
কীভাবে লিখবো? কী লিখবো? কী দিয়ে শুরু করবো? শুধু বলবো মানুষ হিসেবে আজ লজ্জিত। ইচ্ছে করছিলো না কিছু লেখার। এখন দেখলাম – নগ্নতায় ছেয়ে আছে আকাশ। লজ্জা নিবারণের নাই কোন বাতাস। মানুষ পোশাক পরিধান করে লজ্জা নিবারণের জন্য। কিন্তু এই লজ্জা ঢাকবার পোশাক কোথায়।
আমার শোনা মতে কুমিল্লায় পূজা মন্ডবে দেবীর পায়ের নীচে পবিত্র কুরআন রাখা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে। ঘটনা কতটুকু সত্য জানিনা। যদি সত্য হয়ে থাকে, এক্ষেত্রেও নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে তান্ডবলীলা চলছে সেটা কোন ধার্মিকতার কাজ! একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য আরেকটা অন্যায় করা, কতটুকু যৌক্তিকতা প্রকাশ করে। এটাতো প্রতিবাদ নয় প্রতিহিংসা। ইসলাম অর্থ শান্তি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে, সাধারন মানুষের আবেগকে সম্বল করে, নিরীহ মানুষের বাড়িঘর দোকানপাটে আগুন জ্বালানো কোন ধার্মিকতার পরিচয় বহন করে না।
কি অপরাধ ওই সাধারন মানুষগুলোর। নিরীহ মানুষের উপরে হামলা চালানোর অধিকার তো আল্লাহ কাউকে দেয়নি। বিদায় হজে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) – ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে গেছেন। অথচ আমরা সে কাজটাই করে যাচ্ছি।নিজ নিজ ধর্ম পালন করুন। অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্মান করতে শিখুন। মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রতিটি কাজের হিসাব দিতে হবে।
ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নয়। সবাই সহনশীলতার পথে চলি। মেঘে ঢাকা আঁধার কেটে যাক। একজন মানুষ হিসেবে না হয় মানুষকে সম্মান করি। জাগ্রত হোক সকল বিবেক।
ছবি: নেট থেকে।
১৭টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
ধর্ম সর্ব সময় শান্তির পথ দেখায়।
আন্তরিক শুভ কামনা রইল।
হালিমা আক্তার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
আমরা কি করব কিছুই বুঝতেছি না আসলে এভাবে হয়—————
হালিমা আক্তার
অনেকটা দিকহারা নাবিকের মতো। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মনির হোসেন মমি
ধর্মান্ধে ছেয়ে গেছে এ দেশটা।মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং ৭২ এর সংবিধানে ধর্ম নিরপক্ষ রাস্ট্র ছিলো ক্ষতিটা করে গেছে স্বৈরশাসক এরশাদ।সব চেয়ে বড় ক্ষতি করে গেছেন জিয়াউর রহমান।বহুদলীও গণতন্ত্রের নামে যুদ্ধাপরাধী জামাতের রাজনিতীর বৈধতা দিয়ে।যার কারনে দিনে দিনে সাম্প্রদায়ীক শক্তি বিস্তার লাভ করে।
এখন অসম্ভব এ সব সাম্প্রদায়ীক হামলা হতে রক্ষা পাওয়া তবে হ্যা যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে ধর্মকে রাজনিতীতে ব্যবহার করা যাবে না তবে এর প্রতিরোধ করা যাবে নচেৎ সব নষ্টদের দখলেই থাকবে।
হালিমা আক্তার
ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার মন্তব্যের সঙ্গে একমত। কিন্তু ক্ষমতা ও অসৎ রাজনীতি সব খাচ্ছে কুরে কুরে দেশটাকে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
কী হচ্ছে কী হবে জানি না, তবে আমাদের সহনশীলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যাচ্ছে।
হালিমা আক্তার
সত্যি বলেছেন। আমরা যদি একে অপরের প্রতি একটু সহনশীল হতে পারতাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
অনন্য অর্ণব
প্রকৃত ধার্মিক কখনোই অন্যের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করবে না। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে বুঝবার শক্তি দিন।
হালিমা আক্তার
একদম সঠিক কথা বলেছেন। প্রকৃত ধার্মিক কখনো অন্যের ধর্মকে আঘাত করে না। শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
কিছুই জানিনা মানুষ মানুষকে মারছে!
হালিমা আক্তার
মানুষ কখনো মানুষ মারতে পারে না। এরা মানুষ নামের অমানুষ। শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
সত্য বলেছেন আপনি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ব্যাপারটা অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছের মতো। কে কোথায় কি রাখলো তা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার আগেই শুরু হয়ে গেলো জ্বালাও পোড়াও। মাথা মোটা বাঙ্গালী।
শুভ কামনা নিরত্তর।।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিবেক, মানবতা, ধৈর্য সব হারিয়ে গেছে আমাদের মধ্যে থেকে। ধর্ম নিয়ে এমন রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও, কটুক্তি ভালো লাগে না তবুও সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই যে।