আমি কখনো আমাকে নিয়ে বাঁচতে পারিনি, আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের নিয়ে, অন্যদের উপরে। কখনো আমার অসুখে মায়ের রাত জাগার টেনশনে, আমার পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য বোনের উৎকন্ঠায়। কখনো আবার কারো একটি ফোন কলের অপেক্ষায়, কারো একটি ক্ষুধে বার্তা পাওয়ার আনন্দে। কারো অবহেলা পাওয়ার যন্ত্রনায়, কারুকে জমানো কথাগুলো বলতে না পারার আক্ষেপে। কখনো বা আবার কারো আসার অপেক্ষায়, [ বিস্তারিত ]
ক্যাটাগরি সাহিত্য
শরতের শশীমাখা সে রাতেই শ্রীপদ চাপাতি হাতে রুদ্ধশ্বাসে ছুটে বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে। ছুটতে ছুটতে যে জায়গাটায় এসে থামে সে জায়গাটি শুনশান নীরবতা। উঁচু একটা ভিটামাটির মেঝে তিন দিকে তার তিনটি বাঁশের খাম , একটি খাম ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে ঠেস দিয়ে পড়ে আছে কৌডুক। পাশেই অকেজো মাটির হেসেল, পুরোনো খোন্তা, পাশে একটা ভাঙ্গা মালসার [ বিস্তারিত ]
ছেলের গালে চড়টা মেরেছিল একটু কষেই ছেলের ফর্সা গালে অঙুলীর স্পর্ট স্পষ্টতর, চোখেরঁ জল গাল বেয়ে পড়ে জমিনে তাই দেখে মা ভাবে সে কতো যে কমিনে। মায়ের অসহনীয় যন্ত্রনার মাঝে যার জম্ম তার জন্যে আবার মায়ের মন কাদেঁ, শিশু কালে মা মাটিতে রাখেনি পিপিলিকায় কামড়াবে একা রেখে যায়নি কোথাও বাঘে খাবে। কৈশরে খেলার ছলে ঘর [ বিস্তারিত ]
আজ আকাশের মেঘ গুলির মাঝে কেমন জানি একটা বিষাদ বিষাদ ভাব রয়েছে। বেশ কিছুক্ষন ধরে ত্রপা জানালা দিয়ে আকাশ দেখছে, ফাগুনের দিপ্তি চোখে ত্রপার। মেঘগুলি কিছুক্ষন পরপরই বদলে যাচ্ছে। সবকিছুই বদলে যায়, মানুষ বদলে যায়,সময় বদলে যায়। একটা সময় ছিল সৈকত ত্রপা কে বুঝত কিন্তু এইবার ত্রপা না হয় একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলেছিল, কিন্তু তাই [ বিস্তারিত ]
বড় ভয় হয় তোমাকে বলতে একটি অদৃশ্য স্পর্শকাতর শব্দ অন্তরে অন্তস্হলে বেড়ে উঠা নিঃশ্বাসে হৃদয়ের ভাষা ছোট্ট শব্দের ভয়ঙকর অনুভূতি তবুও সূখের ছন্দ আমি তোমায় ভালবাসি। বড় ভয় হয় যতই বলি মানুষই সেরা অর্থের দুনিয়ায় তবুও থেকে যায় সন্দেহের বিষ মানবের হৃদয়ে ভাবি এক বার বলব তোমায় ফের মন পিছু টানে আমি ভালবাসি তোমায়। বড় [ বিস্তারিত ]
তুমি বলো,ভুলে যাও আমায় ! আমি চেষ্টা করেছি বারংবার, যদিও তুমি বুকের আদল ভেঙেছ, কঠোর রৌদ্রে আমার অন্ধকার বিষণ্ণতা, বিসর্জন ফেলে আসে নদীর কিনারা, স্মৃতির জলদ চোখের কাঠামোয় আবার মাটির পরত--আবার সজ্জার রংচং আবার চক্ষুদানের মন্ত্র পাঠ চলে, অবশেষে সেই তুমি-- ছুটে যাওয়া দূর ততখানি কাছে আসে স্মৃতির বেদন...
