আমার চোখ তাকিয়ে রয় অন্ধ-চোখে,
নিঘুম-নিঝুম রাতের তারার তারায়,
ছুঁচ-বেধা চোখের আঙিনায়, ধূসর মরুর ছায়ায়;
আমার চোখ ছুঁতে চায় ঐ চোখের
নিবিড় নীল নীলিমা, নীলের আকাশ,আকাশের নীল,
শীত-সকালের ঘাসের বুকের হীরক-শিশির স্বপ্ন,
চাঁদ কুহকিনীর মধুর সম্মোহিনি দৃষ্টি-হানা,
মায়া-চাঁদের বুকের ঝড়ো-নিশ্বাস-ধ্বনি,
অতল-অস্থিরতায় সারা-দিনমান হা হা খেলি
অন্ধ-চোখের কুয়াশা আঁকড়ে আনন্দ-চঞ্চল খেলি;
অন্ধ-চোখে
গাঁয়ের ঘুমন্ত পথে পদধ্বনি ছুঁড়ে
হেঁটে যাই, হাঁটি, হাঁটি হরণের পথ ধরে ধরে,
ফিরি না, ফেরা হয় না, ফেরায় না (কেউ)
জল-চোখের তীব্র আলিঙ্গনে;
তবুও ফিরে ফিরে আসি ব্যথা-জর্জর
উজ্জ্বল-তুষার-চোখের খোঁজে।
রুক্ষ শরীরী অনুভবের কস্তূরী ঘ্রাণে!!
১৬টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
আমার চোখ তাকিয়ে রয় অন্ধ-চোখে,অনেক ভাল লাগা একটা লাইন কেন এত ভাল লাগিল যানিনা!!!!
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মায়াবতী
কবিতার মত চোখে কবির শব্দ চয়ন ! আহা….
অন্ধ চোখের কুয়াশা আঁকড়ে আনন্দ চঞ্চল খেলি …. 🙂
ছাইরাছ হেলাল
নেয়ামত হিসাবে গ্রহণের তৌফিক দান করুন, হে বিধাতা।
মায়াবতী
আমীন
ছাইরাছ হেলাল
আমীন।
জিসান শা ইকরাম
অন্ধ চোখেও দেখা যায় বুঝি!
ছাইরাছ হেলাল
অনেক বেশি বেশি দেখা যায়, সুবিধাও অনেক।
রিতু জাহান
কস্তুরি পাইলেন?
ঘাষবুকে এক এক শিশিরকণা
ছাইরাছ হেলাল
পামু অবশ্যই, আপনাদের দোয়ায়,
তয় এই রিতু জাহান টা ঠিক বোধগম্য হয় না,
আহারে মৌনতাজী!
রিতু জাহান
তাইতো! ঐ যে বললাম, নিজেকে ভাঙ্গি নিজেকে গড়ি। মৌনতাকে বিসর্জন দিয়েছি। নামে আর কি এসে যায় বলুন কবি? আমিই তো সেই আমি।
সবাইকে জানিয়েই লিখতে চাই। লেখাটাও পবিত্র আমার কাছে। পরিজন তা যে চোখেই দেখুক না কেনো।
ছাইরাছ হেলাল
তথাস্তু জাহানজী!
আপনি আপনি-ই
নীলাঞ্জনা নীলা
অন্ধত্ব আসলে কি? চোখে দেখতে না-পারা?
চশমা ছাড়া আমিও কিছু দেখিনা। ধোঁয়া ধোঁয়া ধোঁয়া—-
উত্তল বিন্দু আছে চোখের ভেতর, নিষ্প্রাণ
তাইতো আঙুলের ছোঁয়ায় স্পষ্ট করে ফুঁটিয়ে তুলি অক্ষর।
আর কিছু কমুনা।
ছাইরাছ হেলাল
প্লিগ লাগে আর একটু সামনে বাড়ুন!
যার আঙুল- তো ভাল, হাত-ই নেই, সে কি ছুঁইয়ে এগুবে!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার হাত আছে, আঙুল সে-ও
শূন্যতায় পরিপূর্ণ।
তাইতো আর সামনে বাড়তে পারিনা।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, তাল-বিদ্যে দিয়ে এগিয়ে যান, এগিয়ে আসুন!!
শূন্যতাকে ছুঁড়ে ফেলে।