এদেশে থেকে কোনোদিন ব্রেকফাস্ট করিনি।
সকালের নাস্তা করি। আটার রুটি,সবজি/ডাল/ডিম/কলা এসব দিয়ে। রুটিকে ইচ্ছে থাকলেও রুডি বলতে পারিনা ছেলেদের অবাক করা চাউনি দেখে। তবে মনে মনে বলি’রুডি দাও,খামু’।
এখানে কখনো লাঞ্চ করিনা।
দুপুরের ভাত ভাই। সাদা ভাত,শাক/সবজি/ভর্তা/মাছ/গোস্ত/ডাউল এসব দিয়ে। কাচের প্লেটে ভাত তরকারি নিয়ে হাত দিয়ে আচ্ছা মত মেখে ভাত খাই যেমনটা খেয়েছেন আমার পর্ব-পুরুষ। চামচ এবং কাটা চামচ বাদেই।
ডিনার করিনা আমি।
রাতের খাবার খাই। সাদা ভাত,শাক/সবজি/ভর্তা/মাছ/গোস্ত/ডাউল এসব দিয়ে। এটাও হাত দিয়েই। প্লেটের সাথে চামচ/ কাটা চামচের ঠনঠন বা ঠকঠক শব্দে বিরক্তি লাগে।
আমার পূর্ব পুরুষ জমিদার ছিলেন না, ছিলেন না চৌধুরী পদবী প্রাপ্ত কেউ, যদিও দেশের প্রায় সবাই জমিদার এবং চৌধুরীদের মত সম্ভ্রান্ত ছিলেন। এত জমিদার আর চৌধুরীদের প্রজা ছিলো কারা সে প্রশ্ন অবান্তর। পূর্ব পুরুষদের কেউ আরব,ইরান,পারস্য থেকে আসেননি। বা আগত কারও সাথে ইয়ে করে রক্ত বিশুদ্ধ(?) করেননি। এসব দেশ থেকে আগত মানুষদের পরগাছা,ভিক্ষুক,দখলদার,দস্যু,পরদেশী,অনাত্মীয় ভাবি আমি। আমি নই কোন পীর আওলিয়া শাহানশাহ রাজা বাদশা নবাব এর বংশধর।খাঁটি বাঙ্গাল আমি। ১০০ ভাগ খাঁটি বাঙ্গালীর রক্ত ধমনীতে প্রবাহিত।
গনি মিয়ার বিশাল গামছা ব্যবহার করি আর লুঙ্গী পরে ঘুমাই,এতে আরাম লাগে খুব।
তবে দেশের বাইরে ব্রেকফাস্ট,লাঞ্চ,ডিনার,কাটা চামচ,ট্রাউজার,টাওয়েল এ অভ্যাস আছে।কম দেশ তো আর দেখিনি 🙂
৩০টি মন্তব্য
বোকা মানুষ
ভাই, একদম মনের কথা বলেছেন! আমাকেও যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, তবে বলব আমি এরকম বাঙ্গালী আচরনেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি! অন্য যেসব কায়দা কানুন রপ্ত করেছি, তা স্রেফ পেশাগত ভাবে টিকে থাকার জন্য…!
জিসান শা ইকরাম
অনেকেই এসবকে আন-কালচারড, খ্যাত বলে
এসবকে তোয়াক্কা করিনা আমি।
পাজেরো আর মার্সিডিজে আমার আরাম লাগেনা, গর্বও লাগেনা
নসিমন করিমনে আরাম পাই ভাই 🙂
তবে সব কিছুতে আমারো অভ্যাস আছে।
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, ভাল লাগলো আপনার স্পষ্ট উচ্চারন গুলো। ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আমি খুব সাদা সিদে জীবন যাবন করি অরণ্য ভাই।
আপনিও ভালো থাকুন
শুভ কামনা।
নওশিন মিশু
আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে গর্বিত থাকা উচিত। ভাল লাগলো আপনার প্রকাশ ভঙ্গীটা।ভাল থাকবেন …. 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে গর্বিত থাকা উচিত (y)
ভালো বলেছেন।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এখানেই জীবনের তৃপ্তি স্বদেশের মিট্টিতেই প্রকৃত শান্তি।
জিসান শা ইকরাম
স্বদেশ বা বিদেশ কোথাও নিজেকে হারাইনা মনির ভাই।
মামুন
গনি মিয়ার বিশাল গামছা ব্যবহার করি আর লুঙ্গী পরে ঘুমাই,এতে আরাম লাগে খুব।- আসলেই, আমি যা সেভাবে থাকাতেই শান্তি।
সুন্দর লিখাটিতে অনেক ভালোলাগা রেখে সাথেই রইলাম।
শুভকামনা নিরন্তর…
জিসান শা ইকরাম
গামছা আর লুঙ্গীতে যে আরাম, তা অন্য কিছুতে পাওয়া যাইবো না ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ভং ধরে বিশেষ সুবিধে হয় না, হবেও না।
জিসান শা ইকরাম
কাক ক্ষনে ক্ষনে ময়ুর হতে চায়।
খেয়ালী মেয়ে
জিসান ভাইয়া আমিও নাস্তা/দুপুরের খাবার/রাতের খাবার খাই 🙂
যে যতই খ্যাত বলুক না কেনো আমি এগুলোতেই স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করি 🙂
অন্য সংস্কৃতির বেশভূষায় নিজেকে সাজিয়ে আমি আধুনিক হতে চাই না…
আধুনিক সাজে নিজেকে সাজানোর জন্য আমি আমার সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে কখনো ভুলতে পারিনা, বরং এগুলোকে নিজের মাঝে ধারন করেই আধুনিক হতে চাই 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া এবিষয়টা এতো সুন্দরভাবে আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য..
