শোনো, অনেক কথা বলার আছে; তোমার কি সময় হবে শোনার?
যে কথাগুলো আজ না বললেই নয়, জানো না তো কতো কি ঘটে গেছে! ওই যে সেই সন্ধ্যার বিমর্ষ রাগ সে সুর তোলেনি আজ। এমনকি ধ্রুপদী আকাশ নেচেও ওঠেনি। কি হবে এখন? আলাদা করে একটি নদী সাজিয়ে রেখেছিলাম, সে কথা ভেঙ্গে ভেসে গেছে বিলুপ্ত নগরীর কোনো এক নদীতে, আর যে পাহাড়টিকে ভালোবাসবো বলে কথা দিয়েছিলাম, ধ্বসে গিয়ে পাতালপুরীতে তুলেছে ঘর। বাইজান্টাইন রাজত্ব নেই, সোমাপুরা মহাবিহার নেই, আজ শুধু আমরা দুজনই আছি।
তোমার কি সময় হবে শোনার, অনেক কথা বলার আছে!
ভুঁইফোঁড় সভ্যতার ভেতর অকালমৃত্যুর সন্ধান পেয়েছে প্রাচীন অস্থিরতা,
এক ভিস্তিওয়ালার কাছে কালি ও কলমের ধ্বংসাবশেষ দেখে প্রত্নতত্ববিদ সঙ্কেত সহযোগে ডাক পাঠিয়ে পায়নি কিছুই
এমনই শৃঙ্খলিত নির্বাসন, হে পিতা আমি সাইক্লোপস তোমার সন্তান!
নিঃশব্দ ইতিহাসের পাশ ঘেঁষে স্বপ্নমঙ্গল আখ্যান;
হঠাৎ ‘আমি এসেছি’ চেতনাবহনকারী এক ভদ্র বাতাস বলে উঠলো,
অপেক্ষায় থাকতে রাজি আছি, আমাকে একটি কথা দাও সব শুনবে তুমি, আমি অদৃশ্য হবার আগে
‘যাও’— অহঙ্কারী গ্রীবা তুলে কোনো লাভ নেই আফ্রোদিতি, এখানে কিছু আর পাবার নেই।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২০ এপ্রিল, ২০১৭ ইং।
**ছবিটি সংগ্রহ, ফটোগ্রাফিতে আমার ভাই শুভজিৎ রায় শোভন।**
২৬টি মন্তব্য
নীহারিকা
কঠিন লাগে। বুঝি না ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কঠিন কোথায়? নারীদের অবস্থানের কথা বলা হয়েছে।
কিভাবে নারী রাজত্ব ধ্বংস হয়েছে। 🙂
ইঞ্জা
অনবদ্য লেখা, খুব ভালো লাগা রইল প্রিয় আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
মিষ্টি জিন
দিদি অপূর্ব । ভালবাসার মানুষের সাথে ইচ্ছে করে সারাক্ষন কথা বলি। বাইজাইনটাই রাজত্ব , সোমপুর বিহার আমাদের দরকার নেই ।আমরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে শুধু কথা বলবো। এত রোমান্টিক কবিতা আর একটু সহজ করে লিখলে কি হোত ?
ছবিটাও খুব সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু তুমি এত্তো রোমান্টিক! আমি কিন্তু লেখায় রোমান্টিক, বাস্তবে ততোটা নই। 🙂
সহজ করেই তো লিখি, ইস এটা বুঝি কঠিন হয়ে গেছে? ঠিক আছে এমন করে খুব কম লেখার চেষ্টা থাকবে। ঠিক আছে?
আর ওহ, ছবিটা আমার বড়ো ভাই তুলেছে। ও অষ্ট্রেলিয়াতে থাকে।
ভালো থেকো আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ভিস্তিওয়ালা কী আপু?
প্রথমটুকু পড়ে এত্তো মজা লাগলো। মনে হলো কাউকে ঘুম থেকে ডেকে বলছো, এই ওঠো ওঠো দেখো সর্বোনাশ হয়ে গেছে, চোরে আমাদের সব নিয়ে গেছে 🙂
শুনবো তো, শুনবো বলেই বাতাস আটকে রেখেছি এয়ারটাইট কৌটায়, অদৃশ্য হতে দিলে তো!
ধুত এতো ভালো লিখলে খেলবোনা 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ভিস্তিওয়ালা হলো যে জল বহন করে।
তুমি যে কি সুন্দর মন্তব্য করো, আজও শিখতে পারলাম না।
আমি একটা কথা গল্প লিখেছিলাম বহু আগে। সেখানে গল্পের একটা চরিত্রকে দিয়ে বলিয়েছিলাম, “লিখতে পারাটা ব্যাপার না। কিন্তু প্রশংসা পাওয়াটাই মহাকঠিন।” আর তুমি সেই কঠিনটাকেই এতো সুন্দর করে অলঙ্কৃত করো, আমার মন নেচে ওঠে প্রজাপতির মতো।
প্লিজ লেখা নিয়ে খেলা করা ছেড়ে দিওনা। প্লিজ! -{@ আমার তখন কি হবে! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
ছবিটার মতো আমার ছবি আছে কএকটা। টিকটিক করে উঠলো বোকাবাক্স।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ ছবিটা আমার ভাই ওই যে অষ্ট্রেলিয়াতে থাকে বলেছিলাম না তোমাকে? ওই দাদা তুলেছে। এই লেখাটা কিন্তু ছবিটা দেখেই লিখেছি।
দাদা-বৌদি মেলবোর্ণ থাকে। বুঝেছো?
ছাইরাছ হেলাল
পাওয়া না-পাওয়ার অসম্পূর্ণতা সত্ত্বেও লেখাটি কিন্তু সম্পূর্ণতা পেয়েছে।
ভিস্তিওয়ালা যখন কাল-কলমের ভার বয়ে চলে, তখন তো পুরোটাই পূর্ণতা!!
