্পিউটারের বিল্ট ইন হিডেন প্রোগ্রামগুলো। আপনাদের মত ভাল লেখক, কবিদের মন্তব্য পেলে যে কারো ভাল লাগবে। আমারও তাই। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
অরণ্য
এসোসিয়েশগুলো >> এসোসিয়েশনগুলো
বানান ঠিক করার জন্য আবার লিখলাম। এই ইংরেজী শব্দটার কোন উপযুক্ত বাংলা খুঁজে পাচ্ছি না কেন তাও আমাকে ভাবাচ্ছে বটে!
সাইদ মিলটন
সম্ভবত আশেপাশের লোকজন পারিপার্শ্বিকতা এই ধরনের কিছু একটা
আমরা টের পাইনা বা তারাও টেরপায়না বলেই না বেঁচে থাকি… বয়ে নিয়ে যাই জীবন 🙂
আমি মোটেও অত ভালো লেখক / কবি না ভাইয়া, ঐ এসোশিয়েশন যা দেখায় তাই লিখার চেষ্টা করি মাত্র।
শুভ কামনা 🙂
অরণ্য
থাঙ্কস্ ভাইয়া। 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
বাহ বাহ। চমৎকার। অনেক অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। চমৎকার বিশেষণযুক্ত ভালোলাগা আমারও ভাল লাগলো। আপনার কিছু লেখা আমি পড়তে পেরেছি। আপনি খুব ভাল লেখেন।
সিহাব
অভিমানীর মান ভাংগাবার চেষ্টা করুন !
খুব ভাল লেগেছে !!
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার পরামর্শ ভাল কিন্তু আমি ভাবছি একটু অন্যভাবে। অভিমানী নিজেই অনুধাবন করুক বেশ তো হয়েছে, আর না। তারপর ঘুরুক একটু পিছন ফিরে, তাকাক দূরে-ঐ দূরে। একটু হাঁটু গেড়ে না হয় বসেই পড়ল – এবারে অস্ফুটে বলতেও পারে “আমি আর পারছিনা”। আমার হাত প্রসারিত।
মামুন
অপুর্ব লিখনি!
ভালো লাগল।
অরণ্য
মামুন ভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। কোন কোন মন্তব্য আমাকে ভাবায় – পজেটিভলি। আমাকে প্রেরণা দেয় আরও কিছু লিখতে অনেকটা ছকে বাঁধা এ জীবনে। ব্যস্ততায় ক’দিন পড়া থেকে একটু দূরে ছিলাম বলতে পারেন।
বোকা মানুষ
চমৎকার লেখা! শুভেচ্ছা কবিকে!
অরণ্য
ধন্যবাদ বোকা মানুষটিকে। সোনেলায় আমার বয়স খুবই কম। আপনাকে লিখার আগে আপনার “চায়ের কাপে বিষন্নতা” পড়ে আসলাম। লেখাটি আমার দারুন লেগেছে। ওখানেও লিখেছি এখানেও আবার বলছি, লেখাটি আমার কাছে মনে হয়েছে ঠিক একটা টাইম মেশিন – যে কেউ চাইলেই ঘুরে আসতে পারে তার ফেলে আসা সোনাঝরা দিনগুলোতে, যদি তার থেকে থাকে ওরকম বর্নিল স্মৃতির ভান্ড।
খেয়ালী মেয়ে
হয়তো পাশে আছেন জেনেই অভিমানীর এতো অভিমান 🙂
অরণ্য
হুম, বেশ বললেন তো! এজন্যই বোধহয় মানুষ বলে “Heterogeneous group is always better than a homogeneous one to make good decisions. ” ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার লেখাটি পড়ে হেমন্তের গানটি মনে পরলো “আমিও পথের মতো হারিয়ে যাব, আমিও নদীর মতো আসবো না ফিরে কোনদিন। ”
রাতের অন্ধকারে, বৃষ্টির দিনে, ঘন মেঘের ছাতায় ছায়ারা সরে যায়, চলতে হয় একাই।
আপনার ইচ্ছে, কবিতা, বলা অভিমানী পর্যন্ত পৌঁছে যাক, শুভ কামনা।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যটি খুব ভাল লাগলো। হেমন্তের গান মনে পড়তেই আমারও একটা গান মনে পড়ে গেল। গানটি ছিল আমার ভার্সিটি লাইফের একটা ছোট্ট গ্রুপ সাহারা-র মন্ত্রসঙ্গীত – কে যায় সাথীহারা মরু সাহারায় সর্বনাশা পথের ইশারায়… । https://www.youtube.com/watch?v=v49yuWVf_Zw
শিশির কনা
শেষ লাইনটি হৃদয়ে তীর হয়ে বিধলো ভাইয়া (-3 -{@
অরণ্য
আপনাকে একটা গল্প শোনাই। কোন এক রাতে আমি হ্যারি পটার গেম্স খেলছিলাম। রাত অনেক। সবাই ঘুমিয়ে। কোন ঘরে আলো নেই, শুধু আমার ঘরে আমার ডেস্কটপের আলোটুকু ছাড়া। মিশনের একটা স্টেপ ছিল এক বিল্ডিং থেকে জাম্প করে আরেক বিল্ডিং এ যেতে হবে। কিন্তু জাম্পটা আমি মিস করি। যখন সে নিচে পড়ে যাচ্ছে একটা চিৎকারের শব্দ সাথে উঁচু দুই বিল্ডিং এর মাঝখানের গভীর অন্ধকার আমার মনিটরে। আমি গেমসের এতো ভিতরে চলেগিয়েছিলাম যে আমার বেশ কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছিল নিজেকে বোঝাতে যে পড়ে গিয়েছে সে আমি নই।
এ রকম মন্তব্য একটি লেখার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।