ফাগুন দিনে/দিনান্তে চুপটি করে বারান্দায় বসে
আকাশের সাথে কথা কয়, লাচ্চির সুবাসে,
পাখিদের-সমারোহে,
গোলাপ নির্যাস চোখে ঢেলে, অপলকে তাকিয়ে রয়;
মায়াবী সকাল ডেকে তোলে, চল হেঁটে যাই ঐ দূর গায়ে,
শিশির ডোবানো আল-পথে পা-ডুবিয়ে
ইচ্ছে পাখিদের ঝাঁক উড়িয়ে;
অ-কবির
ইটের ভাটায় ইচ্ছে ধোয়া উড়ে যায় ঐ নীলাকাশে;
অ-কবিতার
অহংকারগুলো সাঁতারে বেড়ায় নদী-জলে
বাতাসি-চিরকুট বাসা বাঁধে বুকের ঘড়ি-পকেটে।
অ-কবির
এ-ও এক মস্ত সুবিধে, তুমুল হাওয়ায় ভর করে
দিব্বি উড়ে আসে মসলিনের ঝিলিমিলি চাঁদ
হুলুস্থুল ঝিলিক তুলে, স্নিগ্ধ কেশ-পরাগের আড়ালে ;
৩৫টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আমি সব সময়ই প্রথম! মন্তব্য পরে!
ছাইরাছ হেলাল
শান্তি পাইলাম।
জিসান শা ইকরাম
এই ঠ্যাং বাইর করা মাইয়ার ফটো আপনি তুলছেন?
এই মাইয়া আড়াল- চাঁদ!!!
আচ্ছা তাজ গেল কৈ ?
বন্দুক লাগবেই আমার,
আইতাছি
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, চাঁদ চাঁদ-্ই ঠ্যাং থাকুক বা না থাকুক! খালি ঠ্যাং দেখলেন!!
আরও যা আছে তা তো দেখাইনি-ই।
পাড়লে এমুন চান্দু একটি দেখান তো!!
বন্দুক ফন্দুকে কাজ হবে না, এ চাঁদে বন্দুক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
জিসান শা ইকরাম
ছবিটি কি মালয়েশিয়ার সেই ১৬ শতকের পুরানো দুর্গের? অথবা ফিলিপাইনের?
ভুলে গেছি আসলে, ভুলে যাই সব।
ছাইরাছ হেলাল
মানুষ মাত্রেই মরণশীল!!
রিতু জাহান
হা হা করার ইমো গেলো কই😃😃
তাজ তাড়াতাড়ি আয়।
ছাইরাছ হেলাল
ভুতের লগে আফনের কী!!
রিতু জাহান
সে বিরাট কাহিনী
প্রহেলিকা
অ-কবিদের আসলেই খুব কষ্ট, জলেও জ্বলে, পুড়ে পুড়ে খাক হয়!
তার চে বরং ইচ্ছে পাখিদের ঝাক উড়িয়ে আলপথে ঘুরে বেড়ানোই বেশ ভালো হবে, স্নিগ্ধতার মাঝে বিলিয়ে দেয়া যাবে। ঘড়ি পকেট এটা কেমন আবার কে জানে!
মসলিনের ঝিলিমিলি চাঁদ! কি কথা কবিদের। এমন করে কে বলতে পারে! কবি ছাড়া এভাবে বলা সম্ভব না! অ-কবি দরকার, মসলিনে চাঁদের কথা আরও পড়া যাবে।
ছবিটাতো একেবারে ফকফকা!
মোবাইল এ কি গুতায়?
ছাইরাছ হেলাল
অ-কবিদের কষ্ট দেখলেন কৈ!
তাদের আনন্দের কথাই বলা হচ্ছে, কবিদের হিংসে হতেই পারে, চাঁদানন্দে!!
ও আপনারা তো ভুয়া ডিজিটাল, পকেট ঘড়ি একালেও আছে, আমাদের দেশে এই ঘড়িতে চেইন দিয়ে ঘড়ি আটকান
থাকত, এক প্রান্ত সার্টের-পাঞ্জাবির বোতামের ঘাটের সাথে, বুক পকেটেের পাশ ছোট্ট একটু ফাঁকা থাকত, ঘড়িটি সেখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো।
চাঁদ দেখে বুঝতে পারছেন না!! মসলিন কী -না!! কবি হলে এসব পাওয়া যাবে না।
এই একটি দেখেই ফকফকা!!
