গ্রীষ্মের খরতাপের তপ্ত দুপুরেও
কারো কাৎস্য কন্ঠের বিষ আমাকে আর স্পর্শ করে না।
কারণ, আজ আমার ভিতরে বাস করে
হাওয়ায় ভেসে আসা এক সমধুর সুরের ভান্ডার।
তাই চেয়ে দেখ, নিরুদ্ধিগ্ন ও নির্বিকার এ মুখ আমার।
ব্যাথায় কুঁকড়ে থাকা যে মুখটি দেখে তোমার পুরুষালী ইগো গর্বে ফুলে উঠতো,
সে মুখেই আজ দ্বীপ্ত দেখ।
তাই আজ বড় বেশি উতলা তুমি।
ফেলে আসা যতো শতো বিষ তোমাদের,
তা আজ পানির মতো স্বচ্ছ টলটলে।
সে সুরের অমৃতময় অনুভূতি আমার অন্তর ও শরীরে ময়ূরের পালকের মতো পরশ বুলিয়ে যায়।
জীবনের সব রুক্ষতাকে আজ আমি বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে চলে যাব সম্মুখপানে।
তপ্ততার বুকের উপর এক অশ্বত্থ বৃক্ষ দেখ রোপণ করেছি।
এর শীতলতায় বিচরণ করে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলব আমি।
সব তিক্ততার ছুরিকে আজ মলিন করব আমার অমলিন হাসিতে।
সর্বকালের বিষে ভরা ঈর্ষার পাত্র পান করব।
আমার সমবেত আক্রমনে তপ্ত এ সূর্যদেবও আশ্রয় নিবে মেঘের আড়ালে।
,,,,,,,,,,,,,,মৌনতা রিতু,,,,,,,,,১৭/৪/১৭.
২৫টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
বাহ্! কঠিন প্রত্যয়! এবার তাহলে রণ বা মহারণেও অংশ নিতে ভয় নেই। ভয় কে জয় করে ফেলেছেন শব্দাঘাতে। এমন উচ্চারণ জীবন চলার পথকে বন্ধুর থেকে উচ্ছল করে তুলে।
কাৎস্য কণ্ঠের বিষ, শিরোনাম যথার্থই হয়েছে।
মৌনতা রিতু
হুম, চারিদিকে এবং লেখার জগতের কাৎস্য কন্ঠ থেকেই শব্দগুলো চলে এসেছিল গতকাল।
অনেক ধন্যবাদ কবি, প্রশংসার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
প্রহেলিকার মত আমিও বলি শিরোনাম যথার্থ,
তবে আমরা নবতম নীলকণ্ঠ পেয়ে শান্তি বোধ করছি।
মৌনতা রিতু
তা কেমন, তা কেমন!
নীলকন্ঠটা কার?
শুভেচ্ছা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু তোমাকে লড়াকু শব্দের জগতে স্বাগতম।
এতো বিষ নিয়ে কি বইতে পারবে? তোমার হৃদয় তো জল।
তুমি তোমাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছো কিন্তু! -{@
মৌনতা রিতু
তুমি সব সময়ই আমাকে এমন করেই উৎসাহ দাও। ভালবাস তাই।
কিন্তু আমি তো জানি আপু, আমি কি লিখি! সত্যি বলছি, কিছু মন্তব্যে পুরোটাই লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তুমি ও উনি বললেন,” ফালতু কথাতে কান দিও না, লিখে যাও।”
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার স্যার একটা কথা বলেন, “তুমি তোমার মতো লেখো, তাই লেখাটাও একেবারে তোমার মতো। কারও সাথে কারওর লেখার মিল নেই। সবাই একেক অবস্থানে থেকে লেখে।” তুমি ঠিক তোমার মতো করেই লেখো মৌনতা আপু। বুঝেছো?
লিখে চলো অবিরাম। -{@
মৌনতা রিতু
জুলফিকারও এই কথাই বলে। ভাল থেকো আপু। -{@ (3
মোঃ মজিবর রহমান
সামনের রথে ধাবমান, এতো নিষ্ঠুর পথ পাড়ি দিয়ে এই শপথ বাঁ ইচ্ছা আপনাকে সামনের কঠীন পথ পেরিয়ে আরো অনেক উন্নত ভাল লেখায় ধাবমান হোক এই প্রত্যাশা রইল।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, মজিবর ভাই। ভাল থাকবেন পাশে থাকবেন। দোয়া করবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেউ ধন্যবাদ
ইঞ্জা
অসাধারণ ভাবে কথা গুলো কাব্যিকতায় ঢেলে নিলেন আপু, মুগ্ধ না হয়ে যে পারিনা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইজু। শুভেচ্ছা রইলো।
ইঞ্জা
শুভকামনা প্রিয় আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব তিক্ততার ছুরিকে আজ মলিন করব আমার অমলিন হাসিতে।
সর্বকালের বিষে ভরা ঈর্ষার পাত্র পান করব।
আমার সমবেত আক্রমনে তপ্ত এ সূর্যদেবও আশ্রয় নিবে মেঘের আড়ালে (y)
কঠিন শপথ তাই যেনো হয় আমরাও ত চাই । -{@
মৌনতা রিতু
এটাই হবে। হওয়াও উচিৎ। ভাল থাকবেন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
নীহারিকা
ওরে বাবারে….এ তো দেখি বিরাট হুমকি। ভয় পাইছি।
তবে ধন্যবাদ নতুন একটি শব্দ জানাবার জন্য। “কাৎস্য” শব্দটি একেবারেই নতুন আমার কাছে।
মৌনতা রিতু
ভয় নাই ভয় নাই। যত গর্জে ততো ঠিক বর্ষে না।
(3 -{@
ব্লগার সজীব
কাৎস্য শব্দ এই প্রথম কোন লেখায় দেখলাম। শব্দের উচ্চারন করতেই তো আমার দাঁত ভেঙ্গে যাচ্ছে, কিন্তু উচ্চারন আর করতে পারিনি এখনো। দাঁত ভাঙ্গা শব্দ দিলেন আপু? আপনার কি একটুও বায়া নেই? 🙁
কবিতা খুবই ভাল হয়েছে আপু। শেষের দিকের প্রতিটি লাইনে কি দাড়ি হবে? নাকি টাইপিং এর ভুল?
মৌনতা রিতু
এতো কঠিন হইছে!
দাঁড়ি হবে না, কমা হবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাবু ভাই।
মিষ্টি জিন
প্রতিবাদ , জোরালো ভাষায় হৃদয়ের বিষ উগরে দিয়ে ভালই করেছো । বিষ বেশিদিন বইতে নেই।
তোমার এমন রুপ কখনো দেখিনি।
ভাল থেকো আপু।
মৌনতা রিতু
হুম আপু। জোরালো প্রতিবাদ চলবে। কেমন আছো? -{@ (3 এই লও
শুন্য শুন্যালয়
বিষকেও জলের মতো স্বচ্ছ করার অস্ত্র যার হাতে পৃথিবীর কোন কাৎস্য কন্ঠই তার কাছে কিচ্ছু নই। বলিষ্ঠ কন্ঠ, কিন্তু এতো রাগ কিসের গো? ভালো লিখেছ।
মৌনতা রিতু
রাগ! তাই না। ঠিক ধরছো। শশুরবাড়ির লোকজন সাবধানে থাইক্কো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়
সাহসী বধুটি এবার ভয়কে করবে জয়। (y)