জিসান শা ইকরাম
খুব ভালো মতামত দিলেন।
আমরা যেনো আমাদেরকে না ভুলি।
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
আপনি যে বললেন ইংরেজি আর বাংলায় অর্থ তো একই। সেফপ্টিও জন্য ট্রাউজার পরে ঘুমানো ভালো।
জিসান শা ইকরাম
ইংরেজীতে এসব বলে একটা বিশেষ অভিজাত ভাব নেয়ে অনেকেই। এই ভাবটা আমি নেইনা। এটি বলেছি।
সেফপ্টিও কি ? সেফটি নাকি? 🙂 সেফটি হলেও লুঙ্গী পরার মজা আলাদা।
মেহেরী তাজ
বিদেশ ভ্রমনের লেখা চাই।
জিসান শা ইকরাম
সময় করে লিখতেই তো পারছিনা।
দেখি —
কৃন্তনিকা
ভালো লাগলো… -{@ -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
ভালো লাগছে, এর অর্থ আপনিও বাঙ্গাল -{@
বন্য
তবে আমরা অনেকেই আজ আপন সংস্কৃতি থেকে দুরে সরে গেছি, খুব আহত হই যখন অধুনিক হবার প্রতিযোগিতায় নিজ সংস্কৃতিকে এক প্রকার বাতিলের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, প্রবাসেই আছি অর্ধযুগ ধরে তবে আজও সেই খাবারে হাত ছাড়া চামচের ব্যবহার করিনি, যেখানে চামচ বাধ্যতামূলক সেখানে নাই’বা গেলাম, নাই’বা খেলাম! সুন্দর করেই বলেছেন আপনি, আরো একটি বিষয় গতকাল একজনকে কবিতা লিখতে দেখলাম আর সেই কবিতার একটি চরণে ছয়টি শব্দের মাঝে ৪টি শব্দই ছিলো ইংরেজীর। 🙂
জিসান শা ইকরাম
দেশের বাইরে থেকেও যে বাঙালীয়ানা ধরে রেখেছেন, এজন্য অভিনন্দন। -{@
সাইদ মিলটন
জিসান দা ব্যবচ্ছেদ ভালোইছে 😀
কিছু মানুষের মুখে সিরাম ঘষাআআআআ লাগবো 😀
btw ঘুমানোর পোশাক হিসাবে লুঙ্গী এট্টু রিস্কি জিনিস, আমার অভিজ্ঞতা ভালোনা 🙁
জিসান শা ইকরাম
হুম ঘষা লাগুক, লাগাতেই তো চাই।
রিস্কি হইলে নীচ থেকে একটা ছোট্ট গিট্টু দিয়ে নিতে হয় 🙂
আমিও দেই মাঝে মাঝে।
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ খাঁটি বাঙ্গাল আমি। ১০০ ভাগ খাঁটি বাঙ্গালীর রক্ত ধমনীতে প্রবাহিত। -{@ -{@
আমি ও তাই।
জিসান শা ইকরাম
খুসি হইলাম -{@ -{@
লীলাবতী
খাঁটি বাঙ্গাল আমিও 🙂
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার প্রায় সবাই এমন।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি রুডি খান? 🙂
খানাপিনা তো দেখি সব এক!!! তাইলে আমিও বাঙ্গাল। লাঞ্চ বলুন আর ডিনার বলুন, যারা বাঙ্গাল তাদের গায়ে অই বাঙ্গাল গন্ধ টা থেকেই যায়। আমার তো মাঝে মাঝে পাটি পেতে খেতে মন চায়।
ব্যবচ্ছেদ ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনাকে আরো চিনতে পারছি।
জিসান শা ইকরাম
হ, রুডি খাই
কিন্তু মনে মনে বলি।
পাটিতে এখন আর বসতে পারিনা, ব্যাক পেইন আছে তাই
নইলে পাটিতেই খেতাম 🙂
শুভ কামনা।