ফেইসবুক কি আসলেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম? আড্ডা দিচ্ছেন একসাথে অনেকে, সাথে খাওয়া দাওয়াও আছে। কি করছি আমরা এসব আড্ডায়? আড্ডার চেয়ে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে সেলফি তোলা এবং খাদ্যের ফটো তুলে তা ফেইসবুকে আপলোড দেওয়া। সামনে উপস্থিত বন্ধুদের উপেক্ষা করে অদৃশ্যমান বন্ধুদের মাঝে ফটো শেয়ার করাটা কি আসলেই সামাজিকতা? এমন অনেক আড্ডায় থাকার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে যেখানে আড্ডা ভুলে গিয়ে প্রায় সবাই মোবাইল হাতে ব্যস্ত এই আড্ডার ফটো ফেইসবুকে শেয়ার করা, কিছুক্ষন পর পর ফেইসবুকে উকি দিয়ে কে কি কমেন্ট করলো তা দেখা, কমেন্টের উত্তর দেয়া।
এসব তো আড্ডার স্থান ত্যাগ করেও করা যেত, তাই না?
আচ্ছা ফেইসবুক এডিকটেডরা কি ভবিষ্যতে তাদের বাবা মা বা প্রিয়জনদের মৃতদেহের সাথে সেলফি তুলে তা ফেইসবুকে আপলোড করবে? আর সে সব ফটোতে তাদের সামাজিক বন্ধুরা কমেন্ট দিবে, নাইস- ভাল লাগছে খুব- সুপার ডুপার- দোস্ত ফাটায়া ফেললি, এমন ফটো দিয়ে? প্রিয়জনদের মৃত্যুর শোকের চেয়ে কি বেশি হবে সে সব ফটোতে লাইক কম পাবার কারনে?
অপেক্ষায় আছি এমন দিনের।
ইদানিং কেমন অবসাদ এসে গ্রাস করে ফেলেছে সম্পুর্ন আমাকে। কাউকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি না ইচ্ছে করে, জন্মদিন, ঈদ, পূজো, নববর্ষ, জীবন সাফল্য কোনো কিছুই আর স্পর্শ করছে না। কি হয় এসব শুভেচ্ছায়? শুভ কামনা গুলো মিলিয়ে যায় হাওয়ায় বা ঝুলে থাকে স্থির হয়ে। শুভেচ্ছার স্থলে পৌছায় কি এসব? নববর্ষের যে শুভেচ্ছা আমরা প্রতিজনে পাচ্ছি, এসব শুভেচ্ছা কাজে লেগে গেলে তো সমস্ত বছরের প্রতিটি ক্ষণ আমাদের ভাল থাকার কথা। ভাল কি থাকছি আমরা? শারদীয় দুর্গা পূজোতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কামনা করি আমরা। হাস্যকার লাগে এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা ভাবলে। সম্ভব এটি আর এই দেশে? যা অসম্ভব তা চাচ্ছি কেন আমরা? শুধু গত বাঁধা লেখার জন্যই তো?
তবুও দিয়ে যাই শুভেচ্ছা অভ্যাসে।
একগাদা ডলার দিলাম তাঁকে। তাঁর ব্যাগ প্রায় পূর্ন। অথচ ব্যাগটি নিয়ে গেলো অন্য মানুষ? সাবধান চলতে হবে না? অবশেষে ব্যাগ চোর কি মনে করে ডলার ভর্তি ব্যাগ আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিল। দেয়ার আগে অনেক ডলার রেখে দিল। এত কষ্ট করে এত্তগুলা ৫০০ ডলারের নোট দিলাম, তাও রাখতে পারলো না?
ভবিষ্যতে ১০০০ ডলারের নোট দেব ভাবছি।
আচ্ছা লুঙ্গিতে সমস্যা কোথায়? লুঙ্গির কত গুন জানা উচিৎ। ভাসানী লুঙ্গি পরতেন, বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পরতেন, এমনকি ফরহাদ মাজহারও। লুঙ্গির দশটি সুবিধা তা কি সবাই জানে না?