প্রহেলিকা
চোখ থাকিতেও অন্ধ আমরা অনেকেই, কবিরা অনেক কিছু দেখে, অনায়াসে তুলে আনে কবিতায়। আমার আর সেই সাধ্যি কোথায়। আমি তো জান্তামই না এই পকেটের কথা। নেক্সট কখনো কবিতা লিখতে বসলে জোর করে ঘাড় ধরে ঢুকিয়ে দিবো এই ঘড়ি পকেট।
ছবিটা কবিতাতে দিয়েছেন তাতে কী! একটা গল্প কিন্তু লেখাই যায়! তা লিখবেনও জানি আমি! অপেক্ষা অপেক্ষা।
ছাইরাছ হেলাল
আহা, আপনি কবি কত কী দেখেন লেখেন!!
আচ্ছা পকেট ঘড়ি ঘড়ি পকেটের অপেক্ষায় রইলাম।
অনু গল্প লিখিনি, আপনি বললে ট্রাই করতেই পারি,
ছবির কাহিনী অনুর অনু সত্য গল্প।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই অ-কবি টা কে ? জানতে পারলে মন্তব্য দিতে সুবিধা হতো। ছবিটাতে কি আছে ? চাঁদ হাফ-প্যান্ট পরে এই প্রথম দেখলাম, মোবাইলটা মনে হয় নতুন।
এত্তওওও সুন্দর ছবি কই পেলেন মহারাজ ? সোনেলা এই ছবির কল্যানে হিট-হট না হয়ে যায় 😜
ছাইরাছ হেলাল
এই অ-কবিটা আপনি নন এটি শতভাগ নিশ্চিত। আপনি কবি।
ছবিতে চাঁদ আছে, চাঁদের হাফ/ফুল সহ নানান কিছু থাকতেই পারে,
তাছাড়া অনুমতি নিয়েই ছবি তোলা হয়েছে, এটি একটি সিরিজ ছবি।
দেখুন এটি কিন্তু ছবি ব্লগ না, লেখা ব্লগ। অতএব লেখাটি সামান্য দেখলেও দেখতে পারেন।
হিট-হট হবে কী না সন্দেহ আছে, হবে না, যেহেতু দর্শকদের আরও সুন্দর! (না) ছবি দেখার অভ্যাস আছে।
তারপর-ও আপনার কল্যাণে কুটিকুটি লাইক আপনার কাছেই জমা থাকবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটি সিরিজ ছবি !! মানে আরো আসিতেছে / এসেছে !
চৈতালী চাঁদ সব সময়েই অনন্যা। হাফ-ফুল-সেমি ফুলে কি আসে/ যায়। বহুত কিছু যে আছে তা বুঝতে হলে পাগল হওয়ার দরকার নেই। পানির মতো তরল দেখাচ্ছে সবই।
ঝকঝকে আকাশে ফকফকা ফাঁলি চাঁদ উঠলে তাঁরা গুনবে কে ? অ-কবিতা পড়ার স্বাধ চাঁদের মসলিন ঠ্যাং আটকে যায়, লেখা চোখে পিপড়ার খোঁচা দেয়। কি করি কি নাকরি , একমাথায় মগজ একটাই কেন দিলো বিধাতা !!
কোটি কোটি লাইক আসলেই কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে মহারাজ, বাতাসে সব উড়ে না-যায় 🤔
ছাইরাছ হেলাল
আরে সিরিজ না, ছবি তুলেছি তিন মিনিট প্রথম বার, আর এক বার কাকতালিয় ভাবে ভাবে এক মিনিটের কম।
ছবির জন্য এটি লিখিনি, লিখে ছবি যোগ করতে গিয়ে শেষ চুলের বর্ণনা দিয়েছি, তা না হলে তো শুনতে হবে
লেখার সাথে ছবি যাচ্ছে কী-ভাবে!
ছবির জন্য ও আগে লিখেছি কিছু লেখা, আছে এখানেই।
একটি মগজেই আমরা কুপোকাত হচ্ছি, বিধাতা রক্ষা করুন, সংখ্যা না বাড়িয়ে।
হাওয়া মে উড়তা কিন্তু চলিবে না, লাইক খুব অমূল্য বস্তু!!
মোঃ মজিবর রহমান
মায়াবী সকাল ডেকে তোলে, চল হেঁটে যাই ঐ দূর গায়ে,
শিশির ডোবানো আল-পথে পা-ডুবিয়ে
ইচ্ছে পাখিদের ঝাঁক উড়িয়ে;
এই সেই সকাল ভোর গেল কোথায় ইটপাথুরে শহরে আটকে গেছে দেহখানি। বাহির হতেই পারিনা। তই ছবি না দিলে লেখা হইনা গুরুজি!!! ছবি নিয়া সব কি কি উচ্চ উচ্চ কথা হইছে যে??
