কেমন যাচ্ছে জীবনকাল?
এ্যাকুরিয়ামের মাছের মত
দাবার বোর্ডে নীরব খেলুড়ে
হার জিত যা-ই হোক সব সম্ভব
নাকি জ্বলন্ত মোমের মত যাচ্ছ তুমি গলে!
আচ্ছা, তোমার শার্টের কলারে কি-
এখনও শ্যাওলা জমে আগের মত?
সোহাগ বাঁধা উঠোনে, শুকনো ঘাসের বপন কি বেড়েছে?
জানো, অনেকদিন ওই ঘাসেদের খাতির জোটেনা কোমল অবয়বে।
শুনেছি সকাল হলেই নাকের ডগায় থাই গ্লাসে কুয়াশা জমে রোজ
তাই খোঁজ নাও এদের ওদের তাদের এবং আমাদের।
মনোমালিন্যের সংসারে হাসতে ভুলোনি নিশ্চয়
অভিজ্ঞ একচোখে স্বপ্ন দেখতে সত্যিই কি ভালো লাগে বলো;
নাকি শেষটা দেখা দরকার তাই পৃষ্ঠা উল্টাও।
আসলে তোমার মনের খবর পাইনি কখনো
ছাপাও হয়নি কোন পত্রে, চিকা মারাতো দূরের কথা
সত্যি বলছি জানতে ইচ্ছে করে খুব।
কতটা গভীর হলে তোমার মত হওয়া যায়?
কতগুলো কাক রাজনীতির সংলাপ পুড়িয়ে দিয়েছ স্বইচ্ছায়?
আর কতটুকু গোপন হলে তোমার তার-কে ভুলে যাওয়ার ভাব ধরেছ?
তোমার আর তার মাঝেতো বেশ রোমান্টিক ছায়াছবি
সেই ছোট্টবেলা থেকে দেখে এসেছি; হেসেছি লজ্জায় লাল হয়ে।
তবে এটাও ঠিক,
তোমাদের মাঝে ছিল অনেকের যাতায়াত।
বন, সমুদ্র, নদী, রাস্তা, ঘর-বাড়ি, সকাল, বিকাল, রাত, আকাশ, সূর্য, চাঁদ, তারা।
ভাবতেই অবাক লাগে পুরো একটা পৃথিবী।
পৃথিবীটা আর আগের মত নেই তা আমি জানি
তবুও কি রোজ সকালে তার মাঝে হয় অবগাহন!
জানি জানি খুব ভালোবাসো তাকে
ভালোবাসাটা ঠিক আগের মত তাই-না?
না হলে কি কেউ ওভাবে বর চায়!
“তার আগে আমায় দিও তোমার দেখা”
সকল প্রাপ্তি চুকিয়ে দিতে চাও।
আয়ুষ্কাল দিন দিন হচ্ছে উর্ধ্বগামী
যা ছিল বরাঙ্গ; ইদানিং নাকি ওই দেয়াল থেকে
চুনকাম সব আস্তে আস্তে যাচ্ছে খসে।
সেকেলে হয়ে গেল চাকচিক্যের বর্তমান সংসারে তোমার নিঃশ্বাস।
সব কেমন অতীত হয়ে খাচ্ছে।
জযবা সময়ের অনুষ্ঠানে নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুসরত প্রাপ্ত ধীবর
সামনের দিনগুলো দেখতে দেখতে কেটে যাবে,
স্থির হয়ে যাবে সব, স্থির
এসে যাবে হঠাৎ গল্পের শেষ পৃষ্ঠা।
তাই বলে কি আমিও!
না, সবকিছুর পরেও আমি বলবো;
তুমি আমার মুখোশ, আমার চরিত্রের শেষ অক্ষর।
প্রিয় প্রাচীন,
ভুল করে হলেও গ্রহণ করো
আমার দু’পাণির শ্রেয় শ্রদ্ধা
যার একটাই নাম হবে তোমার শুষ্ক চরণ।
রচনাকালঃ ২১/১১/১৬ইং
৭টি মন্তব্য
অরুনি মায়া অনু
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। সেই ‘তুমি’ কে নিয়ে সুন্দর কবিতায় সুন্দর কিছু ভাবনা। সুন্দর কবিতায় ভাল লাগা।
প্রলয় সাহা
ধন্যবাদ। লেখাটা কিন্তু আমার বাবাকে নিয়ে লেখা।
আবু খায়ের আনিছ
বেশ ভালো লিখেছেন।
প্রলয় সাহা
বাবাকে নিয়ে লিখেছি বলে কথা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লাগা রইলো কবিতায়।
প্রলয় সাহা
তাতো জানি। আমি মনে করি আমার লেখাগুলোর মধ্যে এটা একটা লেখা যেটা লিখতে প্রায় ৬মাস লেগেছে। আমার বাবাকে নিয়ে লেখা। ভালো থাকবেন দিভাই
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝতে পারিনি বাবাকে নিয়ে লেখা যে! কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে।
ভালো থাকুন আপনার বাবা।