যারা মশারী টানিয়ে ঘুমায়, তারা খ্যাত। আমি মশারী টানাই, আমিও খ্যাত। যারা লুঙ্গি পরে তারাও খ্যাত। আমিও,
মায়ানমারের নাগরিক রোহিংগারা বিনা যুদ্ধে আমাদের দেশের কিছু স্থান দখল করেই নিল। এদের জামাই আদর দিয়ে যেভাবে রাখছি আমরা তাতে এরা আর যাবে বলে মনে হয়না। এরা কক্সবাজার হোক বা নোয়াখালীর ভাষানচর হোক, থেকে যাবে বাংলাদেশেই। যা একপ্রকার বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল দখল করার মতই। আর এদের যে জন্মহার মাশা আল্লাহ, তাতে দশ লাখ রোহিংগার ২০ লাখে পৌছাতে বেশি সময় লাগবে না। এককোটি হতে কতটা সময় লাগতে পারে? প্রতিবছর রোহিংগা নারীর কোল জুড়ে আসে একটি সন্তান।
রিজিকের মালিক আল্লাহ, সো নো চিন্তা ডু ফুর্তি।
১১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বুজছি, আমার মতো এত এত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আপনারও মাথা ঘুরান্টি দিচ্ছে, ভাইজান দুনিয়া ডিজিটাল হইতেছে, আগামীতে প্রিয় মানুষের মৃত্যুতে সেলফি তুলে জানান দিবে নয়, অলরেডি দিচ্ছে, কয়েকটা আমিও দেখেছি, আবার কোন চোরের মাথা খারাপ হয়েছে যে ডলার ভর্তি ব্যাগ ফেরত দেয়?
আর রোহিঙ্গা?
ভাইজান হয়ত এমন দিন আসবে, যেদিন এই রোহিঙ্গারায় আমাদের __ __ __ দেবে, আমি তো দিব্যি দেখছি।
হে আল্লাহ্ এই রোহিঙ্গা নামক আজাব থেকে আমাদের মুক্তি দাও, আমীন। ;(
জিসান শা ইকরাম
কত কথা, প্রশ্ন যে মাথায় ঘুরপাক খায় ভাই! উত্তর নেই এসবের।
রোহিংঙ্গারা চরম বিপদের কারণ হয়ে উঠবে একদিন।
ইঞ্জা
উপায় আর আছে কি ভাইজান, সরকার যদি যথেষ্ট এলার্ট না হয় তাহলে সমূহ বিপদ।
সঞ্জয় কুমার
আধুনিক হতে গিয়ে অতি যান্ত্রীক হয়ে যাচ্ছি আমরা ।
অসাম্প্রদায়িকতা হল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সস্তা উপহাস । নিজের দেশের মানুষরা নির্যাতীত হচ্ছে এদিক তাদের খেয়াল নেই । তারা ভিনদেশী রোহিঙ্গা নিয়ে আবেগে আত্মহারা । এদিকে বাঙালী দের হটিয়ে বাংলাদেশের এলাকা দখল করছে রোহিঙ্গা রা ।
জিসান শা ইকরাম
‘ অসাম্প্রদায়িকতা হল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সস্তা উপহাস ‘ শতভাগ সহমত।
মোঃ মজিবর রহমান
রিজিকের মালিক আল্লাহ, সো নো চিন্তা ডু ফুর্তি। এই বাক্য বা দুয়া দিয়া আর কত ভাইজান।
লিখতে সমস্যা নায়,
বুকে সাহস থাক বা না থাক,
কলমের ডগায় পূর্ণতা আছে,
মনে মনে অসাম্প্রদায়ীকতা
অথচ পেটভরা পচে গন্ধ সাম্প্রদায়ীকতা।
আমাদের অন্ধকার ঘোর অন্ধকার। রোহিঙ্গাদের আছে সরকার, আছে বুকভরা বিদেশি সাহায্য কিছু বাস্তবে কিছু মুখে।