এমন লিখলে না-শুনে পারবেই না, আর নাই-বা শুনলো!!
আমারা আছি না!! চোখ-কান বন্ধ করেই চিল্লানি শুনবো!!
কঠিন লেখার গন্ধ পাচ্ছি কেন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনিও বলছেন কঠিন!!!
সঙ্গদোষে লোহা তো ভাসে, জানেন না?
এতো সুন্দর মন্তব্য পড়ে তো আমার আরও মন্তব্য পাবার লোভ বেড়ে গেলো। এখন তাহলে কি হবে?
জানি তো আপনারা আছেন, তাই তো লিখেই চিৎকার দিলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
একলা ভাসলে হপে না!!
‘চলনা ভাসি এক-ই ভেলায়’ ব্যাপারটা এমন হলে মন্দ হয় না!!
যা হবার তা-ই হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
একলা ভাসিও তো না। সঙ্গী আছে সাথে। 🙂
এখন আপনি বলুন, “তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়?”
ছাইরাছ হেলাল
যামু, যামু,
শুধু ছোট্ট গাঁয়ে না, বড় গাঁয়েও!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কন কি! বড় গাঁয়ে আইবেন? ২০১৭ সাল তো যাইতাছে, ২০১৮ তে শুনলাম আমার নানা আইবে নাত্নীর এই গ্রামে।
জিসান শা ইকরাম
আমার নাতনী এবার নিজের লেখার সাথে নিজে কম্পিটিশান করছে।
কোন লেখাটা বেশি ভাল? এটি নিয়ে ঝামেলায় পরেছে পাঠকরা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তুমি যে কি না! এতো বেশি প্রশংসা ভালো না।
কই আর ভালো লিখি? আজকাল তো মনের মতো লেখা আসেইনা। 🙁
পাঠকদের অবস্থা খারাপ করে দিচ্ছি এমন পঁচা লেখা দিয়ে। আমার কাছে তো তা-ই মনে হয়।
মৌনতা রিতু
তার সময় হয়েছে যখন কথা শোনার, তখনসব কথার ঝুড়ি মিশেছে ঐ পাহাড়ের পাতালপুরিতে।
যখন এসেছে কাছে হৃদয়ের উত্তপ্ততা বিলিন হয়েছে সোমপুর বিহারের ঐ সভ্যতার ভিড়ে। নতুন এক সভ্যতা গড়ব সেখানে শুধু নির্মল বাতাস থাকবে না থাক আলো কিছু।
তুমি কি শুনতে পাবে, নাকি আমিই শুনব সে সব না বলা হৃদয়ের কথা।
তুমি এতো ভাল কি করে লেখ! (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ভালো লিখি কোথায়? তোমরা সবাই আমার লেখাকে খুব বেশি ভালোবাসো। আর এতো সুন্দর মন্তব্য দিয়ে সাজাও, যে আমি ভাবি কেন যে ভালো করে একটা লেখা লিখে দেইনা। আপু তুমি একবার মন দিয়ে তোমার নিজের মন্তব্যটা পড়ে দেখো, কত্তো সুন্দর লিখেছো!
মন ভরে যায়।
অফুরান ভালোবাসা শান্তসুন্দরী আপু। -{@ (3
প্রহেলিকা
একটি উৎকৃষ্টমানের লেখা পড়লাম। লেখার মাঝে শব্দে শব্দে এক দারুণ আবহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
আলাদা করে একটি নদী সাজিয়ে রেখেছিলাম, সে কথা ভেঙ্গে ভেসে গেছে বিলুপ্ত নগরীর কোনো এক নদীতে
লাইনটির জন্য ধন্যবাদ। সমৃদ্ধ লিখনী আপনার।
লেখাটি প্রিয়তে তুলে নিয়েছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মন্তব্য যে-কোন অ-লেখাকে অলঙ্কৃত করতে পারে। আপনি মন্তব্য দিয়ে মনকে ভরিয়ে দিতে পারেন। এমন ক্ষমতা ঈশ্বর সকলকে দেয়না, কাউকে কাউকে দেয়। আমাদের সোনেলার ভাগ্য ভালো আপনার মতো একজন লেখক-কবি এবং মন্তব্যকারী পেয়েছে।
আর অসাধারণ ডিজাইন করেছেন ম্যাগাজিনের। এতো গুন নিয়ে কিভাবে ঘুমান, সেটাই ভাবছি।
প্রিয়তে স্থান দিলেন লেখাটিকে, আমি কৃতজ্ঞ।
প্রহেলিকা
লজ্জায় ফেলে দিলেন আসলে। লেখাটি নিয়ে বিশ্লেষণে বসিনি। কারণ একটাই যে বিশ্লেষণে বসে অনেক বলার পরও কিছু বাকি থেকে যাবে। এটিকেও আমি লেখকের কৃতিত্ব মনে করি। তবে প্রহেলিকা একটি কাজ কখনোই করে না। লেখা ভালো না লাগলে এই অধম পাঠকের কখনোই উচ্ছসিত মন্তব্য করি না। বড়জোর শুভকামনা জানাই। লেখা ভাল হলেই কেবল লেখকের প্রাপ্য প্রশংসাটুকু করি। যা সকলেরই করা উচিত।
ম্যাগাজিনটা তৈরী করার পর নিজের কাছেই পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রহেলিকার মন্তব্যকে আমি কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব দেই। আর যখন কোনো লেখায় মন্তব্য পাইনা, বুঝে যাই “ডাল মে জরুর কুছ কালা তো হ্যায়!” 🙂
অনেক ভালো থাকুন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কবিতায় লাইক
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যে লাইক