
স্বাদ আসা দেহ-প্রাণ এখন নুইয়ে পড়েছে
পাড়াগাঁয়ের পথে পথে, শহরে শহরে-ও
শ্রান্ত-ক্ষান্ত উৎসব শেষে;
আবার আসবে সে উৎসব এলে
জোয়ারের উঠোন পেলে
ঝরে পড়া রূপ নিয়ে;
উৎসব আজ বিকলাঙ্গ প্রায়
দুরন্ত সিঁদুরের ফলন্ত শরীরী ঘ্রাণে আহ্লাদ হাসে না,
বিবস্ত্র অবসাদে ঢেকে ফেলেছে সাধের ভাঁড়ার ঘর।
হে নক্ষত্র রাত ফিরে এসো আবার
আনকোরা অনাকার হেমন্ত-হাওয়ার জ্বলে ওঠা
প্রচ্ছন্ন উল্লাস-পুনরুত্থান নিয়ে শরৎ-শেষে
কোন এক হেমন্তে;
অন্তহীন-আশা-ভালোবাসার উচ্ছল উদ্দীপনা নিয়ে
নিস্তব্ধ দুপুর কিম্বা সাঁঝের স্বপ্ন-বাসরের মত,
যেখানে নেই ঢেলে-দেওয়া অসীম শূন্যতা।
১৮টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালো লেগেছে,,
আরও পড়ে কমেন্ট দিবো। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই পড়তে হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
যথাজ্ঞা!
ছাইরাছ হেলাল
ভাল বুদ্ধি!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আগে সবার কমেন্টস পড়ি!
ছাইরাছ হেলাল
পড়ুন এবং পড়ুন।
তৌহিদ
এত সহজেই নুইয়ে পড়লো! তরতাজা রাখুন এখনতো সবে কৈশর চলছে!!☺
উৎসব নিস্তেজ হলে চাঙা করা যাবে তবুও যৌবন পেরুবার আগেই সে আসুক। হেমন্ত চলে এসেছে বুঝি এই। কিছুদিন পরে ঘন কুয়াশায় লুকোচুরি খেলবে নক্ষত্ররা। তাই আগেভাগেই এই আহবান?
এইবার বুঝেছি ☺
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বুঝেছেন, শরৎ বিদায় নিচ্ছে উৎসব শেষে।
আসছে হেমন্ত, আপনি তৈরি তো! কিছু লুকোচুরি সব ঋতুর-ই থাকে, আমাদের মত।
মনির হোসেন মমি
মন্তব্যে আসছি…পড়ছি এখনো..
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত পড়া শেষ করুন!
আরজু মুক্তা
আসলেই হেমন্ত দাতা।প্রকৃতি ধূসর হলেও, আমাদের অভাব থাকেনা। ফসলের গন্ধে চারদিক মৌ মৌ করে।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক ধরেছেন,
ফসলের মেলা বসে এ ঋতুতে।
ভাল থাকবেন আপনি।
নিতাই বাবু
শরতের শেষে হেমন্তের আগমনী শুভেচ্ছা জানালাম, শ্রদ্ধেয় কবি ছাইরাছ হেলাল দাদা। আশা করি হেমন্তের সাথেও ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আগামি কালের অপেক্ষা আর সইলো না।
আজ-ই হেমন্ত কে বরণ করে নিলাম।
জিসান শা ইকরাম
নক্ষত্র রাত ফিরে না এসে পারে?
কিসের যেন বন্দনা টের পাচ্ছি লেখায়, ( ভুলও হতে পারে )
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ভুলের কিছু নেই,
হেমন্তের বন্দনা চালু হয়ে গেছে, অপেক্ষা না করেই।
শাহরিন
এত্ত আক্ষেপ কেন!!!
বিবস্র অবসাদে ঢেকে ফেলেছে সাধের ভাড়ার ঘর। এই লাইনটা মনে ধরেছে।
ছাইরাছ হেলাল
আক্ষেপের আর কী দেখলেন!
একটি অক্ষর/শব্দ- ও যদি কার-ও মনে ধরে সেটাই একজন লিখিয়ের অনেক পাওয়া।