ক্যাটাগরি সাহিত্য

কবি আর পাঠকের নগরী

সুমধু চক্রবর্তী ১ নভেম্বর ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৬:৫৯:১৪অপরাহ্ন কবিতা, সাহিত্য ২২ মন্তব্য
ভেবেছিলাম কয়েক পশলা অঝর শ্রাবনই যথেষ্ঠ। না হয়নি! ভুল ছিল তা। এখনো ঘর্মাক্ত নগর। ঘিনঘিনে বাতাস। বদ্ধ। গুমোট বাতাসে এখনো ঘামের গন্ধ!   কিছু জীব তবু খুশী। বোবা-প্রায়। মানুষ বলিনা এদের। আদম-কীট। খুশীতে কিলবিল। এরা অবুঝ। এদিকে পঙ্কিল সরকারী বেসরকারী রাস্তাগুলো। অথছ এখনো সমানে তৃষিত কৃষকের মাঠ! জঘন্য!   শুধু শ্রাবণে হবেনা, বুঝেছি এখন। মেঘের [ বিস্তারিত ]
খিদে পেটে কবিতার গলিতে ঢুকতে ইচ্ছে করে না! ওসব গলি ওই চামচিকেদের পতিতালয় আর পান্থশালা! ওরা ওখানে মুখোস পরে যখন-তখন ঢোকে আর নেশার ঘোরে বীর্য বিনিময়, আবার ভদ্র বেশে বেরিয়ে যায়! মা বলে ওতো কবিতা মারিও না! বোনের বিয়ে,বাবার অসুখ! কোন শতাব্দীতে কবির হাত, ছেড়া নেকড়ায় চোখের জল মুছে, কবে ভাত দিয়েছে? বলতো হবু কবি! [ বিস্তারিত ]
মাথায় জল ঢাললেই যে কোন নেশা কেটে যায়। কিন্তু শৌমিকের বেলায় তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়। দুপুরে স্নান সারা হয়ে গেলেই শৌমিকের কফি পানের নেশাটা পেয়ে বসে। তখন এক কাপ কফি পান না করলে আর সে চোখ মেলে তাকাতেই পারেনা। অবশ্য শৌমিকের কফি পানের দৃশ্যটাও দেখার মতো। ঘরের সব কটা দরজা জানালা বন্ধ করে সবগুলো বাতি [ বিস্তারিত ]
শীত কাঁতুরে মেঘষোড়শীর ঘাসের ঠোঁটে আলতো চুমু! ঘাসের শিহরনে-জাগরনে বনকূল জাগে ! বাঁকা চোখে! বনস্পতির কলঙ্ক পড়ে চাপা, চাঁদের ঘোমটার ছাপে! পোকার দল চিৎকার জুড়ে, ক্ষনিকের ধন-যশের লোভের তোড়ে! এই রে জাত গেল! কুল গেল! ওদের অন্য-প্রান্তে তোলো! সারা শরীর ভয় জুড়ে, রাত-ভোর অপবাদে, ঘাসের চোখে অশ্রু ঝরে! রাত্রি শেষে ঘুম চোখে বেশ সুর্য হাসে! [ বিস্তারিত ]
[[ প্রাক আলোচনা: 'মহাভারত' হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় পুস্তক। অসাধারণ সব গল্প, কাহিনীর গভীরতা, মোড় ইত্যাদি বিবেচনায় এটা নি:সন্দেহে একটি সুখপাঠ্য গ্রন্থ, বিশ্বের চারটি মহাকাব্যের একটি। বাল্যকালে এবং কৈশোরে এই কাব্যগ্রন্থের গদ্য রূপ (বাংলায় অনুদৃত) পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সেই স্মৃতির আলোকে আমি এই অসাধারণ গল্পগ্রন্থ (মানে গদ্য রুপের কথা বলছি) থেকে মিরাকলগুলো আপনাদের সামনে [ বিস্তারিত ]