ছাইরাছ হেলাল
এ ছবি নিয়ে তো কথা হতেই পারে, খুব উচ্চ মানের ছবি যে।
ইটের জংগলে থেকে আমাদের মন ও পাথুরে হয়ে গেছে।
শুন্য শুন্যালয়
দেখুন আমি আপনার দুঃখ বুঝি। সবাই যখন ফিচার ফটো নিয়া লাফাইতেছিলো আমার খালি আপনার সরল (কী করবো মা, ছেড়ে দে কেঁদে বাঁচি) চেহারাটা চোখে ভাসতেছিল 😀 😀
লেখা আবার পইড়া তাপ্পর কইতাছি। পরে তো আবার বলবেন, আপনেগো লেখায় কেউ কিচ্ছু দ্যাহেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো জগদ্ধাত্রীর ভূমিকায়, আপনি না বুঝলে আর কে বুঝিবে এই ধড়ায়!!
ছবি ব্লগ তো আর দেতারি না, ঘোল খাই দুধের মুখে।
খুব যে পড়ছেন তা বুঝতেছি,
ছবিডা কিরাম হ্যা তো কইলেন্না!!
শুন্য শুন্যালয়
নাক চ্যাপ্টা, এইডা কি ভিয়েতনামিজ নাকি? চুরি কইরা ছবি তুলছেন, চুরির জিনিসের আবার ভালো, মন্দ! হুহ।
এইডা কি অ-কবির বউ?
ছাইরাছ হেলাল
আরে চুরি করমু ক্যা, দাঁত ক্যালানো ছবি কিন্তু আছে,
কুন দেশের তা জানিনা,
হুম, কুট্টি মাইয়া বউ তো হইতেই পারে, রাস্তা তো চেনাই, তবে ওপারে সত্তুরডা,
এপারে দাসীদের নিয়ে কম না একদম, উহা তো চলমান থাকিবে, শেষ দিবস পর্যন্ত।
শুন্য শুন্যালয়
গোলাপ, পাখি, আকাশ নিয়ে বসবাস আর কবিতা লিখতে না পারা অহংকার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একজনকে আমি চিনি। ইটের ভাটার সাথে তার হৃদয় দেয়া নেয়ার সম্পর্ক। আর হৃদয়ের ভাব যেখানে, সেখানে ইচ্ছার জন্মই হয় উড়ে যাবার জন্যে।
আজকাল চিরকুট গুলো কেমন যেন টিকটক করে ঘড়ির মতোই সাড়া দিতে থাকে, বুক পকেটে থাকে কিনা জানিনা, তবে হাতের মুঠিতে থাকেই।
ঝিলিমিলি চাঁদ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আছি। হতে পারে অ-কবির দূর্বলতম কোন স্থান, কোন প্রিয় কিছু যাকে সে আড়াল রেখেই স্বস্তি পায়, একার স্থিরতা নেবার জন্যে।
কী বুঝেছি জানিনা। বুঝতে না পারলে, ভালো করে পড়িনি ভাববেন না যেন। পড়েছি অনেক অনেকবারই। লেখাটা বিশেষে নিলাম।
দুস্টুমি মন্তব্য চেপে গেলাম, রাগ করে না আবার লেখালুখা ছেড়ে দিয়ে চলে যান!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ও দেখছি কবিতায় বসবাস, দুন্নাইতে আপনার অজানা কিচ্ছু থাকতেই পারে না।
আহা আহা, আচ্ছা বিশেষে কী অনেক অনেক অন্নেক অন্নেক বার নেয়া যায়!!
প্লিজ লাগে ট্রাই করুন!!
চেপে গেছেন তাতেই এই!! চাপার দরকার নেই, ঝেড়ে দিন।
চইল্লা যাওনের জায়গা নেই, আপনি কাসি দিয়েই ফেলুন।
শুন্য শুন্যালয়
আগে নেয়া যাইতো অন্নেকবার, এখন নাজমুল সাহেব সেই সিস্টেম পালটায় দিছে। অন্নেকবার নিতে হইলে এখন অন্নেকবার মুইছ্যা ফেলতে হইবে। মুছে ফেলা কী ঠিক হইবে?
না মানে ফাগুনের দিনে শিশির ডোবানো আল-পথ টা যদি এখন খোলাসা কত্তেন। এইটা কি লেট উইন্টার সিস্টেমে?