শুভেচ্ছা সবার জন্য! আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, 'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি'র সাহিত্য-পত্রিকা "মেঘফুল" প্রকাশিত হচ্ছে আগামী পহেলা বৈশাখের দিনে! মেঘফুল এর প্রচ্ছদ এবং নাম-লিপি করছেন প্রচ্ছদ শিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর। আশা করছি আগামী শনিবার তা আমাদের হাতে আসবে। এক রঙ্গা এক ঘুড়ি'র নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা 'ঘুড়ি' নতুন নামে আসছে 'মেঘফুল' হয়ে। সম্পাদনা পরিষদ গঠন সহ [ বিস্তারিত ]
ঘূণে ধরা সমাজের ফুলীঁরা০৪ অনেক খোজাঁ খুজির পর আমান সাহেব খুজেঁ পেল ছোটনকে ।এক সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত স্হানে কেরাম বোড খেলার আড্ডায়।ধুমছে একটার পর একটা সিগারেট জ্বালাচ্ছে আর খেলায় মগ্ন।আমান সাহেব এসেছে বলে এক দূত ছোটনকে জানায় ছোটন দূতকে বসতে বলে। ছোটন ভেংচি কাটে আমান সাহেবকে উদ্দ্যেশ্য করে। -সালা শুয়োরের বাচ্চা আবার কোন ভেজালঁ নিয়ে [ বিস্তারিত ]
সৈকত বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছে মেয়ে টা ভার্সিটির গেটের বাইরে দাড়িয়ে থাকে। সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে? কাউকে খুজছে? এমন হাজারো প্রশ্ন আসে সৈকতের মনে। সাধারণত এত কৌতূহল তার নেই কিন্তু আজ কেন জানি মন বলছে মেয়েটা কোন সমস্যায় আছে এবং ওকে সাহায্য করা উচিৎ। সৈকত এগিয়ে যায়_ -এস্কিউজ মি! আপনি কি কাউকে খুঁজছেন? [ বিস্তারিত ]
বিষণ্ণ মন! অলস দুপুর, সাড়া শব্দহীন এক শান্ত নগরী। পাখিদের কিচির মিচির মুক্ত নির্জনতার ভিড়ে চারিদিকে কোলাহল মুক্ত এক নিস্তব্দ পরিবেশে মন্টুর টং এর দোকানে বসে চায়ের পেয়ালা হাতে নিশ্চুপ মনে নির্বাক দুটি চোখে চেয়ে আছে "অরণ্য" চেনা পথটার পানে। অনেকবারই "রিতুর" কোমল হাতটি ধরে এ পথ দিয়ে আসা যাওয়া হয়েছে অরণ্যের। দীর্ঘ ছয় মাস [ বিস্তারিত ]
তিন হাটুতে ভর করে চলাচল করতে হয় সমাজের অচেনা ব্যাক্তি নাছির সাহেবকে।জীবনে চলার পথে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবন সংসার কিংবা রাষ্ট্রীয় কোন দেশপ্রেমের সংগ্রামে।সে আজ অসহায় নিঃস্ব, যে ছিল একদিন বীরের দর্পের দাপুটে সে আজ কাঙ্গাল ভালবাসায়,স্নেহে,মমতায়।নাছির সাহেব গভীর অন্ধকারে ঝড়া জীর্ণ একটি আশ্রীত বিল্ডিংয়ে দিন রাত অতিবাহিত করছেন কখন বিধাতার ডাক পরবে বলে।তারই [ বিস্তারিত ]
আমি এ কেমন স্বাধীন ভোরেঁ ফজরের আযানে শুনি কর্কটেলের তীব্র শব্দ ঘর হতে পা বাড়ালেই দেখি শাসকের শোষনের হিংস্রতা, শুনি,দুঃখি খেটে খাওয়া মানুষের পেটের তাগিদে কর্মে বাধা। আমি এ কেমন স্বাধীন বিয়াল্লিশটি বছর পেড়িয়েও পাইনি, বোনের ইজ্জত আর ভাইয়ে রক্তের বিচার, পারিনি আজও হায়নার বীজের, বীজ উপরে ফেলার অধিকার। আমি এ কেমন স্বাধীন হায়নারা অট্ট্রেলিকা [ বিস্তারিত ]
হঠাৎ কৃষ্ণা বেমক্কা একটা প্রশ্ন করে বসে। কৃষ্ণার সে প্রশ্ন শুনে শ্রীপদ কেমন যেনো বিমর্ষ হয়ে যায়। লাশকাটা এই পাষণ্ড মানুষটি কেমন করে যেনো দমে গিয়ে মোমের মতো নরম হয়ে যায়। গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রীপদ। এই ঈষদকুসুম দীর্ঘশ্বাস যেনো তার ভেতরের গুমড়ে ওঠা কান্নাবাষ্প। কৃষ্ণা: আচ্ছা মালিক তুই লাশ কাটা প্রথম কে করছে শিখেবারো? [ বিস্তারিত ]