কসম লাগে, একটু সাজিস

সুমধু চক্রবর্তী ২৭ অক্টোবর ২০১২, শনিবার, ১০:৪৪:৩৪পূর্বাহ্ন কবিতা, সাহিত্য ১৭ মন্তব্য
তোর অযত্ন-লালিত চুল, অবহেলায় করা কেশবিন্যাস! আচ্ছা, এভাবেই প্রতিশোধ নিস? নে (আমার দীর্ঘশ্বাস ঝরে)। এখনো খেলতে চাই ঐ চুল নিয়ে, সযতনে সাজাই কল্পনায়, কবিতার মত সুনিপুনভাবে, ছন্দে যেমনটি ঠিক আমি চাই। আমার ভাল লাগা তোর ভাল লাগেনা জানি; তারপরও কসম লাগে, একটু সাজিস, প্লিজ।
সাদাখাতার সাদাপৃষ্ঠা, তুমি কার? কুকুরের মতো নাল ঝরিয়ে, মুখ উচিয়ে, আমার দিকে ডাইনি চোখে, সারাক্ষণ তাকিয়ে কেন রও? তেলেমেখে বেনের ও অসুরের উচ্ছিষ্ট, বিলাস ভোজন, রক্ত, আদিকাল থেকেই বেশতো জমিয়ে খাও! ইতিহাসের পাতায়,রাত প্রহরে, রাত পাহারা দিয়ে বেশ তো আজীবন গীত গাও! আর বাজনাও দাঁতে বাঁও! ও সাদাপৃষ্ঠা, এই বার জঞ্জালে পড়ে না থেকে, চাষির [ বিস্তারিত ]
১. তোমার বাবা পুলিশ বলে ফাও সুবিধা লুটতে চাও ? তোমায় কিছু বলতে গেলেই ইভ টিজিংয়ের ভয় দেখাও !!! ২. বাস্তববাদী প্রেমিক আমি স্বপ্ন বুকে বাঁধি না, তাইতো তোমার আঘাত পেলে না হাসলেও কাঁদিনা। ৩. ইয়াহুতেই কথা বলো নেটের বিলেই ভয়েস চ্যাট, মোবাইল ফোনের উটকো বিলে চাইনা দিতে শুল্ক ভ্যাট। ৪. তোমায় আমি ভালোবাসি তাই [ বিস্তারিত ]
সহস্রাধিক দর্শকে ভর্তি হল রুম। আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "সাদর সম্ভাষণ ১৪১৯ বাংলা"। হল রুমের আলো একটু একটু করে নিভে আসছে, মঞ্চের সম্মুখের বিশালাকার কালো পর্দা ধীরে ধীরে উপরে উঠে যাচ্ছে তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে উপস্থাপকের প্রবেশ ঘটলো মঞ্চে। সেই সাথে কুদ্দুসের বিরক্তিরও ইতি ঘটলো, এতোক্ষণ [ বিস্তারিত ]

