একুশ – অহমের প্রতি
শয়তান , বাঁদর , ছাগল , কুকুর , অসভ্য ! তোকে মুক্তি দেবো , তাও আমি ? অতো সহজে ? তোর এ জীবনে মুক্তি নেই , বুঝলি ? আমায় কি পেয়েছিস তুই ? জানিস তোর মতো হাজার হাজার অহম আছে , যাদের সাথে বন্ধুত্ত্ব করতে পারি ? কেন করিনা জানিস ? তুই একা হয়ে যাবি । তিরি ছাড়া কেউ খবর নেয় তোর ? আর বলে কিনা ওঁম শান্তি ! ইচ্ছে করছে লাত্থি দিয়ে তোর কোমড় ভাঙ্গি ।
অতো ব্যস্ততার মধ্যে রাতে বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চিঠি লিখি , আর শয়তান বলে আমি নাকি পারমাণবিক বোমা ! উচিত শিক্ষা পাবি একদিন , দেখিস ।
তোর তিরি
বাইশ – তিরির প্রতি
এতোটা বোমা , সাথে গুলিও ; কেন রে মা ? আমার থেকে তোকে কেউ কি বেশী চেনে ? চিঠি পেয়ে এবার কি গুলি মারবি ? নতূন কিছু তৈরী করে নে । শোন মানুষ প্রচন্ড দাবদাহে বৃষ্টি চায় । কনকনে শীতে একটু ঊষ্ণতা চায় । আর নিঃসঙ্গতার নিঃশ্বাসে একজন বন্ধু চায় । মুক্তি কে চায় রে ? এ জীবনে অন্তত আমি চাইনা । মাথায় উঠেই আছিস , বেশী লাফাস না । ঠিক আছে ?
তোর অহম
তেইশ – অহমের প্রতি
বাব্বাহ ! তুই আবার কাব্য !!! ঘটনা কি ? এটা তো আমার মাথায় ঢুকলো না ! অহম , তোর নামটা কি সাহিত্যিক একটা নাম , মিষ্টিমনির দেয়া । কিন্তু তুই যে একটা বে-সাহিত্যিক , সেটা কে না জানে ! মানুষ অন্তত গল্পের বই পড়ে , তুই খুঁজিস ছোট ছোট বই । যার পৃষ্ঠা যতো কম , সেটাই তুই পছন্দ করিস । উপমা কি সাধে তোকে ছ্যাঁকা দিয়েছে ? প্রেমিক হিসেবে তুই গোল্লা ।
তোর তিরি
চব্বিশ – তিরির প্রতি
অবাক আমিও হলাম । এ কোন তিরি ! যে কিনা কোনো গালমন্দ ছাড়াই চিঠি পাঠালো ? তুই সুস্থ আছিস তো রে ? মাথার সমস্যা কি আবার দেখা দিয়েছে ? সেই যে উচ্ছ্বাসের থেকে ছ্যাঁকা খাওয়ার পর হয়েছিলো ? গতকাল ফোনে তো মনে হয়নি অস্বাভাবিকতা ?
কেমন লাগে এমন শুনতে ? শোন আমাদের মধ্যে একটা দারুণ মিল , দুজনেই ছ্যাঁকা খেয়েছি । তবে তুই তো প্রিয়’র মতো একজন ভালো মানুষকে পেয়ে গেছিস । কপাল আমার একটা প্রিয়া জুটলো না । কি যে এক বন্ধুত্ত্ব করেছিলাম , কিছুই করলোনা আমার জন্যে । একেকজন নিয়ে আসে , আর ওগুলো দেখা যায়…নাহ থাক বললাম না । ভয়ে আছি এতো গুলি-বোমা আমিও ছুঁড়লাম , কি যে হবে পরের চিঠিতে ।
তোর অহম
ক্রমশ প্রকাশ্য
হ্যামিল্টন , কানাডা
৯ আগষ্ট , ২০১৩ ইং ।
১৬টি মন্তব্য
বনলতা সেন
মধুর আন্তরিকতায় অপূর্ব বন্ধুত্বে লেখা চিঠি মন ছুঁয়ে যাচ্ছে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যে পূর্ণতা পেলো লেখাটির…ধন্যবাদ… -{@
এই মেঘ এই রোদ্দুর
সুন্দর চিঠি গুলো
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ… 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
অহম সুখে অনেকেই ভাসমান থাকে। ভালোলাগা রেখে গেলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লাগাটুকু যত্নের সাথে সংরক্ষিত হলো… 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাবছি নিয়মিত লেখেন কীভাবে ?
নীলাঞ্জনা নীলা
নিয়মিত কই ? ২০১৩ সালের লেখাই তুলে দিচ্ছি । ২০১৪ তে এসে কোনো লেখাই আর লিখিনি… 🙂
জিসান শা ইকরাম
স্বাভাবিক কথা বললেই ভাবনা হয় অসুস্থতার । হা হা হা হা হা
ঠিক ঠিক – এমন সম্পর্ক আমারো আছে একজনের সাথে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার একটা বন্ধু রাত দুটার সময় সেদিন ফোন দিলো । মেজাজ এমন চরমে উঠলো , দিলাম ব্লক করে । কিন্তু আমার এই রাগটুকু ছাগলটা নিতে পারে । বন্ধু যে । কতো কথা হতো আমাদের নিয়ে , কিন্তু আমরা দুটো সেই এখনও দেখা হলে মারামারি করি , গালি-গালাজ তো জলভাত…যখন লেখাটি শুরু করি , কাউকে ভেবে না । লিখতে গিয়ে দেখি অহমের চরিত্রটা বেলালের সাথে মিলে গেছে । তবে তিরির মতো আমি না । 😀
নানা গো কেমন আছো ?
খসড়া
প্রথমএই গালাগালি তে ডরাইছিলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
সারসে…নাই নাই ভয়… :v
শুন্য শুন্যালয়
আমরাও মুক্তি চাইনা।। এই চিঠি আর গালাগালির হারিকেন ঝড় চলুক।।
নীলাঞ্জনা নীলা
চলবে চলবে…যতোদিন আছে প্রাণ… 😀 :Happy:
স্বপ্ন
নীলাদি মুগ্ধ হয়ে গেলাম এমন বন্ধুত্বে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধুত্ত্ব মানেই তো প্রতিটি সময়ের উচ্ছ্বলতা এবং গভীরতা…স্বপ্নের রঙ নীল… 🙂