
দেখছি, ভালোও লাগছে; মজাও পাচ্ছি
তোমার সেই চিরচেনা ব্যস্ততা, খুনসুটিময় সংলাপ,
বিগলিত আহ্লাদী সুর ও কনকনে প্রেম,
যা কিছুদিন আগে আমার জন্যও ছিলো।
উহ্ শব্দের শশব্যস্ততা, কষ্ট পাবার রঙগুলিও ভীষন চেনা।
আর ওই আগলে রাখবার যে সবুজ সোনালীকে
বারবার বেঁচে খাও এদোরে ওদোরে,
আর কতোকাল তা বেচাবেচি করবে এভাবে?
গন্তব্য বলে একটা শব্দ তো আছে?
সেটা নিয়েও তোমার ভাবা উচিত!
না হলে ফুরিয়ে যাবার দিন এলে আর কুলোতে পারবে না,
আর বোকাসোকার দল তখন হায়! হায়! করবে;
কষ্টও পাবে, কারণ তারা যে এখনও তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসে।
একটা দূর্বল বাউন্ডারী তুলে চিরচেনা পথ রুদ্ধ করে,
নিজেকে সুখী ভাবার উপকরন খোঁজা নেহাত বোকামী।
ভাঙ্গন নদীর কাজ তবুও সেটা সে পছন্দ করে না,
বারবার কাঁদে কাউকে কাঁদিয়ে দেবার আগে।
তবুও যার রক্তে বিধ্বংসী বয় সে কি পারে নিজেকে আটকাতে? তাই বোধহয় তুমিও পারোনা।
মনে মনে নিজেকে ঠিকই ধিক্কার দাও, যা কেউ শোনে না।
লাভ কি এমন ধিক্কারে!
বরং বাঁধের আপন হও, আটকে যাবার স্বভাব গড়ো টেমস নদীর মতো!
স্বচ্ছ, টলটলে, সুন্দরে স্বস্তি পাবে,
এতে আর কেউ তোমার ভাঙ্গনে বুক চাপড়ে কাঁদবেও না।
ছবি- নেটের
১৫টি মন্তব্য
অনন্য অর্ণব
মানুষ বড় রহস্যে মোড়ানো প্রাণী। কখন যে কি চায় কি করে কিছুই বোঝা যায় না। এই আছি বলে আটকে যাওয়া মানুষটা যে কাল একই বাঁধনে থাকবে তার নিশ্চয়তা কি?
তবুও আহ্বান করে যেতে হয়, কেউ কেউ ধরা ও দেয়। শুভ কামনা সতত 💝
রোকসানা খন্দকার রুকু
থাকার কথা বলেও যে চলে যায়, চলে যাওয়া দেখে বিশ্বাস হয় না। মন না মানলেও এটাই বাস্তব।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।।।
অনন্য অর্ণব
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা চিন্তা জগত থাকে, এখানে কে কি রকম আচরণ করবে, কে কতটা সহিষ্ণু, ক্ষয়িষ্ণু এটা নির্ভর করে যার যার মন মনন অবস্থান আর পরিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর। কেউ মদ বেচে দুধ কেনে- আর কেউ দুধ বেচে মদ কেনে, সবাই একই রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। কেবল বোধশক্তিইটাই ম্যাটার। আপনাকে ভালো থাকতে হবে, আর ভালো থাকার মূলমন্ত্র হলো পজিটিভ শেয়ারিং নেভেটিভ ইগনোরিং । ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
শুনেছি নদী আর পথিকের নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য থাকে না। তারা বয়ে যায়, চলতে থাকে যতক্ষণ চলৎশক্তি অব্যহত থাকে। নদীকে ভালবেসে যে বন্দী রাখতে চায়, সে কষ্ট পাবে। পথিকের দাবী পথের তরে, তাকে স্মরণে রাখা যায় কিন্তু মায়াজালে আবদ্ধ করতে চাওয়া বোকামি।
এটা একান্ত অনুভূতি ছিল? আমি ভেবেছিলাম এটা আস্ত একখানা কবিতা!
★ বি- নেটের!!!! এটা আবার কি জিনিস!
রোকসানা খন্দকার রুকু
ও বাবা আপনি বেঁচে আছেন?? খুব মিস করছিলাম আপনার কমেন্ট, আপনাকেও!
কবিতা লেখা শিখছি ম্যাম বই বের করতে হবে।। তসলিমা নাসরিন পড়তাম আর স্বপ্ন দেখতাম লেখক হবার।। সংসার ছাড়েনা, জানিনা কবে পূরণ হবে।।
পাশে থাকবেন প্রেরণা পাই।।।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
এ নিয়ন্ত্রনহীন তাড়নের ধারায় বাঁধ দেয়া কঠিন।
সুন্দর অনুভবে নির্জলা এক নির্মমতার চিত্রণ।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যে নিয়ন্ত্রনহীন তাকে আটকায় কার সাধ্য। তবে এরা গিয়ে কোথাও না কোথাও আটকায়।।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।।।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতি ছোঁয়া কবি আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
মনির হোসেন মমি
কবিতা বুঝি কম তবুও এ কবিতাটিতে মনে হচ্ছে তৃতীয় কোন ইন্দ্রিয়ের অস্তিত্ব ।। মন্দ কাজ বা অপরাধ করাটা যদিও আমরা খারাপ বুঝি কিন্তু তবুও এই আমরাই আবার করছি।
খুব ভালো লাগল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যা বহমান, চলমান, গতিমান তাকে কিভাবে আটকে রাখবেন? আরো একজন কবির আবির্ভাব ঘটেছে সোনেলাতে। চকলেট খাওয়াতে হবে এজন্য। ভালোই লেগেছে কিন্তু। আরো লিখুন আপু।পাশেই আছি। অফুরন্ত শুভকামনা
রোকসানা খন্দকার রুকু
এবার কবি হমু বোজা যাইতাছে তাইলে।। দিদি যখন বলেছে। সময়ের অভাব। নাহলে তো সোনেলাতেই থাকতে মন চায় সারাক্ষন।
ভালোবাসা দিভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যদিও আঁটকে যাওয়া আঁটকে থাকা সহজ কোন কাজ/কথা নয়
তবুও আঁটকে যেতে/রাখতে আমরা চাই ই, জ্বল জ্বল করে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।।