মৌনতা রিতু
যান্ত্রিক জিবনে ফসবুকে আমরা একটু হয়তো আনন্দে আড্ডায় মেতে উঠি।
হুম তবে অসামাজিক হয়েও উঠছি।
রহিঙ্গা ইস্যুটাতে আসলে িক বলবো বুঝতেছি না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মাথা সব আউলাইয়া গেছে..কি লিখবো কি লিখছি সব কিছুর মাঝেই দেখি জিলাপীর প্যাচ।আপনার অনেক কথা অনেক বিষয় বের হয়ে এসেছে তাতে সমসাময়ীক বিষয়ও উঠে এসেছে।সহমত আপনার সবগুলো কথার সাথে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আড্ডায় বসে ফেসবুক আমার মোটেও পছন্দ না। কেউ কেউ আছে এমন। কী যে অসহ্য লাগে ওইসব মানুষদের।
এবারে আসি শুভেচ্ছাবার্তা প্রসঙ্গে। আসলে শুভেচ্ছা না জানালেও কিছু হয়না, জানালেও কিছু বদলায় না। কিন্তু যেহেতু আমাদের একটা অবেগময়ী মন আছে, যেহেতু আমরা ছোট থেকেই শিখেছি, তাই সেই অভ্যাসেই জানাই।
অসাম্প্রদায়িকতা ওইটা কারে কয়!
“সে কী কেবলই যাতনাময়,
সে কী কেবলই চোখের জল
সে কী কেবলই দুখের শ্বাস
লোকে তবে করে কী সুখের তরে”
অসাম্প্রদায়িকতার আশ?—-
রোহিঙ্গা = র মানে রক্ত+হি মানে হিংসা+ঙ্গা মানে গঙ্গা=রক্তহিংসাগঙ্গা (সন্ধিবিচ্ছেদ দেখে আমারে মাইর দিওনা নানা।) 😀
নিতাই বাবু
গুরু লেখার শুরুতে ফেসবুক নিয়ে আপনার যেই অভিমত বা জিজ্ঞাসা, তা আসলেই অনেককে ভাবিয়ে তুলবে। তবে গত কয়েকদিন আগে আমি ইউটিউবে নাটকাভিনেতা জাহিদ হাসানের একটা ভিডিও দেখেছি, সেই লিংকটা দিলাম। আশা করি খুবই মনোযোগ সহকারে দেখবেন।
শুন্য শুন্যালয়
পয়োস্তি শব্দের অর্থ কী?
এক নাম্বার: ফেসবুকের উপরে এতো রাগ কেন? কিছু সময় যেতে দিন। মানুষ ফেসবুক বিমুখী হবে একসময়। দিভাই সেদিন বলেছে আদেখলা। হি হি, এখন পর্যন্ত এটাই সবচাইতে চার্মিং শব্দ মনে হয়েছে যারা এমন হুমড়ি খেয়ে পড়ে লাইক কমেন্টের জন্য।
নাম্বার টু, এতো এতো ইন্টারনেট ইউজকারি থাকলেও দেশে টাকার ব্যবহারের উপর জোর কমানো যাচ্ছেনা। অথচ ক্যাশ টাকার ব্যবহার কমলে ছিনতাই এর ঘটনা অনেকটাই কমে যেত। ৫০০$ কোন দেশের? জিসান ভাই মানি মেশিন কিনেছে নাকি? 🙂
লুঙগি ইউজ করলে খ্যাত হয় জানা ছিলোনা, তাহলে আমার চোদ্দগুষ্টি খ্যাত। পছন্দ না করা আর খ্যাত বলা ভিন্ন। আমার লুংগি পরা দেখতে ভালো লাগেনা, তাই বলে অন্যের পছন্দকে অসম্মান করা ঠিক না।
৪। রোহিংগা? আজকাল নিউজফিড এ টপিক্স বদল হয়েছে। পুরাতন ইস্যু নিয়ে আর কতোকাল? ধরে নিন, দেশে রাতারাতি জনবিস্ফোরন হয়েছে। কনট্রাসেপশান পদ্ধতি ব্যান করে দেয়া হয়েছে। ব্যাস এবার আরামসে ঘুমাতে যান।