
স্মৃতির নদীতে ভেসে চলা
আমি এক কচুরিপানা।
ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে
আমার হৃদয় আঙ্গিনায়।
কত নদী-মোহনার মিলনমেলা
জড়িয়ে আছে হৃদয় সঙ্গমে।
কত জলযান বুক চিরে রক্তাক্ত করলো;
রক্তের ঝর্ণাধারায় তবুও আমি বেঁচে আছি-
নব দিগন্তের আশায়।
পথ হারিয়ে খুঁজি আরেক পথ;
রৌদ্রের খরতাপে দেহখানি পুড়ে যায়;
বৃষ্টি ধারায় সিক্ত হয় অজানা স্বপ্নরাশি।
কখনো হারাই আনন্দ-ঝর্ণাতে
ময়ূরপঙ্খী ডানা মেলে;
আবার কাঁদি বেদনার মেঘমালাতে।
কতজনে কত খেলা খেললো-
নিরুত্তাপ হয়ে শুধুই অবলোকন করে গেলাম।
হাজার কথা ঘুরে ফিরে মনে আসে বারবার;
কোথায় ছিলাম! কোথায় যাবো? আমি যে যাযাবর।।
২৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নিরুত্তাপ নিরুদ্দেশ-ই যাযাবরের গন্তব্য।
জিপসিদের গান শুনতে শুনতে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নিরুত্তাপ নিরুদ্দেশ-ই যাযাবরের গন্তব্য।জিপসিদের গান শুনতে শুনতে -সুন্দর বলেছেন তো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্মৃতির নদীতে ভেসে চলা
আমি এক কচুরিপানা।
বন্ধু তোমায় চিনি আমি
নামে ফাল্গুনী !
কবে কখন ভেষেছিলে
কচুরীপানা বলে ?
শুভ কামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ফাল্গুনী নামে চেনার জন্য ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা রইল
তৌহিদ
কচুরিপানা নিয়ে কবিতা হতে পারে ভাবনাতেই আসেনি। আপনি দেখিয়ে দিলেন। আমাদের জীবনও কিন্তু কচুরিপানার চেয়ে কম বৈচিত্র্যময় নয়।
ভালো লিখেছেন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। হুম আমরা তো কচুরিপানা ই। জীবনধারা আমাদের এমনই ।
সুরাইয়া পারভিন
সত্যিই জীবন যেনো স্মৃতির সমুদ্রে ভেসে চলা কচুরিপানা। ভাসতে ভাসতে আজ এ মোহনায় তো কাল অন্য মোহনায়
চমৎকার লিখেছেন দিদি
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে
প্রদীপ চক্রবর্তী
কতজনে কত খেলা খেললো-
নিরুত্তাপ হয়ে শুধুই অবলোকন করে গেলাম।
হাজার কথা ঘুরে ফিরে মনে আসে বারবার;
কোথায় ছিলাম! কোথায় যাবো? আমি যে যাযাবর।।
সত্যিই আমরা সবাই যাযাবর।
কোথায় ছিলাম,কোথায় যাবো, কোথায় আবার থাকবো তার কোন ঠিক নেই।
শুভকামনা দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য দেবার জন্য
জিসান শা ইকরাম
যাযাবর হলেও কচুরীপানা ভেসে থাকে বেঁচে থাকে।
আমাদের জীবন আসলে কচুরীপানার মতই,
কত কিছু দেখি আমরা, কত স্মৃতি আমাদের।
তোমার চোখে সবকিছুই দেখলাম ছোটদি।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা ভাই। অনুপ্রেরণা আর আশীর্বাদ দিয়ে ধন্য করেছেন ।
ইসিয়াক
চলমান জীবনের সবটুকুই আসলে ভেসে থাকা কচুরীপানার মতো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন ভাইয়া
ইসিয়াক
অনেক ধন্যবাদ আপু।
নুরহোসেন
আমার একটা ভেলা দরকার, অনেকদিন ভেলায় চড়ে কচুরিপানার ফুল তুলি না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর বলেছেন তো। আমার ও ইচ্ছা করে।শুভ কামনা
মনির হোসেন মমি
বাংলায় একটা শ্লোক আছে.
ঢেউয়ের উপর ঢেউ
তার উপর কাজী সাবের বউ…।
জীবনের ঘাত প্রতিঘাত যতই থাকুক জীবন কচুরীপানার ন্যায় বহমান। চমৎকার কবিতা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤭🤭🤭🤭 । শ্লোকটি মজার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য দেবার জন্য।
আসিফ ইকবাল
বাহ সুপর্ণা, ভালো লিখেছ। কচুরিপানার তুলনাটা ভালো হয়েছে। যেন উদ্দেশ্যবিহীন ভেসে চলা। তারপরেও, কোন একটা গন্তব্য হয়তো থেকেই যায়। ভালো থেকো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য দেবার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়
আসিফ ইকবাল
স্বাগতম 🙂
মাহবুবুল আলম
“কত জলযান বুক চিরে রক্তাক্ত করলো;
রক্তের ঝর্ণাধারায় তবুও আমি বেঁচে আছি-
নব দিগন্তের আশায়।”
নান্দনিক নির্মাণ!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন
সঞ্জয় মালাকার
দিদি আমাদের জীবনও কিন্তু কচুরিপানার চেয়ে কম বৈচিত্র্যময় নয়।
কতজনে কত খেলা খেললো-
নিরুত্তাপ হয়ে শুধুই অবলোকন করে গেলাম।
হাজার কথা ঘুরে ফিরে মনে আসে বারবার;
কোথায় ছিলাম! কোথায় যাবো? আমি যে যাযাবর।।
দিদি ভালো লাগলো খুব, শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা রইল।