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী!! এই মূল্যবান ল্যাহা মোছন ঠিক হবে না, একবারেই যথেষ্ঠ!!
ফাগুন দেইখ্যা বুঝি আল-পথ আর শিশির মন থেইক্কা উধাও হই গেছে!!
আপনি পা ডুবিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন মুনে মুনে!!
জিসান শা ইকরাম
তারপর প্রত্যাশিত ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা বটবৃক্ষের আশ্রয়ে হরিয়াল-ইচ্ছেগুলো ঝুলে থাকে,
ব্যাচেলার মেসের চাকরী খোঁজা মলিন জামার মত বাঁকানো চাঁদের কোনে,
পূর্ণ জোছনায় খসে পড়ে ইচ্ছের মলিন জামা আশ্রয়হীন হয়ে।
অঝোর বৃস্টি মেঘের গাল বেয়ে বিরামহীন আছরে পরা ইচ্ছেরা
মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে শান্ত ছোট নদী হয়ে সাগরে মিশে যায়,
জলের গান এভাবেই থেমে যায়।
অপুষ্ট, রুগ্ণ ইচ্ছে গুলো ধূম্রজাল হয়ে মিলিয়ে যায় আকাশে।
একদা কোন কালে কোন সময়ে কিছু ইচ্ছের জন্ম হয়েছিল তা ভুলে যায় ইচ্ছের স্রষ্টা,
জলের গান।
ছাইরাছ হেলাল
হচ্ছে হচ্ছে!! হবে হবেই!! সামান্য প্রাইভেট পড়া লাগবে, পুরোন ও সব্যসাচীদের কাছে!!
হরিয়াল ইচ্ছেগুলো ঝুলতে ঝুলতে ভুল করে গড়িয়ে পড়ে
গড়াগড়ি দিতে শুরু করলেই শান্ত নদী অশান্ত হয়ে উপচে উঠে দুকূল প্লাবে!!
অপেক্ষা-প্রহরে আমরা চোখ রগড়ে দাঁড়িয়ে যাব।
জিসান শা ইকরাম
আমার একটা আড়াল চাঁদ লাগবেই লাগবে, যদি চাঁদের কল্যানে এক আধখান কবিতা বের হয়,
ছাইরাছ হেলাল
আকাশে চাঁদের অভাব কোনকালেই ছিল না, থাকবেও না।
তবে তাতে কবিতা না থেকে কোবতে থাকতেই পারে,
আহা, সাধ জেগেছে কী যেন কী হবে বলে!! এবারেই!!
রিতু জাহান
তবে এইসব হচ্ছিলো ব্লগে। আমি যখন হসপিটাল দৌড়াদৌড়ি করছি।
রাত নাই দিন নাই।
তয় সেদিন কিন্তু রাত চারটার সময় যখন ডাক্তারের চেম্বার রংপুর থেকে কুড়িগ্রাম পৌছাই চাঁদ দেখি খুঁজছে আমাকে।
কোনোরকম ব্যাগটা রেখে বসলাম।
হু! ঠিক ঠিক এপনার নামেই তার নালিশ ছিলো। চাঁদকে আড়াল করছিলেন সেই নালিশ।
‘আমাকে এক মায়াবী সকাল ডেকে তোলে। উঠে পড়ি। চোখের পাতা তখন ঘুমে ভারি।
আধো খোলা চোখে মিশিরে পা ডোবাই।
খুব ভোরে একদিকে তখন পূর্ণ চাঁদ অন্যদিকে সূর্যের উঁকি।
কোনটা ছেড়ে কোনটার দিকে তাকাব এই ভাবনাতেই সূর্য জোরে সোরে তেড়ে আসে।
আমি তখন সে তাপদাহে পোড়ার ভয়ে কোনো এক শীতল ছায়া খুঁজি।’
ছাইরাছ হেলাল
আমিও বলি আপনি নাই, তখন কী সব যেন হচ্ছে!!
তবে আল্লাহ রহম করেছেন, এই ডাক্তার নার্সদের মধ্যেও চাঁদ-সূর্য আপনাকে আড়াল করেনি।
এসে পড়ুন, আমরা অপেক্ষায় আছি, কী কী হচ্ছে না হচ্ছে, হবে, তার পাতা লাগাই।
রিতু জাহান
এসে পড়ি তো শতো শতো বাঁকাত্যাড়া মুহূর্তের ফাঁকেও। কেউ খোঁজ রাখে কেউ রাখে না।
ছাইরাছ হেলাল
খোঁজ রাখা কেউ দেখে কেউ দেখে না।
আল্লাহ সব দেখেন।