– আমি কে?
: তুমি কবিতা
– আর আঁপনি!
: আমি তোমার জন্মদাতা-
যাকে বলে কবি।
– আমার জন্ম কিভাবে হলো?
: কাল্পনিক সঙ্গমে।
– সঙ্গম কি!
: আত্মাকতৃক একে-অপরের মিলন।
– মিলন কি?
: অন্তরের মিল।
– অন্তর কাকে বলে?
: হৃদয়।
– আমি কি তাহলে,
আঁপনার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছি?
: একদম ঠিক।
শুধু তা নয়, জায়গা করে নিয়েছো খাতায়।
– কিভাবে?
: কলমের খোঁচায়।
– কলম!
: কলম বিবেকের অস্ত্র।
– বিবেক!
: বিবেক হলো তত্ত্বজ্ঞান।
– আর তত্ত্বজ্ঞান ?
: তা হলো প্রকৃত জ্ঞান।
– জ্ঞান? সেটা আবার কি!
: অনুভব শক্তি।
যে শক্তি দিয়ে তোমায় খুঁজে পেয়েছি।
– আচ্ছা আমার কাজ কি?
: এই সভ্যতার হৃদয় হরণ করা।
– কিভাবে করবো!
: যেমনটি আমায় করেছো।
– আমি পারবো তো!
: অবশ্যই পারবে। তোমাকে পারতেই হবে।।
১৬টি মন্তব্য
তানজির খান
কবি ও কবিতা দুটোই সংজ্ঞাহীন আমার কাছে। দুজনেই কখন কি করে কিছুই বুঝিনা। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কবিতা যখন তখন যা ইচ্ছে কবিকে দিয়ে করিয়ে নেয়। আবার কবিও কখনো কখনো কবিতাকে বস মানায়। যদিও দ্বিতীয় ঘটনা খুব কম হয়। কবি আসলে কবিতার দাস।
প্রলয় সাহা
দাসচক্রে কবি হয় সবসময় অন্য পথের। জগতটাও অন্য নিয়মের। 🙂
তানজির খান
ভাল বলেছেন দাদা
প্রলয় সাহা
হয়তো 😀 ভালো থাকবেন দাদা।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয়তে নিলাম।
তারপরে আসছি কিছু সংশোধনীতে। কয়েকটি বানানে একটু দৃষ্টি দিলেই ওরা নাচবে নিশ্চিত।
“বিবেক হলো তত্ত্বজ্ঞান।” বিবেক বুঝি তত্ত্বজ্ঞান? জানলাম। মনে রাখবো। (y)
প্রলয় সাহা
বানান ভুল আছে। সময়ের কৃপনতায় আমি পরাজিত তাই ঠিক করা হলো না। ধন্যবাদ দিভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় যখন সময় সাজিয়ে দেবে তখন ঠিক করে নিলেই হবে। 🙂
প্রলয় সাহা
(3 -{@ -{@ -{@
অরুনি মায়া
কবি আর কবিতার মৌন কথোপকথন |
চমৎকার ভাবনা 🙂
প্রলয় সাহা
ধন্যবাদ 😀
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
দারুণ হয়েছে (y)
প্রলয় সাহা
ধন্যবাদ। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
কেমন করে লেখ কবি
বানাও তোমার লেখা
আমি অধম হলাম
তোমার লেখার আশ্রিত পড়ুয়া।
কবি ও কবির ব্যাখ্যা দারুন লাগলো কবি।
প্রলয় সাহা
জেনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক আগের লেখা যদিও। তবুও এই লেখাটা আমার নিজেরও প্রিয় দাদা। ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন আপনিও।
সতত শুভেচ্ছা।
আবু খায়ের আনিছ
কবি ও কবিতার সম্পর্ক ভালোই উপস্থাপন করেছেন। দূভাগ্য বলতে হবে আমার, কবিতার সাথে এমন সখ্যতা আমার নেই।