রাজকন্যা তুই ছিলিনা

সুমধু চক্রবর্তী ২৪ অক্টোবর ২০১২, বুধবার, ০৮:০৬:৩৭অপরাহ্ন কবিতা, সাহিত্য ১৯ মন্তব্য
কেন বলিনি তোকে রাজকন্যা, চোখে মহাসাগরের অতলতা, সুধামাখা তোর হাসি, নধর ঐ অধর। মেঘ কালো তোর চুল, দুধে আলতা গা; তাই আমার নামের অভাগা তোর অচেনা! ইতিহাসেও ছিলনা-এমনই তোর ভাবখানা! নারী, বুঝতে চাসনি (নাকি তোরা বুঝিস-ই না?) সাধারণ তোকেই ভালবেসেছিলাম আমি, চেয়েছিলাম সুতীব্রভাবে, শেষ অবলম্বন ভেবে; ডুবে মরতে বসা অভাগার ফুসফুস যেভাবে কান্না করে 'অক্সিজেন, [ বিস্তারিত ]
০১. কনফিউজড প্রেম তোমার সাথে হয়না দেখা হয়না কথা রোজ, ভাবলে তোমায় কঠিন হৃদয় যাচ্ছে হয়ে ন্যূব্জ। মোচড়ে উঠে হৃদয় আমার দেখলে তোমায় কভূ, মনের ভাষা হয়না প্রকাশ গোপনে রয় তবু। ০২. মিষ্টি প্রেম প্রখর রোদে ঘামছি আমি ভাবছি এ যে বৃষ্টি, মন্দের মাঝেও ভালো থাকি পেলে তোমার দৃষ্টি। তোমায় ছাড়া শূন্য ভূবন মহাকাশের মতো, [ বিস্তারিত ]
তোমার চোখের, অশ্রু মোছা এই হাত! আর ছুঁয়ে দেখেনি অন্য কোনো যুবতীর ঠোঁট! যন্ত্রনাগলা জলে ভেজারুমাল আজও নিঃস্বঙ্গ রাতে, বালিশের পাশে খোঁজে, স্বান্তনা আর উষ্ন -উত্তাপ! তোমার হাত থেকে ফেলেদেওয়া, নিরাপত্তার গন্দ্ধবিহীন গোলাপ-পাঁপড়ি, আজ প্রতিক্ষনে শুকায়, পান্ডুপাতার নির্মম চাপে ! অভিমানের শালিক আমার, রান্নাঘরের খড়ের চালে, বিকেল বেলায় আর বসে না! এখন শুধু বিড়ালছানার, ভয় [ বিস্তারিত ]
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আকাশের নীলে আলতো রোদে, শোকাচ্ছন্ন নীরার অশ্রুতে, আমার বাসি চোখের দুই পাতা শুধু ভেজে! আজ নীরা আছে,তুমি নেই! তোমাকে শুধুই ভাবি,আর নীলসাগরে ডুবি! রাত দুটোই বিনম্র আলোয় উত্তর আকাশের, ধ্রুবতারায় নীলনদে ডুবিয়ে , ফুটে আছে মিটি মিটি আলোয় নীললোহিত! প্রেমের হৃদয় শুধু নীলসাগরেই ডোবে! নীরাও নীললোহিতে রোজ সন্ধ্যায় ডোবে! বাঙালী [ বিস্তারিত ]
নিশিতে আমি শশ্মানে কান পেতে শুনি, গলিত শবের বুকে, আমার জন্য তোমার, প্রেমের কত বেগ ! মাঝে মাঝে আবার কুকুর দিয়ে নাক শুকি, আমার জন্য তোমার, অবিশ্বাসের কত টান! সূত্র দিন-রাত খুজি, আইনেস্টাইন থেকে মার্কস! মরাপ্রেম কিভাবে বাঁচবে! শতাব্দীর পর শতাব্দী রাত কাটে আর কাল কাটে! পতিতা শুধুই রাত-দুপুরে, হাতুড়ি তোলে আর হাঁপর টানে! পতিতালয়ে [ বিস্তারিত ]
উচু আকাশের গাঙ্গচিল, অমাবস্যার রাতে শুধু শক্ত ঠোঁটে খোঁটে, পাথরের নুড়ি কনায় রুপোলি আলোর ঝিল! প্রাচীন মহাকুর্মের পিঠে ঠোঁট পড়ে , ইতিহাস গড়ে! ইতিহাস নড়ে! সবাই শুধু , মহেঞ্জো থেকে পিরামিড খোঁড়ে! কেউ আবার অশোক গড়ে! কনিষ্ককে শুক্নো তালপাতায় ছোড়ে! কালবৈশাখী বাতাস ওড়ে! পাতাচাপা ধুলো ওড়ে! পিঁপড়ের দল সব রাস্তায় ঘোরে! ডানায় ভরে সন্ধ্যাপ্রদীপে পিঁপড়ে [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

সংরক্ষণাগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